Square Pharmaceuticals নতুনদের চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি

Square Pharmaceuticals নতুনদের চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি দেশের বাজারে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিকে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেক্টর হিসেবে ধরা হয়। এখানে কাজের সুযোগও অনেক। নতুনদের সুযোগ কেমন, কিভাবে নিয়োগ, প্রার্থীদের কাজে আসবে—দেশে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি দ্বিতীয় বৃহত্তম সেক্টর। দেশে আড়াই শতাধিক ওষুধ কম্পানি আছে। প্রতিনিয়ত এ সেক্টরের বাজার ও চাহিদা বাড়ছে। প্রতিবছর ১৫ শতাংশ হারে ওষুধের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলতে গেলেএমন সব বিষয়ে Square ফার্মাসিউটিক্যালসের উপমহাব্যবস্থাপক ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান ফখরুল হাসানের মুখোমুখি হয়েছেন পাঠান সোহাগ
Square Pharmaceuticals নতুনদের চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি
Square Pharmaceuticals নতুনদের চাকরির সুযোগ সবচেয়ে বেশি

কাজের সুযোগ এখন কেমন?

দেশে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি দ্বিতীয় বৃহত্তম সেক্টর। দেশে আড়াই শতাধিক ওষুধ কম্পানি আছে। প্রতিনিয়ত এ সেক্টরের বাজার ও চাহিদা বাড়ছে। প্রতিবছর ১৫ শতাংশ হারে ওষুধের বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলতে গেলে, দেশের লোকাল মার্কেটে প্রতিবছর ২০ থেকে ২২ হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়। তাই কাজের সুযোগও দিন দিন বাড়ছে।

লোকাল মার্কেটে চাহিদা পূরণ করে যেসব প্রতিষ্ঠান (যেমন—স্কায়ার, বেক্সিমকো, অপসোনিন, একমি, এসিআই, হেলথ কেয়ার) রপ্তানি করছে, স্বাভাবিকভাবেই সেসব প্রতিষ্ঠানে কাজের সুযোগটা সবচেয়ে বেশি।

কোন কোন বিভাগে বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়?

উত্পাদন, মার্কেটিং ও বিপণনের জন্য সবচেয়ে বেশি জনবল দরকার। আমরাও এসব বিভাগে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দিই। বর্তমানে Square ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিতে ১২ হাজার কর্মী আছে। এ প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ফ্রেসারদের জন্য নতুন ৫০০ থেকে ৬০০ পদ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া অনেক কর্মী সরকারি চাকরি, কর্মক্ষেত্র পরিবর্তন কিংবা বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চাকরি ছেড়ে দেন। এসব কারণে বছরে ৩০০ থেকে ৪০০ পদ খালি হয়। সব মিলিয়ে স্কয়ার প্রতিবছর এক হাজারের মতো জনবল নিয়োগ দেয়। আগামী পাঁচ বছরে এ সেক্টরের পরিধি দ্বিগুণ হবে, বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানেরও সুযোগও তৈরি হবে।

ফ্রেসারদের সুযোগ কেমন? বেতন কত?

চাকরিক্ষেত্রে একেবারে নতুন বা ফ্রেসার প্রার্থীদের আমাদের এখানে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে বেশি সুযোগ দেওয়া হয়। ফ্রেসাররা ‘এক্সিকিউটিভ অফিসার’ হিসেবে নিয়োগ পায়।

এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের শুরুতেই বেতন ধরা হয় ২৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া, কাজের দক্ষতার ওপর প্রতি বছর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ বেতন বাড়ে। সঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তো আছেই।

নিয়োগের প্রক্রিয়া কী, প্রার্থীরা কিভাবে আবেদন করবেন?

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করা থাকে। প্রয়োজন সাপেক্ষে বিডিজবস (নফলড়নং.পড়স) ছাড়াও বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রার্থীরা সরাসরি অনলাইনে আবেদন করেন। তবে বিশেষ ক্ষেত্রে ডাকযোগে কিংবা সরাসরি এসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ থাকে।

সিভিতে কী কী দেখা হয়?

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি পদের জন্য যথাযথ শিক্ষাগত যোগ্যতা, সিজিপিএ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অভিজ্ঞতা, বয়স উল্লেখ থাকতে হয়।

প্রার্থীদের সিভিতে এসব তথ্য ঠিকঠাক আছে কি না, প্রতিষ্ঠানের শর্তগুলো পূরণ হলো কি না—এসব বিষয়ই প্রাথমিকভাবে দেখা হয়।

অর্থাত্ সিভি যদি বিজ্ঞপ্তির সব শর্ত মেনে করা না হয়, তবেই আবেদন বাতিল করা হয়। আবেদন বাছাই করে শর্টলিস্ট করা হয়, শুধু তাঁরাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। 

পরীক্ষার ধরন কেমন?

ফ্রেসারদের নিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিষ্ঠান প্রথমে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নিয়ে থাকে। এই পরীক্ষায় বিষয়ভিত্তিক  প্রশ্নে ৬০ আর জেনারেল অংশে ৪০ নম্বর। জেনারেল অংশে সাধারণত ‘আইকিউ টেস্ট’ আকারে প্রশ্ন থাকে। এই পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের পর্যায়ক্রমে দুটি ভাইভা বোর্ডে অংশ নিতে হয়। দুটো বোর্ডে আলাদা আলাদা সদস্য। প্রথম ভাইভা বোর্ডে প্রার্থী নির্বাচিত হলে দ্বিতীয় ভাইভার জন্য ডাকা হয়। পরে চূড়ান্ত নির্বাচন। মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী দেখেই প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।

ভাইভায় কী দেখা হয়?

ভাইভা বোর্ডে সাধারণত কমিউনিকেশন স্কিল, অ্যাডভান্সড নলেজ, ম্যাচিউরিটি ও লজিক্যাল ট্রাম, চাকরি করার ইচ্ছা আছে কি না, অ্যাটিচ্যুড কেমন, টেকনিক্যাল নলেজ টেস্ট করা হয়।

এ ছাড়া কিছু সিমুলেশন টেস্ট, কিছু সাইকো মেট্রিক টেস্ট করা হয়। টেকনিক্যাল পদের ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।

চূড়ান্ত নির্বাচনে একজন প্রার্থী প্রয়োজন হলে আমরা চারজন নির্বাচন করে প্যানেলে রাখি। পরবর্তী সময়ে আরো প্রয়োজন হলে পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হয়।

কাজের চ্যালেঞ্জ কী কী?

এখানে প্রতিনিয়ত আপডেট থাকতে হয়। চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রতিটি ধাপে মেধার পরিচয় দিতে হয়। সাধারণ মানুষের নিরাময় ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হয়। কোনো কাজে অবহেলা করা যাবে না। কর্মী নিয়োগের পর ন্যূনতম ছয় মাসের স্ট্রাকচারাল ট্রেনিং দেওয়া হয়। এর মধ্যে এক মাসের ওরিয়েন্টেশন ট্রেনিংও আছে। এ ছাড়া সুপারভাইজরের মাধ্যমে প্রতি মাসে ট্রেনিং হয়। বিশেষ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশেও পাঠানো হয়।

নতুনদের জন্য কী পরামর্শ দেবেন?

আপনি কী করবেন, সেটা আগে ঠিক করুন। যদি আপনি ফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানিতে কাজ করার জন্য মন স্থির করেন, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানে কোন পদে চাকরি করবেন, সেটা বাছাই করুন। পদসংশ্লিষ্ট কাজের ব্যাপারে বেসিক ধারণা রাখতে হবে। বিষয়ভিত্তিক টেকনিক্যাল বিষয়গুলোর ওপরও জানাশোনা থাকতে হবে। নিয়োগ পাওয়ার পর হাতে-কলমে কাজ করার জন্য মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। কোনো কাজকেই ছোট করে দেখা যাবে না। এই চাকরিতে যোগ দিয়ে অন্য চাকরির পেছনে দৌড়ালে খুব একটা ভালো করা যাবে না। তাই মন স্থির রেখে ভালোভাবে কাজ করে গেলেই ভালো পদে ওঠা যাবে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ