আজকে আমি বলবো বর্তমানে চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বা গুরুত্ব বেশি কেন সেই সম্পর্কে। তাহালে চলুন শুরু করা যাক। আপনি অবশ্যই জানেন দিনের দিনের পর সমগ্র বিশ্বের মানুষরা ডিজিটালিস হচ্ছে। একটু লক্ষ করেন দেখতে পাবেন করোননা ভাইরাস (COVID-19) এর সময় হাজার হাজার কোম্পানি থেকে লক্ষ লক্ষ কর্মীদের ছাটাই করা হয়েছে। (Freelancing vs full time job)
আর সেই সময়ে কিন্ত কোনো ফ্রিল্যান্সারকে ঘরে বসে থাকতে হয়নি। হয়তো তাদের কাজের পরিমান একটু কমে গেলেও কিছু দিন পরে আবার বেড়ে গেয়েছিলো। তাছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে ফেসবুক থেকে ই-কমার্সের মাধ্যমে অনেক বেকার কিন্ত তাদের কর্মসংস্থান এর ব্যবস্থা করে নিয়েছে। এসব নানা দিকের কথা চিন্তা করে বর্তমানে দেশে চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব বেশি দিচ্ছে। (freelancing vs government job)
বর্তমানে চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা বেশি কেন? (freelancing vs job bangla tutorial)
আমি নিজেও বলি ফ্রিল্যান্সিং চাকরি থেকে অনেক ভালো। কেন ভালো সেটা নিচে থেকে চলুন জেনে আসি।
(১) ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্তপেশা। এখানে কাজ করার সম্পর্ন স্বাধীনতা আছে।
(২) এখানে প্রতিদিন সকালে নিদিষ্ট সসময়ে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় জ্যামের করণে দেরি হলে অফিসের বসের ঝাড়ি শুনতে হবে না।
অবশ্যই পড়ুন – ব্লগিং (Blogging) শিখতে হলে কি কি বিষয়ে জানতে হবে
(৩) অফিসে আপনার বসকে (boss) কোনো কাজের বিয়ষে সাজেশন দিতে পারবেন না। কিন্ত একজন ফ্রিল্যান্সার (freelancer) তার ক্লায়েন্ট (client) কে কাজের বিষয়ে সাজেশন দিতে পারবেন।
(৪) কোনো বিশেষ দিনের জন্য ছুটি নেওয়ার জন্য অফিসের বসের অনুরোধ করা লাগবে না। কারণ ফ্রিল্যান্সাররা নিজে নিজের বস।
(৫) অবশ্যই চাকরির থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে বেশি পরিমানে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত অফিসে কাজ করে বেতন পাচ্ছেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। আর আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে দিনে ২ থেকে ৩ ঘন্টা কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা। (বড় বড় ফ্রিল্যান্সাররা মাসে ১ লক্ষ টাকার বেশি আয়)
(৬) একজন ফ্রিল্যান্সার নিজে নিজের বস (boss).
(৭) freelancing কাজের মধ্যে আপনি সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পাবেন। যা অন্য কোনো কাজের মধ্যে পাবেন না। আর এই অল্প সময়ে বেশি পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন।
তাহালে চলুন এবার ফ্রিল্যান্সিং আয় এর খারাপ দিক গুলো দেখে আসি।
(১) আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুরসংখ্যক টাকা আয় করতে চান তাহালে প্রথমে আপনাকে বেশ কষ্ট করতে হবে। মানে আপনাকে প্রথমে কষ্ট করে কাজ শিখতে হবে।
(২) টাকার নেশায় অর্ডার ক্যানসিল করতে না চাইলে রাতের পর রাত জেগে কাজ করতে হবে। এতে আপনার নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
অবশ্যই পড়ুন – চাকরি খোঁজার সময় যে কাজ গুলো কখনো করবেন না
(৩) একজন ফ্রিল্যান্সার দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের সামনে বসে থাকে। যার কারনে এক সময় চোখে সমস্যা, ঘাড় ব্যাথা, মাজা বাথার মতো নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
(৪) চাকরিতে আপনি প্রতিমাসে নিদিষ্ট পরিমানে বেতন পাবেন কিন্ত ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার এ কাজ না করলে টাকা আয় করতে পারবেন না।
(৫) এখানে নিজেকে তৈরি করতে আপনাকে ২ বছরের বেশি সময় দিতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে।
(৬) আপনি যদি জীবনের প্রথম দিক থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তাহালে ভালো। আর যদি আপনি এমন চিন্তা করেন কিছুদিন কাজ করে টাকা ইনকাম করবো তাহালে ফ্রিল্যান্সিং পেশা আপনার জন্য না। আপনাকে সময় নিয়ে প্রফেশনাল ভাবে কাজ শিখতে হবে।
অবশ্যই পড়ুন – Affiliate marketing কি? এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন
বন্ধুরা, আমি নিজেও একজন ফ্রিল্যান্সার। তাই বলে ফ্রিল্যান্সিং এগিয়ে রাখবে না। এখানে আপনাকে তৈরি করতে একটু সময় লাগলেও চাকরির থেকে আপনি অনেক বেশি ভালো থাকবেন। অন্তত নিজের শখের জিনিসের জন্য আপনাকে ২৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে না। তবে, যার পছন্দ সেটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আর মনে রাখবেন কোনো কাজই ছোট নয়।
সহজ এফিলিয়েটস ডট কম Sohojaffiliates.com
আর আপনি যদি একেবারে নতুন হন তাহলে আপনার জন্য ভাল হবে সহজ এফিলিয়েট। এখানে মাত্র ৫ টা ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখেই কাজ করতে পারবেন। ৫০০ টাকা হলেই উইথড্র দিতে পারবেন। ১ থেকে ২ ঘন্টায় পেমেন্ট দিয়ে দেয়। সাইটের লিংক সহজ এফিলিয়েটস।
আকজে আমরা কি শিখলাম
তাহালে, বন্ধুরা আজকে আমরা শিখলাম কি কারণে চাকরি থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর গুরুত্ব বেশি। আর আপনি কি জানেন বাংলাদেশে ৬.৫ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। তার মধ্যে ৬ লক্ষ ফ্রিল্যান্সার নিয়মিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয়। প্রথমে আছে ভারত (India). এই আর্টিকেল সম্পর্কে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তাহালে নিজে কমেন্ট করুন এবং ভালো লাগলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। ধন্যবাদান্তে সফল ফ্রিল্যান্সার টিম।
Comments (No)