ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 3

একজন লোক একটা বার/রেস্তোরাঁ/হোটেল/গাড়ী মেরামতের দোকান গুলোতে পদচারনা করে থাকেন। সম্ভাবনা আছে, তিনি তা অনলাইনেও সকল তথ্য পেতে পারেন। কারন এখন বর্তমানে ৮০% ভোক্তারা কোন তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ দেয় এবং বর্তমান ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

সুতরাং আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি আপনার ভোক্তাদের কিভাবে খুজে বের করতে পারবেন এবং আপনার স্থানীয় ব্যবসার বেছে নিতে পারেন।ডিজিটাল মার্কেটিংইলেকট্রনিক মিডিয়ার এক বা একাধিক ফর্ম মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচার করাকে বুঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই সবচাইতে বেশি ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়া যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য এই চারটি কৌশলের একটি মিশ্রণ ব্যবহার করে- অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট,সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, এবং সামাজিক মিডিয়া। যা আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এখন আপনাদের সামনে চারটি কৌশল ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর টিপস উপস্থাপন করা হল-

ক) বিজ্ঞাপন সন্ধানের উপর টিপস

  • সনাক্ত করুন এবং বিং, ইয়াহু এবং গুগল সার্চ বিজ্ঞাপনের নিয়ম অনুসরণ করুন তারা কোন প্রচারাভিযান চালাবার আগে যে ফরমেট অনুসরন করে থাকে।
  • প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময় পর পর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করা উচিৎ।
  • আপনার শিরোনামে লক্ষ্য কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন এবং কপি করুন যা আপনার সাথে মিলে ঐ কীওয়ার্ড গুলো, এখন আপনার বিজ্ঞাপনটি প্রচারের জন্য উপযুক্ত।
  • এখানে আপনি সরাসরি বুঝাবেন যে আসলে আপনি ভোক্তাদের কাছ থেকে কি আশা করছেন। ভোক্তাদের আপনাদের বিজ্ঞাপনের উপর আকৃষ্ট করার জন্য অনেক কিছু যোগ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ “বিনামূল্যে একটি অনুমান জন্য যোগাযোগ” বা “৫০% কুপন পান”।
  • ক্লিক-টু-কল এক্সটেনশন ব্যবহার করুন, একটি ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে যাতে আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং পরিমাপ করতে পারবেন যে কোন বিজ্ঞাপনটি সেরা।
  • আপনার বিজ্ঞাপনের শিরোনামটি সবগুলো অক্ষরই বড় হাতের লেখা করুন যেন সবার নজরে আসে।
  • আপনার বিজ্ঞাপনে সঠিক যতিচিহ্ন ব্যবহার করা উচিত। হ্যাঁ! এটা ভাল জ্ঞান করে তোলে।
  • সম্ভব হলে নিয়মিত কিছু অফার দিন যাতে আপনার বিজ্ঞাপনটি জমজমাট থাকে।
  • এবার আপনার বিজ্ঞাপনকে যেকোন একটি বিষয়ের উপর এমনভাবে তৈরি করুন যাতে যেকোন ভিজিটর সেখান থেকে সম্পর্কিত যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।

খ) ওয়েবসাইট টিপস

  • আপনি যদি ২০১০ সাল থেকে আপনার ওয়েবসাইট আপডেট না করে থাকেন তাহলে এখনি করে ফেলুন। একটি উন্নত মানের ওয়েব ডিজাইন করুন যাতে প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটটি আকর্ষণ পাই।
  • আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফোনের উপযোগী করে তৈরি করুন। ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে ৮০% মানুষ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
  • ভিজিটরদের জন্য সহজভাবে ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
  • নিয়মিত সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটটি সবসময় আপ-ডু-ডেট রাখুন।
  • ওয়েবসাইটে ভিজিটর ট্রেকিং করার জন্য যেকোন টুলস যেমনঃ গুগল এ্যানালিটিকস ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটরদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।
  • ওয়েবসাইট তৈরিতে এমন টেকনোলজী ব্যবহার করুন যেন তা ভিজিটর এবং সার্চইঞ্জিন উভয়ের জন্য উপযোগী হয়।
  • প্রতিটি পেজে “call to action” যুক্ত করুন যেন আপনার ভিজিটরকে পণ্যটি কিনতে কিংবা কিনার ব্যপারে যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করে।
  • স্থানীয় ক্রেতারা যেন সহজেই আপনার সন্ধান পেতে পারে এজন্য আপনার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রাখবেন।

গ) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনার পণ্যকে গুগল সার্চের সবচাইতে উপরে নিয়ে আসতে পারবেন।

  • আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যদি নিয়মিত সচল না রাখেন তাহলে এটির প্রাসঙ্গিকতা হারাবে এবং আপনার ব্যবসার ব্লগটি অনর্থক হয়ে পরবে।
  • অনলাইনে আপনার কনটেন্ট, পোস্ট অথবা ফোরাম ডিসকাশনে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকে যাতে খুব সহজে আপনার টার্গেটেড পাঠক আপনাকে খুজে পেতে পারবে।
  • কখনও ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ব্যবহার করবেন না। এটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।
  • আপনার ব্লগে শেয়ার বাটন সক্রিয় করুন যাতে গ্রাহকরা খুব সহজেই আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারে এবং তাদের মতামত প্রদান করতে পারে।
  • ওয়েবসাইটে টাইটেল ট্যাগ, মেটা ট্যাগের ব্যবহার করুন। এটা এসইও ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
  • আপনার ব্লগের সাথে আপনার পণ্যের ওয়েবসাইটের একটি সংযোগ তৈরি করুন।
  • গুগলের নিয়মিত নতুন আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকুন, নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন।
  • শুধুমাত্র ব্লগ পোস্ট একবারই প্রচার করবেন না। এর জন্য আপনি অতিরিক্ত মতামত, শেয়ার, এবং বিষয়, আকর্ষণীয় ইমেজ, কোট, বা প্রশ্ন দর্শকদের জন্য রাখতে পারেন।
  • প্রভাব বিস্তারকারী এবং অন্যান্য শিল্প সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের অবস্থান অনেক শক্ত। তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর অনেক। আপনাকেও সেই অবস্থানে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
  • আপনি ইতিবাচক এবং নেতি বাচক রিভিউ গুলো আলাদা করতে পারেন যা আপনার ব্যবসার জন্য ভালো হবে।
  • আপনি ইতিবাচক রিভিউ গুলো গ্রহন করুন এবং তাদের নিয়ে রিসার্চ করুন দেখবেন আপনি ভালো ফল পাবেন।ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 4

ঘ) সোশ্যাল মিডিয়া

  • চিন্তা করুন, রিভিউ করুন এবং আবার পর্যালোচনা করুন কোন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা মন্তব্য করার পূর্বে। সহজে স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষমতা সামাজিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে সহজেই এই ভুল গ্রহণ করে থাকে।
  • যেহেতু আপনার কর্মীরাও প্রচার করে থাকে। সুতরাং ব্যক্তি এবং অনলাইন উভয় আপনার ব্র্যান্ড প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা বলে শেষ করা যাবেনা।
  • সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজমেন্টটুলস (HootSuite, TweetDeck) ব্যবহার করুন যা আপনার সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাল ফলাফল বের করতে সাহায্য করবে।
  • আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহন করতে পারেন।
  • আপনি যদি কাউকে ইমেইল পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ কিংবা গ্রুপের লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা কোন ব্লগে পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন।
  • আপনি একটি এ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। এমনভাবে একটি কমিউনটি তৈরি করুন যেখানে সকল মেম্বার এ্যাক্টিভ থাকবে। ফেসবুকে কমিউনিটি তৈরি করার জন্য গ্রুপ কিংবা পেজ তৈরি করুন। এমনি করে টুইটার, গুগল প্লাস কিংবা লিংকডইন কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট পোস্ট করা ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ।
  • নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে। সেটা একটা রুটিন অনুযায়ী করলে ভাল হয়ে। যেমন, ৩ দিন পর, ১ সপ্তাহ পর। তাহলে নিয়মিত ভিজিটর আসবে নতুন কিছু পাবার আশায়।
  • সোশাল মিডিয়াই ক্লায়েন্টের জন্য উপকারী, তথ্যবহুল পোস্ট হতে হবে।

উপরোক্ত টিপস বিশ্লেষণ করলে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ধরন। পণ্য বা সেবার তথ্য খুব সহজেই গ্রাহককে জানাতে পারি কেবল ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায়। অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এবং সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্যের দ্রুত প্রসার সম্ভব। এই কাজ গুলো আপনি নিয়মিত করা শুরু করলেই ধীরে ধীরে আপনি এগুলো থেকে আরও ভাল রেজাল্ট বের করতে পারবেন, আপনি আরও ভালভাবে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টের কাছে দ্রুত পৌছাতে পারবেন।

একজন লোক একটা বার/রেস্তোরাঁ/হোটেল/গাড়ী মেরামতের দোকান গুলোতে পদচারনা করে থাকেন। সম্ভাবনা আছে, তিনি তা অনলাইনেও সকল তথ্য পেতে পারেন। কারন এখন বর্তমানে ৮০% ভোক্তারা কোন তথ্যের জন্য গুগলে সার্চ দেয় এবং বর্তমান ব্যবসা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।

সুতরাং আপনি নিশ্চিত হন যে আপনি আপনার ভোক্তাদের কিভাবে খুজে বের করতে পারবেন এবং আপনার স্থানীয় ব্যবসার বেছে নিতে পারেন।ডিজিটাল মার্কেটিংইলেকট্রনিক মিডিয়ার এক বা একাধিক ফর্ম মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচার করাকে বুঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়েই সবচাইতে বেশি ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়া যায়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য এই চারটি কৌশলের একটি মিশ্রণ ব্যবহার করে- অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট,সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, এবং সামাজিক মিডিয়া। যা আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এখন আপনাদের সামনে চারটি কৌশল ব্যবহার করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর টিপস উপস্থাপন করা হল-

ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় কিছু টিপস 5

ক) বিজ্ঞাপন সন্ধানের উপর টিপস

  • সনাক্ত করুন এবং বিং, ইয়াহু এবং গুগল সার্চ বিজ্ঞাপনের নিয়ম অনুসরণ করুন তারা কোন প্রচারাভিযান চালাবার আগে যে ফরমেট অনুসরন করে থাকে।
  • প্রত্যেকদিন নির্দিষ্ট সময় পর পর মাল্টিমিডিয়া কন্টেন্ট গুলোকে আপডেট করা উচিৎ।
  • আপনার শিরোনামে লক্ষ্য কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন এবং কপি করুন যা আপনার সাথে মিলে ঐ কীওয়ার্ড গুলো, এখন আপনার বিজ্ঞাপনটি প্রচারের জন্য উপযুক্ত।
  • এখানে আপনি সরাসরি বুঝাবেন যে আসলে আপনি ভোক্তাদের কাছ থেকে কি আশা করছেন। ভোক্তাদের আপনাদের বিজ্ঞাপনের উপর আকৃষ্ট করার জন্য অনেক কিছু যোগ করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ “বিনামূল্যে একটি অনুমান জন্য যোগাযোগ” বা “৫০% কুপন পান”।
  • ক্লিক-টু-কল এক্সটেনশন ব্যবহার করুন, একটি ট্র্যাকিং নম্বর ব্যবহার করে যাতে আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন এবং পরিমাপ করতে পারবেন যে কোন বিজ্ঞাপনটি সেরা।
  • আপনার বিজ্ঞাপনের শিরোনামটি সবগুলো অক্ষরই বড় হাতের লেখা করুন যেন সবার নজরে আসে।
  • আপনার বিজ্ঞাপনে সঠিক যতিচিহ্ন ব্যবহার করা উচিত। হ্যাঁ! এটা ভাল জ্ঞান করে তোলে।
  • সম্ভব হলে নিয়মিত কিছু অফার দিন যাতে আপনার বিজ্ঞাপনটি জমজমাট থাকে।
  • এবার আপনার বিজ্ঞাপনকে যেকোন একটি বিষয়ের উপর এমনভাবে তৈরি করুন যাতে যেকোন ভিজিটর সেখান থেকে সম্পর্কিত যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।

খ) ওয়েবসাইট টিপস

  • আপনি যদি ২০১০ সাল থেকে আপনার ওয়েবসাইট আপডেট না করে থাকেন তাহলে এখনি করে ফেলুন। একটি উন্নত মানের ওয়েব ডিজাইন করুন যাতে প্রথমেই আপনার ওয়েবসাইটটি আকর্ষণ পাই।
  • আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফোনের উপযোগী করে তৈরি করুন। ২০১৪ সালের এক জরিপে দেখা গেছে ৮০% মানুষ মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
  • ভিজিটরদের জন্য সহজভাবে ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
  • নিয়মিত সঠিক তথ্য দিয়ে ওয়েবসাইটটি সবসময় আপ-ডু-ডেট রাখুন।
  • ওয়েবসাইটে ভিজিটর ট্রেকিং করার জন্য যেকোন টুলস যেমনঃ গুগল এ্যানালিটিকস ব্যবহার করুন যাতে ভিজিটরদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।
  • ওয়েবসাইট তৈরিতে এমন টেকনোলজী ব্যবহার করুন যেন তা ভিজিটর এবং সার্চইঞ্জিন উভয়ের জন্য উপযোগী হয়।
  • প্রতিটি পেজে “call to action” যুক্ত করুন যেন আপনার ভিজিটরকে পণ্যটি কিনতে কিংবা কিনার ব্যপারে যোগাযোগ করতে উৎসাহবোধ করে।
  • স্থানীয় ক্রেতারা যেন সহজেই আপনার সন্ধান পেতে পারে এজন্য আপনার সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রাখবেন।

গ) সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। এর মাধ্যমে আপনার পণ্যকে গুগল সার্চের সবচাইতে উপরে নিয়ে আসতে পারবেন।

  • আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যদি নিয়মিত সচল না রাখেন তাহলে এটির প্রাসঙ্গিকতা হারাবে এবং আপনার ব্যবসার ব্লগটি অনর্থক হয়ে পরবে।
  • অনলাইনে আপনার কনটেন্ট, পোস্ট অথবা ফোরাম ডিসকাশনে আপনার টার্গেটেড কিওয়ার্ডের উপস্থিতি থাকে যাতে খুব সহজে আপনার টার্গেটেড পাঠক আপনাকে খুজে পেতে পারবে।
  • কখনও ডুপ্লিকেট কনটেন্ট ব্যবহার করবেন না। এটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য খুবই ক্ষতিকর হবে।
  • আপনার ব্লগে শেয়ার বাটন সক্রিয় করুন যাতে গ্রাহকরা খুব সহজেই আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারে এবং তাদের মতামত প্রদান করতে পারে।
  • ওয়েবসাইটে টাইটেল ট্যাগ, মেটা ট্যাগের ব্যবহার করুন। এটা এসইও ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
  • আপনার ব্লগের সাথে আপনার পণ্যের ওয়েবসাইটের একটি সংযোগ তৈরি করুন।
  • গুগলের নিয়মিত নতুন আপডেট সম্পর্কে সচেতন থাকুন, নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন।
  • শুধুমাত্র ব্লগ পোস্ট একবারই প্রচার করবেন না। এর জন্য আপনি অতিরিক্ত মতামত, শেয়ার, এবং বিষয়, আকর্ষণীয় ইমেজ, কোট, বা প্রশ্ন দর্শকদের জন্য রাখতে পারেন।
  • প্রভাব বিস্তারকারী এবং অন্যান্য শিল্প সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ইতিমধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের অবস্থান অনেক শক্ত। তাদের ওয়েবসাইটের ভিজিটর অনেক। আপনাকেও সেই অবস্থানে আসার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
  • আপনি ইতিবাচক এবং নেতি বাচক রিভিউ গুলো আলাদা করতে পারেন যা আপনার ব্যবসার জন্য ভালো হবে।
  • আপনি ইতিবাচক রিভিউ গুলো গ্রহন করুন এবং তাদের নিয়ে রিসার্চ করুন দেখবেন আপনি ভালো ফল পাবেন।

ঘ) সোশ্যাল মিডিয়া

  • চিন্তা করুন, রিভিউ করুন এবং আবার পর্যালোচনা করুন কোন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা মন্তব্য করার পূর্বে। সহজে স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষমতা সামাজিক মিডিয়ার ক্ষেত্রে সহজেই এই ভুল গ্রহণ করে থাকে।
  • যেহেতু আপনার কর্মীরাও প্রচার করে থাকে। সুতরাং ব্যক্তি এবং অনলাইন উভয় আপনার ব্র্যান্ড প্রতিনিধিত্ব করে। ব্যবসার প্রসারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা বলে শেষ করা যাবেনা।
  • সকল সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজমেন্টটুলস (HootSuite, TweetDeck) ব্যবহার করুন যা আপনার সময়কে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ভাল ফলাফল বের করতে সাহায্য করবে।
  • আপনার টার্গেটকৃত ক্রেতাদের সাথে সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে বিভিন্ন আলোচনাতে অংশগ্রহন করতে পারেন।
  • আপনি যদি কাউকে ইমেইল পাঠাতে চান সেক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ কিংবা গ্রুপের লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আপনার নিজের ওয়েবসাইটে কিংবা কোন ব্লগে পোস্ট দেয়ার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন।
  • আপনি একটি এ্যাক্টিভ কমিউনিটি তৈরি করতে পারেন। এমনভাবে একটি কমিউনটি তৈরি করুন যেখানে সকল মেম্বার এ্যাক্টিভ থাকবে। ফেসবুকে কমিউনিটি তৈরি করার জন্য গ্রুপ কিংবা পেজ তৈরি করুন। এমনি করে টুইটার, গুগল প্লাস কিংবা লিংকডইন কমিউনিটি তৈরি করতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট পোস্ট করা ক্ষেত্রে অটোমেটিক প্রক্রিয়া ব্যবহার করা উচিৎ।
  • নিয়মিত পোস্ট দিতে হবে। সেটা একটা রুটিন অনুযায়ী করলে ভাল হয়ে। যেমন, ৩ দিন পর, ১ সপ্তাহ পর। তাহলে নিয়মিত ভিজিটর আসবে নতুন কিছু পাবার আশায়।
  • সোশাল মিডিয়াই ক্লায়েন্টের জন্য উপকারী, তথ্যবহুল পোস্ট হতে হবে।

উপরোক্ত টিপস বিশ্লেষণ করলে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজের ধরন। পণ্য বা সেবার তথ্য খুব সহজেই গ্রাহককে জানাতে পারি কেবল ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায়। অনুসন্ধান বিজ্ঞাপন, ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এবং সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্যের দ্রুত প্রসার সম্ভব। এই কাজ গুলো আপনি নিয়মিত করা শুরু করলেই ধীরে ধীরে আপনি এগুলো থেকে আরও ভাল রেজাল্ট বের করতে পারবেন, আপনি আরও ভালভাবে আপনার টার্গেটেড ক্লায়েন্টের কাছে দ্রুত পৌছাতে পারবেন।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ