ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায়।Email merketing is an easy way to best make money 123

ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায় বর্তমান যুগে মার্কেটিংয়ের জন্য ইমেইল মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী হাতিয়ার। ইমেইল মার্কেটিং এতটাই কার্য্যকর যে, এটি দ্বারা অল্প সময়ে অনেক গ্রাহকের কাছে পণ্য প্রচার করা যায়। ইমেইল মার্কেটিং গ্রাহকের সাথে ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক তৈরিতে এবং ব্যবসা বিকাশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর কারণেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইমেইল মার্কেটিংয়ের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। যার ফলে তাদের পণ্য বা সেবার বিকাশ হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ইমেইল মার্কেটিং করে নিজের ব্যবসাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন লোককে হায়ার করে নিচ্ছে। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মূল কাজ হচ্ছে নির্দিষ্ট কাস্টমারের কাছে নিজস্ব ব্যবসার তথ্যগুলো পৌঁছে দেওয়া। বর্তমান এই যুগে সবাই ইমেইল ব্যবহার করে। যার ফলে গ্রাহকদের সাথে আপনার ব্যবসার যোগাযোগ ভালো রাখা সম্ভব হয়। প্রতিটি ব্যবসার মোট মার্কেটিং কৌশলের কেন্দ্রীয় অংশ ইমেইল মার্কেটিং হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। 

ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় ~ঃ

বর্তমানে ইমেইল মার্কেটিং থেকে ভাল পরিমাণ আয় করার পদ্ধতি-সমূহ হচ্ছে পিএসডি ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা, এইচটিএমএল ও সিএসএস দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা, পিএসডি থেকে এইচটিএমএলে কনভার্ট করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা এবং ইমেইল কনটেন্ট লিখে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা। তবে এইসব থেকে আয় করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আপনার এই বিষয়গুলো শিখতে খুব বেশী সময় লাগবে না অবশ্য। এইজন্য ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় করার সহজ বিষয় হচ্ছে ইমেইল লিস্ট তৈরি করা এবং এফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয় করা। ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আমরা যেকোনো পর্ণ্য বিক্রি করতে পারি, লিড জেনারেশন করতে পারি, গ্রাহক অর্জন করতে পারি, গ্রাহকের সাথে আবদ্ধ থাকতে পারি, বিশ্বতা অর্জন করতে পারি ইত্যাদি।

ইমেইল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে কার্যকরা হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে স্প্যাম ফিল্টার। স্প্যাম ফিল্টার উন্নত হওয়ায় আর আগের মতো স্প্যাম ইমেইলের বিস্তার হয় না তাই এর বিশ্বস্থতা রয়েছে। ওয়েবসাইট, সোস্যাল মিডিয়া ইত্যাদির প্রচারগুলো গ্রাহকের কাছে নাও পৌঁছাতে পারলে আমরা কিন্তু খুব সহজেই ইমেইলের প্রচার গ্রাহকের ইনবক্সে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারি। এই ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট গ্রাহক টার্গেট করারও সুবিধা আছে। এবং এই প্রচার অপেক্ষাকূত সস্তা। খুব কম সময়ে বেশী প্রচারের জন্য বিক্রির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং দ্রুত অগ্রসর হওয়া যায়। ইমেইল মার্কেটিং নিয়মিত রাখা সহজ এবং অনেক বিষয়বস্তু স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে।

ইমেইল লিস্ট তৈরি করা ~ঃ

ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েবসাইটে পপআপ ফর্ম রাখতে হবে। এজন্য ওয়ার্ডপ্রেসের লাইটবক্স পপ আপ প্লাগিং ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়েবসাইটে ইমেইল সাবস্কাইবার ফর্ম রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি মেইলচিম ব্যবহার করতে পারেন। আর আপনার যদি কোনো ওয়েবসাইট না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সোস্যাল মিডিয়ায়, বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে, ফোরাম পোস্ট করে এবং ল্যান্ডিং পেজের মাধ্যমে ইমেইল সাবমিট ফর্ম রাখতে পারেন। ল্যান্ডিং পেজের জন্য ড্রিমওভার ব্যবহার করতে পারেন।
দিন যত যাবে সময় তত বাড়বে আপনার লিস্ট তত বড় হতে থাকবে। ইমেইলগুলো দিয়ে একদিকে যেমন আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন, অন্যদিকে আবার বড় বড় মার্কেটপ্লেস ফ্রিল্যান্সার, আপওয়ার্ক, ফাইভারে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এফিলিয়েশনঃ প্রথমে ঠিক করে নিন আপনি কোন ধরনের বা কোন বিষয়ে ইমেইল প্রেরণ করবেন। ব্যবসায় নতুন পণ্য হলে সেক্ষেত্রে সেবা অথবা ব্যবসা পরিবর্তন করার বিষয়গুলো জানানো। ব্যবসার কোনো অংশ আপডেট করলে তা সঠিক সময়ে আপনার গ্রাহকে জানিয়ে দেওয়া। বিশেষ কোনো দিন উপলক্ষে প্রযোজনীয় জিনিসে অফার দিলে তা জানিয়ে দেওয়া। আপনি যদি কোনো মার্কেটারের সাথে যুক্ত হয়ে যান বা নতুন কোনো সেবা চালু করেন তা জানানো। ক্রেতা কোনো একসময় কিনতে আগ্রহী ছিল, কিন্তু কোন কারণে কিনতে পারে নি, তাদের সে বিষয়ে মনে করে দেওয়া 

ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করার সহজ উপায়।Email merketing is an easy way to best make money 123 1

আর এই ইমেইলসমূহ পাঠানোর জন্য ইমেইল প্রেরণ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ঠিক করতে হবে। ভাল প্রতিষ্ঠানগুলোর সর্ম্পকে নিচে বলা হল।
Mailchimp : ২০০০ গ্রাহক এবং ১২০০০ ইমেইল প্রেরণের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রি (মাসিক)।
Vertical Respose : ১০০০ গ্রাহক এবং ৪০০০ ইমেইল প্রেরণের জন্য ফ্রি (মাসিক)।
GetResponse : ১৫$ (মাসিক)।
ActiveCampaign : ৯$ (মাসিক)।
Benchmark Email : ৯.৯৫$ (মাসিক)।

ইমেইলে বার্তা প্রেরণের জন্য টেমপ্লট ডিজাইন করুন। টেমপ্লট তৈরি করার সময় অবশ্যই কম্পিউটার এবং মোবাইল উভয়ের জন্য তৈরি করবেন। তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা ডিজাইনের টেমপ্লট তৈরি করবেন। আপনার তৈরিকৃত ইমেইলটি প্রেরণের জন্য প্রস্তুত করুণ। প্রেরণের সময় খেয়াল রাখবেন, অটোমেটিক কতদিন পর পর ইমেইলটি প্রেরণ করলে গ্রাহক বিরক্ত হবে না, সেই বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। ইমেইল প্রেরণ করে আপনার ব্যবসার উন্নতি না হলে তা সঠিভাবে বিশ্লষেণ করবেন তাছাড়া কোন ধরনের গ্রাহকে কোন ইমেইল দিচ্ছেন তা ভালোভাবে দেখে বিশ্লষেণ করে নিবেন Marketing BD
যে বিষয়গুলো অবশ্যই মনে রাখবেনঃ নির্দিষ্ট গ্রাহকদের জন্য টার্গেট করুন, প্রতিটি প্রচারে লক্ষ্য অর্জনের উপর নজর দিন, কখনো ভূলেও স্প্যাম করবেন না, অহেতুক ইমেইল পাঠাবেন না এতে গ্রাহক অতিষ্ট হবে, সবসময় ইমেইলগুলো আকর্ষণীয় করে ডিজাইন করবেন।
মার্কেটিংয়ের জন্য আপনি যদি এই ইমেইল মার্কেটিং গ্রহণ করে থাকেন এবং ক্রমাগত আপনার কাস্টমারকে সঠিক সময় অনুযায়ী বার্তা প্রেরণ করে থাকেন, তবে ইমেইল মার্কেটিং থেকে আয় আপনার ব্যবসাকে বাড়িয়ে দিবে বহুগুন। মনে রাখবেন এটা শুধু কেবলমাত্র বার্তা প্রেরণ এবং পণ্য বিক্রি নয়, এটি গ্রাহকের সাথে আপনার প্রতিষ্ঠানের র্দীঘমেয়াদি সর্ম্পক গড়ে তুলা। তাই এটিই হতে পারে আপনাকে লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র শক্তিশালী হাতিয়ার।
ধন্যবাদ। 

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ