ক্রিয়েটিভ রাইটিং লেখার উপায় কি? What is the way to write Creative Writing? আপনি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে চান। কিন্তু পারেন না। একটুও চিন্তাশক্তি নেই। কিভাবে লিখবো। উফ! হচ্ছে না! মাথাই নষ্ট!!
এরকম সিচুয়েশনে পরেছেন কখনো? তাহলে আজকের এই লেখা আপনার জন্যেই। দেখুন – আপনার কোন বিষয়ে কিছু করতে হলে অবশ্যই সেই বিষয়ের উপর বিস্সাস, জ্ঞান, এবং প্যাশন থাকতে হবে। সেটা লেখালেখির ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য। অনেকেই বলেন। ভাইয়া শর্টকার্ট একটা নিয়ম দিয়ে দেন না যাতে করে ফাটায়ে লিখতে পারি। একাউন্ট করে নিন 100 টাকা প্রতি রেফারে 10 টাকা
আমি বলে দেই কোন শর্টকার্ট তাবিজ-কবজ নেই
ফাটায়ে লিখতে হলে আগে ফাটায়া শিখতে হবে, প্রচুর বই পরতে হবে।
কমপক্ষে নাহলেও ১০০ বই পরতে হবে।
তারপর সেই লেখা থেকে যতটুকু পারা যায় অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।
লেখক কিভাবে লেখাটা লিখছে, কোন প্যারার পর কোন প্যারা দিছে- গল্প টা কিভাবে জমাইছে – নায়িকা কে কখন গল্পে নিয়া আসছে – এসব খেয়াল রাখতে হবে।
কোন লেখাই তাড়াতাড়ি করে গলাধঃকরণ করা যাবে না। ধৈয্য নিয়ে লেখা পড়তে হবে।
এবং Creative লেখা গুলো সাধারণত নতুন নতুন বিষয়বস্তু নিয়েই হয়। নতুন কিছু জানার আগ্রহ তৈরী করতে হবে। এবং অবশ্যই লেগে থাকতে হবে। গুগলে/ ইউটিউবে প্রচুর রিসোর্স আছে। যেগুলো থেকে আইডিয়া জেনারেট করুন।
ধরুন আপনি রোবট নিয়ে কিছু একটা লিখতে চাইছেন। তাহলে আগে আপনাকে রোবট লিখে গুগলে সার্চ করতে হবে। এরপর রোবট রিলেটেড ২০/৩০ টা আর্টিকেল পরে নিলেন।
ইউটিউবে গিয়ে ভিডিও দেখে নিলেন।
রোবট কি? কীভাবে বানায়? রোবটের কাজ কি? রোবট তৈরীতে কি কি যন্ত্র লাগে?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুজে নিন।
তারপর গুগল ইউটিউব থেকে যে অভিজ্ঞতা হল তা নিজের বুদ্ধি এবং মেধা দিয়ে নিজের মত করে গুছিয়ে লিখলেন। ব্যস হয়ে গেল।
বাট কখনোই কারও লেখা হুবহু কপি করবেন না। কপি করলেন তো ধরা খেলেন।
আপনি কপি করা লেখা কোন ক্লায়েন্ট যদি দেন, তাহলে সেটা ক্লায়েন্ট সাথে সাথে ধরে ফেলবে এবং আপনাকে কিক আউট করে দিবে।
সো কেউ এটা করবেন।অন্যের লেখা পড়ুন। সেই লেখা থেকে অভিজ্ঞতা নিন। কিন্তু লেখা কপি করবেন না।
আর লেখালেখির সময় অবশ্যই কেলাহল
মুক্ত জায়গা বেছে নিন। খুব সকাল কিংবা মধ্যেরাত লেখালেখির জন্য বেস্ট সময়। এসময় সবাই ঘুমিয়ে থাকে এবং নীরব একটা পরিবেশ থাকে। আর নীরবে লেখালেখি করলে মনযোগ স্থির থাকে এবং সুন্দর ভাবে লেখাটা শেষ করা যায়।
লেখা লেখির সময় এক কাপ কফি রাখুন –
এটা আপনার ব্রেইন কে সতেজ করবে এবং কাজের গতি বাড়িয়ে দিবে।
আমি নিজেও উপরের দুটি টিপস ফলো করি। আপনারাও করতে পারেন।
আজকের টিউন এই পর্যন্তই। পরবর্তী তে নতুন কোন টিউন এ আবার দেখ হয়ে যাবে, সেই পর্যন্ত স্টে কানেক্টেড উইথ আস। ধন্যবাদ।
Comments (No)