সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা অবধি যে চাকরিটা করছেন, তা হয়তো আপনার মৌলিক চাহিদাগুলো মিটিয়ে দিচ্ছে ঠিকঠাক মতোই। তবুও মনে হয় আরো কিছু আয় করতে পারলে হয়তো আনুষঙ্গিক চাহিদাগুলো মেটানো সহজ হতো, সহজ হতো যাপিত জীবন। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে উচ্চশিক্ষা বা ভালো ডিগ্রি অর্জন ছাড়াও প্রত্যেকের দক্ষতা বা জ্ঞানের ঝুলিতে বাড়তি কিছু না কিছু থাকেই।
একটু খুলেই বলা যাক— প্রথম যেদিন স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন, তারপর একটু একটু করে শেখা হলো নাচ, গান, আবৃত্তি বা ছবি আঁকা। এরপর কৈশোরের ধাপ পেরিয়ে নিজেই হয়তো ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার গ্রাফিকের কাজটাও শিখে নিলেন মন দিয়ে।
এ তো বলা হলো উদাহরণস্বরূপ, এর থেকেও অনেক বেশি দক্ষতা অর্জন করেন আজকের নারীরা। চাকরি করার পাশাপাশি যারা বাড়তি আয় করতে চান, তারা নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়েই উন্মুক্ত করতে পারেন আয়ের দ্বিতীয় বা তৃতীয় উৎসের পথ—
ফ্রিল্যান্স রাইটিং:Online earning tips বাড়তি আয়ের জন্য নিজের লেখার দক্ষতা কাজে লাগান। ফ্রিল্যান্স রাইটার হিসেবে কাজ করলে সাধারণত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো প্রকাশনার জন্য আর্টিকেল লেখার বিনিময়ে সম্মানী দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে রাইটারের অভিজ্ঞতা, লেখনী ও আর্টিকেল কতটুকু বড়, তার ওপর নির্ভর করে টাকার পরিমাণ।
হাতের কাজ: আপনি যদি খুব ভালো ব্লক, বাটিক, টাইডাই, এপ্লিক বা সেলাইয়ের কাজ করতে পারদর্শী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার অসাধারণ এ দক্ষতাই হতে পারে বাড়তি আয়ের সহজ হাতিয়ার। একটু সময় নিয়ে এসব কাজগুলো করেই অনলাইন ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
তাছাড়া বর্তমানে হাতে গহনা তৈরি করেও আয় করছেন অনেক নারী, যেগুলো হয়ে উঠছে তাদের আয়ের উৎস আর ফ্যাশন সচেতন নারীদের প্রিয় ভূষণ। তাই নিখুঁত এসব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আপনি অনায়াসে হয়ে উঠতে পারেন ভবিষ্যতের সফল ব্যবসায়ী।
ফটোগ্রাফি: বর্তমানে প্রায় অনেকেরই ডিএসএলআর রয়েছে। ছবি তোলাটা যেন অন্যতম প্রিয় শখ হয়ে উঠছে। তাই শখ মেটানোর পাশাপাশি যদি ফটোগ্রাফিতে ছোটখাটো দু-একটা কোর্স করে ফেলতে পারেন, তবে খুলে যেতে পারে রোজগারের আরেকটি পথ।
শিক্ষাদান: খুব ভালো গাইতে, ছবি আঁকতে বা নাচ পারেন? শুধু এগুলোই নয় গিটার, পিয়ানোয় ভালো দখলসহ অন্যান্য গুণ যদি থাকে, তাহলে এগুলোর ক্লাস নিতে পারেন। কোন বয়সী শিক্ষার্থী হলে আপনার সুবিধা সে অনুযায়ী ক্লাস শুরু করুন, তা হতে পারে আপনার বাড়িতেই।
তাছাড়া ভালো ডেজার্ট আইটেম বানাতে যদি আপনার হাত হয় সিদ্ধ, তবে এও হতে পারে আপনার আয়ের উৎস। নিজের বাড়িতেই ডেজার্ট আইটেম শেখানোর আয়োজন করা যেতে পারে। আপনার আবাসস্থল, ক্লাসের সময় ইত্যাদির ওপর নির্ভর করে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করা খুব একটা কঠিন না।
Website Design: ওয়েবসাইট ডিজাইন করার বিষয়ে আগ্রহ ও দক্ষতা থাকলে নিজেকে এবার নিয়ে আসুন সামনের কাতারে। কারণ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানেই বর্তমানে নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে, ফলে ওয়েবসাইট ডিজাইনিংয়ে পারদর্শিতা থাকলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন ওয়েবসাইট ডিজাইনার।
Comments (No)