একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন করা যতটা না কষ্টকর তার চাইতে কয়েকগুন কষ্টকর হচ্ছে AdSense Account Banned হওয়া থেকে রক্ষা করা। সাধারণত কিছু ভালোমানের পোস্ট ও সামান্য পেজভিউ থাকলে খুব সহজে একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন পাওয়া যায় কিন্তু অনুমোদন পাওয়ার পর সেটি ধরে রাখা ও আয় করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় একজন এ্যাডসেন্স পাবলিশার এ্যাডসেন্স পলিসি না জানার কারনে কিংবা এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহারের যথাযথ নিয়ম না জানার কারনে দীর্ঘ দিনের কষ্টে অর্জিত গুগল এ্যাডসেন্স একাউন্টটি অল্প দিনেই Banned বা Disabled হয়ে যায়। আপনারা জানেন যে, একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট একবার Banned বা Disabled হওয়ার পর সেই একাউন্টটি কোনভাবে ফিরে পাওয়া যায় না।
এ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বলতে পারেন যে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। কারণ এ্যাডসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে অল্প কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়ে যায় কিন্তু এ্যাডসেন্স ধরে রাখার বা Banned হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার হাজার হাজার নিয়ম কানুন মেনে চলতে হয়। সেই নিয়মগুলো যথাযথভাবে অনুসর না করলে এ্যাডসেন্স টিম আপনাকে কোন ধরনের নটিফিকেশন না জানিয়ে যেকোন সময় AdSense Account Banned করে দিবে। সে জন্য দেখা যায় যে, একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন করা স্বাধীনতা অর্জনের মত সহজ এবং এ্যাডসেন্স একাউন্ট রক্ষা করা স্বাধীনতা রক্ষা করার চাইতে অধিক কঠিন।
আপনাদের মধ্যে ইতোপূর্বে যাদের এ্যাডসেন্স একাউন্ট Banned বা Disabled হয়েছে কেবলমাত্র তারাই এ কষ্ট উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আমার নিজের একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট অনেক দিন পূর্বে ব্যান হয়েছে। তখন আমার এ্যাডসেন্স একাউন্টে প্রায় ১৮০ ডলার জমা ছিল। এ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়ার কারনে আমার একাউন্টের কোন টাকা উত্তোলন করতে পারিনি। আমার Banned হওয়া এ্যাডসেন্স একাউন্টটি উদ্ধার করার জন্য বেশ কয়েকবার গুগল এ্যাডসেন্স টিমের সাথে যোগাযোগ করেছি কিন্তু তারা কোনভাবে আমার এ্যাডসেন্স একাউন্টটি ফিরিয়ে দেয়নি। তাছাড়া আপনারা এটাও জানেন যে, একটি ওয়েবসাইট এর এ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়ার পর সেই ওয়েবসাইট দিয়ে পুনরায় নতুন কোন এ্যাডসেন্স একাউন্ট অনুমোদন পাওয়া যায় না। অর্থাৎ একটি ব্লগ একবার ব্যান হওয়ার পর সেটি দিয়ে পুনরায় এ্যাডসেন্স অনুমোদনের সম্পূর্ণ পথ বন্ধ হয়ে যায়।
আজকের পোস্টে আমরা একটি AdSense Account Banned হওয়ার প্রধান কয়েকটি কারন নিয়ে আলোচনা করব। সেই সাথে কিভাবে একটি AdSense Account Banned বা Disabled হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবেন সেই বিষয়ে আলোচনা করব। তাছাড়া গুগল এ্যাডসেন্স এর নির্দেশনা মোতাবেক প্রশ্ন ভিত্তিক AdSense Account Banned হওয়ার কারন ও Disable হওয়া থেকে কিভাবে রক্ষা করতে হবে তার পূর্ণাঙ্গ উপায় তুলে ধরব।
কি কি কারনে AdSense Account Banned হয়?
মূল বিষয় শুরু করার আগে একটি বিষয় আপনাদের ক্লিয়ার করে বলছি যে, আপনার কষ্টে অর্জিত AdSense Account Banned হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সকল প্রকার চালাকি থেকে দূরে থাকতে হবে এবং এ্যাডসেন্স এর পূর্ণাঙ্গ Guideline অনুসরন করে এ্যাডসেন্স ব্যবহার করতে হবে। কারন গুগল এখন অনেক স্মার্ট, চালাক ও বুদ্ধিমান।
গুগল এ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপন এনালাইসিসের জন্য আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্ট (AI) ব্যবহার করে থাকে। কাজেই আপনার আয়ের পরিমান বৃদ্ধি করার জন্য যত ধরনের অবৈধ সুক্ষ চালাকি অনুসরণ করুন না কেন গুগল সেটি সহজে সনাক্ত করে নিবে। সাধারণত নিম্নোক্ত কারনে একটি AdSense Account Banned হয়ে থাকে।
০১। Invalid Click:
অধিকাংশ এ্যাডসেন্স একাউন্ট Invalid Click এর কারনে Banned বা Disabled হয়। বেশীরভাগ নতুন এ্যাডসেন্স পাবলিশারগণ তাদের ব্লগের নিজের বিজ্ঞাপনের উপরে নিজেই ক্লিক করে আয় বৃদ্ধি করার চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রে অনেকে VPN এর মাধ্যমে আইপি এড্রেস পরিবর্তন করে কিছুক্ষণ পর পর নিজের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করতে থাকেন। তাছাড়া নিজের বন্ধু বান্ধবদের ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার জন্য উৎসাহিত করেন। আপনি ভাবেন এ্যাডসেন্স এগুলো বুঝতে পারবে না এবং আপনার আয় বৃদ্ধি পেয়ে যাবে। আমি আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছে যে, আপনি এ ধরনের কাজ করে থাকলে খুব শীঘ্রই AdSense Account Banned হয়ে যাবে। কারণ Invalid Click এর কারনে প্রতিদিন হাজার হাজার এ্যাডসেন্স একাউন্ট Disabled হচ্ছে।
তাছাড়া আপনার ব্লগের কোন ভিজিটর প্রতিনিয়ত বিজ্ঞাপনে ক্লিক করছে কি না সেটাও লক্ষ করুন। কারন কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনে প্রচুর পরিমানে ক্লিক করলে আপনার AdSense Account Banned হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু লোক হিংসাত্মকভাবে এ্যাডসেন্স Disable করে দেওয়ার জন্য এ কাজটি করে। এ ধরনের সমস্যার সম্মুখি হলে যথাশীঘ্রই বিষয়টি গুগল এ্যাডসেন্স টিমকে ইমেইল এর মাধ্যমে জানিয়ে রাখবেন। তাহলে এ্যাডসেন্স আপনার ইমেইল পড়ে বুঝতে পারবে এবং একাউন্ট ব্যান না করে জাস্টিফাই করবে।
০২। Invalid Activities:
একটি AdSense Account Banned হওয়ার ক্ষেত্রে Invalid Activities আরেকটি বড় কারন। Invalid Activities এর অনেক বিষয় রয়েছে। আপনি বার বার নিজের ব্লগের পোস্ট ভিজিট করলে সেটাও Invalid Activities বলে গন্য হবে। তাছাড়া আপনি কোন ধরনের সফটওয়ার ব্যবহার করে অটোমেটিকভাবে পেজভিউ বাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটাও হবে Invalid Activities. এ ছাড়াও টাকার বিনিময়ে কোন ধরনের পেইড ট্রাফিক এর মাধ্যমে Page Impression বৃদ্ধি করলে সেটা Invalid Activities বলে গন্য হবে।
০৩। এ্যাডসেন্স কোড পরিবর্তনঃ
গুগল এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন শো করানোর জন্য যে কোড দেয় সেগুলো কখনো পরিবর্তন করা যাবে না। কারন এ্যাডসেন্স কোড পরিবর্তন করে ব্যবহার করা এ্যাডসেন্স এর নিয়মের সম্পূর্ণ পরিপন্থি কাজ। কিছু লোক রয়েছে যারা এ্যাডসেন্স এর কোড কনভার্ট করে এবং বিজ্ঞাপনের ডিজাইন পরিবর্তন করে। আপনি পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন যে, এ ধরনের কাজ করলে গুগল যে কোন মুহুর্তে আপনার AdSense Account Banned করে দিবে।
০৪। কপিরাইট কনটেন্টঃ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদনের পূর্বে সবাই ভালোমানের ইউনিক আর্টিকেল ব্লগে শেয়ার করে। তবে এ্যাডসেন্স অনুমোদনের পর ব্লগ/ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এর উপর গুরুত্ব না দিয়ে আয়ের দিকে বেশী মনোযোগি হয়ে পড়ে। যার ফলে নিজে ইউনিক আর্টিকেল না লিখে বিভিন্ন ভালোমানের ব্লগ থেকে উন্নতমানের কনটেন্ট কপি করে ব্লগে শেয়ার করতে থাকে। এই কাজটি করার ফলে গুগল বট সহজে কপিরাইট কনটেন্ট সনাক্ত করে এ্যাডসেন্স এর কাছে রিপোর্ট করে। তাছাড়া কপিরাইট কনটেন্ট এর প্রকৃত মালিক যখন আপনার ব্লগের কনটেন্ট সম্পর্কে গুগল এর কাছে রিপোর্ট করবে এবং কপিরাইট কনটেন্টে এ্যাডসেন্স ব্যবহারের বিষয়টি জানাবে তখন এ্যাডসেন্স টিম মুহুর্তে আপনার AdSense Account স্থায়ীভাবে Banned করে দিবে।
০৫। অপর্যাপ্ত কনটেন্টঃ
আপনি নিশ্চয় জানেন যে, গুগল এ্যাডসেন্স টিম ২০১৮ সাল থেকে এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহারের সংখ্যা নির্ধারনের পলিসি বাতিল করে দিয়েছে। যার ফলে আপনি ইচ্ছামত যত খুশি ততটি বিজ্ঞাপন আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সাথে গুগল এ্যাডসেন্স আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করেছে যে, আপনি যত খুশি তত বিজ্ঞাপন ব্যবহার করেন, তবে যেখানে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছেন সেখানে কনটেন্ট এর তুলনায় বিজ্ঞাপন যাতে কোনভাবেই বেশী না হয়। এ বিষয়টি না বুঝার কারনে কম কনটেন্ট এর মধ্যে অধিক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার ফলে অনেকের AdSense Account Banned হয়ে যায়।
০৬। অনুপোযুক্ত জায়গায় বিজ্ঞাপন ব্যবহারঃ
এ্যাডসেন্স এর CTR বৃদ্ধি করার জন্য অধিকাংশ এ্যাডসেন্স পাবলিশার চালাকি করে কন্টেন্ট এর ভীতরের অনুপোযুক্ত স্থানে বিজ্ঞাপনর এর কোড বসান। যেমন – ডাউনলোড লিংক এর কাছে বিজ্ঞাপন বসিয়ে দিয়ে লিখে দেন ডাউনলোড করার জন্য উপরের স্থানে ক্লিক করুন বা আকর্ষণীয় ফিচার্সটি ডাউনলোড করার জন্য উপরের স্থানে ক্লিক করুন। এ গুলো করার ফলে একজন পাঠক ভূলভাবে উৎসাহিত হয়ে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। যার ফলে এ্যাডসেন্স এ ক্লিক করার পরিমান বৃদ্ধি পায়। গুগল এ্যাডসেন্স এ ধরনের কাজকে সম্পূর্ণ অবৈধ বলে ঘোষনা করেছে।
০৭ । অন্যান্য বিজ্ঞাপন ব্যবহারঃ
গুগল এ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য বিজ্ঞাপন ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে নিষেধ করছে না। তবে তারা বলছে যে, কিছু বিজ্ঞাপন কোম্পানি রয়েছে যেগুলো মানসম্মত নয় সেগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সমর্থন করছে না। এ্যাডসেন্স এর পাশাপাশি Infolink এর মত কম গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞাপন ব্লগে ব্যবহার করলে যে কোন সময় আপনার AdSense Account Banned হতে পারে। তাছাড়া এ্যাডসেন্সের চাইতে অন্য কোম্পানির বিজ্ঞাপন কোন ভাবে যেন বেশী না হয় সেটিও লক্ষ্য রাখতে হবে।
০৮। অবৈধ কন্টেন্টঃ
কপিরাই ছাড়াও আরো অনেক ধরনের অবৈধ কন্টেন্ট রয়েছে যেগুলো অনলাইনে শেয়ার করার জন্য গুগল কখনো অনুমোদন করে না। আপনি হয়ত একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, অনলাইনে অনেক ভালোমানের মুভি শেয়ারিং সাইট রয়েছে যেগুলো অনেক জনপ্রিয় এবং তাদের ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর রয়েছে। অথচ সেই ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স এর বিজ্ঞাপন নেই। কারণ এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলি অবৈধভাবে মুভির মালিকের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করে থাকে। যার ফলে গুগল এগুলোতে এ্যাডসেন্স অনুমোদন করে না। আপনার ওয়েবসাইটে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হওয়ার পর এ ধরনের কোন অবৈধ কনটেন্ট ব্যবহার করলে AdSense Account Banned হতে পারে। অবৈধ কনটেন্ট এর মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলি রয়েছে।
- পর্ণগ্রাফি ও Adult কনটেন্ট।
- প্রতিহিংসামূলক বিষয়।
- জাতিগত বেধাবেধ।
- বর্ণবাধিতা।
- হ্যাকিং ও ক্রেকিং।
- জুয়া ও জুয়ার আড্ডাখানা।
- ড্রাগ, অ্যালকোহল এর প্রচারনা।
- অস্ত্র ও অস্ত্রোপচার।
- ছাত্র ছাত্রী ভূল শিক্ষা।
- শিশু ঝুকিপূর্ণ কন্টেন্ট।
০৯। Unsupported Language:
যে সমস্ত ভাষায় গুগল এ্যাডসেন্স সাপোর্ট করে না সেই ধরনের ভাষার ব্লগ/ওয়েবসাইটে কখনো এ্যাডসেন্স ব্যবহার করবেন না। পূর্বে যখন এ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করত না তখন অনেক এ্যাডসেন্স পাবলিশার বাংলা কনটেন্টের ব্লগে এ্যাডসেন্স ব্যবহার করার কারনের AdSense Account Banned হয়েছে। তবে এখন এ্যাডসেন্স বাংলা ভাষা সাপোর্ট করার কারনে ভাষা জনিত কোন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে না। তবে আপনি অন্য কোন ভাষায় ব্লগিং করলে আপনার কাঙ্খিত ভাষাটি এ্যাডসেন্স সাপোর্ট করে কি না সেটি যাচাই করে নিবেন। তাছাড়াও এ্যাডসেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রত্যেটি ব্লগ অনুমোদন করাতে হয় বলে এ সমস্যাটি অনেকটা অপ্রতুল হয়েগেছে।
১০। AdSense Account Banned হওয়া অন্যান্য কারনঃ
উপরের সবগুলো কারন ছাড়াও এ্যাডসেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনাকে আরো সতর্ককতা অবলম্বন করতে হবে। আপনি এ্যাডসেন্স এর সকল নিয়ম না মেনে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করলে কোনভাবে আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্টকে পরিপূর্ণ নিরাপদ বলতে পারবেন না। উপরের কারন ছাড়া নিচের কারনগুলোর জন্য আপনার AdSense Account Banned হতে পারে।
- ব্লগ/ওয়েবসাইটের Popup এ এ্যাডসেন্স ব্যবহার।
- সাইডবারে অথবা অন্য কোথায় Sticky বিজ্ঞাপন ব্যবহার।
- অনুমোদনকৃত নয় এমন ব্লগে বিজ্ঞাপন কোড বসানো (২০১৯ সালের নতুন আপডেট)।
- পূর্বের ব্যান হওয়া কোন ব্লগে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা।
- লগইন পেজ, ওয়েলকাম পেজ ও 404 Error পেজে বিজ্ঞাপন ব্যবহার।
কিভাবে AdSense Banned হওয়া থেকে রক্ষা করবেন?
এ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হওয়ার মত উপরের ১০ টি প্রধান কারন থেকে আপনি ইতোপূর্বে বুঝতে পেরেছেন যে, একটি AdSense Account Banned হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য আপনাকে কি কি করতে হবে? একটি এ্যাডসেন্স একাউন্ট পরিপূর্ণ নিরাপদ রাখার জন্য উপরের কাজগুলো ছাড়াও আরো কিছু নিরাপত্তা অবলম্বন করতে হবে। এ্যাডসেন্স একাউন্ট নিরাপদ রাখার জন্য সবগুলো পদ্ধতি অনুসরণ করলে কখনো আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্ট ব্যান হবে না।
এখন আমরা গুগল এ্যাডসেন্স এর নিজেস্ব নির্দেশনানুসারে প্রশ্ন ভিত্তিক আলোচনা করব যে, আপনার এ্যাডসেন্স একাউন্ট পরিপূর্ণ নিরাপদ রাখার জন্য আপনার করণীয় কি?
- প্রশ্ন-১ঃ ভূলবশত আমার ব্লগের বিজ্ঞাপনের উপরে ক্লিক করে ফেলেছি! এতে কি কোন ধরনের সমস্যা হবে?
- প্রশ্ন-২ঃ আমার ব্লগের বিজ্ঞাপনে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে বার বার ক্লিক করলে আমার করণীয় কি?
- প্রশ্ন-৩ঃ আমি কি আমার ব্লগের বিজ্ঞাপন দেখতে পারি? এতে কোন সমস্যা হবে কি না?
- প্রশ্ন-৪ঃ আমার নিজের পেজভিউ গণনা না হওয়ার জন্য কি নিজের IP ব্লক করতে পারি অথবা অন্য কারো IP ব্লক করতে পারি?
- প্রশ্ন-৫ঃ IP এড্রেস পরিবর্তন করে ব্লগে/ওয়েবসাইটে ভিজিট করলে কি কোন সমস্যা হবে?
- প্রশ্ন-৬ঃ হঠাৎ করে আকস্মিকভাবে আমার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর বৃদ্ধি পেয়েছে, এ ক্ষেত্রে আমার এ্যাডসেন্স একাউন্টের কোন সমস্যা হবে কি না?
- প্রশ্ন-৭ঃ গুগল Custom Search Box এ এ্যাডসেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে সার্চ বক্সটি কি আমি নিজেও ব্যবহার করতে পারব?
- প্রশ্ন-৮ঃ Invalid Traffic বলতে কি বুঝানো হচ্ছে?
এ্যাডসেন্স একাউন্ট নিরাপদ রাখার পরামর্শঃ
আমার মনেহয় আপনি ইতোপূর্বে একটি AdSense Account Banned হওয়া থেকে রক্ষা করার সকল কৌশল জেনে গেছেন। একজন এ্যাডসেন্স পাবলিশার উপরের সকল নিয়ম যথাযথভাবে অনুসরন করলে আমার মনেহয় কখনো এ্যাডসেন্স একাউন্ট Disabled হবে না। আপনি একজন WordPress ইউজার হয়ে থাকলে এ্যাডসেন্স একাউন্ট রক্ষা করার জন্য AICP Plugin টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার এ্যাডসেন্সকে বার বার ক্লিক থেকে রক্ষা করবে। তবে আপনি BlogSpot ব্যবহার করে থাকলে আপনার এ্যাডসেন্স এর CTR ঘন ঘন চেক করতে হবে। সহজে ও বার বার CTR চেক করার জন্য AdSense মোবাইল এ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন। কোন কারনে আপনার এ্যাডসেন্স এর CTR খুব বেশী হয়ে গেলে ব্লগ থেকে বিজ্ঞাপন কোড সরিয়ে নিবেন এবং সেই বিষয়ে এ্যাডসেন্স টিমকে জানিয়ে রাখবেন।