ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও 1

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও সবচাইতে জনপ্রিয় একটি কাজ। মার্কেটপ্লেসের এ কাজের দক্ষদের চাহিদা অনেক বেশি। মার্কেটপ্লেস ছাড়াও এ দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ব্লগিং, অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েশন, ইকমার্স ব্যবসা করেও ইনকাম করা যায়।

এক নজরে বিস্তারিত

  1. এসইও কি?
  2. সার্চ ইঞ্জিন কী :
  3. কাদের জন্য প্রয়োজন এসইও জ্ঞান?
  4. এসইও শিখে আয় করতে পারবেন যেই কয়টি উপায়ে
  5. এসইও যখন শিখবেন, কি কি শিখবেন বিষয়টাকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:
  6. অফপেইজটা আসলে কি?
  7. এবার লক্ষ্য করুন, গুগল মূলত কি দেখে আপনাকে গুগলের টপে নিয়ে এসেছে:
  8. ক্যারিয়ার হিসাবে SEO :
  9. কিভাবে শিখবেন এসইও?

এসইও কি?

SEO মানে Search Engine Optimization। বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুজে পেতে গুগলে সার্চ করে। গুগল তখন তার সার্চ রেজাল্ট পেজে অনেকগুলো সাইটের ফলাফল প্রদর্শন করে। কোনটি প্রথমে কোন ওয়েবসাইটের নাম হয়ত প্রদর্শন করে ২নং পেজে। যেটি প্রথমে দেখা যাচ্ছে সেটি প্রথমে দেখাচ্ছে কারন সেটিকে এসইও করা হয়েছে। কোন ওয়েবসাইটকে সার্চের প্রথমে প্রদর্শন করার জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়, সেটিকে এসইও বলে। যখন আপনার ওয়েবসাইট সার্চের প্রথমে থাকবে তখন ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়। আর ভিজিটর বৃদ্ধি হলে ইনকামও বৃদ্ধি পায়। ধরুন, আপনি এসইও কোর্স করবেন, সেজন্য ট্রেনিং সেন্টার খুজছেন। তাহলে হয়ত আপনি গুগলে লিখবেন seo training in Bangladesh। তখন যদি সার্চের প্রথমে দেখেন আমার ট্রেনিং সেন্টার সিভিনটেকের ওয়েবসাইটের নাম। আর এটি দেখে হয়ত আমাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেউ প্রবেশ করল, এরপর এখান থেকে তথ্য পেয়ে পছন্দ হলে এখানে এসে কোর্সে ভর্তি হয়। শুধুমাত্র এসইও করার কারনে তাহলে একটা স্টুডেন্ট পাওয়া গেল।

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব:১৫ – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও

সার্চ ইঞ্জিন কী :

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় যেকোন বিষয়ের তথ্য জানতে হলে ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকি। তখন সারা বিশ্বের যত ওয়েবসাইটে এ ব্যপারে যেকোন তথ্য আছে, সব আমাদের সামনে চলে আসে। এ বিষয়গুলো জানার এসব উৎসকে সার্চ ইঞ্জিন ( search engine ) বলে। বিখ্যাত কয়েকটি সার্চ ইঞ্জিনের নাম হলোঃ গুগল (google), ইয়াহু (yahoo),বিং( bing) ইত্যাদি ।
সার্চ ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে, মানুষের তথ্য থুজে পাওয়ার জন্য। সেজন্য কোন কিছু সার্চ দিলে যাতে সবচাইতে সেরা তথ্য খুজে পাওয়া যায় সেজন্য সার্চইঞ্জিন সাইটগুলো কিছু পোগ্রাম তৈরি করে রাখে। যেটি সকল সাইটগুলোর মধ্যে কিছু বিষয় তুলনা করে সেরা সাইটগুলোকে সার্চের সামনে নিয়ে আসে। সেরা সাইট নির্বাচন করার জন্য তারা দেখে ওয়েবসাইটটি মানসম্মত কিনা, ওয়েবসাইটের তথ্য সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কিনা, ওয়েবসাইটটি কেমন জনপ্রিয়।

কাদের জন্য প্রয়োজন এসইও জ্ঞান?

– আপনার কোন প্রোডাক্টকে প্রচার করবেন?- আপনাকে জানতে হবে, অনলাইন মার্কেটিং।
– আপনি কোন একটি ব্যবসার মালিক? – ব্যবসার অধিক মুনাফার জন্য অনলাইন মার্কেটিং আপনাকে জানতে হবে।
– অনলাইনে গ্রাফিকস কিংবা ওয়েবডিজাইন সম্পর্কিত কাজ খুজছেন?- আগে অনলাইন মার্কেটিং জেনে নিন।
– মার্কেটপ্লেসগুলোতে খুব সহজে ক্যারিয়ার গড়তে চান?- এসইও শিখতে হবে আপনাকে।
– সারাজীবনের জন্য নিশ্চিত আয় চান?- এসইও কোর্স আপনার জন্য।
– কম্পিউটার জ্ঞান স্বল্প হওয়া স্বত্ত্বেও অনলাইন হতে কিছু আয় করতে আগ্রহী?- এসইও কোর্সটি শিখে ফেলুন।

এসইও শিখে আয় করতে পারবেন যেই কয়টি উপায়ে

১। শুধুমাত্র লিংক বিল্ডিং করে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ ব্লগ কমেন্টিং, ফোরাম পোস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে লিংক বিল্ডিংয়ের কাজ করে অনলাইন হতে মাসে গড়ে ২০০-৪০০ ডলার আয় করা যায়।

২। আর্টিকেল রাইটার হিসেবে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ আর্টিকেল রাইটারদের চাহিদা মার্কেটপ্লেসে অনেক বেশি। একজন আর্টিকেল রাইটার মাসে গড়ে ২০০-১০০০ ডলার পযন্ত আয় করতে পারে।

৩। ব্লগার হিসেবে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ ব্লগার হিসেবে দুইভাবে আয় করা যায়। একটি হচ্ছে অন্যদের ব্লগে গেস্ট ব্লগার হিসেবে লিখে আয় কিংবা নিজের ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত ব্লগিং করে একটি পর্যায়ে সেখান হতে আয় করা যায়। এ পদ্ধতিতে মাসে আয় করতে পারবেন গড়ে ৫০০- ১০০০ ডলার।

৪। অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ নিজের ব্লগ সাইট কিংবা অন্য কোন সাইট তৈরি করে সেখানের ভিজিটর আনতে পারলে, সেখান থেকে অ্যাডসেন্স কিংবা অন্য কোন অ্যাডভার্টাইজার পাবলিশন্স হতে আয় করা যায়।

৫। অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়।

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ কোন প্রতিষ্ঠান হতে অনুমতি নিয়ে তাদের পণ্য বিক্রির জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলে, সেই ওয়েবসাইটের এসইও করার মাধ্যমে পণ্যটি বিক্রি করতে পারেন। যাকে আমরা অ্যাফিলিয়েশন বলি। অ্যাফিলিয়েশন করে মাসে আয় করা যায় ৫০০ ডলার – আনলিমিটেড।

৬। অনলাইন মার্কেটার হিসেবে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ অনলাইনে পণ্যের প্রচারের কাজ যারা যত ইফেক্টিভ পদ্ধতিতে করতে পারে, তাদের চাহিদা প্রচুর থাকে।সাধারণত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করার কাজ পাওয়া যায়। এ ধরনের কাজ জানা থাকলে অনলাইন হতে মাসে গড়ে ৩০০- ১০০০ ডলার আয় করা যায়। এই যোগ্যতা থাকলে লোকাল মার্কেটেও প্রচুর চাকুরী রয়েছে।

৭। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ এটিও একজন অনলাইন মার্কেটারের কাজ। তবে আলাদাভাবে শুধু ইমেইল মার্কেটিংয়ের উপর বিশাল ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। একজন ইমেইল মার্কেটারের মাসিক আয় ২০০- ৫০০ ডলার। দিনে দিনে এটির চাহিদা আরো বাড়ছে।

৮। ওয়েবরিসার্চের কাজ করার মাধ্যমে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ শুধুমাত্র ওয়েবরিসার্চের কাজ করেও অনেকেই ভাল আয় করছে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজের জন্য এই কাজ ভাল ভাবে জানা থাকা দরকার। এই কাজটি ছোট একটি কাজ, সেজন্য আয়ও ছোট হয়। এই কাজের মাধ্যমে মাসে ৫০-৩০০ ডলার আয় করা যায়।

৯। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং অ্যাডভাইজার হিসেবে আয়।
সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ একজন এসইও এক্সপার্ট কম্পিটিটর অ্যানালাইসের কাজ খুব ভালভাবেই জানে। সেইসাথে কীওয়ার্ড রিসার্চটিও ভালভাবে জানা থাকতে হয় তাদের। আর যেহেতু এই কাজটি জানা থাকে, সুতরাং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার প্রচারে মার্কেটিংয়ের বিষয় পরামর্শের জন্য এসইও এক্সপার্টের কাছে দ্বারস্থ হতে হয়। অনলাইনে এ সম্পর্কিত কাজ রয়েছে প্রচুর। এ কাজ করে মাসে আয় করা যায়, ১০০- ২০০০ ডলার পযন্ত।

১০। এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আয়।

সংক্ষিপ্ত বিবরণঃ এতক্ষণ যা যা আলোচনা করলাম সবগুলোতেই খুব ভালভাবে দক্ষ হয়ে থাকলে এবং সেই সাথে সার্চ ইঞ্জিনের র্যাংকিং ফ্যাক্টরগুলো ভালভাবে জানা থাকলে আপনি এসইও এক্সপার্ট হিসেবে আয় করতে পারেন, প্রচুর পরিমাণে। একজন এসইও এক্সপার্টের আয় মাসে ৫০০ ডলার – ৫,০০০০ ডলার পযন্ত হতে পারে।
শুধুমাত্র এসইও পুরোভাবে জানা থাকলে, আপনার জন্য উপরের ১০টি কর্মক্ষেত্র রেডি হয়ে যায়।
এখানে শুধুমাত্র প্রধান ১০টি কর্মক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবেন এসইও জানা থাকলে।

এসইও যখন শিখবেন, কি কি শিখবেন বিষয়টাকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:

পুরো বিষয়টাকে বুঝানোর সুবিধার্থে লোকাল যেকোন ব্যবসার সাথে তুলনা করে ব্যাখ্যা করি, তাহলে নতুনদের বুঝতে সুবিধা হবে। কারণ এসইওর কাজইতো হচ্ছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা।

১) ১ম ধাপ, কীওয়ার্ড রিসার্চ:
আপনার ব্যবসার সুবিধার জন্য কোন কীওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন, সেটি সঠিকভাবে বাছাই করতে না পারলে পুরো ব্যবসাটাই লস।
উদাহরণ: আপনি লোকাল ভাবে ফ্যাশন সম্পর্কিত ব্যবসা করবেন। কোন জায়গাতে দোকান কিনলে ভাল হবে, দোকানে কোন ধরনের ড্রেস উঠালে সেই জায়গাতে ভাল বিক্রি করা যাবে, বর্তমানে কোন শব্দ ব্যবহার করলে ক্রেতাদের কাছে বেশি আগ্রহ জন্মাবে, সেই বিষয়গুলো সঠিকভাবে আগে রিসার্চ করে খুজে বের করতে হয়। পাখি ড্রেস, এ পাখি শব্দটার জন্য ড্রেসটার বিক্রি কি পরিমাণ হয়েছে সবাই জানেন। এই যে পাখি ড্রেস নাম দিলে মানুষজন বেশি খাবে, সেটি খুজে বের করাকেই এসইওর ভাষাতে কীওয়ার্ড রিসার্চ বলে।

২) ২য় ধাপ, অনপেইজ এসইও:
কীওয়ার্ড বাছাই করার পর সঠিক এবং উপযুক্ত কীওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইটের পুরো গঠন ঠিক করা হয়। গঠনের মধ্যে রয়েছে: কনটেন্ট, হাইলাইট জায়গাগুলোতে কীওয়ার্ড ব্যবহার, ইত্যাদি।
উদাহরণ: লোকাল ফ্যাশন সম্পর্কিত ব্যবসার আইডিয়া পরিকল্পনা করলেন ১ম ধাপে। এবার দ্বিতীয় ধাপে ১ম ধাপের উপর ভিত্তি করে দোকানটাকে সাজানো শুরু। ১ম ধাপের গবেষনার উপর ভিত্তি করে নাম ঠিক করা, ডেকোরেশন সাজানো সব করতে হবে। যদি ১ম ধাপের গবেষণাতে বের হয়, মেয়েদের ওয়েস্টার্ণ ড্রেস বেশি বিক্রি হবে, তাহলে ডেকোরেশনে ওয়েষ্টার্ণ লুকটা নিয়ে আসতে হবে, তাহলে গ্রহনযোগ্যতা বাড়বে। ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়বে। এরকমভাবে দোকান সাজানোটা তখন অনেক জরুরী কাজ হয়ে দাড়ায়।
উপরের দুটি ধাপ এককালীন কাজ। একবার হয়ে গেলে আর করা লাগেনা।
শেষ ধাপ, যা যতদিন ব্যবসা থাকবে ততদিন চালিয়ে যেতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব:১৫ – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও

৩) শেষ ধাপ: অফপেজ এসইও বা মার্কেটিং:
কীওয়ার্ড রিসার্চ শেষ, সেই অনুযায়ি ওয়েবসাইটকেও গুছানো শেষ। তাতেই এসইওর কাজ শেষ হয়ে যায়নি। এবার শুরু আসল কাজ। সারাজীবন এ কাজটি করে যেতে হবে। এ কাজটিতে সফলতার উপরই সব সফলতা নির্ভর করছে। আর সেটা হচ্ছে অফপেজ এসইও। যেসব জায়গাগুলোতে মানুষ জনের অবস্থান বেশি, সেসব জায়গাতে গিয়ে পরিবেশের সাথে মানানসইভাবে আপনার বক্তব্য উপস্থাপনকেই অফপেইজ এসইও বলে। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগিং, ফোরাম পোস্টিং, ভিডিও মার্কেটিং, ব্লগ কমেন্টিংয়ের মাধ্যমে আপনার বক্তব্যকে মানুষের সামনে আকর্ষনীয় উপস্থাপন করতে হয়।
উদাহরণ: খুব সুন্দর ভাবে দোকান গুছানো শেষ করলেন দ্বিতীয় ধাপে। অনেক দামি ডেকারেশন করলেন। এবার এভাবে ফেলে রাখলেই ভাল কাস্টমার পাবেননা। কিছু পেতে পারেন, মার্কেটের নিয়মিত কিছু কাস্টমারকে। কিন্তু বেশি ভাল পরিমান লাভজন হওয়ার জন্য লিফলেট, পোস্টার, পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন, টিভিতে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। যে যত আকর্ষনীয়ভাবে যত বেশি বিজ্ঞাপন চালাতে পারে, তার বিক্রি তত বেশি হয়।

অফপেইজটা আসলে কি?

লক্ষ্য করুন, অফপেইজ বলতে মার্কেটিং বলেছি। মার্কেটিং বলতে বুঝায় মানুষের কাছে আপনার পণ্যকে কিংবা সেবাকে গ্রহণযোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, চাহিদা তৈরি করা। মার্কেটিং মানে গুগলকে দেখানোর জন্য ফাঁকি দিয়ে কোন জায়গাতে নিজের পণ্যের লিংক দিয়ে আসাকে বুঝায় না। গুগলে দেখানো কিছু ইনস্ট্রাকশন অনুসরণ করতেতো অবশ্যই হবে। তবে সেই ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, গুগল মানুষের মনের উপর, মানুষের চাহিদাকে গবেষণা করে কিছু গাইডলাইন তৈরি করেছে মাত্র। মানুষ কোন ধরনের বিষয়গুলো বেশি পছন্দ করে, কোন ধরনের বিষয়গুলো মানুষ বিরক্ত হয়, সেই বিষয়গুলোর একটা গাইড তৈরি করেছে, যাকে গুগলের অ্যালগরিদম বলা হয়। গুগল যেহেতু মানুষের চাহিদা, পছন্দ , বিরক্তকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদেরও সেটিকেই গুরুত্ব দিয়ে এসইও করতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া, ফোরাম, কিংবা ব্লগ যে জায়গাই বলুন, সবজায়গাতে এমন পোস্ট করতে হবে, যাতে লিংকে মানুষ ক্লিক করে ওয়েবসাইটে আসে। আবার ভুয়া কিছু লিংকে ক্লিক করিয়ে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসলেই ওয়েবসাইট টপে চলে আসবেনা। ভিজিটর ওয়েবসাইটে এসে যদি বেশি সময় ধরে অবস্থান করে (বাউন্সরেট কমাতে হবে), এক পেজ থেকে আরেক পেজে যাতায়াত করে (ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার), এবং পরবর্তীতে সেই ভিজিটর যদি আবারও এ ওয়েবসাইটে ঘুরেফিরে আসে (রিটার্ণিং ভিজিটর), তাহলেই গুগল আপনার সাইটকে সার্চের টপে রাখবে।

এবার লক্ষ্য করুন, গুগল মূলত কি দেখে আপনাকে গুগলের টপে নিয়ে এসেছে:

১) কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ (অবশ্যই মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ন) ওয়েবসাইট হতে ভিজিটর আসতেছে
২) ভিজিটর কি পরিমাণে আসছে?
৩) ভিজিটরগুলোর আচরণ লক্ষ্য করার চেষ্টা করছে
– ভিজিটরগুলো ওয়েবসাইটে কতক্ষণ অবস্থান করছে?
– ভিজিটরগুলো এসেই চলে যাচ্ছে নাকি একপেজ থেকে আরেকপেজে যাতায়াত করছে
– ভিজিটরগুলো একবার এ সাইটে এসে কি আর সারাজীবনে এ সাইটে না আসার প্রতিজ্ঞা করছে নাকি ঘুরেফিরে নিয়মিত আসছে।

এ বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে গুগল আপনাকে সার্চের টপে নিয়ে আসবে নাকি পিছনে ফেলে দিবে তা ঠিক করে।

ফ্রিল্যান্সিং শিখুন সফল ক্যারিয়ার গড়ুন পর্ব:১৫ – সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, এসইও

ক্যারিয়ার হিসাবে SEO :

বাংলাদেশে যারা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করে তাদের বেশিরভাগ এসইও এর মাধ্যমে আয় করে। সাধারণত যাদের কম্পিউটার সম্পর্কে সাধারন ধারনা আছে, ইংরেজীতে মোটামুটি পারদর্শী, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তারা অতি সহজে এসইও এর কাজে পারদর্শী হতে পারেন। কোন প্রোগ্রামিং ভাষা জানার তেমন দরকার নাই বিধায় এই কাজ অতি সহজে রপ্ত করে দ্রুত কাজ শুরু করা যায় বলে এটি শিখা সহজ।

আসুন জেনে নেই, এসইও শিখে কি কিভাবে আয় করা যায়?

– মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজের মাধ্যমে
– ব্লগিংয়ের মাধ্যমে
– অ্যাডসেন্স কিংবা অন্য কোন অ্যাড অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে
– অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে
– কোন লোকাল অনলাইন বেস ব্যবসা চালু করে
– ইকমার্স ব্যবসার মাধ্যমে
– সিপিএ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
– লোকাল কোন প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করে
– কোন এসইও টিমের টীম মেম্বার হিসেবে কাজ করে।

কিভাবে শিখবেন এসইও?

আপনার ইংরেজি পড়া এবং বুঝার স্কিল যদি মোটামুটি লেবেলের ভালো হয় তবে আপনি গুগলকে ইউজ করে ভালো মানের কিছু ব্লগ থেকে এসইও’র অনেক অনেক কিছু শিখতে পারেন। আর নেট স্পিড ভালো হলে ইউটিউব থেকে বিভিন্ন ভিডিও সার্চ করে দেখতে পারেন। বাংলাতেও বিভিন্ন ব্লগে প্রচুর এসইও গাইডলাইন আছে।

অনেকে অনলাইন থেকে শিখতে গিয়ে ধৈয্য হারিয়ে ফেলেন। যারা এভাবে শিখতে অভ্যস্ত না তারা ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে ভর্তি হয়ে ৮০০০ টাকা থেকে ১৫০০০ টাকা খরচ করে পুরো ব্যাপারটি অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে শিখে নিতে পারেন। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে এ সম্পর্কিত অনেকগুলো ভালমানের ট্রেনিং সেন্টার গড়ে উঠেছে। নিজের কোন ফ্রি ব্লগ তৈরি করে যা শিখেছেন, সেগুলোকে প্রয়োগ করে প্র্যাকটিস করুন। Illin iT এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এখানে আপনি ভালমানের ট্রেনিং পাবেন।

ইল্লীন আইটি তে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোর্সের ব্যাপারে জানতে এই লিংকে যানগ।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ