Fiverr থেকে আয় করার A-Z Guideline

অনলাইনে আয় করতে চান এমন মানুষ মাত্রই ফাইভার ( Fiverr ) নামটি শুনে থাকবেন। জনপ্রিয় ৫টি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর একটি ফাইভার ( Fiverr )। সহজে কাজ পাওয়ার জন্য ফাইভার ( Fiverr ) এর জনপ্রিয়তা দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। ফাইভার ( Fiverr ) এ আপনি সব ধরণের কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশীরা একাউন্ট করার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও গিগ প্রকাশ করতে পারে না। কিন্তু এখানে গিগ প্রকাশ করলে ২৪ ঘন্টার মাঝেই প্রথম অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবণা ৯০%।

Fiverr থেকে আয় করার A-Z Guideline

ফাইভার ( Fiverr ) এ ৫ ডলার মূল্যের ছোট কাজ থেকে শুরু করে ১০০০ ডলার এর বড় কাজ পেতে পারেন। নতুন করে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য যারা চিন্তা করেছেন, তারা কাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ভুল তথ্য পেয়ে ভয় পেয়ে যান। সাহস না পাওয়ার জন্য ৯০ শতাংশ নতুন ফ্রিল্যান্সার গিগ প্রকাশ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।

আজ আপনার জন্য পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন নিয়ে হাজির হয়েছি, আর্টিকেলটিতে ফাইবারে কাজ করার সব তথ্য, উপায় এবং সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন আশা করি।

ফাইভার ( Fiverr ) কি?
ফাইভার হলো কেনা-বেচা করার একটি মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি ( সেলার ) একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন আর একজন (বায়ার) সেটি আপনার কাছ থেকে কিনবে । যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে থাকবেন।

ধরুন আপনি একজন লেখক, আপনি একটি গিগ প্রকাশ করলেন যে আপনি 5 ডলারের বিনিময়ে যেকোন সাইটের লিঙ্ক ৫টি সাইটে প্রকাশ করবেন ( এটিকে ব্যাকলিঙ্ক বলে )। এরপর যদি কোন বায়ার তার সাইটের জন্য Backlink চায় তাহলে সে 5 ডলারের বিনিময়ে আপনাকে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারে। ক্রেতা-বিত্রেতার মাঝে যোগাযোগের মাধ্যমটিই হলো ফাইভার ( Fiverr )।

আরো সহজ করে যদি বলি, আমাদের দেশে বিক্রয়.কম যে কাজটি করে, ঠিক সেই কাজটিই ফাইভার সারা পৃথিবীতে করছে। একটিই পার্থ্ক্য, বিক্রয়.কম ফিজিক্যাল জিনিস ক্রয়-বিক্রয়ের প্লাটফর্ম, অন্যদিকে ফাইভারে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।

(Fiverr) ফাইভারে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়
ফাইভারে আপনি একটি ফেসবুক কভার পেজ কিংবা কোন ইভেন্ট ব্যানার পেজ বানিয়েও আয় করতে পারবেন । ছোট ছোট কাজ যেগুলো আপনি শখের জন্য করে থাকেন, এমন কাজ করেও ফাইভার থেকে আয় করা সম্ভব।

এমনকি ছবি ইডিট করে, কিংবা ছবি তুলেও আপনি আয় করতে পারেন। এছাড়া দেখে দেখে লিখে অর্থাৎ রি-রাইট করেও আয় করা যায় ( অনেকের পিডিএফ ফাইলকে ওয়ার্ড এ নেওয়ার দরকার হয় )। এমন হাজারো সহজ কাজ আপনার জন্য অপেক্ষা করছে ফাইভারে।

ফাইভারে কাজের ক্যাটাগরি;
Graphics & Design
Digital Marketing
Writing & Translation
Video & Animation
Music & Audio
Programming & Tech
Business
Lifestyle
প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে আবার ১০০+ সাব-ক্যাটাগরি রয়েছে। আপনার দক্ষতা রয়েছে, এমন কাজ অবশ্যই আপনি ফাইভারে পেয়ে যাবেন।

ফাইভার (Fiverr) একাউন্ট খোলার নিয়ম :
এখানে ক্লিক করে ফাইভার সাইটে যান । টপবারে লেখা Become a Seller এ ক্লিক করুন।

Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়, ফাইবার গিগ মার্কেটিং, ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম, ওয়েব ডিজাইন মার্কেটপ্লেস, Fiverr সম্পর্কে বিস্তারিত, Fiverr bangladesh, Fiverr sign up, Fiverr এ কাজ, ফাইভার থেকে আয়, ফাইবার টিপস, Fiverr description, ফাইবার মার্কেটপ্লেস, ফাইবার গিগ কি, ফাইবার কি
ফাইভার সাইন আপ
ক্লিক করার পর নিচের ছবির মতো একটি পপ-আপ উইন্ডো আসবে। আপনি আপনার জি-মেইল অথবা ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে একাউন্ট খুলতে পারবেন। যদি না চান তবে, আপনার ই-মেইল আইডিটি লিখুন।

  • যদি ম্যান্যুয়ালি করে থাকেন, তবে নাম এবং অন্যান্য তথ্য দিয়ে প্রাথমিক একাউন্ট তৈরি সম্পন্ন করুন।
  • এরপর Become Seller এ ক্লিক করে পুনরায় একাউন্টে গিয়ে প্রোফাইল আপডেট করুন। যতবেশি সম্ভব তথ্য দিন।
  • একাউন্ট আপডেট করার পর নিচের সবুজ বাটন (Continue and create your first gig) দেখতে পাবেন, যেখানে প্রথম গিগ প্রকাশ করার জন্য আপনি অনুমতি পাবেন।

ফাইবার গিগ (Fiverr Gig) কি ;
প্রাক্টিক্যালি যদি আপনি দেখে নেন, তবে অনেক বেশি ভালো বুঝবেন । দেখার পর যদি আর একটু পড়েন তাহলে বোঝার মধ্যে কোন গ্যাপ থাকবে না আশা করি ।

ফাইভার গিগ দেখে আসুন

আরও একটি দেখুন

কি বুঝলেন ?

হ্যা, আপনার কাজের সংক্ষিপ্ত পরিচিতিই হলো ফাইভার গিগ। আপনি কি ধরণের কাজ করেন তা একনজরে বুঝানোকে ফাইভার গিগ বলে।
কিভাবে ফাইভার গিগ প্রকাশ করবেন?
Continue and create your first gig এ ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো একটি পেজ চলে আসবে । Online Income Site


ফাইবার গিগ পাবলিশিং
I will টা কাটতে পারবেন না। আপনি যদি প্রুফরিডিং করতে চান, তাহলে লিখবেন professionally proofread and edit your document or article. বাকি তথ্যগুলো শুধু সিলেক্ট করে দিবেন। এরপর আপনার সেবার বিভিন্ন তথ্য দিবেন। এখানে ৩ ক্যাটাগরি পাবেন।

ব্যাসিক
স্ট্যান্ডার্ড এবং
প্রিমিয়াম
আমরা বাজারে চাল কিনতে গেলে যেমন বিভিন্ন রকম চাল পাই এবং এজন্য দামও কম বেশি হয়, ঠিক একই বিষয় এই তিন ক্যাটাগরি।

ব্যাসিক এ আপনি কম মূল্য রাখবেন এবং এজন্য কিছু সেবার পরিমাণ কম রাখবেন । যেমন আমি আর্টিকেলটি প্রুফরিড করার পর রিভিউ দিব না।

স্ট্যান্ডার্ড এ আপনি রাখতে পারেন, আপনি রিভিউ দিবেন, কিন্তু একবার। এখানে মূল্য কিছুটা বেশি রাখবেন।

প্রিমিয়াম এ আপনি ৩ বার রিভিউ রাখার চেষ্টা করবেন। সেই সাথে একটা ফিডব্যাক দিবেন, যে আপনার আর্টিকেলে অন্য কোন ত্রুটি আছে কি না। অথবা আপনার আর্টিকেলটি মানুষের কাছে কিবাবে মূল্যায়িত হকে পারে ( রিভিউ )। প্রাইস সবচেয়ে বেশি রাখতে হবে।

Description & FAQ :
Description এ আপনি কি ধরনের সার্ভিস দিবেন তার সংক্ষেপে বর্ণনা দিন।

FAQ ( Frequently Ask Question ) যোগ করতে চিইলে যোগ করতে পারেন। এটা আপনাকে আরো বেশি প্রফেশনাল র‌্যাঙ্ক দিবে।

Requirements: কাজটি করতে আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন, যেমন প্রুফরিডিং এর জন্য খসড়া ফাইল দরকার, যেটি আপনার ঠিক করতে হবে ।

গ্যালারি: আপনার গিগ এর প্রোফাইল এবং কবার যাই বলুন, সেজন্য একটি ছবি এখানে দিতে হবে । ভাল হয়, যদি আপনি একটি সুন্দর এবং গিগ রিলেটেড ছবি দিতে পারেন।

ফাইভার গিগ পাবলিশ
আপনার Fiverr Gig টি এখন পাবলিশ করার জন্য রেডি । পাবলিশ বাটনে চাপ দিলেই আপনার ফাইভার গিগ টি বায়ারদের জন্য উম্মুক্ত হয়ে যাবে।


ফাইভার গিগ পাবলিশড
ফাইভার( Fiverr ) ইংলিশ টেস্ট:
আমি জানি, আপনারা অনেকেই লাফ দিয়ে একাউন্ট করা শুরু করেছেন, কিন্তু অনেকে এখানে আটকে যাবেন। কেননা, কিছু গিগ এর জন্য আপনার ইংরেজির টেস্ট দিতে হবে। তবে ফাইভারে ইংরেজি টেস্ট একবার পাশ করলে আর আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে না।

ইংরেজি টেস্ট শুরু করার আগে জেনে নিন, আপনি ৩ মাসে মাত্র একবারই ইংরেজি টেস্ট দিতে পারবেন। যদি আপনি ইংরেজি টেস্ট এ ব্যর্থ হন, তবে আপনার গিগটি প্রকাশ করা হবে না। ৩ মাস পর আপনাকে তারা আবার সুযোগ দিবে পরীক্ষা দেওয়ার। এই ৩ মাসে আপনি আর ফাইবারে কাজের সুযোগ পাবেন না।

ইংরেজি পরীক্ষার জন্য আমাদের দেশের ৫০ শতাংশ ফাইভার একউন্টধারীর কোন গিগ পাবলিশ হয় না।

ভয় নেই, আপনার মেধা শুধুমাত্র আপনার ইংরেজি দক্ষতা দিয়ে প্রমাণিত হয় না। তবে আপনাকে টেস্টটা পাশ করতে হবেই। এজন্য আপনি Pratiborton থেকে হেল্প পেতে পারেন।

অর্ডার পাবেন কিভাবে?
গিগ এর অ্যালগরিদম বৈশিষ্ট্য হলো একটি গিগ যতো বেশি ভিউ হবে, ততো বেশি বায়ারদের দেখাবে। তাই আপনার গিগটি পাবলিশ করার পর বিভিন্ন সোস্যাল সাইটে প্রচার করুন। আপনার বন্ধুদের একবার করে ভিজিট করতে বলুন গিগটি।

আপনি যদি ঠিকভাবে গিগটি পাবলিশ করে থাকেন, এবং একদিনে ১০০টি ভিউ আনতে পারেন, তাহলে আশা করা যায় ২৪ ঘন্টার মাঝেই আপনি আপনার প্রথম অর্ডার পেয়ে যাবেন।

(Fiverr) ফাইভার থেকে আয়
আপনারা অনেকেই হয়তো বিভিন্ন গেম খেলে, বিজ্ঞাপন দেখে টাকা আয় করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কত টাকা পান বলুন তো? কিন্তু ফাইভার (Fiverr) এ আপনি এর চেয়ে অনেক কম সময় দিয়েও শুরুতেও প্রতিদিন ১০০০ টাকা পেতে পারেন। আপনি ৪-৫ টা কাজ করার পরই আপনার কাজের পরিমাণ বাড়তে থাকবে। তাছাড়া অনেক বায়ারই আপনার নিকট থেকে এক্সট্রা কাজ করিয়ে নিবে, যার কারণে এক্সট্রা ফিও পাবেন।

ফাইভার (Fiverr) একটি বিশ্বস্ত সাইট। এখানে কাজ করে আপনাকে পেমেন্ট নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । তাই দেরি না করে এখনি একটা ফাইভার (Fiverr) একাউন্ট করে ফাইভার গিগ পাবলিশ করুন। ঘরে বসে টাকা আয় করুন, নিশ্চিন্তে থাকুন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ