Coding না জেনেও সহজে Mobile App বানিয়ে বহু টাকা Income করতে পারবেন, জানুন কিভাবে

আমাদের আজকের আয়োজনে আমরা আলোচনা করব কিভাবে বিনামূল্যে একটি Mobile অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়। যার মাধ্যমে আপনিও একটি এপ্লিকেশন তৈরী করে আয় করতে পারেন অর্থ। 

Coding না জেনেও সহজে Mobile App বানিয়ে বহু টাকা Income করতে পারবেন, জানুন কিভাবে

যারা স্মার্টফোন সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানেন তারা জানেন যে স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তার মূলে রয়েছে অ্যাপলিকেশন বা অ্যাপস। অনেকের মধ্যে ধারণা রয়েছে যে অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ জটিল প্রক্রিয়। এসব অ্যাপস তৈরি করে অনেকেই হয়ে গেছেন কোটিপতি। 

অ্যাপ্লিকশন কি?

অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশন হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা আমরা Mobile ফোনে ডাউনলোড করে রাখি। মূলত এ ধরনের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আমরা কোন একটি ওয়েবসাইটে বারবার না গিয়ে তার সেবাটি খুব সহজেই পেতে পারি। আমরা সবাই কমবেশি অ্যাপস বা৷ অ্যাপ্লিকেশন এর সাথে পরিচিত। কারণ Mobile ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে হামেশাই আমাদের অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্য নিতে হয়। বলতে গেলে অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া স্মার্টফোনের কথা চিন্তাই করা যায় না। অ্যাপস বা অ্যাপ্লিকেশন মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে।


বিশ্বব্যাপী সকল অ্যাপস ডেভেলপারগণ এই তিন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে অর্থ আয় করে থাকে। এই তিন ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলো হচ্ছে পেইড অ্যাপ্লিকেশন, ইন অ্যাপস পারচেজ, ও ফ্রী অ্যাপ্লিকেশন। এখানে আমরা জানবো কিভাবে আপনি একটি এপ্লিকেশন তৈরী করতে thunkable ব্যবহার করতে পারেন। মূলত thunkable ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই নিজস্ব একটি এপ্লিকেশন তৈরি করে নিতে পারেন। সেটি হতে পারে পেইড অ্যাপস অথবা ইন অ্যাপস পারচেজ বা ফ্রী অ্যাপ্লিকেশন। 

অ্যাপলিকেশন তৈরী করে কতটা আয় করা যায়?

যদি আপনি তৈরি করতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তবে প্রথমেই আপনার জানা প্রয়োজন যে আপনি কেন একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে চাচ্ছেন। অর্থাৎ একটি এপ্লিকেশন তৈরি করলে আপনি কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন। মূলত কোন একটি কাজ শুরু করার পূর্বে জানা প্রয়োজন যে ঐ কাজটি দ্বারা আমার কি লাভ হবে। তাই অ্যাপ্লিকেশন কিভাবে তৈরি করতে হয় তা জানার পূর্বে আমরা জানবো একটি এপ্লিকেশন তৈরি করলে আপনার কি ধরনের সুবিধা পাবেন।

পূর্বেই বলেছি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে মানুষ কোটি কোটি টাকা রোজগার করছে। অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশন একদিকে যেমন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সুখকর বার্তা নিয়ে এসেছে তেমনি এটি তৈরিকারী ব্যক্তির জন্য হতে পারে আয়ের পথ। পেইড অ্যাপস বা ইন  অ্যাপস পারচেজ দু!ধরনের অ্যাপ্লিকেশন থেকে আপনি আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আয়ও এর প্রক্রিয়া হচ্ছে ব্যবহারকারী যখন আপনার অ্যাপসটি ক্রয় করবে বা এর সুবিধা উপলব্ধির জন্য টাকা প্রদান করবে সেখান থেকে আপনি আয় করবেন।

অপরদিকে ফ্রী অ্যাপস থেকে আয় করার একমাত্র রাস্তা হচ্ছে বিজ্ঞাপন দেওয়া। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে যে যেকোনো এক ধরনের অ্যাপস যদি আপনি নির্মাণ করতে পারেন তাহলে সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন মোটা অংকের অর্থ।  আমরা thunkable দিয়ে বিনামূল্যে বানিয়ে ফেলতে পারি অ্যাপ্লিকেশন। এখানে বিস্তারিতভাবে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।. 

কিভাবে তৈরী করবেন অ্যাপস?

আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে আমি তো কোন কোডিং জানিনা বা তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে তেমন কোনো জ্ঞান নেই আমি কিভাবে তৈরি করব একটি এপ্লিকেশন তাইনা। কিন্তু বিষয়টি খুব সাধারন। আপনি অতি সহজেই thunkable ব্যবহার করে তৈরি করতে পারবেন নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশন। এবং তা হবে বিনামূল্যে। বিস্ময় বোধ করছেন তাই না। বস্তুত thunkable দিচ্ছে সেই প্লাটফর্ম যেখানে আপনি কোন প্রকার অর্থ ব্যয় না করে এবং কোন প্রকার কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার পরও তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের অ্যাপ্লিকেশন। 

ধাপ-১ঃ

প্রথম ধাপে thaunkable এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।. 

ধাপ-২ঃ

Website প্রবেশ করার পড়ে আপনি কি ধরনের অ্যাপস তৈরি করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের অপশন দেওয়া থাকবে। ধরে নিন আপনি কোন ব্লগিং অ্যাপস তৈরি করবেন। এক্ষেত্রে আপনি এইধরনের অ্যাপস তৈরির অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এ পর্যায়ে আপনার সাথে ব্লগিং অ্যাপস তৈরি করার ইন্টারফেসটি খুলবে। 

ধাপ-৩ঃ

এই ধাপটি হচ্ছে ডিজাইনিং অংশ। অর্থাৎ আপনি আপনার অ্যাপস থেকে কিভাবে ডিজাইন করতে চান এই অংশে তা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কোন কোডিং জানতে হবে না। Thunkable এর নিজস্ব অনেকগুলো ডিজাইনিং সিম রয়েছে। আপনি আপনার ব্লগিং অ্যাপস এ কতগুলো বাটন ইউজ করতে চান তা এখান থেকে সিলেক্ট করে নিতে পারবেন। বাটন গুলোকে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী আকার দিতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড এর সাথে মিলিয়ে বাটনগুলোর কালার করতে পারবেন আকর্ষণীয়। টেক্সট অপশনে গিয়ে বিভিন্ন রকম টেক্সট অ্যাড করতে পারবেন। 

ধাপ-৪ঃ

তৃতীয় ধাপে আমরা শিখেছি কিভাবে আপনার অ্যাপস টি কে ডিজাইন করবেন। আপনারা হয়তো দেখেছেন যে আপনারা যখন কোন অ্যাপস এ প্রবেশ করেন তখন একটি বাটনে ক্লিক করলে এরপরে অনেকগুলো ইন্টারফেস খুলে যায়। এই ধাপে আমরা দেখব পরবর্তী ইন্টারফেস গুলো কিভাবে তৈরি করতে হয়।

মনে করুন আপনার অ্যাপসটি ব্লগিং সাইট সম্পর্কে। এবং সেখানে আপনি একটি কবিতার অ্যাপস তৈরি করছেন। স্পর্শে খুব সাধারণভাবে আপনি একটি কবিতা কপি করবেন এবং ওই ইন্টারফেস এগিয়ে পেস্ট করে দিবেন। এভাবে খুব সহজভাবে আপনি আপনার অ্যাপসটি সাজিয়ে নিতে পারবেন বিভিন্ন কবিতা উপন্যাস অথবা যেকোনো লেখা দিয়া। আপনার যত ইচ্ছা আপনি কতগুলো ইন্টারফেস তৈরি করতে পারবেন। 

ধাপ-৫ঃ

আপনার অ্যাপসটি তৈরি হয়ে গেলে আপনি প্রিভিউ অপশনে গিয়ে অ্যাপসটি দেখে নিতে পারবেন। আপনার যদি তা পছন্দ হয়ে থাকে তখন ওকে অপশনে গিয়ে সেটাকে সিলেট করে ফেলতে পারবেন। এভাবে খুব সহজে বানিয়ে ফেলতে পারবেন আপনার পছন্দের অ্যাপ্লিকেশন। 

এতক্ষণে আমারে জেনে গেছি কিভাবে বিনামূল্যে সহজেই একটি এপ্লিকেশন তৈরি করা যায়। এই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করার জন্য কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। এমনকি জানতে হয় না কোন প্রকার কোডিং। কাজেই আপনি যদি কোন এপ্লিকেশন তৈরী করতে চান খুব সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন thunkable থেকে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ