Freelancing বর্তমান সময়ে পত্রপত্রিকা, টিভি-ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ও লোকমুখে খুব আলোচিত একটি শব্দ। এ সম্পর্কে ভাল ধারণা না থাকলেও শব্দটি শোনেনি এমন কাউকে খুজে পাওয়া কঠিন। কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার বা ২/১ মাসের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা আয়ের মতো কল্পকাহিনী জড়িয়ে রয়েছে ‘Freelancing ‘ এর সঙ্গে।
ব্লগসাইটগুলোতে কিম্বা ট্রেনিং সেন্টারগুলোর পোষ্টারে দেখা যায় কম্পিউটারের পর্দা থেকে ডলার উড়ে আসছে, যেন ধরার লোক না কিম্বা পায়ের উপর পা তুলে ডলার গুণছেন।ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) এর অর্থ হলো মুক্তপেশা। অন্যভাবে বলা যায়, নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মুক্তভাবে কাজ করা কে Freelancing বলে। এ ধরণের পেশাজীবিকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার (Freelacer) বা মুক্তপেশাজীবি।ফ্রিল্যান্সিং বা ফ্রিল্যান্সার শব্দগুলো আমাদের কাছে সাম্প্রতিক হলেও এই ধরনের পেশার সঙ্গে আমরা অনেক আগে থেকেপরিচিত। ঠিকাদার, পত্রপত্রিকার কলাম লেখক, স্থানীয় সাংবাদিক, আপনার বাসার/ভবনের ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী – এরা নির্দিষ্ট একটি পত্রিকা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকেনা; একই সাংবাদিক অনেকগুলো সংবাদপত্রের সঙ্গে কাজ করে, একই ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রী অনেকগুলো কাজে যুক্ত থাকে কিম্বা কোন কাজ ১৫-২০ মিনিটে শেষ করে, আবার কোন কাজ মাসব্যাপী চলতে পারে।
চাকরীজীবিদের মতো এরা বেতনভুক্ত নয়। কাজ ও চুক্তির উপর নির্ভরকরে আয়ের পরিমাণ কম বা অনেক বেশি হতে পারে। তবে, এখন Freelancing বলতে আমরা সেইকাজগুলোকে বুঝি যেগুলো কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়এবং কাজগুলো হয় বিদেশেীদের জন্য (মূলত পশ্চিমা ও ইউরোপের দেশগুলো) এবং প্রাপ্তিটা হয় আমরেকিান ডলার বা ব্রিটিশপাউন্ডে বা ইউরোতে।
চাকরী, ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সিং ..আমরা সাধারণতঃ ২ ধরণের পেশার সঙ্গে পরিচিত – চাকরী ও ব্যবসায়। (আপনার মাথায় হয়তো ভিক্ষাবৃত্তির কথা চলে এসেছে; তবে ওটা কোন পেশা নয়)। যাহোক, চাকারীতে আপনি নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদে চুক্তিবদ্ধ থাকেন; মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করেন এবং এতে আপাতঃ কোন বিনিয়োগের দরকার পড়েনা। অন্যদিকে ব্যাবসায় একাধিক ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধবা বিনিময়ে সম্পৃক্ত থাকেন, আয় কয়েক মিনিট বা কয়েক মাসে হতে পারে।
ব্যবসায়ে আয়ের পরিমাণও নির্দিষ্ট নয় এবং বিনিয়োগের (Invest) জন্য কম-বেশি টাকা বা স্থাবর সম্পদের প্রয়োজন হয়।Freelancing চাকরী ও ব্যবসায়ের চেয়ে একটু আলাদা। চাকরীতে যেমন আপনাকে কোন বিষয়ে শিক্ষিত ও দক্ষ হতে হয় ফ্রিল্যান্সিং এও তাই। আবার ব্যবসার মতোএখানে তেমন বিনিয়োগ করা লাগে না। মোটামুটি একটা কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ হলে হয়ে যায়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে মুলবিনিয়োগ আপনার দক্ষতা, শ্রম ও সময়। এগুলোর উপর নির্ভর করে আপনার আয়ের পরিমাণ কয়েক লক্ষটাকা পর্যন্ত হতে পারে।
সত্য-মিথ্যা
যেকোন ভাল মোবাইলের যেমন একটা চাইনিজ সংস্করণ বাজারে এসে যায়, তেমন Freelancing এর নতুনত্ব ও জনপ্রিয়তাকে ভর করে ডুল্যান্সার, ক্লিকল্যান্সার জাতীয় কিছু ফাঁদ একসময় ছড়িয়েছিল। সেসব তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ঋনাত্মক ধারণা প্রচলিত যেমনঃ
১) Freelancing এ কোন পরিশ্রম নাই,
২) কাজ করে টাকা পাওয়া যায় না কিম্বা টাকা উত্তোলন করা যায় না.. ইত্যাদি ইত্যাদি।
প্রকৃতপক্ষে ফ্রিল্যান্সিং যথেষ্ট পরিশ্রমের কাজ এবং ডাচবাংলা, ব্র্যাক এর মতো অনেকগুলো বেসরকারী ব্যাংকে ৬ঘন্টার মধ্যে টাকা উত্তোলন করা সম্ভব
কতটা আয় করা যায়?
আবার বলতে হয়, আয় নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, শ্রম ও সময়ের উপর। আপনি কাজ করলেননা, কোন আয় নেই।
পক্ষান্তরে আপনি মূল্যবান কোন বিষয়ে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করলে আয় বেশি হবে।
এই আয়ের সীমা আপনার উপর নির্ভর করে।
যেসব বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল ডেভেলপমেন্ট, প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্কিং, লেখালেখি, সাপোর্ট (সেবা/পণ্যের সঙ্গে জড়িত সহযোগীতা), বিক্রয় ও বিপনন (মার্কেটিং), ব্যবস্থাপনাইত্যাদি, খুচরো করে বললে প্রায় ৬০/৭০ টি বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়।কোথায় করবেন? কোথায় আবার! বাড়িতে, মেসে, নিজের ঘরে, ক্যাম্পাসে আপনি যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন সেখানে বসে কাজ করতে পারেন।
আ’মলো যা! কোথায় কাজ পাওয়া যায়?ফ্রিল্যান্সিংএর কাজগুলো যেখানে পাওয়া যায় বা করা হয় সেগুলোকে মার্কেটপ্লেস বলে। ইল্যান্স,মাই পেয়িং এডস , ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, থিমফরেষ্ট, কোডক্যানিও”য়ন ইত্যাদি কয়েকটি ভাল মার্কেটপ্লেস।
আপনাদের একটা লিংক দিলাম এখানে কম টাকা invest. করে আপনি সফল হতে পারেন
Comments (No)