তথ্য সুরক্ষায় শক্ত পাসওয়ার্ড দেওয়ার জন্য সবসময় সতর্ক করে থাকেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদরা। কিন্তু এরপরেও অনেকে এমন সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে যা সহজেই ভেঙ্গে ফেলতে পারে হ্যাকাররা।
যুক্তরাজ্যে এ বছরে হ্যাক হওয়া পাসওয়ার্ডগুলো প্রকাশ করেছে দেশটির ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার। পাসওয়ার্ডগুলো একেবারেই সাধারণ এবং সহজ। ফলে এগুলো সবচেয়ে বেশি হ্যাকড হয়।
একদমই অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, এসব পাসওয়ার্ডের মধ্যে আছে, ১২৩৪৫৬, ১২৩৪৫৬৭৮৯, ১১১১১১১ মতো একেবারেই পরিচিত কিছু সংখ্যা।
পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, pasword শব্দটিই পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করেন ৩৬ লাখ মানুষ। একইভাবে কি-বোর্ডের উপরের সারির প্রথম ছয়টি শব্দ qwerty পাসওয়ার্ড দেয় ৩৮ লাখ মানুষ।
খুব পরিচিত কিছু নামও পাসওয়ার্ড হিসেবে বেশিমাত্রায় ব্যবহার হয়। যেমন, অ্যাশলি, মাইকেল, ড্যানিয়েল, জেসিকা এবং চার্লি।
ফুটবলপ্রেমীরা অধিকাংশ সময় নিজেদের প্রিয় ক্লাবের নাম পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। যেমন দুই লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ ‘লিভারপুল’, ২ লাখ ১৬ হাজার মানুষ ‘চেলসি’, এক লাখ ৭৯ হাজার মানুষ ‘আর্সেনাল’ শব্দ দিয়ে পাসওয়ার্ড।
দেখে নিন সহজে হ্যাক হয়, এমন কতগুলো পাসওয়ার্ড
123456, 123456789, qwerty, Password, 1111111, Ashley, Michael, Daniel, Andrew, Joshua, Justin, Jessica, Jennifer, Anthony, Charlie
পাসওয়ার্ডে সুপারহিরো ও জনপ্রিয় সিনেহিরোর নামও খুব পরিচিত। এসব ক্ষেত্রে লাখ লাখ মানুষ ব্যবহার করে, ‘সুপারম্যান’, ‘পোকম্যান’, ‘ব্যাটম্যান’- এসব চরিত্র।
ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা পাবে যেভাবে…..
চলুন জেনে নিই টিপসগুলো ;;
১. আপনার ফেসবুক একাউন্টটি অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ( NID Card) এর নাম, জন্ম তারিখ এর সাথে মিল রেখে একাউন্ট তৈরি করবেন। আর যাদের মিল নেই তারা এক্ষুনি সেটি করে নিন।
তাহলে আপনাদের ফেসবুক আইডিটি ১০০% নিরাপদ থাকবে এবং আইডি ডিজাবেল বা নিস্ক্রিয় হবে না।।
যদি কোনো কারণে আইডিটি নিস্ক্রিয় হয়েও যায়, তবুও আপনার আইডি card টি ফেসবুক এ জমা দিলে আইডিটি ঠিক হয়ে যাবে।
২. আপনার গোপনীয়তা আপনার জন্মসাল,তারিখ, ইমেইল ও ফোন নাম্বারটি অবশ্যই Only Me ( অনলি মি ) করে রাখবেন।৩. আপনারা ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করার সময় নাম্বার এর সাথে ইমেইল যোগ করে দিবেন। কেননা ফেসবুক কতৃপক্ষ অনেকে আইডির নিরাপত্তা পর্যবেক্ষন করে, তখন যেসব আইডির ইমেইল যোগ করা থাকে না, সেগুলো ডিজাবেল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী।
৪. আপনার স্কুল, কলেজের, পাসপোর্ট,, স্মার্ট কাড বা বৈধ কোনো আইডি কাড ফেসবুক এ আপলোড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কেননা ওগুলো কাজে লাগিয়ে অনেকে আপনার ফেসবুক আইডি নষ্ট করে দিতে পারে।
৫. ফেসবুক এ থাকা সকল নতুন নতুন ফিচার অন বা চালু করে রাখুন।
৬.প্রোফাইল পিকচার গাড অন করে রাখাও ভালো। আর যারা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা প্রাইভেসি করে রাখতে চান, তারা অবশ্যই প্রোফাইল লক করে রাখতে পারেন ।
৭. পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ইউজ করবেন।
৮. অপরিচিত কোনো ব্যক্তি যদি আপনাকে কোনো link সেন্ড করে,, সেইসব Link এ Click করা থেকে বিরত থাকুন। অনেক ফিশিং সাইট রয়েছে যেগুলো link এ ক্লিক করলে ওইটি হুবহু ফেসবুক এর মতো দেখা গেলেও সেখানে আপনি লগ ইন করতে চাইলে, সেটি আপনার Log In Access information গুলো পেয়ে যাবে। এর ফলে হ্যাক হয়ে যাবে আপনার আইডিটি।
৯. Two Step Verification অবশ্যই চালু করে রাখবেন।১০.আপনি এমন একটি মেইল আইডি দিন যেটা এখনো ফেইসবুকে ব্যাবহার করা হয়নি।
আবার ফেইসবুক আপনাকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে।
আপনি যদি ভিক্টিমের ফ্রেন্ড হয়ে থাকেন তাহলে তো কথায় নেই,কারণ ভিক্টিমের ফেইসবুক প্রোফাইল রিলিটেড অনেক প্রশ্নের উত্তর আপনার যানা থাকবে/
যেমনঃ বার্থ ডেট,কোথায় থাকেন,সিক্রেট প্রশ্নের উত্তর ইত্যাদি।
১১.যদি আপনার যানা না থাকে তাহলে চিন্তা ভাবনা করে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
আপনি যদি প্রশ্ন গুলোর উত্তর ঠিকভাবে দিতে পারেন তাহলে আপনি ভিক্টিমের পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করতে পারবেন,তবে তার জন্যে ২৪ ঘন্টা সময় লাগবে।
১২.যদি আপনি ফেইবুক যে প্রশ্ন গুলো করেছে সেগুলোর সঠিক উত্তর না জানেন তাহলে এই পদ্ধতি টি ব্যাবহার করতে পারেন।১৩.মেইল আইডি হাইড করে রাখুন যাতে আপনি ছাডা আর কেও মেইল আইডি দেখতে না পারে (ফেইসবুক মেইল)
১৪.সিকুউরিটি প্রশ্নের উওর দেওয়ার সময় ভালো ভাবে চিন্তা করে দিন যাতে যাতে কেও আপনার সিকুউরিটি প্রশ্নের উত্তর না যেনে যায়।