ব্লগ থেকে যেভাবে অর্থ আয় করবেন How to make money from blog Best 345 1

আমাদের মধ্যে অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের ও বিষয়ের ওপর লেখালেখির আগ্রহ আছে। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে লেখালেখি করে মন জুগিয়েছেন অনেক মানুষের। কিন্তু অনেকেই জানেন না, নিজের লেখার সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে স্থিতিশীল আয়ের উৎসে পরিণত করা যায়। আর সেটা হলো ব্লগ লেখা।

কয়েক বছর আগেও ব্লগিংকে শুধু শখ হিসেবে নেওয়া হতো। বর্তমানে ব্লগিংকে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অনেক লেখক বা ব্লগারের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও ব্লগিংকে পূর্ণ বা খণ্ডকালীন পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছে।

ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জনের জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি ব্লগ তৈরি করতে হবে। এরপর নিজের ব্লগকে নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে। মানি ব্লগিংয়ের (অর্থ উপার্জনের ব্লগ) জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায়, দক্ষতা ও যথাযথ পরিকল্পনা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ব্লগিং থেকে আয় করা যায়।

কার্যকরী ব্লগ ব্যবসায়ের পরিকল্পনা গ্রহণ

অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে চাকরি খোঁজা যদি আপনার অপছন্দের বিষয় হয়, কিন্তু লেখক হিসেবে আপনি অবাধে কাজ করতে চান, সেক্ষেত্রে ব্লগিং হতে পারে আপনার কাজের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ। আপনি যদি ব্লগ থেকে অর্থ আয় করতে চান, তাহলে এটিকে ব্যবসা হিসেবেই গণ্য করুন। ব্লগিংকে যদি পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চান, তাহলে নিজের আর্থিক সক্ষমতা, লক্ষ্য আর ব্যবসা পরিকল্পনার ওপর নির্ভর করে কিছু অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে কাজ শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ব্লগের পেছনে আপনার বিনিয়োগ শুরু হতে পারে মাত্র ১০ ডলার (ডোমেইনের মূল্য) থেকে। তবে এটি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মতো নয়। মানি ব্লগিংয়ের জন্য একটি কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রয়োজন হয়।

প্রথমেই আপনার ব্লগের জন্য একটি বাজেট তৈরি করুন। এর মধ্যে অবশ্যই লোগো ডিজাইন, ডোমেইন, হোস্টিং ফি, ব্লগ থিমের মূল্য, প্লাগ-ইন এবং মাসিক ইন্টারনেট ফি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে আপনার বিপণনের কৌশলগুলোর ওপর নির্ভর করে ব্লগ বাজেটে ব্র্যান্ডিং বা বিজ্ঞাপনের ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এরপর আপনি কতটা সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবেন, তা স্থির করুন। অবশেষে আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (আরওআই) গণনা করুন।

উপার্জনের জন্য যেভাবে ব্লগ তৈরি করবেন

ব্লগ তৈরি করতে অনেক বেশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আপনার যদি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকে বা একদম নাও থাকে, তবু আপনি আয়ের জন্য ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। প্রযুক্তিবান্ধব না হলেও কীভাবে অর্থ উপার্জনের জন্য ব্লগ তৈরি করা যায়, সে বিষয়ে এই নিবন্ধে আলোচনা করা হবে।

ব্লগ থেকে যেভাবে অর্থ আয় করবেন How to make money from blog Best 345 2

লেখার দক্ষতা বৃদ্ধি

দেশীয় লেখকরা অবশ্যই ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য, তবে একজন অনাবাসী লেখক হিসেবে আপনিও ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন, যদি দক্ষতার সঙ্গে নিজের লেখার মান উন্নয়ন করতে পারেন। আপনার লেখার দক্ষতা উন্নয়নের সর্বোত্তম উপায় হলো পড়া এবং লেখা। আপনি যত বেশি অনুশীলন করবেন, তত বেশি আপনার ভাষাজ্ঞান বাড়বে এবং আরো শক্তিশালী উপায়ে আপনি শব্দের মাধ্যমে নিজের চিন্তাভাবনা প্রকাশ করতে পারবেন।

এ ছাড়া, পাঠকদের জন্য তথ্যবহুল ব্লগপোস্ট লেখার ক্ষেত্রে আপনার জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। আর এজন্য অনলাইন বা অফলাইনে গবেষণা চালিয়ে আপনাকে অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বই এবং মানসম্পন্ন ব্লগপোস্টগুলো পড়তে হবে।

অনলাইন অথবা অফলাইনে অর্থ দিয়ে বা বিনামূল্যে বিভিন্ন কোর্সগুলোও গ্রহণ করতে পারেন, যেখানে প্রশিক্ষকরা সৃজনশীল লেখার কার্যকর বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন। নিজের ব্যবসায়িক ব্লগ পরিকল্পনার অধীনে যদি আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকে, তাহলে আপনি মানসম্পন্ন লেখক নিয়োগ দিতে পারেন, যারা প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার ব্লগের জন্য লিখবেন।

ব্লগ তৈরি

প্রোগ্রামিং জ্ঞান না থাকা বা টাকা খরচ না করে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আপনি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। ব্লগার ডটকম বা ওয়ার্ডপ্রেস ডটকমের মতো বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম বিনা খরচে ব্লগ তৈরি করার এই সুবর্ণ সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে হোস্টিং স্পেস, থিম বা প্লাগ-ইন সীমিত থাকায় এগুলোর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনি ওয়ার্ডপ্রেস বা দ্রুপালের মতো কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস) বেছে নিতে পারেন। জনপ্রিয় এই সিএমএস প্ল্যাটফর্মগুলো বিনামূল্যে বেশ কিছু থিম ও প্লাগ-ইন সরবরাহ করে থাকে। তাই কোনো ধরনের খরচ না করেই এই থিম ও প্লাগ-ইনগুলো আপনি নিজের ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে বিনামূল্যের এই থিম ও প্লাগ-ইনগুলোতে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকায়, নিজের লেখার বিষয়বস্তুর ওপর নির্ভর করে মানি ব্লগের জন্য টাকা দিয়ে থিম কিনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। থিমফরেস্ট ডট নেটের মতো নামি জায়গা থেকে আপনি আপনার উপযুক্ত থিম কিনতে পারবেন। এ ছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের পছন্দমতো থিম তৈরি করে নিতে আপনি ডিজাইনারও নিয়োগ করতে পারেন।

ট্রাফিকের সম্ভাব্য উৎস বের করা

ওয়েব ট্রাফিক হলো আপনার ব্লগের দর্শক বা শ্রোতা। আপনার ব্লগ তখনই অর্থ উপার্জন করবে, যখন কেউ সেখানে থাকা কোনো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে। দর্শকরাই হলো সেই সোনার খনি, যাদের আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে যাচ্ছেন। আর এই ওয়েব ট্রাফিক আপনার ব্লগের প্রাণ, অর্থাৎ উপার্জনের উৎস।

অর্থোপার্জনের জন্য আপনার ব্লগের প্রতি দর্শককে আকৃষ্ট করতে হবে। কোন উৎস থেকে আপনি পাঠকদের আপনার ব্লগের দিকে টানতে পারবেন, তা বুঝতে হবে। গুগলের মতো কোনো সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক পেলে এটিকে বলা হয় ‘অরগ্যানিক’ ট্রাফিক। এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, আপনি যদি আপনার ব্লগে দর্শক টানতে গুগল বা সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অর্থপ্রদানকারী প্রচারণা বা বিজ্ঞাপন পরিচালনা করেন, তাহলে সেটি অর্থ প্রদত্ত ট্রাফিকের আওতায় আসে।

গুগল বা ফেসবুকে প্রচারের ব্যয় সেই নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড অথবা বাক্যাংশের প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে, যার জন্য আপনি গুগল বা ফেসবুক থেকে দর্শক টানতে চান। নিজের ব্লগ ব্যবসার পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে আপনি অরগ্যানিক বা অর্থপ্রদত্ত উৎস বেছে নিতে পারেন।

গুগল এসইআরপিতে ব্লগের র‌্যাঙ্কিং

যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কি-ওয়ার্ড দিয়ে কিছু অনুসন্ধান করে, তখন অ্যালগরিদমের ওপর ভিত্তি করে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজেস (এসইআরপি) প্রাসঙ্গিক ফলাফল উপস্থাপন করে। যদি আপনার ব্লগ পোস্টটি কোনো নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ডের জন্য সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পৃষ্ঠায় অবস্থান পায়, তাহলে অরগ্যানিকভাবেই এটি অনেক দর্শক টানতে পারে। যেহেতু গুগল এখন বিশ্বের এক নম্বর সার্চ ইঞ্জিন, তাই ব্লগ পোস্টগুলোকে গুগল এসইআরপিতে দৃশ্যমান করার জন্য আপনার কাজ করতে হবে।

গুগল এসইআরপিতে র‌্যাঙ্ক পেতে আপনার ব্লগ এবং ব্লগপোস্টগুলোতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) কৌশলগুলো প্রয়োগ করতে হবে। এজন্য আপনি কোনো এসইও বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে পারেন বা নিজেই এর কাজ শিখে নিতে পারেন।

ই-মেইল তালিকা তৈরি

অরগ্যানিক এবং অর্থপ্রদত্ত পদ্ধতি ছাড়াও ব্লগে পাঠক আনার জন্য আরো কিছু উৎস রয়েছে। যেমন—আপনি আপনার ব্লগে ই-মেইলের মাধ্যমে দর্শকদের সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ জানাতে পারেন। সফলভাবে একটি ই-মেইল তালিকা তৈরির পর আপনি আপনার ব্লগের সর্বশেষ পোস্ট, পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের ই-মেইল পাঠাতে পারেন। এজন্য শিখে নিতে পারেন ই-মেইলের মাধ্যমে বিপণন কৌশল। এ ছাড়া ইমেইল বিপণনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফ্রি অথবা অর্থপ্রদত্ত সফটওয়্যারও।

যেভাবে ব্লগ থেকে টাকা আয় করবেন

মান বজায় রেখে পর্যাপ্ত বিষয়বস্তুসহ ব্লগ প্রস্তুত হয়ে গেলে আপনি মানি ব্লগিংয়ের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন। ব্লগ থেকে অর্থ আয়ের বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।

বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক

ব্লগ থেকে অর্থোপার্জনের সর্বাধিক জনপ্রিয় উপায় হলো বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলো প্রয়োগ করা। এর জন্য প্রথমেই একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কে আপনার ব্লগ জমা দিতে হবে। যদি আপনার ব্লগ অনুমোদন পায়, তাহলে আপনাকে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করে বিজ্ঞাপন কোডটি সংযুক্ত করতে হবে। ব্লগের মধ্যে সফলভাবে কোড সংযুক্ত করা হলে কন্টেন্টের বিষয়বস্তু, ব্যবহারকারীর আগ্রহ বা বিভিন্ন অফারের প্রাপ্যতার ওপর নির্ভর করে সয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার ব্লগপোস্টে বিজ্ঞাপন চলে আসবে।

বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কগুলো বিভিন্ন উপায়ে টাকা প্রদান করে থাকে। যেমন—পে পার ক্লিক (পিপিসি), কস্ট পার ক্লিক (সিপিসি) এবং পে পার ভিউ (পিপিভি)। গুগলের অ্যাডসেন্স এখন বৃহত্তম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক। তবে আপনি যদি নতুন ব্লগার হয়ে থাকেন, তাহলে কমিশন জংশন, মনুমেট্রিক, ইনফোলিংকস, মিডিয়া ডটনেট, মিডিয়াভাইন, অ্যাডথ্রিভ, প্রোপেলার বা রেভেনিউ হিটসের মতো অ্যাড নেটওয়ার্কও ব্যবহার করতে পারেন।

শাখা বিপণন

শাখা বিপণন বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিপুল অর্থোপার্জন মানি ব্লগারদের মধ্যে ক্রমাগত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আপনি একটি নির্দিষ্ট পণ্য নিয়ে পর্যালোচনামূলক লেখা লিখতে পারেন এবং সেই লেখার মধ্যে ওই পণ্যটি বিক্রির লিংক সংযুক্ত করে দিতে পারেন। দর্শকরা আপনার লেখাটি পড়ার সময় সেখানে সংযুক্ত করা লিংকের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পণ্যটি ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ হতে পারে। বর্তমানে অ্যামাজন, ইবে বা ওয়ালমার্টের মতো বিখ্যাত অনেক ই-কমার্স ওয়েবসাইট শাখা বিজ্ঞাপন প্রদান করে থাকে। এজন্য আপনাকে আপনার ব্লগ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হবে।

নিজ ব্যবসায়ের কনটেন্ট বিপণন

বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ বড় প্রতিষ্ঠানগুলোই তাদের গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার জন্য ব্লগ পরিচালনা করে থাকে। আপনি যদি স্থানীয় কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হন, তবে সেই ব্যবসা অনুযায়ী আপনি ব্লগ পরিচালনা করতে পারেন। পাঠকদের সহায়তার জন্য আপনি ব্লগ লিখতে পারেন। কর্তৃত্ব অর্জন করতে পারলে গ্রাহকরা আপনাকে বিশ্বাস করবে। এরপর আপনি আপনার দর্শকদের কাছে নিজের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আর নিজের ব্লগ ব্যবহার করেই আপনি অনলাইনে আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারেন বা গ্রাহকদের কাছে আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের অবস্থান প্রচার করতে পারেন।

অর্থ প্রদত্ত পর্যালোচনা লেখা

আপনার ব্লগটি যদি প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ মানুষ দেখে থাকে, তাহলে আপনি অর্থ প্রদত্ত পর্যালোচনামূলক লেখা বা স্পন্সরড রিভিউ করতে পারেন। এ ধরনের লেখার জন্য লেখককে অবশ্যই দক্ষ এবং এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।

তবে স্পন্সরড রিভিউয়ের ক্ষেত্রে লেখককে অবশ্যই পাঠকের আগ্রহ সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তা না হলে গ্রাহকরা আপনার ব্লগের প্রতি আগ্রহ হারাতে পারেন। টমোসন, ফেমবিট, রেভকনটেন্ট বা আইজিয়া পে পার কস্টসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান স্পন্সরড রিভিউয়ের সুযোগ দিয়ে থাকে।

পরিষেবা বিক্রয়

আপনার কি গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং বা ফটোগ্রাফির মতো নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর দক্ষতা আছে? তাহলে নিজের মানি ব্লগের মাধ্যমে আপনি এই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারেন। গুগল এসইআরপির মতো অরগ্যানিক উৎস থেকে আপনি গ্রাহকের সন্ধান করতে পারেন।

বিজ্ঞাপনের জায়গা বিক্রয়

আপনার ব্লগ যদি প্রতি মাসে পর্যাপ্ত পাঠক এবং পেজ ভিউ পায়, তাহলে আপনি সরাসরি বিজ্ঞাপনদাতাদের সঙ্গে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য আপনার ব্লগের জায়গা বিক্রির উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে পারেন। বিজ্ঞাপনদাতাদের আকৃষ্ট করতে আপনার ব্লগের নকশাটি ব্যবহারবান্ধব হতে হবে, যাতে ব্যবহারকারীরা সহজেই সেখানে সবকিছু দেখতে পারেন।

সবশেষ কথা

ব্লগিং অনেকের কাছেই আবেগের বিষয়। আবার অনেকের কাছে শখ। আর আপনি যদি আপনার ব্লগিংয়ের শখকে পেশায় পরিণত করতে চান, তবে মানি ব্লগিং শুরু করতে পারেন। এটি বহুমুখী একটি কাজ। ব্লগের মালিক হিসেবে আপনাকে একই সঙ্গে সিইও, পরিচালক, কর্মী এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি ভূমিকা পালন করতে হবে। ব্লগ থেকে স্থিতিশীল আয়ের জন্য আপনাকে ওপরে উল্লেখিত সব প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। সামগ্রিকভাবে আপনার ব্লগকে দীর্ঘমেয়াদি আয়ের উৎস হিসেবে গড়ে তুলতে হলে এর বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের মান বাড়িয়ে তুলুন এবং আপনার মূল্যবান পাঠকদের জন্য ব্লগটিকে একটি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করুন।

সর্বাধিক পঠিত

  1. ৪০০ বছর পর আজ মহাকাশে এত কাছাকাছি শনি-বৃহস্পতি
  2. ভ্যাকসিনের ভুল তথ্যে লাইক দিলেও সতর্ক করবে ফেসবুক

ফ্যামিলি ক্রাইসিস, পর্ব ১৬৩

আমাদের আনন্দ বাড়ি, পর্ব ৬০

কোরআন অন্বেষা, পর্ব ৮০

এক্সপার্ট টুডে’স কিচেন, পর্ব ৭৯

স্বাস্থ্য প্রতিদিন – পর্ব ৩৯৭৯

গানের বাজার, পর্ব ১৯

দরসে হাদিস, পর্ব ৪৭৯

ভালোবাসার চতুস্কোন, পর্ব ১২২

ডাক্তার আছেন আপনার পাশে, পর্ব ৭৫

সংগীতানুষ্ঠান: মিউজিক এন রিদম,পর্ব ২২২

By ইনকাম নিউজ

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। নিজে আয় করার পাশাপাশি নতুনদের সহযোগীতা করতে ভালবাসি।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ