ট্র্যাফিক বাড়াতে লোকাল ব্র্যান্ডিং প্ল্যানিং করার ৭ টি কৌশল 7 strategies for Planning local Branding to increase Traffic 1
ট্র্যাফিক বাড়াতে লোকাল ব্র্যান্ডিং প্ল্যানিং করার ৭ টি কৌশল 7 strategies for Planning local Branding to increase Traffic

অনেক বেশি ট্র্যাফিক (Traffic) পেতে চান ? জেনে নিন লোকাল ব্র্যান্ডিং ট্রাটেজি (Local Branding Strategy) তৈরির ৭টি কৌশল
একটি লোকাল মার্কেটকে টার্গেট করা বা বেছে নেওয়া সত্যি খুব কঠিন হয়ে পরে সে আপনার নিজের ব্যবসার জন্যই হোক বা আপনার ক্লায়েন্টের ব্যবসার জন্য হোক।

যেমন আপনাকে আপনার লোকাল মার্কেট সম্পর্কে একটা সুক্ষ ও স্বচ্ছ ধারনা রাখতে হবে সেই সাথে আপনার ক্লায়েন্ট যেন আপনাকে সময়মত খুঁজে পান সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

আপনি যদি এই ব্যবসাতে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে উত্তরাধিকার সুত্রে কিছু প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। বিশেষ করে যারা সরাসরি আগে থেকেই এই ব্যবসা করছে তাদের এবং যারা অনেক বড় বড় রেফারেল লিংক নিয়ে কাজ করে তাদের।

Seth Godin’s Freelancer Course

সেক্ষেত্রে কিছু মার্কেটিং মেথড বা পদ্ধতি আসলে আপনার কাজে মোটেও আসবেনা।

AliExpress.com Product – Smart Watch Men Woman Smartwatch Bluetooth Blood Pressure Measurement Heart Rate Monitor Smartwatch Sport Smart Watches Clock
আপনাকে অবশ্যই একটি লোকাল ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করে নিতে হবে যেখানে আপনার ক্লায়েন্ট অবশ্যই আপনাকে খুঁজে নিতে পারে এবং সেই সাথে আপনার কাজ বা সার্ভিস সম্পর্কে ধারনা নিতে পারে। Online Income Site

নিচেই বর্ননা করা হল ৭টি কৌশল সম্পর্কে যার মাধ্যমে আপনি অনেক বেশি ট্রাফিক পাবেন আপনার লোকাল ক্লায়েন্ট এর জন্য অথবা আপনার নিজের ব্যবসার জন্য।

কিভাবে আপনি লোকাল ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করবেন তার ৭টি কৌশল
ব্র্যান্ডিং এখন শুধু ট্যাগ লাইন বা লোগো এর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

ব্র্যান্ডিং এখন অনেক নতুন বিষয়ের উপর নির্ভর করে তৈরি হয় । সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে বিষয়ে কাজ করতে হয় তাহল একটি শক্তিশালী ম্যাসেজ তৈরি করা আপনার টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য যার দ্বারা তারা অনুপ্রাণিত হতে পারে।

ফ্রীলান্সিং করে আয় করতে : ক্লিক করুন 

আপনি যদি আপনার মার্কেটিং তথা লোকাল ব্র্যান্ডিং কৌশলের এই বিষয় বাদ দিয়ে কাজ করতে চান তাহলে মনে রাখবেন আপনি থেমে যাবেন মাঝপথেই ।

এই বিষয়টি নির্ভর করে আপনার মার্কেট রিসার্চ এবং ব্র্যান্ড ম্যাসেজের উপর।

Fiverr: Freelance on Fiverr & Become a Top Rated Seller

কৌশলগুলি মন দিয়ে পড়ুন এবং আপনার লোকাল ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজি বা কৌশলের জন্য যেকোন একটি কাজে লাগান দেখবেন আপনি আপনার জন্যই হোক বা আপনার ক্লায়েন্ট এর জন্যই হোক অনেক ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।

১) লোকাল মার্কেট রিসার্চ করুন
যখন মার্কেটিং স্ট্রেটেজি বা লোকাল ব্র্যান্ডিং কৌশল তৈরি করবেন তখন অবশ্যই টার্গেট মার্কেট আসলে কি চাইছে তার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা রাখতে হবে।

আপনি যদি তা না করেন তাহলে মনে রাখবেন গোড়াতেই গলদ দিয়ে শুরু করবেন যার কারনে আপনাকে অনেক বড় লস গুনতে হবে।

লোকাল মার্কেটিংয়ের ব্যাপারে আপনাকে একটু ভিন্নভাবে চিন্তা করতে হবে কেননা আপনাকে অডিয়েন্স বা জনসাধারণের উপস্থিতির এলাকা বা লোকেশন নিয়েও ভাবতে হবে।

How To Become A Top-Rated & Top-Earning Upwork Freelancer

আপনার অডিয়েন্স সম্পর্কে সার্ভে বা পর্যালোচনা করার আগে আপনাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই জেনে নিতে হবে। আর তা হল:

কত বড় জায়গা নিয়ে আপনি সার্ভে করবেন ?
আপনার যদি সরাসরি অফিস থাকে কত দ্রুত কেউ আপনার অফিস ভিজিট করতে পারবে ?
লোকাল ব্র্যান্ডিং করার লোকাল মার্কেট কত বড় ?
কত প্রতিযোগী আপনার আছে এবং তারা কত বিক্রয় করতে পারে ?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তরের উপরেই আপনার মার্কেট রিসার্চ এর ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করত হবে কারন আপনি তো জানেন আপনা সাইট বা অফিস কোথায় হবে।

আরও পড়ুন : কীভাবে একজন কন্টেন্ট রাইটার হতে পারবেন ?

Content Marketing Courses

প্রথমেই বড় পরিসরে শুরু করাটা কিছুটা বোকামিই হবে।এতে করে আপনার শক্তি ও সময় অপচয় হবে তাদের পিছনেও যারা আপনার ব্যবসা এর সাথে যুক্ত নয়।

প্রশ্ন গুলির সব উত্তর খুজে পেয়েছেন তাহলে চলুন আপনার মার্কেট রিসার্চ শুরু করা যাক।যার শুরু টা হবে একটা প্রোফাইল তৈরি করা থেকে অবশ্যই আপনার আদর্শ ক্লায়েন্টদের কথা মাথায় রেখে।

আপনার সম্মানিত ক্লায়েন্ট এর জন্য প্রোফাইল তৈরি করুন
একটি ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে হবে যা আপনার অডিয়েন্স কে আন্দোলিত করতে পারে।

এর জন্য আপনাকে এমন একটি আইডিয়াল ক্লায়েন্ট প্রোফাইল তৈরি করতে হবে যেখানে এইটা উল্লেখ থাকবে যে তারা কে? তারা কি চায়? তাদের প্রয়োজন কি? এবং আপনার কাছ থেকে তারা কি ধরনের সেবা বা সার্ভিস আশা করে? এইটা একধরনের এভাটার যার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্লায়েন্ট কে আকর্ষণ করতে পারবেন ।

নিচে দেওয়া প্রশ্ন গুলিকে আপনার সার্ভে এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন সেইসাথে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকা সার্ভে টেমপ্লেট ও ইউজ করতে পারেন।

প্রশ্ন গুলি হল:
তাদের তিনটি কষ্টদায়ক বিষয় কি কি?
তারা এরজন্য কি সমাধান বের করেছেন?
এই সমাধানের কোন বিষয় তাদের পছন্দ আর কোন বিষয় অপছন্দ?
তাদের বয়স কত?
তাদের আয় কেমন?


তারা যে ব্যবসা এর সাথে জড়িত তার কাছ থেকে কি সুবিধা তারা পেতে চায়?
এক ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করতে গেলে এক নাম্বার ফ্যাক্টর কি ?
কোন অনলাইন প্লাটফর্ম এ তারা বেশি সময় ব্যয় করে?
কোথায় যাবে আপনার ব্র্যান্ড টি খুজবে তারা? (যেভন: Google, সোশ্যাল মিডিয়া নাকি রেফারেল লিংকে)
এই তথ্য গুলো আপনাকে সাহায্য করবে নিচের বিষয় গুলি নির্ধারণ করতে:
কি ধরনের বিক্রয় এর মাত্রা বা (USP) ইউনিক সেলিং পয়েন্ট ব্যবহার করবেন আপনার ব্র্যান্ড নির্ধারণ করার সময় ।
কি ধরনের সার্ভিস আপনি সবাইকে দিবেন যার জন্য আপনার অডিয়েন্স আগ্রহবোধ করবে?
কোন ধরনের ভাষা আপনি ব্যবহার করবেন আপনার লোকাল ব্র্যান্ডিং এর জন্য এবং ওয়েব কনটেন্ট এর জন্য?
কোন প্লাটফর্ম এ আপনি আপনার ব্যবসা শুরু করবেন?

এই ধরনের মার্কেট রিসার্চ যদি আপনি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি সফলতার শিখরে পৌছাতে পারবেন।

আরও পড়ুন : চাকরি কিংবা ব্যবসার বাইরে অনলাইনে আয়ের উপায় সমূহ !

Copywriting secrets – How to write copy that sells

যখন আপনার মার্কেট রিসার্চ করা শেষ হবে তখনই শুরু করুন আপনার ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি করে ছড়িয়ে দিতে এবং যে প্লাটফর্মে আপনি কাজ করবেন সেইখানে তৎপর হতে যাতে আপনার অডিয়েন্স আপনাকে খুব সহজেই খুঁজে পায়।

লোকাল ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে মার্কেট রিসার্চ অন্যতম কৌশল
২) ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি করুন
আপনার মার্কেট রিসার্চ আপনাকে বলে দিবে যে আপনার অডিয়েন্স বা ক্রেতা আসলে কি চাইছে, তাদের প্রয়োজনীয়তা কি এবং তারা কি পছন্দ করছেন সব চেয়ে বেশী।

এইগুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজেই একটা ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি করতে পারেন সরাসরি এভাবে বললেও হবে, “আপনার সমস্যার সমাধান একমাত্র আমাদের কাছেই আছে, সুতরাং পাশে থাকুন”।

বড় বড় ব্যান্ড নিয়ে যারা কাজ করেন তারা কিন্তু তাদের ব্র্যান্ড স্টাইল গাইড আগেই তৈরি করে রাখে যাতে যখনই কোনো মার্কেটিং বা ওয়েবসাইটে কনটেন্ট দেওয়া লাগে তখন যেন ঐ গাইড থেকে নিয়ে দ্রুতকাজ করা যায়। এর আরো সুবিধা হল আপনার প্রতিটি ম্যাসেজ-ই যেন একটার সাথে আরেকটা যোগসুত্র থাকে এবং আপনার অডিয়েন্স যেন বুঝতে পারে আপনি তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ করছেন ।

Content Marketing Mastery

আপনার ব্র্যান্ড ম্যাসেজ এ যা যুক্ত করবেন:
ব্র্যান্ড ভ্যালু:
আপনি কি নিয়ে আসলে কাজ করছেন?

আপনার আদর্শগত বিক্রয়মাত্রা বা ইউনিক সেইল পয়েন্ট:
যার মাধ্যমে আপনার এবং আপনার প্রতিযোগিদের মধ্যে একটা পার্থক্য থাকবে?

টোন বা ভাষা:
আপনার অডিয়েন্স কি পেশাগত মনোভাবের? তারা কি মজা করা পছন্দ করে, নাকি সরাসরি কথা বলা পছন্দ করে অথবা কিছু বিচিত্র বা আলাদাভাবে কথা বলা পছন্দ করে?

সুবিধা:
আপনি আপনার সার্ভিস বা সেবা প্রদান মূলক কাজে কি সুবিধা দিবেন?

কল টু একশন:
যখন আপনার ব্র্যান্ড জনসাধারণের চোখে পড়বে তখন তাদের কাছ থেকে আপনি কি ধরনের প্রতিক্রিয়া আশা করবেন?

এইসব গুলো টীকা বা বুলেট পয়েন্ট গুলো ভালো করে লিখে রাখুন বা টুকে রাখুন যাতে করে যখনই আপনি ওয়েবসাইট কনটেন্ট তৈরি করবেন বা নতুন করে ক্যামপেইন শুরু তখন যেন এইগুলো হাতের কাছে পেয়ে যান এবং কাজে লাগাতে পারেন।

এইভাবেই আপনি আপনার ম্যাসেজটি সঠিক অডিয়েন্স এর কাছে পৌছিয়ে দিতে পারবেন সঠিক সময়ে এবং সঠিকভাবে।

Beginner Affiliate Marketing To Start In 1 Day – For 2020

ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি করার কিছু সুত্র বা ফরমুলা
অনেক ব্র্যান্ড কম্পানি এবং মার্কেটাররা মনে করেন ব্র্যান্ড মানে রং, লোগো, এবং আকর্ষণীয় ট্যাগলাইন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে তারা এর উপরেই বেশি দৃষ্টি রেখে কাজ করেন এবং অডিয়েন্স আসলে কি চাই তা মাথাই রাখেন না।

সুতরাং আপনি যখন আপনার ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি করতে যাবেন তখন কিন্তু আপনার অডিয়েন্স কে সামনে বা মাঝে রেখে কাজ করবেন ।

একটি লোকাল ব্র্যান্ডিং ম্যাসেজ ফরমুলা এইভাবে ছোট ছোট করে দেওয়া যেতে পারে:

“আমরা সাহায্য করি [অডিয়েন্স] এই [জায়গা] [সুবিধা গুলির বর্ননা] এর মাধ্যমে [সেবাগুলো] ঐ [বৈশিষ্ট্য বর্ননা] ।

যেমন: আপনি যদি ঢাকায় অবস্থিত কোন মানবধিকার আইনজীবী বা আঘাত প্রাপ্তদের আইনজীবী হয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার ম্যাসেজটি এমন হবে:

“আমরা ঢাকার সেইসব কর্মীদের হয়ে কাজ করি যারা কর্মক্ষেত্রে আঘাত পেয়ে ছিলেন তাদের সাথে যেন ন্যায় বিচার হয় এবং তাদের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করাই আমাদের লক্ষ্য ও দায়িত্ব ।“

এইখানে কিন্তু স্পষ্ট করে বলে দেওয়া যে কারা অডিয়েন্স, তারা কি সুবিধা পাচ্ছে এবং তাদের কি ধরনের সেবা দেওয়া হবে।

YouTube Affiliate Marketing MasterClass

এইটা যেকোনো ব্রান্ডের জন্যই এটা অনুসরণ করা যাবে এবং নিজের একার কোনও পেজ থাকলেও তাতে ব্যবহার করা যাবে। যখন এই বিষয়টি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর একটি অংশ হয়ে যাবে তখন [জায়গাটা] পরিবর্তন করে লোকাল টার্গেটিং করার জন্য সাধারণ একটা জায়গা ব্যবহার করা যাবে।

এরপর আসা যাক আপনার ব্র্যান্ড জায়গামত ব্যবহার এর ব্যাপারে যার মাধ্যমে আপনি সুকৌশলগতভাবে মধ্যে লোকাল ব্র্যান্ডিং করবেন ।

SEO 2020: Complete SEO Training + SEO for WordPress Websites

2020 Complete SEO Guide to Ranking Local Business Websites

Complete SEO Training With Top SEO Expert Peter Kent!

৩) স্থানীয় পর্যায়ের SEO প্রয়োগ করুন
স্থানীয় বা লোকাল টার্গেটিং করে যখন ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করা হয় তখন কিন্তু লোকাল SEO ই অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এইটা কিন্তু সত্যিই খুব উপকারী বিশেষত যখন আপনি সাধারণভাবে সবাই কে টার্গেট করবেন এবং স্থায়ী ট্রাফিক বা জনসাধারণকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আনতে চাইবেন ।

জনসাধারণ কি খুঁজছে লোকাল বা স্থানীয় পর্যায়ে তা যদি আপনি বুঝতে পারেন তাহলে আপনি বুঝবেন যে ট্রাফিক নিয়ে আসাটাই বেশি ভাল হবে rank বা প্রথম সারিতে আসার থেকে।

সবচেয়ে ভাল উপায় আসলে কি হতে পারে ট্রাফিক নিয়ে আসা ওয়েবসাইটের জন্য যারা লোকাল বা স্থানীয়ভাবে কিছু খুঁজছে নাকি Rank বা প্রথমসারিতে নিয়ে আসা ওয়েবসাইটকে?

আরও পড়ুন : ফ্রিতে ৬ মাসে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন

Google My Business – Complete Listing Optimization Training

Google My Business: Optimize Your Google Maps Listing in2020

Google এর বিজ্ঞাপন গুলির অফিসিয়াল নমুনা বা টেমপ্লেট
আপনার ব্যবসার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি প্রচারনা বা ক্যামপেইন নমুনা বা টেমপ্লেট নামিয়ে নিন বা ডাউনলোড করে নিন। এইবার কিছু পরিবর্তন করে নিন যেমন ঐ নমুনা তে আপনার ব্যবসা এর সাথে মিলে যায় এমন কিছু শব্দ বা কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং আপনার বিজ্ঞাপন কে পরিনত করে ফেলুন সবচাইতে বেশি ক্লিক পড়ে এমন বিজ্ঞাপনে।

ভৌগলিক অবস্থানকে প্রাধান্য দিয়ে লোকাল SEO করা হয় সেই সাথে SEO এর বাকি বিষয় গুলিও কাজে লাগানো হয়। এইগুলো সাধারণত স্থানীয় কীওয়ার্ড বা শব্দ, স্থানীয় ঠিকানা এবং লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রেই বেশি করা হয়ে থাকে।

আপনার লোকাল SEO কৌশল যা হবে:
একটি মোবাইলবান্ধব ও আকর্ষণীয় ওয়েবসাইট ডিজাইন।
ওয়েবসাইট লোড স্পীড দ্রুত করা।
অন পেজ SEO করার সময় লোকাল কীওয়ার্ড বা স্থানীয় শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
একটি ঠিকানা ঠিক করা স্থানীয়ভাবে যা আপনার কাজের যে মুল বিষয় তার উপর নির্ভর করে।
স্থানীয়ভাবে আরো ট্রাফিক পেতে এবং মানচিত্রে আপনাকে খুঁজে পেতে Google my Business Profile-কে আরো উন্নত করতে হবে।


Link building করতে হবে High authority websites এর সাথে আপনার নিশ বা যে বিষয়ে কাজ করছেন সেই বিষয়ে এবং স্থানীয় পর্যায়ে।
আপনার অডিয়েন্স বা জনসাধারণের চাহিদা অনুযায়ী কীওয়ার্ড বা শব্দ দেখে একটি স্থানীয় বা লোকাল ভাবে কনটেন্ট লিখতে হবে।
যখন একটি পুরো গাইডলাইন তৈরি হয়ে যাবে আপনার লোকাল SEO এর উপর তখন উপরের বলা কাজ গুলি করা কোনও ব্যাপারই হবেনা আপনাকে শুরু করতে ব্যবসা । মনে রাখতে হবে SEO কিন্তু অনেক বড় একটি বিষয় এবং সবসময় পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হবে এবং বার বার তা উন্নত বা ঠিক করতে হবে।

সবচাইতে মুল্যবান বিষয় কি জানেন? তা হল আপনাকে সব সময় চোখ কান খোলা রাখতে হবে এই বিষয়ে যে আপনার স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা কি আর তারা কি খুঁজছে সার্চ ইঞ্জিন গুলিতে।

Social Media Marketing Courses

৪) স্ট্রাটেজিক পার্টনারশিপ তৈরি করুন
আপনার অডিয়েন্স বা জনসাধারণ যদি অনলাইন এর সাথে বেশি যুক্ত না থাকে লোকাল ব্র্যান্ডিং করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তারা কিন্তু সেই পুরাতন পদ্ধতিতেই চলে যেমন সংবাদপত্র এর মাধ্যমে জানা বা বন্ধু এবং পরিবারের পরামর্শ নিয়ে কাজ করা।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায় যে এমন হলে কি করে মার্কেট সম্পর্কে জানা যাবে?

লোকাল বিজনেস বা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে অংশীদারিত্ব করা বা লোকাল বিজনেস পার্টনারশিপ করা।

যেমন :উদাহরণ হিসাবে যদি বলি যে আপনার ক্লায়েন্ট হলেন গাজীপুরের রড-সিমেন্ট -বালি তৈরির শিল্পকারখানার মালিক। তাহলে তাদের কে অবশ্যই লোকাল কন্ট্রাক্টর দের সাথে পার্টনারশিপ করতে হবে যাতে সেই কন্ট্রাক্টররা উৎসাহ পেয়ে আপনাদের ক্লায়েন্ট এর পন্য গুলিই ব্যবহার করে তাদের কাজে এবং এইভাবে তাদের ব্যবসাও যেন ভালভাবে চলতে পারে।

সেইসঙ্গে আপনার ক্লায়েন্ট বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালের উপর ডিসকাউন্ট দিল যাতে কন্ট্রাক্টররাও তাদের প্রজেক্ট এর কাস্টমারদের কাছেও তা ব্যবহার করতে পারে।

Facebook Ads & Facebook Marketing MASTERY 2020 | Coursenvy ®

মিউচুয়াল বেনিফিট এর দিকে লক্ষ্য রাখুন
এইধরনের সম্পর্ক আসলে অনলাইন এবং সরাসরি দুইভাবেই করা যায় ।

আরও পড়ুন : ২০২০ সালে ঘরে বসে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখুন !

এইধরনের সম্পর্কের লক্ষ্য হল মিচুয়াল বেনিফিট যেন থাকে এবং সেই সাথে প্রত্যেকটা ব্র্যান্ড সেবা একসঙ্গে সম্পর্কিত থাকলেও যেন আলাদা আলাদা ভাবে লাভ করে।

একজন ব্যবসায়ী হিসাবে আপনি কিন্তু আপনার ক্লায়েন্ট এর সাথে এই সম্পর্ক তৈরি করে দিতে পারেন আপনার কনটেন্ট মার্কেটিং এবং প্রচারনার মাধ্যমে । এর জন্য সবচেয়ে ভাল জায়গা বা প্লাটফর্ম হলে LinkedIn এবং Email মার্কেটিং।

অবশ্যই এই বিষয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত হয়ে নিবেন যে আপনার পার্টনার আপনাকে যা দিচ্ছে তা কতটুকু মান সম্পন্ন এবং ব্র্যান্ড গুনগত মানের সাথে সম্পর্কিত আছে কিনা।

Social Media Management – The Complete 2019 Manager Bootcamp

৫) সোশ্যাল মিডিয়াতে টার্গেটেড কনটেন্ট শেয়ার করুন
যদি আপনি মার্কেট রিসার্চ করে দেখেন যে আপনার অডিয়েন্স অনলাইনে একটিভ বেশি থাকে এবং কোন প্লাটফর্মে আসলে তারা একটিভ থাকে তা যদি আপনিইই জেনে যান তাহলে তখনই হবে উপযুক্ত সময় কনটেন্ট লেখার জন্য যার মাধ্যমে আপনি তাদের মনোযোগ কাড়তে পারেন।

অনেক ব্র্যান্ড এইটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকে যে সব গুলি সোশ্যাল মিডিয়াতে কনটেন্ট শেয়ার করলে “হ্যাকিং” হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আপনাকে এই বিষয়ে চিন্তা করতে হবেনা কারন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলিই তো আপনার আসল জায়গা যেখানে আপনি আপনার ব্র্যান্ড ম্যাসেজ ছড়িয়ে দিতে পারবেন ।

আপনি খুব সাধারণভাবে এমন কিছু আপনার কনটেন্ট এ শেয়ার করবেন যা পড়ে অডিয়েন্স মনে করে “আরে এ তো আমারি মনের কথা” পুরো কনটেন্ট টাই যেন পড়ে শেষ করে।

আপনি আপনার কনটেন্ট এ যা যা লক্ষ্য রাখবেন:
ইনফরমেটিভ বা তথ্যপূর্ণ
সঠিক
প্রাসঙ্গিক
সময়মত
খুব ভাল করে লেখা
আকর্ষক
অন ব্র্যান্ড (টোন, ভ্যালু এবং স্টাইল)
সেই মানবাধিকার আইনজীবীর উদাহরন যদি আবার টেনে নিয়ে আসি তাহলে কিছু কার্যকরি সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট আইডিয়া উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে:

একটি ভিডিও সম্প্রচারের মাধ্যমে এইটা দেখানো যেতে পারে যে কেমন ভাবে আইনজীবী ক্ষতিপূরণ যা তারা পাই তাই পেতে সহযোগিতা করবেন।
একটি ব্লগ পোস্ট এমন হতে পারে:” ১০টি মুল্যবান বিষয়ে জেনে নিন ক্ষতিপূরণ দাবি করার আগে”
লিগ্যাল বা আইনগত সব কাজগুলোর উপর একটি সবিস্তার প্রতিবেদন তৈরি করে রাখা।
জনমত তৈরির জন্য একটি পোল তৈরি করা কর্মক্ষেত্র আইনগুলির প্রয়োগ হচ্ছে কিনা জানতে।
একটি অনুকরন তৈরি করা যে একজন শক্ত মালিক এর সাথে কাজ করতে কেমন লাগে।

এইখানে কিছু কনটেন্ট এর উদাহরণ দেখানো হল যেগুলো আসলে কাজে আসেনা।

কোনও ক্যাপশন বা মন্তব্য ছাড়াই আপনার নতুন ব্লগ পোস্ট শেয়ার করা
“সার্বিক সহযোগিতা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন আজই” এই ধরনের একটা ভাবমূর্তি তৈরি করা জনসাধারণের মাঝে।
একটা আপডেট দেওয়া যে এই সপ্তাহে কি হবে আপনার অফিসে।
বর্তমান রাজনীতি এবং উৎসব নিয়ে কিছু লেখা।
একটি আগের যূগের মত একটি ব্যবসায়ীক ভিডিও তৈরি করা।
আপনি অবশ্যই অনেক ধরনের ভিন্ন ভিন্ন কনটেন্ট লিখবেন এবং তারপর দেখবেন কোনটা কাজ করে আর কোনটা কাজ করেনা। আপনার প্রতিযোগিরা আসলে কি শেয়ার করছে তাতে চোখ রাখবেন এবং তা আপনার অডিয়েন্স এর মাঝে কি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে তাও খেয়াল রাখবেন ।

সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করার থেকেও বেশি কাজ করে যেমন ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অথবা এলগোরিদমগুলি কে আরো উন্নতভাবে কাজে লাগানো যায় । আপনার অডিয়েন্স আসলে কি চাইছে তাই শেয়ার করে আপনার অডিয়েন্স কে আপনার দিকে টেনে আনুন।

আরও পড়ুন : বিজ্ঞাপন শুরুর আগে যেসব ফেসবুক মার্কেটিং পরিসংখ্যান জানা জরুরী !

Social Media Marketing – Content Marketing Masterclass 2020

৬) নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট গুলিতে উপস্থিত থাকুন
যদিও অনলাইনে তারপরও আমরা কিন্তু নিজেদের জন্য একটা ছোট্ট জায়গা করে নিতে পারি। যদিও এইটি সত্য যে মানুষ এখনও সরাসরি যোগাযোগ, নেটওয়ার্ক তৈরি করা এবং ব্যক্তিগত ভাবে মার্কেটিং করাটাই কার্যকরি।

শুধু সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট গুলোতে স্ট্রাটেজি পার্টনার খুজলেই হবেনা। বরং এমন কিছু বড় এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের সাথে সম্পর্ক তৈরিই করতে হবে যাতে তারা আপনার ক্লায়েন্ট হিসাবেও পরে যোগাযোগ করেন।

আপনি স্থানীয় ভাবে একটিভ থাকলে বা কাজ করলে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। যদি আপনি কোন কর্মশালা বা ওয়ার্কশপ আয়োজন করেন এবং কোন উৎসবে আয়োজন করেন সেইখানে নিজে অংশগ্রহণ করলেন তাও ভাল হবে। এই মাধ্যমগুলি লিড জেনারেশন তৈরি করতে পারে।

The Complete Facebook Ads Course – Beginner to Advanced

৭) বিজ্ঞাপন প্রচারনার জন্য PPC কে কাজে লাগান
আপনি যদি ভবিষ্যতে আপনার মার্কেটিং কাজগুলো আর বেশি সক্রিয় ভাবে করতে চান তাহলে (PPC )এর বিজ্ঞাপন প্রচারনা কাজে লাগাতে পারেন।

প্রাথমিক অবস্থায় Google ads আর Facebook ads ই আপনার বিজ্ঞাপন দেওয়ার প্লাটফর্ম হিসাবে নিতে পারেন এবং দুটোই আপনাকে সাহায্য করবে আপনার অডিয়েন্স কে টার্গেট করতে এবং বিজ্ঞাপন অনুযায়ি স্থানীয়ভাবে যেন কাজ করতে।

Ultimate Google Ads Training 2020: Profit with Pay Per Click

Googleএর বিজ্ঞাপন এবং Facebook এর বিজ্ঞাপন এর পার্থক্য
Google adsএ বেশি প্রাধন্য পায় কীওয়ার্ড এর মাধ্যমে যখন আপনার বিজ্ঞাপন টি জনসাধারণ দেখতে চাই সার্চ ইঞ্জিনে তখনই তা শেয়ার করবে।

যেমন: তাদেরকে টার্গেট করতে পারেন যাদের কে বলা হয়েছিল সেই মানবাধিকার আইনজীবী কে খুজে বের করা। এইটা এমন ভাবে হতে পারে যেমন:”এল এ ব্যক্তিগত আঘাত প্রাপ্য আটোর্নি” “ঢাকার পি আই আইনজীবী “এই রকম আরকি।

FaceBook এর বিজ্ঞাপন হল, আপনি আপনার সাইটের জন্য একটি ট্রাকিং যুক্ত করতে পারেন এতে করে আপনাকে অলরেডি যারা দেখেছন তাদের বাদ দিতে পারেন।

এছাড়াও আপনি কাস্টমস অডিয়েন্স তৈরি করতে পারবেন নির্দিষ্ট প্রচারনার জন্য একটি ভাল ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করা যায়।। যতবেশি আপনার ব্র্যান্ড ইমেজ বাড়বে তত বেশি ভিজিটর বাড়বে যারা পরবর্তীতে আপনার জন্য ক্রেতা হিসেবে কাজ করবে।

PPC হল খুব দ্রুত কাজ করবে আপনার ব্যবসার জন্য বা ক্লায়েন্ট এর জন্য। যদি এইখানে বাজেট থাকে তাহলে তা আপনার লোকাল ব্র্যান্ডিং কৌশলে ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন ।

পরিশেষে
যদিও কিছু কিছু বিষয় লোকাল মার্কেটিং বা লোকাল ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে সমস্যার কারন হয়ে দাড়ায়, এছাড়াও আরো অনেক মেথড আছে যা লোকাল ব্র্যান্ডের জন্য অনেক বেশি ট্রাফিক আনতে আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তু এইসকল টেকনিক নিয়ে কাজ করার আগে আপনাকে অবশ্যই লোকাল মার্কেট কি চায় এবং তারা আসলে কোন বিষয়ে সার্চ করছে এইগুলো জানতে হবে।

মার্কেট রিসার্চ এবং শক্তিশালী ব্র্যান্ড ম্যাসেজ তৈরি না করলে লোকাল ব্র্যান্ড তাহলে লসে পড়বে সময় নষ্ট হবে ভুল জায়গাতে ভুল কাজ করার জন্য ।আর অবশ্যই তাদের মার্কেটিং ক্যামপেইন খুব সাধারণ হবে যার কোনো প্রভাব পড়বেনা।

সুতরাং লোকাল ব্র্যান্ডিং স্ট্রেটেজি এর জন্য এই সাতটি পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারে। এতে করে আপনার ক্লায়েন্টকে আপনি আরো বেশি ফিরিয়ে আনতে পারবেন ।

ভালো লাগলে শেয়ার করুন

By ইনকাম নিউজ

আমি একজন ফ্রিল্যান্সার। নিজে আয় করার পাশাপাশি নতুনদের সহযোগীতা করতে ভালবাসি।

Leave a Reply

You missed

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ