VPN কি? ভিপিএন কীভাবে কাজ করে [বিস্তারিত এখানে]

ভিপিএন, এর পূর্ণনাম ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক: যখনই কথা বলা হয় অনলাইন সিকিউরিটির আর প্রাইভেসি নিয়ে, ভিপিএন এর কথা সবার আগেই সামনে চলে আসে। পেছনের কয়েক বছর আপনি যদি কোনদিন ভয় পাস না করে থাকেন তাহলে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, আপনার পছন্দের ইউটিউবারদের ভিডিওতে, নানান জায়গায় নানানভাবে ভিপিএন এর Eshoaykori.com বিজ্ঞাপন দিন vTaka টাকার মাধ্যমে!বিজ্ঞাপন দেখে থাকবেন।

যত দিন যাচ্ছে, ভিপিএন কোম্পানিগুলো পানির মত টাকা ওড়াচ্ছে বিজ্ঞাপন এর পেছনে আর আমি আপনি চোখ বন্ধ করে ভিপিএন সার্ভিস গ্রহণ করছি। তবে একটু দাঁড়ান,আমি শুরুতেই বলে নিচ্ছি এই আর্টিকেল এ কোন ভিপিএন কোম্পানি বা সম্পূর্ণরূপে সার্ভিস এর বিপক্ষে কিছু লিখতে বসিনি। ভিপিএন সত্যিই প্রয়োজনীয় জিনিস, তবে ২০২০ সালে এসে এটা কতটা মূল্য রাখে এই ব্যাপারে আলোচনা করব। তো চলুন, ভিপিএন সম্পর্কে কিছু চরম সত্যতা গুলো জেনে নেওয়া যাক-

ভিপিএন মিলিটারি সিকিউরিটি

ভিপিএন তাদের বিজ্ঞাপনে প্রায়  এটা মেনশন করে থাকে যে, তারা মিলিটারী-গ্রেড সিকিউরিটি প্রোভাইড করে। আপনার সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ট্রাফিক  এনক্রিপটেডকরিয়ে এক গোপন ট্যানেলের মধ্য দিয়ে সার্ভারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।এতে মাঝখানে হ্যাকার বা আপনার আইএসপি স্বয়ং চেষ্টা করলেও আপনার ইন্টারনেট প্যাকেজ গুলো ডিকোড করতে পারবে না।ভিপিএন সত্যিই এই কাজ করে ডাটা এনক্রিপটেড করিয়ে সিক্রেট ট্যানেলের মধ্য দিয়ে ট্রান্সমিট করে, কিন্তু ব্যাপারটা এসপেশাল আর কোনো ব্যাপার নেই।কেননা আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন গুগোল ইউটিউব জিমেইল সহ প্রায় যে কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই ব্রাউজারের এড্রেসবারে কেনা একটি সবুজ তালিকা চিহ্ন উঠে থাকে। এর মানে এই ওয়েবসাইটটি এইচটিটিপিএস প্রটোকল ব্যবহার করে কাজ করেছে। যেসব ওয়েবসাইটে এখনও এইচটিটিপিএস প্রটোকলে পড়ে রয়েছে আপনার ব্রাউজারের এড্রেসবার থেকে সহজে দেখতে পারবেন সেগুলোর পাশে ‘নো সোর্স’ লেখা থাকে আপনি সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে এড়িয়ে চললে কাজ শেষ।

ভিপিএন আইএসপির নজরদারি থেকে নজরদারি থেকে বাঁচায়

যেহেতু আপনার প্রত্যেকটি ইন্টার্নেট ট্রাফিক আইএসপি ই সার্ভারের লিখে সেন্ড করে, সুতরাং আপনার সম্পূর্ণ ইন্টারনেট অ্যাক্টিভিটির উপরে সহজেই নজর রাখতে পারে এবং আপনার উপরে প্রোফাইল তৈরী করতে পারে। পরে আইএসপিআপনার প্রাইভেট টাকা গুলো কি কি উপকার কোন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিতে পারে । আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে আপনার আইএসপি নিজেই জানবে না আপনি কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করেছেন বা কোন ভিডিও স্ট্রিমিং করেছেন।

ভিপিএন  ব্লক সাইট গুলো আনব্লক করতে সাহায্য করে

এটা একটি ভ্যালিড কারণ হতে পারে ভিপিএন ব্যবহার করার। ইদানিং আমাদের দেশে কারণে অকারণে অনেক ওয়েবসাইট এবং অনলাইন সার্ভিস সরকার থেকে ব্লক করা হচ্ছে। রেডিট, ব্লগার ডট কম, গুগল ক্লাউড, ডোমেইন, মিডিয়াম এর মত ব্লগ গুলো  অকারণে বন্ধ করেছে সরকার। তো এগুলোকে ব্যবহার করার জন্য ভিপিএন ব্যবহার করা যেতে পারে।

অথবা এমন কোন অনলাইন সার্ভিস যেটা আপনার দেশে নেই, সেটা আনব্লক করার জন্য ভিপিএন ভালো সলিউশন। তবে এক্ষেত্রে ভিপিএন কিন্তু একমাত্র সলিউশন নয়। আপনি প্রক্সি, টর, ওয়েব প্রক্সি ব্যবহার করেও এই কাজগুলো চালিয়ে নিতে পারেন, যদি ভিপিএন এর প্রাইস আপনার কাছে অনেক বেশি মনে হয় আর সেখানে যদি প্রাইভেট কোন কাজ জড়িত না থাকে।eshoaykori.com

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ