ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যাবে ?

ফ্রিল্যান্সিং করে কত টাকা আয় করা যাবে ?

ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করার কোনো সীমা নেই। হে, এটাও এক রকমের ব্যবসা (business), যেখানে আপনার কাছে যত বেশি কাজ আসবে এবং যত বেশি কাজ আপনি করে দিতে পারবেন, ততটাই বেশি আপনার ইনকাম হবে।

PayPal এর একটি survey বা report হিসেবে, ২৩ % ভারতীয় ফ্রিল্যান্সাররা ৬০ লক্ষ টাকা প্রত্যেক বছরে আয় করছে।

এবং, বাকি ২৩% রা ২.৫ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ভেতরে টাকা আয় করছেন। তাছাড়া, বাকি ৫৪ % ফ্রিল্যান্সাররা ২.৫ লক্ষ থেকেও কম টাকা বছরে আয় করছেন।

তাই, সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এ ক্যারিয়ার বানালে লাভ আছে এবং এর থেকে আপনি লক্ষ লক্ষ টাকা ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। কিন্তু, আপনাকে ভরসা করে কতজন কাজ দিচ্ছে এবং কতটা কাজ আপনি সম্পূর্ণ করতে পারছেন, সেটার ওপরে আপনার আয় নির্ভর করবে।

আজ, অনলাইন এবং ইন্টারনেটের দুনিয়াতে সুযোগ অনেক রয়েছে। লক্ষ লক্ষ লোকেরা, বিভিন্ন ছোট ছোট কাজের জন্য, একজন কর্মচারী (employee) রেখে তাকে মাসে মাসে টাকা দেয়ার থেকে, একজন freelancer কে দিয়ে সেই কাজ অনেক কম টাকায় সহজে করিয়ে নিচ্ছেন।

কোনো বিশেষ কাজে, আপনার যত বেশি অভিজ্ঞতা (experience) থাকবে, ততটাই বেশি টাকা আপনি প্রত্যেক কাজের জন্য চার্জ (charge) করতে পারবেন।

কোন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স শিখতে হবে ?

সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্স করার জন্য বা শেখার জন্য কোনো কোর্স (course) করার প্রয়োজন আমাদের হয়না।

হে, কিছু সাধারণ জ্ঞান যেমন, কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবো, কোন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কাজ খুঁজবো এবং প্রথমেই আমাদের কি কি করতে হবে, এগুলির ব্যাপারে জেনে নিতে হবে। এবং, এগুলির ব্যাপারে সবটাই আমি ওপরে বলেছি।

এখন, ফ্রিল্যান্সিং কোর্স বলেতো বিশেষ কিছুনা নেই, যদিও আপনি freelancing এর কাজ করার জন্য, কিছু বিশেষ কোর্স করতে পারেন, এবং যেগুলি শেখার পর আপনারা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শুরু করতে পারবেন। যেমন –

  •  Translating course : আজকাল বিভিন্ন ভাষা জানলে আপনারা translator এর কাজ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ভাষা ট্রান্সলেট করার দক্ষতা থাকাটা আপনার জন্য অনেক কাজ এনেদিতে পারে।
  • Graphic design : আজকাল, মার্কেটিং, লোগো বানানো এবং প্রায় অনেক কাজেই গ্রাফিক ডিসাইনার দেড় প্রয়োজন হয়। তাই, এই কোর্স আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।
  • Website বানানো : এই ব্যাপারে আমি আপনাদের না বললেও চলবে। কারণ, আজকাল ওয়েবসাইট বানানোর কাজ জানাটা কতটা লাভজনক সেটা আমরা সবাই জানি।
  • Article writing : আপনার যদি লেখার অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা রয়েছে বা আপনি আর্টিকেল লেখার একটি কোর্স করে, ভালো ভাবে এই শিল্প (art) শিখতে পারেন, তাহলে বিভিন্ন ব্লগ (blog) বা কোম্পানির ওয়েবসাইটের জন্য লিখতে পারবেন।
  • Video editing : বিভিন্ন কোম্পানি বা অনলাইন marketer রা নিজের ব্র্যান্ড এর জন্য ভিডিও এডিটিং কোরান। তাই, এই ব্যাপারে কোর্স করলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেক কাজ পেতে পারবেন।
  •  Coding (PHP/Java/Css) : আজকাল, web development বা application building এর কাজে বিভিন্ন coding language এর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে, আপনার যদি কোনো বিশেষ coding language এর জ্ঞান বা দক্ষতা থাকে, তাহলে এর সাথে জড়িত অনেক কাজ পেয়ে যাবেন।

এগুলি ছাড়াও, অনেক আরো কোর্স রয়েছে, যেগুলি করে নিজেকে একজন এক্সপার্ট বানিয়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর দুনিয়াতে আসতে পারবেন।

তাহলে বন্ধুরা, ফ্রিল্যান্সিং মানে কি এবং কিভাবে শুরু করবো, এই ব্যাপারে হয়তো আপনারা পুরোটাই ভালো করে বুঝে গেছেন। এই, মাধ্যমে ঘরে বসে অনলাইন কাজ করাটা অনেক লাভজনক।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ