কিভাবে Apple App Store থেকে আয়

Internet থেকে আয় করা এখন আর নতুন কিছু নয়।অনেকেই তাদের মেধা কে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে ভালো পরিমান এর অর্থ আয় করছে।এর মধ্য কিছু পদ্ধতি আছে অনেক কঠিন আবার কিছু পদ্ধতি আছে অনেক সহজ।ঠিক তেমনি Apple অ্যাপ স্টোর থেকেও রয়েছে আয় করার সুযোগ।আপনি জানলে অবাক হবেন গুগল প্লে ষ্টোর এর চাইতে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরে বেশী অ্যাপ বিক্রি হয়ে থাকে।গত বছর বিক্রি হওয়া ৪৩২ মিলিয়ন মোবাইল ফোনের ভেতর ৭৭ মিলিয়ন ফোন ব্যাবহার করা হয়েছে অ্যাপলের আইওএস এবং বাঁকি মোবাইল ফোন ব্যাবহার করা হয়েছে গুগল প্লে।

কিভাবে Apple App Store থেকে আয়

অবাক করার মত তথ্য হল অ্যান্ড্রোয়েড বেবহারকারি থাকা সত্তেও অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ ডেভেলপারদের মধ্য থেকে শুধু মাত্র ১৬% ডেভেলপার প্রতি মাসে ৫০০০ ডলার আয় করতে পেরেছে।অপরদিকে Apple ডেভেলপারদের মধ্য থেকে ২৫% ডেভেলপার প্রতি মাসে ৫০০০ ডলার আয় করতে সক্ষম হয়েছে।

উপরের তথ্য থেকে হয়ত বুঝে গেছেন যে, অ্যান্ড্রোয়েড এর থেকে Apple বেবহারকারি কম হলেও তারা অ্যান্ড্রোয়েড ব্যাবহারকারীদের চাইতে বেশী পরিমান অ্যাপ কিনে থাকে।অ্যাপ বিক্রি করার খুব ভালো মাধ্যম বলা যেতে পারে অ্যাপলের অ্যাপ ষ্টোর কে।এখন কথা হল কিভাবে আমরা অ্যাপলের অ্যাপ ষ্টোরে অ্যাপ বিক্রি করে আয় করতে পারি?হ্যাঁ আপনি সঠিক প্রশ্নই করেছেন।আপনার এই প্রশ্নের উত্তরই থাকছে আমাদের আজকের এই পোস্টের বাঁকি অংশে।এই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারনা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ে শেষ করতে হবে।

নিম্নোক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি অ্যাপলের অ্যাপ ষ্টোর থেকে আয় করতে পারেনঃ
অ্যাপ ষ্টোরে অ্যাপ বিক্রি করে আয়ঃ অ্যাপ তৈরি করে আপনি অ্যাপ ষ্টোরে বিক্রি করতে পারবেন।আপনার অ্যাপ থেকে অর্জিত আয়ের ৩০% অ্যাপল নিবে এবং বাঁকি ৭০% আপনাকে দিবে।আপনার কাজ হবে শুধু মানুষের চাহিদা মাফিক অ্যাপ তৈরি করে Apple অ্যাপ ষ্টোরে তা পাবলিশ করা।

এখন আপনি হয়ত এমন কোন অ্যাপ তৈরি করলেন যে টা সম্পর্কে মানুষের কোন চাহিদা নেই।অ্যাপ বিক্রি করে আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে জনপ্রিয় ক্যাটেগরির অ্যাপ তৈরি করতে হবে।বর্তমানে জন প্রিয় কিছু ক্যাটেগরি হলঃ মিউজিক,ভিডিও স্ট্রিমিং এবং গেম।অ্যাপ বিক্রি হলে সেই টাকা আপনি অ্যাপ বিক্রি এর ৪৫ দিন পর পাবেন এই জন্য অবশ্যই আপনাকে আপনার ব্যাংক এবং ট্যাক্স ইনফর্মেশন সরবরাহ করতে হবে।বলে রাখা ভালো পেমেন্ট পাওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ (টাকা) আয় করতে হবে।


সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করে আয়ঃ যেকোনো অ্যাপে কিছু সুবিধার সহ্য সাবস্ক্রিপশন বিক্রি করে আয় করা যেতে পারে।যেমনঃ নেটফ্লিক্সে আমরা মুভি/মিউজিক এর জন্য মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ পরিশোধ করে থাকি।আপনি আপনার অ্যাপ এর জন্য প্রথম মাস ফ্রী ট্রায়াল রাখতে পারেন অর্থাৎ, গ্রাহক প্রথম মাস ফ্রী তে আপনার অ্যাপ ব্যাবহার করবে এবং পরের মাস থেকে সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে ব্যাবহার করবে।মনে রাখতে হবে এই পদ্ধতির জন্য আপনাকে এমন কোন অ্যাপ তৈরি করতে হবে যেন আপনার ব্যাবহারকারীরা সাবস্ক্রিপশন কিনতে আগ্রহবোধ করে।


বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয়ঃ বিজ্ঞাপন নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নাই।শুধু মাত্র এই বিজ্ঞাপনের কারনে ইন্টারনেটে অনেক কিছু ই আমি/আপনি ফ্রী তে ব্যাবহার করার সুযোগ পাচ্ছি।যেমন ধরুন আপনি এখন এই আর্টিকেল (লেখা) পড়ছেন শুধু মাত্র বিজ্ঞাপনের কারনে।একই ভাবে আপনি অ্যাপ ষ্টোরের অ্যাপেও বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারবেন।


স্পন্সর এর মাধ্যমে আয়ঃ আপনার তৈরি করা অ্যাপ যদি খুবই পপুলার হয় তাহলে আপনি স্পন্সর এর মাধ্যমে আপনার তৈরি করা অ্যাপ থেকে আয় করতে পারবেন।যদিও স্পন্সর খুঁজে পাওয়া কঠিন কাজ তবে অসম্ভব কিছু না।আপনি কোন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সর পেলে তাদের বিজ্ঞাপন আপনার অ্যাপে প্রচার করে ভালো পরিমান অর্থ (টাকা) আয় করতে পারবেন।


এই ছিল Apple অ্যাপ ষ্টোর থেকে আয় করার কিছু কার্যকারী পদ্ধতি।উপরের পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই Apple অ্যাপ ষ্টোর থেকে অর্থ আয় করতে পারবেন।এবং একই পদ্ধতি ব্যাবহার করে আপনি অ্যান্ড্রোয়েড অ্যাপ ষ্টোর (গুগল প্লে) থেকেও অর্থ (টাকা) আয় করতে পারবেন।এখন আপনার কাজ হল এমন কোন অ্যাপ তৈরি করা যা খুব সহজেই মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ