আজ আমি আলোচনা করবো কিভাবে অতি দ্রুত Google Adsense এর একাউন্ট পাবেন। “গুগল এডসেন্স
একাউন্ট পাচ্ছি না”, “অনেক অ্যাপ্লাই করেছি তাও হচ্ছে না” এমন কথা প্রতিনিয়তই শুনতে হয়। তখন
তাদের কথা শুনে যতুটুকু বুঝতে পারা যায় যে তারা এমন এমন কিছু ছোট বিষয় বাদ দিয়ে অ্যাপ্লাই
করেছে যা না করলে গুগল কখনই এডসেন্স একাউন্ট দেবে না। আজ সেই বিষয় নিয়েই আপনাদের Online Income Site List
সামনে আলোচনা করবো। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
আরও জানুন:- যেভাবে যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াবেন
তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে দ্রুত Google Adsense এ্যাকাউন্ট পাওয়ার কিছু গুরুত্বর্পূণ টিপস:-
১.যদি দ্রুত Google Adsense একাউন্ট পেতে চান তাহলে টপ লেভেল ডোমেইন হিসাবে .com, .org,
.net, .info এক্সটেনশন ব্যবহার করা সবচেয়ে ভালো।
২.ওয়ার্ডপ্রেস এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সিএমএস। কারণ হিসাবে ওয়ার্ডপ্রেস এ রয়েছে সহজলভ্যতা,
কোডিং ছাড়াই একটি সুন্দর ওয়েবসাইট করার উপায়, সার্চ ইঞ্জিন বান্ধব সাইট স্ট্রাকচার সহ অনেক
কিছু। তাই ওয়েবসাইট এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল আশা করা যায়।
৩.যখন আপনি Google Adsense এর একাউন্ট এর জন্য আবেদন করবেন তখন একদম নতুন একটি গুগল
একাউন্ট ব্যবহার করবেন। এতে করে আপনার ইনবক্সে অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল এর মাঝে Google Adsense
এর গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল হারিয়ে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে।
আরো জানুন: কঠিন কাজটি সবার আগে করার অভ্যাস করুন।
৪.আপনার একাউন্টের জন্য এবং ওয়েবসাইট এর জন্য গুগলের সম্ভব সকল সার্ভিস ব্যবহার করুন। এর
মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো গুগল প্লাস একাউন্ট কমপ্লিট করা।
৫. আপনি যে ইমেইল দিয়ে Google Adsense আবেদন করবেন সেই ইমেইল এ আপনার গুগল প্লাস
একাউন্ট এর প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করার চেষ্টা করুন। এতে করে গুগলের কাছে আপনার পরিচয়
বিশ্বাসযোগ্য হবে। এবং সেই সাথে গুগল অথর ভেরিফিকেশন করে ফেলুন আপনার ওয়েবসাইট এর।
এছাড়া আপনার ওয়েবসাইট এ যোগ করুন গুগল ওয়েবমাস্টার টুলস, গুগল এনালাইটিক্স সার্ভিস।
যেক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট ও অথোরিটি সাইট হিসাবে গণ্য হবে।
আরো জানুন: পড়াশোনা করলে আপনার জীবনে কি ঘটে তার সর্ম্পকে জানুন?
৬.কনটেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইট এর প্রাণ। সেই সাথে বিজ্ঞাপনদাতাদের আয়ের প্রধান উৎস। তাই
যদি আপনাকে Google Adsense এর একাউন্ট কোন ঝামেলা ছাড়া পেতে চান তাহলে অবশ্যই সর্বনিম্ন ২০টি
আর্টিকেল দিয়ে ওয়েবসাইট শুরু করতে হবে।
৭. আপনার ওয়েবসাইটে ১৫-৩০ দিন ধরে আপনি আপনার সকল কনটেন্ট পাবলিশ করুন, এরপর
আরো ৭-১০ দিন সময় দিন সকল পেজ গুলো ইনডেক্স হতে, তারপর গুগলে এডসেন্স এর জন্য আবেদন
করুন।
আরো জানুন: বিষণ্ণতা দূরে রাখার জন্য প্রতিদিন যেই ১০টি জিনিস করতে পারেন
৮.ন্যূনতম ২০ জন ভিজিটর প্রতিদিন ওয়েবসাইট এ ভিজিট করে এমন সময়ে গুগল এডসেন্স এর জন্য
আপনি আবেদন করতে পারেন ।
৯.সার্চ ইঞ্জিন গুলো সব সময় অনপেজ অপটিমাইজেশনকে পছন্দ করে। কারণ একটি ওয়েবসাইট সার্চ
ইঞ্জিন বান্ধব হয় তখন যখন তাকে সঠিক ভাবে অনপেজ অপটিমাইজেশন করা হয়। তাই আপনাকে সদা
চেস্টা রাখতে হবে আপনার ওয়েবসাইট এ যেন পূর্ণাঙ্গ অনপেজ অপটিমাইজেশন করা হয়।
১০.গুগল এডসেন্স এর জন্য এই অংশটুকু অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত গুগল একাউন্ট পেতে হলে আপনাকে
অবশ্যই Conact Us, About Us, Privacy and Policy, DMCA পেজ তৈরি করতে হবে।
আরো জানুন: জীবন পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট ৮ টি অভ্যাস
১১.ওয়েবসাইট এর অথোরিটি আরো বেশি মজবুদ করতে তৈরি করুন sitemap.xml, robots
.txt ফাইল। এই ফাইলগুলো আপনার ওয়েবসাইটকে দ্রুত ইনডেক্স এর সহায়তা করবে এবং সার্চ বটকে
কন্ট্রোল করবে।
১২.ওয়েবসাইটকে যে যে স্থানে ইন্টার্নাল লিংকিং প্রয়োজন সেখানে ইন্টার্নাল লিংকিং করুন।
১৩.কপিরাইট মুক্ত ইমেইজ ব্যবহার করুন এবং ওয়েবসাইট যথা সম্ভব পরিষ্কার রাখুন।
১৫.মিনিমাল কালার ব্যবহার করা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ গুগল এডসেন্স এর জন্য।
আরো জানুন: পড়াশোনা কালিন করতে পারেন যে ৫টি চাকুরি
১৬. বিজনেস নিশ নিয়ে ওয়েবসাইট বানান তাহলে আপনি খুব সহজে অনেক ট্রাফিক পাবেন এবং খুব
সহজে গুগল এডসেন্স পাবেন।
আশা করি গুগল এডসেন্স কিভাবে দ্রুত পাবেন তার সর্ম্পকে কিছু ধারনা দিতে পেরেছি। লেখা গুলো পড়ে
ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত
আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে
কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার
চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।
Comments (No)