Digital marketingdigital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং হলোঃ

ইন্টারনেট বা ডিজিটাল মার্কেটিং হল মার্কেটিং এর যাবতীয় কার্যক্রমসমূহ ইন্টারনেট এর মাধ্যমে করা কে বুঝায়। সহজ অর্থে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার মার্কেটিং করা বা ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সেবার যে প্রচার করা হয় তাকে ইন্টারনেট মার্কেটিং বলে। বর্তমান সময়ে টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র থেকে বেশী বাবহারিত মাধ্যম হল স্মার্টফোন এবং কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। আর এই দুটি জিনিসের অন্যতম প্রাণশক্তি হল ইন্টারনেট।

কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে শুরু করুন অনলাইন প্রফেশন।

আর এই ইন্টারনেট ই হল বর্তমান সময়ের মার্কেটিং এর প্রধান কার্যকারী মাধ্যম। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে দিন দিন এনালগ মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে। মানুষ দিন দিন যত বেশি প্রযুক্তির দিকে ঝুকে পড়ছে, ইন্টারনেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রও তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।ব্যাপারটা আরও সহজ ভাবে বোঝা যায় কেন এর চাহিদা বাড়ছে। তাঁর আগে আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু ধারণা লাভ করি।

বিশ্বে যেখানে বর্তমানে ৩২০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে সেখানে বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগনের প্রায় ৮ কোটির বেশী মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এরি সাথে জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারী ৩ কোটি। যেখানে ২০১৫ সালে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল মাত্র ৫ কোটি।

ক্যারিয়ার হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন SEO (এসইও)

Digital marketing

ফেসবুকের ব্যবহারকারি ২০১৫ তে ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ। এর থেকে সহজে অনুমান করা যায় কেন দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এত জনপ্রিয় হচ্ছে।আরও সহজ করি ব্যাপারটি – ধরুন আপনি একটি পণ্যর টেলিভিশন বিজ্ঞাপণ দিবেন, এর জন্য আপনার খরজ পড়বে বড় ধরনের একটা এমাউন্ট কিন্তু আপনি এই খরজ করেও বুঝতে পারছেন না আপনার কতজন কাস্টমার এই বিজ্ঞাপনটি দেখল।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে ব্যবসা করুন দ্বিগুণ লাভে

অন্যদিকে এই এমাউন্টের ১ % ব্যবহার করে আপনি এর থেকে ভালো বিজ্ঞাপণ দিতে পারবেন অনলাইনে এবং এই বিজ্ঞাপণে আপনার কতজন কাস্টমার বিজ্ঞাপনটি দেখলও সে তালিকাও ও আপনি পেয়ে যাবেন সহজে।আরও সুবিধা আছে, ধ্রুন টেলিভিশনে আপনি যে পণ্যটির বিজ্ঞাপণ দিবেন সেটি হল পুরুষের স্মার্ট ওয়াচ। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৮০% পুরুষ ই আপনার কাস্টমার আর বাকি ২০% আপনার কাস্টমারের ওয়াইফ, বাবা, মা বা বোন হতে পারে আপনার কাস্টমার।

এ ক্ষেত্রে আপনি যদি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপণ প্রচার করেন তাহলে আপনার বিজ্ঞাপনটি কতজন পুরুষ মানুষ দেখবে সেটা চিন্তার বিষয় কারণ আমরা বর্তমান সময়ে টেলিভিশনে সবথেকে যে বিষয়টি অপছন্দ করি তা হল বিজ্ঞাপণ, ফলে আপনার বিজ্ঞাপনটির প্রচারণাই কোন ফলাফল আসছে না আর আস্লেও ও সেটা অর্থের তুলনাই অনেক কম। আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনি ফলাফল পাচ্ছেন না এদিকে আপনার বিজ্ঞাপণ খরজ বেড়েই চলেছে।এবার আসুন একি কাজটি এনালগ মার্কেটিং ছেড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ করলে আপনার কি পরিমান লাভ হত দেখা যাক।আমরা ফেসবুক মাধ্যমটাই ধরি।

এখানে আপনি আপনার টার্গেটেড কাস্টমার কে আপনার বিজ্ঞাপনটি অতি সহজে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের সাহায্য তাঁর নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন। ঘড়ির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড কাস্টমার হল ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষেরা, আবার যারা শুধুমাত্র স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করে তারা, তারপর যারা শুধুমাত্র ঢাকাতে থাকে তারা অথবা যারা শুধুমাত্র ব্যাংকে চাকরি করে বা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা করে তাদের কাছে বিজ্ঞাপনটি প্রচার করতে পারবেন।

যেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং খাতে ক্যারিয়ার গড়বেন

আর এটি একজন ডিজিটাল মার্কেটারের সাহায্য ডিজিটাল মার্কেটিং এই সম্ভব। আপনি চাইলে শুধুমাত্র ঘড়ি ব্যবহারকারীকেও এই বিজ্ঞাপণ দেখাতে পারবেন আর সেটি এখানে সম্ভব। ওহ আর এই কাজটিই আপনি টেলিভিশন বিজ্ঞাপণের মাত্র ১০ ভাগ এমাউন্টেই করতে পারবেন। এবার তো মনে প্রশ্ন আসতেই পারে তাহলে মার্কেটিং কি? দুইটা কি একই জিনিষ নাকি আলাদা? এবার মার্কেটিং নিয়ে কিছু বলি শোনেন।

মার্কেটিং কি?

মার্কেটিং সম্পর্কে বলতে সাধারণত প্রচার প্রচারণাকেই বোঝায়। কোন পন্যর (নতুন বা পুরাতন) পন্যর প্রচার প্রচারণার সাহায্য বাজার সৃষ্টি করাকেই মার্কেটিং বলে। কোন পণ্য বা সেবার প্রচার প্রচারনা করে ওই পন্যর কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা তৈরি করাই হল মার্কেটিং এর কাজ। কোন পণ্যর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম যে সমস্যাটি সামনে আসে সেটি হল ওই পণ্যর সঠিক গ্রাহক খুঁজে বের করা।

আর এই গ্রাহক খুঁজে বের করার জন্য তারা সবথেকে সহজ মাধ্যম হিসেবে বেছে নেয় টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র ইত্যাদি। কিন্ত বর্তমান সময়ে এই মাধ্যম থেকে সবথেকে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটিং যার নাম দেয়া হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং। প্রশ্ন করলেন না যে ভাই দুইটা কি একই জিনিষ নাকি পার্থক্য কিছু আছে? হ ভাই আছে নিচের টুকু পড়েন।

মার্কেটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং এর পার্থক্যঃ

উপরিউক্ত বিষয় গুলো পড়ার পর আর কারো এ বিষয়ে পার্থক্যর দরকার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। তারপর ও মেজর কিছু পার্থক্য তুলে ধরলাম।টেলিভিশন, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট, রেডিও, সংবাদপত্র ইত্যাদির মাধ্যমে পন্য প্রচার প্রচারণাকে মার্কেটিং বলে পক্ষান্তরে ডিজিটাল উপায়ে পণ্যর বিজ্ঞাপণ কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেয়াকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং এ কাজ করার উপায়

এনালগ মার্কেটিং এ খরজের পরিমান অনেক বেশী এবং ফলাফল অনেক কম অন্যদিকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ খরজের তুলনায় ফলাফল অনেক বেশী।

এনালগ মার্কেটিং এ বিজ্ঞাপণের এর ফলাফল এর কোন পরিপূর্ণ ডাটা পাওয়া যায় না কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ সম্পূর্ণ ডাটা পাওয়া সম্ভব।

এনালগ মার্কেটিং এ টার্গেটেড কাস্টমারের কাছে বিজ্ঞাপণ প্রচার সম্ভব হয় না কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এ টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট বিজ্ঞাপণ প্রচার সম্ভব।

এনালগ মার্কেটিং এ মার্কেটিং এর মাধ্যম অনেক কম এবং এখন আর এগুলোর কার্যকারিতা অনেক কম অন্য দিকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যম ও অনেক বেশী এবং গ্রহণযোগ্যতা ও অনেক বেশী। এছাড়া বিভিন্ন সিস্টেমে বিজ্ঞাপণ প্রচার করার ব্যবস্থা রয়েছে।

আপনি যে যে মাধমে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেনঃ

ডিজিটাল মার্কেটিং এ মার্কেটিং প্রসারের জন্য রয়েছে নানা মাধ্যম। এ পর্যায়ে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর মার্কেটিং মাধ্যম গুলো নিয়ে সংক্ষেপে আলচনা করবো।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন : বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ একটি অত্যান্ত জনপ্রিয় শব্দ হল এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি ওয়েবসাইটকে তুলে ধরা বা সাইটে কি আছে তার গুরুত্ব সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝানোকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে। এই এস ইওর উপর ই নির্ভর করে আপনার সাইটটি কত দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে আসবে সেটি।

আর যদি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট না আসে সে ক্ষেত্রে আপনার মার্কেটিং করা বা আপনার সাইট করাই বৃথা। কোন একজন কাস্টমার আপনার সাইট এ আসবে না পন্য বা সেবা নিতে সে সার্চ ইঞ্জিনে এ আসবে যে সেবা বা পন্য প্রয়োজন সেটা নিতে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ওই প্রোডাক্টের নামেই সার্চ দিবে এবং ওই সার্চে যেন আপনার প্রডাক্টটি বা আপনার সাইট টি আসে তাই নিশ্চিত করাই সার্চ ইঞ্জিনের কাজ।এই প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইওর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে।

এসইওর মাধ্যমেই আপনি আপনার পণ্যকে সহজে গুগলের সার্চের সবচাইতে উপরে নিয়ে আসতে পারছেন, যার ফলে আপনার পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পাচ্ছে কারন বর্তমান সময়ে মানুষ কোন কিছু কেনার আগে সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তা নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পন্যকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে চিনিয়ে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার পন্যর বিক্রয় অবশ্যই বেড়ে যাবে। এস ইওর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল সঠিক কি ওয়ার্ড রিসার্চ করা।

এই কি ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে আপনার সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর সফলতা। এস ই ও সাধারণত ২ ভাবে হয়ে থাকে White Hat SEO এবং Black Hat SEO. সার্চ ইঞ্জিনে আপনাকে আসতে হলে বা নিজের ওয়েব সাইটের প্রচারের জন্য এস ইওর বিকল্প নেই। আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো এস ই ও ফার্মে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনাকে আসতে হলে সর্বপ্রথম আপনার এস ই ও করাটাই শ্রেয় হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) সহজ অর্থে সার্চ ইঞ্জিনে পেইড মার্কেটিং কেই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে। এটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর পেইড মাধ্যম বলা যেতে পারে। এখানে আপনি পে করে নিজের সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের উপরে নিয়ে আসতে পারেন।

এটি ৩ ভাবে হয়ে থাকে পে পার ক্লিক, কস্ট পার ক্লিক, কস্ট পার ইমপ্রেশন। এর যে কোন একটি আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে দিতে পারেন। এসইএম বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের হয়ে থাকে তার মধ্যে Google AdWords, Bing, Yahoo নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও এসইএম বিজ্ঞাপণ অনুসন্ধান, মোবাইল মার্কেটিং, পুনঃবাজারজাতকরণের এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং এর সব চেয়ে সাশ্রয়ী অনলাইন মার্কেটিং যা কিনা আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে সক্ষম।

কন্টেন্ট সৃষ্টি করা: বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত নিজের ওয়েবসাইটকে নিয়ে আশাকরি কৌশল আপনার পাঠকদের জন্য তৈরি করুন এবং তাদেরকে আপনার কাছ থেকে আরো তথ্য জানতে আগ্রহী করে তুলুন।

আপনার ব্যবসা ব্রান্ডিং এর জন্য একটি কন্টেন্ট তৈরি করুন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: আপনার ব্যাবসা প্রচার প্রচারণার জন্য এর থেকে আর ভাল কোন মাধ্যম আর নেই। আপনি অতি সহজে কোন খরজ ছাড়াই এই মাধ্যম গুলোতে প্রাথমিক প্রচার চালাতে পারবেন। এখানে কিছু একটিভ একাউন্ট থেকে শুরু করে একটিভ পেজ, গ্রুপ, কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার পন্যর বিস্তারিত বিজ্ঞাপণ প্রচার করতে পারবেন।

আপনার টার্গেটেড কাস্টমারদের কমিউনিটিতে যুক্ত করুন এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন, উত্তর, সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয় গুল নিয়ে নিয়মিত টিউন বা কমেন্টস করুন। কমিউনিটিতে একটিভ থেকে কমিউনিটি একটিভ রাখার চেষ্টা করুন। ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ কিংবা গ্রুপের লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করুন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা কোন ব্লগ সাইটে টিউন করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন। সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজমেন্টটুলস ইউজ করুন। প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজেদের কমিনিটি তৈরি করে ফেলুন।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং

নিজেদের প্রসার প্রচারের পাশাপাশি উপকারী টিউন করুন। এতে করে আপনার গ্রুপটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে।

রি – মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং এর সর্বশেষ ডেভোলপ মার্কেটিং স্টার্টেজি হল রি মার্কেটিং। রি – মার্কেটিং একটি কৌশল যেখানে গ্রাহকরা ইতিমধ্যে আপনার ব্যবসা আগ্রহ দেখিয়েছে এবং আপনার লিস্টে তারা টার্গেট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আপনি এ পর্যায়ে তাদের নিকট মার্কেটিং করতে পারেন। সামাজিক নেটওয়ার্কে বা মোবাইলেও আপনার সাইটে রি – মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারবেন। রি মার্কেটিং একটি অ্যাডভান্স প্রযুক্তি যার মাধমে আপনি আপনার মুল টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট আপনার সেবা বা পন্যর মার্কেটিং করতে পারেন এবং এটি সবথেকে ফলপ্রসূ মার্কেটিং পদ্ধতি।

মোবাইল মার্কেটিং: ডিজিটাল মার্কেটিং এ, এসএমএস মার্কেটিং, এমএমএস মার্কেটিং, ব্লুটুথ মার্কেটিং, ইনফ্রারেড মার্কেটিং এর মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাকেই আমরা মোবাইল মার্কেটিং বলে থাকি। আর এগুলোর মধ্যে “SMS FOR MOBILE” মার্কেটিং পদ্ধতিটি সব থেকে গুরুতুপূর্ণ। আপনি আপনার পন্যর কোন ইনফরমেশন, ডিস্কাউন্ট, ইত্যাদি সম্পর্কে ছোট আকারের এস এম এস তৈরি করে গ্রাহকদের পাঠাতে পারেন, এটি আপনার নতুন গ্রাহক সৃষ্টিতে সহায়তা করে।

ভাইরাল মার্কেটিং: আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অনেকাংশে নির্ভর করে ভাইরাল মার্কেটিং ও কনটেন্টের উপর। আপনার সুন্দর কন্টেন্ট ই আপনাকে ভাইরাল মার্কেটিং করতে সহায়তা করবে।

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটাররা ডিজিটাল মার্কেটিং এ সবথেকে বেশী ব্যবহার করছে ভাইরাল মার্কেটিং স্টার্টেজি। আপনি যদি কোনভাবে একটি টিউন বা কন্টেন্ট কে ভাইরাল করতে পারেন তবে সেই কন্টেন্ট আর আপনাকে প্রমোট করার প্রয়োজন হবে না। মানুষই ভাইরাসের মত কনটেন্টটি ছড়িয়ে দেবে সবখানে। তাই সবসময় চেষ্টা করুন ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করতে তাহলে অতি সহজে আপনার মার্কেটিং হয়ে যাবে। এই ধরনের কনটেন্ট তৈরী ও প্রকাশ করার পরে আপনার কাজ ফেসবুক, ইউটিউব সহ সকল সোশাল মিডিয়াতেই ইনসাইট বা অ্যানালিটিকস এ নজর রাখা ফলে আপনি জানতে পারবেন একটি কনটেন্ট কতোটা ভালো পারফর্ম করছে বা না করলে কি সমস্যার কারণে করছে না ইত্যাদি।

একটি ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করতে ক্যাপশন, টিউন করার সময়, প্রিভিউ ইমেজ ইত্যাদির দিকে নজর রাখতে হবে।

ইমেইল মার্কেটিং: যখন কোন বার্তা গ্রাহকদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পোঁছানো হয় তখন তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে। ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার দিয়ে আপনি সহজেই ই-মেইল লিস্ট গ্রাহকদের পছন্দ এবং অপছন্দ এবং খরচ অভ্যাস সহ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে আলাদা করে বজায় রাখতে পারেন। ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে গ্রাহকদের নিকট আপনার পন্যে বা সেবার প্রচার করতে পারবেন এবং আপনার সাইটেরও প্রচার করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিং করে ইনকাম করুন

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই আপনি আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্য সহজে পৌছে দিতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্যান্ডার্ড মাধ্যম হল ই-মেইল মার্কেটিং। এটি আমাদের দেশের থেকে বাইরে বেশী জনপ্রিয়।ই মেইল মার্কেটিং এর জন্য দেশের বিভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মেইল এড্রেস জোগাড় করুন, যে পণ্যের মার্কেটিং করতে চান, সেটি নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুন, অন্য কোম্পানীর একই পণ্যকে নিয়ে ও তাদের মার্কেটিং কৌশল নিয়ে গবেষণা করুন, আপনার মেইলে সবচাইতে সহজভাবে আপনার পণ্যের গুণ বর্ণনা করুন। ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রয়োজন একটি ওয়েবসাইট, মার্কেটিং টুলস। এর পর শুরু করুন ই মেইল মার্কেটিং।

ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই মুহূর্তেই আপনি আপনার পণ্য বা সেবা কে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পরবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: আপনি যখন নিজে আপনার নিজের সাইটে এ বা অন্যখানে অন্য কোন কোম্পানির সার্ভিস বা পন্য কমিশনের বিনিময় সেল করিয়ে দিবেন তখন তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বুঝায়। সহজে কমিশনের বিনিময়ে অন্যর মার্কেটিং কেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রয়োজন ধৈর্য কারন এখানে আপনি রাতারাতি খুব বেশি কিছু করে ফেলতে পারবেন না। এখানে তারাই সফল হতে পারবে যারা ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি আধুনিক মার্কেটিং সিস্টেম যেখানে কোম্পানি গুলো খুব চাতুরতার সাথে নিজেদের প্রমোশন করিয়ে নিচ্ছে অনেকটা ফ্রিতেই।

ভিডিও মার্কেটিং: বর্তমান সময়ের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং মাধ্যম হল ভিডিও মার্কেটিং বা ইউটুব মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ সবথেকে বেশী কার্যকারী মাধ্যম হল ভিডিও মার্কেটিং। ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা যত বেশী হবে ভিডিও মার্কেটিং এর কার্যকারিতা তত বাড়তে থাকবে। আপনি খুব সহজে একটি ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে আপনি আপনার কোম্পানির বা ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়াতে পারবেন।আপনি একটা ভিডিও তৈরি করে সেটা বিভিন্ন ভিডিও সাইটে দিতে পারেন যেমন ইউটিউব, ডেইলিমোশন, ভিমিও, রেভের ইত্যাদি।

সবখানে আপনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়বে এবং ওয়েবসাইটে ভিজিটর ও বাড়বে।আমার মনে হয় আপনার সকল প্রশ্নের এই টিউনের মধ্যেই আছে। তাই ভাল ভাবে পড়েন তারপরে দেখেন আপনার সমস্যা এখনো আছে নাকি নাই যদি না থাকে তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ্‌। আর থাকলে টিউমেন্ট করেন।

যে ৩টি কারণে আপনার অবশ্যই ভিডিও এডিটিং শেখা উচিৎ

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি? কিভাবে টাকা আয় করবেন

কনটেন্ট রাইটিং দিয়ে শুরু করুন অনলাইন প্রফেশন।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) !

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ