ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে শুরু করব ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার 1

ফ্রিল্যান্সিং কি (What Is Freelancing): এমনিতে, ইন্টারনেট থেকে অনলাইন ইনকাম করার অনেক মাধ্যম বা উপায় আমি আপনাদের আগেই বলেছি। এবং, আজ আরেকটি নতুন অনলাইন টাকা আয়ের বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের বলবো। সেই বিষয়টি হলো,

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)“.

ফ্রিল্যান্সিং কি (What Is Freelancing): এমনিতে, ইন্টারনেট থেকে অনলাইন ইনকাম করার অনেক মাধ্যম বা উপায় আমি আপনাদের আগেই বলেছি। এবং, আজ আরেকটি নতুন অনলাইন টাকা আয়ের বিষয় নিয়ে আমি আপনাদের বলবো। সেই বিষয়টি হলো, “ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing)“.

আজ,ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা (freelancing business)করে অনেকেই ঘরে বসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন। এবং, অনেকেই এতো টাকা ইনকাম করে নিচ্ছেন, যে কোনো ফুল টাইম জব বা চাকরি থেকেও এতো আয় করা সম্ভব না।

কিন্তু,ফ্রিল্যান্সিং করে স্বাধীন ভাবে আয়করার জন্য, আপনার প্রথমে কিছু জরুরি কথা এর বিষয়ে জেনেনিতে হবে।

  1. ফ্রিল্যান্সিং মানে কি ?
  2. ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব ?
  3. কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করবো ?
  4. Freelancing করেকত টাকা আয় করা যাবে?
  5. আমি কি ফ্রিল্যান্সিংএ ক্যারিয়ারবানাতে পারবো ?
  6. যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই, কোন ফ্রিল্যান্সিংকোর্সকরতে হবে ?
  7. নতুনদের জন্য কিছু সেরা ফ্রিল্যান্সিংসাইটকোনগুলি ?

তাহলে বন্ধুরা, ওপরে আমি দেয়া বিষয় গুলির ব্যাপারে সম্পূর্ণ জেনে নেয়ার পর, freelancing এর ব্যাপারটা আপনার জন্য স্পষ্ট হয়ে দাঁড়াবে।

এবং, সবটাই জানার পর, আপনি এইটা বুঝে যাবেন যে, আসলেfreelancing কিএবং এর দ্বারা অনলাইন টাকা আয় করাটা আপনার জন্য কতটা সম্ভব হতেপারে।

ফ্রিল্যান্সিং কি ? (What Is Freelancing In Bangla)

সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি আলাদা মাধ্যম বা উপায়, যার দ্বারা আপনারা অনলাইন কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। এমনিতে, একটি চাকরি (job) করা ব্যক্তিকে সকাল ১০ থেকে বিকেল ৬ অব্দি অফিসে গিয়ে এক ধরণের কাজ করতেই হবে।

কিন্তু, freelancing এর মাধ্যমে কাজ করা লোকেরাস্বনির্ভর (self-employed) থাকেন। তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর মানেই হলোস্বাধীনভাবে কাজ করা বামুক্তপেশা। এটাও এক ধরণের ব্যবসা বললে আমি ভুল হবোনা।

এই প্রক্রিয়াতে লোকেরা, অনলাইন বিভিন্ন সূত্রের (sources) মাধ্যমে কাজ খুঁজে নিজের ইচ্ছে হিসেবে কাজ করেন। এক্ষেত্রে, যারা এভাবে স্বাধীন হয়ে freelancing এর কাজ করেন, তাদের “freelancer” বলা হয়।

আজ,ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়াএবং বিভিন্নফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলির মাধ্যমে, এই ফ্রিল্যান্সাররা (freelancer) নানান ধরণের কাজ, প্রজেক্ট বা সার্ভিস খুঁজে, সেগুলি তারা তাদের ক্লায়েন্টস (clients) দেড় জন্য নির্ধারিত সময়ে পুরো করছেন। এবং, কাজ বা প্রজেক্ট পুরো করার বিনিময়ে তাদের ক্লায়েন্টরা তাদেরকে টাকা দিচ্ছেন।

অবশ্যই, আপনি যেই প্রজেক্ট বা কাজ করবেন বলে ভাবছেন, তার জন্য কত টাকা নিবেন, সেটা আপনার ক্লায়েন্ট (client) এর সাথে আগেই ঠিক করে নিতে পারবেন। এবং, সঠিক ভাবে কাজ শেষ হওয়ার পর, আপনার টাকা আপনাকে দিয়ে দেয়া হয়।

এই মাধ্যমে কাজ করার সুবিধে অনেক। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন যে, আপনি কতটা সময় কাজ করতে চান, কতটুকু কাজ করতে চান এবং এই কাজ আপনি পার্ট টাইম (part-time) করবেন না ফুল টাইম (full-time).

তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নেয়া কাজ গুলি করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হবেনা। কারণ, প্রায় সব ধরণের কাজ করার জন্য আপনার কেবল একটি ল্যাপটপ (laptop) বা কম্পিউটারের (computer) এবং তার সাথে ইন্টারনেট কানেক্শনের প্রয়োজন।

তাই, সবটাই আপনি নিজের ঘরে বোসে বোসেই করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কে আমরা একটিবিসনেস (business)হিসেবেও নিয়ে কাজ করতে পারি।

সোজা ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং কি বা কাকে বলে ?

Freelancing মানে হলো, যেই কাজের বিষয়ে বিশেষঅভিজ্ঞতাবাদক্ষতা (skills)আপনার আছে, তার সাথে জড়িত কাজ অন্যদের জন্য করা এবং তার বিনিময়ে টাকা নেয়া।

তাই, অন্যরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে আপনাকে কাজ দিবে, এবং সেই কাজ যদি আপনি জানেন, তাহলে নির্ধারিত সময়ে আপনার তাকে সেই কাজ করে দিতে হবে।

এক্ষেতের, আপনার এমন কিছু দক্ষতা (skills) বা কাজ জানা থাকতে হবে, যেগুলি লোকেরা আপনার থেকে কিনতে চাইবেন বা করাতে চাইবেন।

তাছাড়া, এমন ভাবেও বলা যেতে পারে যে, freelancing হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি আপনার জানা কাজ বা দক্ষতা ব্যবহার করে অন্যদের জন্য কাজ করেন।

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন। যেমন,writing, designing, digital services, selling servicesবা যেকোনো অন্য কাজ যেটা আপনি জানেন এবং যেটা লোকেরা আপনাকে দিয়ে করাতে চায়।

এই কাজগুলি,ঘন্টায় (hourly),ডেইলি (daily),সপ্তাহিক (weekly)বামাস (monthly)হিসেবে করতে পারবেন।

তাহলে, শেষে এটাই আমি বলবো, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান এবং এখান থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে চান, তাহলে সবচে আগেই এটা দেখতে হবে যে, আপনার মধ্যে এমন কি বিশেষ ট্যালেন্ট (talent), কোয়ালিটি, দক্ষতা (skills) রয়েছে যার বিনিময়ে লোকেরা আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ দিবেন।

তাহলে, ফ্রিল্যান্সিংকিবাfreelancer কাকে বলে, এবেপারে হয়তো আপনার ভালো ভাবে জ্ঞান হয়ে গেছে।তাহলে, চলুন এখন আমরা Freelancing এর বিষয়ে আরো কিছু জেনেনেই।


ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব ? (How to start Freelancing)

আজ, ইন্টারনেট এবং এর ব্যবহার প্রায় সব জায়গায় হচ্ছে বলে আমি ভাবি। এবং,freelancingএর কাজ করার জন্য, সবচে প্রথম জিনিস যেটা আপনার লাগবে, সেটা হলো “Internet“.

কারণ, নিজের জন্য কাজ খোঁজার থেকে আরম্ভ করে, কাজটি তৈরি করে আপনার ক্লায়েন্ট (client) কে জমা দেয়া, সবটাই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলিতে গিয়ে, আপনার করতে হবে।

তাছাড়া, এই মাধ্যমে টাকা আয় করার জন্য আপনার প্রচুর নতুন নতুন কাজ বা প্রজেক্টস (projects) এর প্রয়োজন হবে।

তার জন্য আপনাকে, নিজের কাজ বা দক্ষতার (skills) প্রচার বা মার্কেটিং ইন্টারনেটের দ্বারা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম (platform) গুলিতে গিয়ে করতে হবে। যেমন,social media websites, social media groups, freelancing marketplaceআরো অনেক।

নিজের দক্ষতা (skills) প্রচার বা মার্কেটিং করলে, লোকেরা জানতে পারবেন যে আপনি কোন কাজের বিশেষজ্ঞ বা এক্সপার্ট এবং কোন কাজ আপনি তাদের জন্য করতে পারবেন।

এতে, ভবিষ্যতে আপনার দক্ষতার (skills) সাথে জড়িত বিভিন্ন project বা কাজ অনলাইন পেয়ে যাওয়ার সুযোগও বেড়ে যাবে।

উদাহরণ স্বরূপে, আমিblogging,SEOএবংWebsiteতৈরি করতে এক্সপার্ট। এক্ষেত্রে, আমি যদি লোকেদের আমার দক্ষতার (skills) বা নলেজের ব্যাপারে না জানাই, তাহলে তারা জানবেন কিভাবে যে আমি তাদের জন্যSEOবাwebsiteএর সাথে জড়িত কাজ গুলি করে দিতে পারবো। তাই তো….?

তাই,ফ্রিল্যান্সিং এর ক্যারিয়ারশুরু করার সাথে সাথে, নিজের কাজের নলেজ, অভিজ্ঞতা, দক্ষতার অনলাইন প্রচার বা মার্কেটিং করাটা অনেক জরুরি।

মনে রাখবেন, অনলাইন যেকোনো মাধ্যমে যখন লোকেরা আপনাকে কোনো কাজ বা project দিবেন, তখন তারা আপনার ওপরে অনেক ভরসা করেই সেই কাজটি দিবেন।

তাই, আপনার কাজের ভালো নাম, কাজের অভিজ্ঞতা, ভালো দক্ষতা এগুলি হবে আপনার ব্র্যান্ড (brand) বা নামের পরিচয়। এবং, আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে, একটি ভালো ব্র্যান্ড বা নাম তৈরি করতে পারলেই, অধিক লোকেরা সহজে আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ বা প্রজেক্ট দিবেন।

কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (career) আরম্ভ করবো (step by step)

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার (career) শুরু করার জন্যআপনি নিচে দেয়া স্টেপস গুলি এক এক করে জেনেনিতে পারেন।

১. নিজের লক্ষ্য (Goal) সঠিক ভাবে সেট করুন

সবচে আগেই, আপনার কিছু জিনিস বা লক্ষ্য (goals) সঠিক ভাবে সেট করে নিতে হবে। যেমন, আপনি এই মাধ্যমে কতটুকু কাজ করতে চান ? কতটা সময় দিতে চান ? আপনি কি, নিজের চাকরির সাথে সাথে এই কাজ চালিয়ে যাবেন এবং পার্ট-টাইম ইনকাম করবেন না কি ফুল টাইম ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করবেন।

এগুলি ব্যাপারে, প্রথমেই ঠিক কোরে নিতে হবে। এতে, পরে আপনি আপনার লক্ষ হিসেবে এগিয়ে যেতে পারবেন।

২. কোন বিষয় (niche) নিয়ে কাজ করবেন ?

দ্বিতীয়তে আপনার, নিজেরকাজের টপিক,সাবজেক্টবাnicheকি হবে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আপনি, যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ খুঁজতে ও করতে পারবেন। যেমন,content writing,web designing,codingএর কাজ,Logo designing,SEO services,Video creating, video editing, content marketingবা আরো অনেক কাজ নিয়ে আপনি শুরু করতে পারবেন।

কিন্তু, আপনি যেই niche বা টপিক নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করবেন ভাবছেন, সেই বিষয় বেঁচে নেয়ার আগেই ৪ জিনিস অবশই দেখবেন।

  • আপনার বেঁচে নেয়া টপিক এমন হতে হবে যার বিষয়ে আপনার পুরোঅভিজ্ঞতা,দক্ষতাএবংজ্ঞানরয়েছে।
  • যেই কাজ করে এবং যার বিষয়ে নতুন নতুন জিনিস শিখে আপনি ভালো পান সেই কাজ করবেন।
  • আপনি যেইniche বা টপিক টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিংকরবেন ভাবছেন, সেই niche এর মার্কেটে কতটা প্রয়োজন এবং চাহিদা আছে সেটা জানা জরুরি।
  • এমন বিষয় বা niche নিয়ে কাজ করতে হবে, যেই বিষয়ে আপনার আবেগ (passion) রয়েছে। এতে, কাজ করে আপনি বিরক্ত (bore) হবেননা এবং, বেশি সময় কাজ করতে পারবেন।

তাহলে,freelancing businessএর জন্য কোন বিষয় নিয়ে কাজ করবেন, সেটার সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই ওপরে বলা ৪ টি পয়েন্ট অবশই মনে রাখবেন।

৩. কোন কোন freelancing platform বা site এ কাজ করবেন ?

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন freelancing সাইট বা মার্কেটপ্লেস গুলিতে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন।

এই ধরণের সাইট গুলিতে বিভিন্ন employer বা clients রা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য ফ্রিল্যান্সার দেড় খুজেঁন। এবং, ফ্রিল্যান্সার রা নতুন নতুন কাজ খোঁজার জন্য এই সাইট গুলিকে ব্যবহার করেন।

মনে রাখবেন, এই সাইট গুলিতে হাজার হাজার লোকেরা বিভিন্ন ধরণের কাজ করানোর জন্য বিশ্বাসী freelancer দেড় খুজেঁন। এবং, আপনি যদি প্রথমেই নিজের ক্লায়েন্ট (client) এর জন্য সময় মতো ভালো ভাবে কাজ করে দিতে পারেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে এ অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে।

আমি আগেই বলেছি, এই কাজে পুরোটাই বিশ্বাসের ওপরে নির্ভর। তাই, আপনি যদি সত্যি কথা বলে সঠিক সময়ে নিজের কাজ ভালো করে পুরো করে client কে জমা দেন, তাহলে এতে সহজে টাকা পেয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার প্রতি অন্যদের ভরসাও বেড়ে যাবে।

এতে, আপনার একটি ভালো পরিচয় তৈরি হয়ে যাবে এবং পরের বারের জন্য আপনাকে কাজ দিতে লোকেরা ভাববেননা।


Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ