Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত]

Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত]
Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত]
Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত] বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের কাছে প্রক্সি কথাটি বলা চলে তাদের জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে কিন্তু প্রক্সি কথাটি শুনে নাই এমন শিক্ষার্থী খুঁজে পাওয়া আসলেই অসম্ভব। তবে ইন্টারনেটে প্রক্সি সার্ভার(অনেকে শুধু প্রক্সি বলে থাকে) বলে কিছু একটা যে আছে সেটা হয়ত অধিকাংশ বাঙালি জানতে পেরেছে, যখন আমাদের দেশের সরকার ফেসবুক ব্লক করে দিয়েছিল।

এজন্য অনেকের ধারনা Proxy Server মূলত ব্লক ওয়েবসাইট আনব্লক করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে কথাটি কিছুটা সত্যি হলেও প্রক্সি সার্ভার এর সাথে আরো অনেক কিছু। আর সেটাই আমরা আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে চলেছি।

Proxy Server কি?

এটি মূলত কি সেটা বোঝার জন্য চলুন আমার স্কুল জীবন থেকে একটু ঘুরে আসি। নবম শ্রেনীতে থাকা অবস্থায় আমার এক বন্ধু একজনকে পছন্দ করে এবং তাকে প্রপোজও করতে চেয়েছিল। তবে আমার বন্ধু এটা জানতো না যে মেয়েটি সিঙ্গেল নাকি মিঙ্গেল। কিন্তু সমস্যা হলো আমার বন্ধু সেই মেয়েকে এটা জিজ্ঞেস করতে লজ্জা পাচ্ছিল(প্রথম প্রেমে পড়েছিলোতো তাই)। আর এসব কাজে বন্ধুরা যে অনেক দায়িত্ববান হয়ে থাকে, সেটা নিয়ে কারো সন্দেহ থাকার কথা না। এজন্য আমি ঠিক করলাম,আমি গিয়ে মেয়েটাকে এটা জিজ্ঞেস করবো। যেই ভাবা সেই কাজ।

তবে এখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। কি ভাবছেন? পাবলিকের মার খেয়েছিলাম মনে করছেন। জী না। ঘটনা ঘটেছিল এরকম, মেয়েটা শুধু জেনেছিল যে প্রশ্নটা আমি করেছি। কিন্তু এই প্রশ্নের আসল মালিক যে আমার বন্ধু ছিল, সেটি মেয়েটা কখনোই জানতে পারেনি (যদি না আমার বন্ধু মেয়েটাকে এটা না বলে থাকে)। এই বাস্তবধর্মী ঘটনা থেকে কি বুঝতে পারলেন? ঘটনাটিতে আমি আমার বন্ধু এবং মেয়েটির মাঝখানে ছিলাম অর্থাৎ আমি একজন মিডলম্যান হয়ে আমার বন্ধুর কাজটি করেছিলাম।

Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত] 1

ঠিক একইভাবে Proxy Server মাধ্যমে আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করেন, তখন এটি মিডলম্যান হয়ে পরোক্ষভাবে আপনাকে ওয়েবসাইটি অ্যাক্সেস করতে দেয়।

কিভাবে কাজ করে?

কিভাবে কাজ করে সেটা বুঝতে হলে আমাদের আইপি অ্যাড্রেস এবং ডিএনএস সার্ভার সম্পর্কে একটু জানতে হবে।

আইপি অ্যাড্রেস

পৃথিবীর প্রত্যেকটি ডিভাইসের একটি ইউনিক আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে। আর এটা মূলত ব্যবহৃত হয় ইন্টারনেটের সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার জন্য। এজন্য আপনি যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েছেন তারাই এই আইপি অ্যাড্রেসটি দিয়ে থাকে। আরও সহজভাবে বুঝতে হলেঃ-

কল্পনা করুন পৃথিবীর প্রত্যেকটি ডিভাইস এক একটি বাসা। এখন এই বাসাগুলোর তো একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা থাকবে,তাই না? আর এই নির্দিষ্ট ঠিকানাকেই আমরা আইপি অ্যাড্রেস বলবো।

ডিএনএস সার্ভার

ডিএনএস সার্ভার মূলত এমন একটি সার্ভার যেখানে বিভিন্ন আইপি আড্রেসকে স্টোর করে রাখা হয়। আপনি যাদের কাছ থেকে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েছেন, তারা একটি নিদিষ্ট ডিএনএস সার্ভারে আপনাকে দেওয়া আইপি অ্যাড্রেসটি স্টোর করে রাখে।

  • ডিএনএস সার্ভারকে আপনি ধরতে পারেন পোস্ট অফিসের মতো। এটার কাছে স্টোর করা যত আইপি অ্যাড্রেস রয়েছে, সেগুলো যখন কোনো ঠিকানায়(অন্য কোনো আইপি অ্যাড্রেসে) কোনো চিঠি পাঠায় (রিকোয়েস্ট) তখন এটা ইন্টারনেটের সেই নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠিটি পাঠিয়ে থাকে। আবার ইন্টারনেট থেকে যখন কোনো চিঠি আসে তখন এটাতে স্টোর করা নির্দিষ্ট আইপি অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দেয়।

Proxy Server কাজ

ধরুন, আপনিProxy Server সাথে আপনার ডিভাইসকে কানেক্ট করলেন। এবার আপনি যখন ডিভাইসটি দিয়ে একটি ওয়েবসাইটকে অ্যাকসেস করতে চাইবেন তখন আপনার রিকোয়েস্টটি প্রথমে ডিএনএস সার্ভারে যাবে। সেখান থেকে আপনি যে প্রক্সি সার্ভারে কানেক্ট আছেন সেখানে আপনার রিকোয়েস্টটি যাবে। এবার আপনার রিকোয়েস্টটি গ্রহন করে এটি মিডলম্যান হয়ে আপনার রিকোয়েস্টটি সেই নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিবে। পরে আপনার রিকোয়েস্ট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ডেটা পুনরায় প্রক্সি গ্রহন করে আপনার আইপি অ্যাড্রেসে পাঠাবে যেটা ডিএনএস সার্ভার হয়ে আপনার ডিভাইসে চলে আসবে।

অর্থাৎ আপনি সরাসরি ইন্টারনেটের সাথে কথা না বলে Proxy Server সাথে কথা বললেন আর সেটা আপনার হয়ে পুরো ইন্টারনেটের সাথে কথা বললো ।

এবার হয়ত আপনি প্রশ্ন করবেন, তাহলে Proxy Server ব্যবহার করে আমার লাভটা কি?তাহলে চলুন জেনে নেই আমরা কেন এটি ব্যবহার করবো।

আরো পড়ুনঃ

  • ইন্টারনেট কি? ইন্টারনেট আবিষ্কারের ইতিহাস ও এর আদি-অন্ত
  • সবাইকে ওয়াইফাই ইন্টারনেট স্পিড কম দিয়ে নিজে বেশি ব্যবহার করুন
  • ব্রাউজারের সাথেই এখন ফ্রি ভিপিএন(VPN)

কেন ব্যবহার করবো?

Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত] 2

আগেই বলে দিই Proxy Server অনেক রকমের হয়ে থাকে। এদের প্রকারভেদ নিয়ে পরে আলোচনা করবো। তবে একটি ভাল প্রক্সি যত রকমের কাজ করে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো-

আইপি অ্যাড্রেস গোপন করা

আপনি যখন Proxy Server মাধ্যমে কোনো ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করার জন্য রিকোয়েস্ট পাঠান তখন অধিকাংশ প্রক্সি সার্ভার আপনার আইপি অ্যাড্রেসটিকে গোপন করে একটি র‍্যান্ডম আইপি অ্যাড্রেস আপনার রিকোয়েস্টের সাথে জুড়ে দেয়। ফলে –

  • ওয়েসাইটটি তখন দেখবে প্রক্সির সেই র‍্যান্ডম আইপি অ্যাড্রেস থেকে রিকোয়েস্ট এসেছে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটটি জানতে পারবে না যে প্রকৃতপক্ষে রিকোয়েস্ট আপনি পাঠিয়েছেন । Online Income Tunes
  • কেউ যদি আপনাকে অনলাইনে ট্রাক করার চেষ্টা করে তাহলে সে আপনাকে ট্রাক করার পরিবর্তে প্রক্সিকে ট্রাক করে ফেলবে।
  • আপনি যদি কোনো ফোরামে কোনো কিছু লিখেন সেক্ষেত্রেও কেউ জানতে পারবে না আসলে কে লিখেছে কারন ট্রাক করাতো পসিবল না।

ব্লক ওয়েবসাইট আনব্লক করা

ইতিমধ্যে আপনি জেনে গেছেন যে, প্রক্সি আপনার আইপি অ্যাড্রেসটি গোপন রেখে এটা একটি র‍্যান্ডম আইপি অ্যাড্রেস আপনার রিকোয়েস্টের সাথে জুড়ে দেয়। এখন এই র‍্যান্ডম আইপি অ্যাড্রেসটি বিভিন্ন দেশের হয়ে থাকে( তবে আপনি ইচ্ছা করলে এই র‍্যান্ডম আইপি অ্যাড্রেসটি কোন দেশের হবে সেটা নির্দিষ্ট করে দিতে পারবেন)। এর ফলে আমাদের দেশে যে ওয়েবসাইট ব্লক রয়েছে সেটা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন কেননা রিকোয়েস্ট তখন অন্য দেশের আইপি অ্যাড্রেস থেকে ওয়েবসাইটটিতে যাবে।

পারফরমেন্স বৃদ্ধি করে

ধরুন, ১০০০ জন মানুষ একই সময়ে একটি ওয়েবসাইটের জন্য রিকোয়েস্টProxy Server পাঠাল। এখন প্রক্সি সার্ভার যদি সবার জন্য আলাদা আলাদা করে ১০০০ টা রিকোয়েস্ট ওয়েবসাইটে পাঠায় সেক্ষেত্রে প্রক্সি সার্ভারে অনেক লোড পরে যাবে। এজন্য একটি ভাল প্রক্সি সার্ভার সেই ১০০০ জনের জন্য ১০০০ টা রিকোয়েস্ট সেন্ড না করে মাত্র একটা রিকোয়েস্ট সেন্ড করে। পরে সেই রিকোয়েস্টের প্রয়োজনীয় ডেটা প্রক্সি সার্ভার স্টোর অর্থাৎ ক্যাশিং করে রাখে এবং সেখান থেকে বাকিজনদের পাঠিয়ে দেয়। এতে করে যেমন প্রক্সি সার্ভারে তেমন লোড পরে না তেমন যারা রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে তাদের ইন্টারনেট গতি স্লো হলেও খুব দ্রুত ওয়েবসাইট লোড হয় এবং ব্যান্ডউইথ অনেক কম খরচ হয়। অর্থাৎ ওভারঅল পারমরমেন্স বৃদ্ধি পায়। এইজন্য অনেক কোম্পানি তাদের কর্মচারীদের জন্য প্রক্সি সার্ভার সেটাপ করে থাকে।

তবে শুধুমাত্র একজন যদি রিকোয়েস্ট সেন্ড করে তাহলেও Proxy Server চেক করে দেখে সেই রিকোয়েস্টের সম্প্রতি কোনো ক্যাশ আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে ক্যাশ থেকেই লোড করে, না হলে পুনরায় সেই রিকোয়েস্টের প্রয়োজনীয় ডেটা গ্রহন করে সেটা ক্যাশিং করে রাখে।

সিকিউরিটি প্রদান

Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত] 3

প্রক্সি ব্যবহার করায় আপনি কিছু আলাদা সিকিউরিটি পান। যেমনঃ-

  • আইপি গোপন থাকায় ইন্টারনেটে আপনি পুরোপুরি এক্সপোজ হন না। এজন্য কেউ আপনাকে ট্রাক করতে পারে না।
  • অনেক ওয়েবসাইট থাকে যেগুলোতে ভিজিট করলে আপনার পিসিতে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, অ্যাড ইনজেক্ট হবার সম্ভাবনা থাকে। প্রক্সি ব্যবহার করায় এগুলো ভিজিট করলেও আপনার কম্পিউটার পুরো রিস্কমুক্ত থাকে।
  • অনেক Proxy Server ফায়ারওয়্যাল ব্যবহার করে। ফলে যেসব ওয়েবসাইট ক্ষতিকর সেগুলো প্রক্সি সার্ভার ব্লক করে রাখে।
  • অনেক Proxy Server HTTPS ব্যবহার করে আপনার কানেকশনকে পুরো Encrypted করে রাখে।
  • কোনো হ্যাকার আপনার পিসিকে সহজে হ্যাক করতে পারে না। কারন আগে তো আপনাকে ট্রাক করতে হবে। আইপি গোপন এবং কানেকশন Encrypted থাকলে এই কাজটা হ্যাকারের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যায়।

ওয়েবসাইট ব্লক এবং ইন্টারনেট ব্রাউজ মনিটর

হ্যা,Proxy Server দিয়ে যেমন ব্লক ওয়েবসাইট আনব্লক করা যায় তেমনি প্রক্সি দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটকে ব্লকও করা যায়। বিভিন্ন অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ব্লক করে দেয় যাতে এগুলো কেউ ব্যবহার করতে না পারে।(তবে যারা লিজেন্ড তারা কাটা দিয়েই কিভাবে কাটা তুলতে হয় সেটা জানে )আবার অনেক পিতা মাতা বিভিন্ন অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইট বা তাদের সন্তানের ক্ষতি হবে এমন কিছু ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখে।

আবার Proxy Server র সাহায্যে আপনি কি ব্রাউজ করছেন সেটা মনিটর করা যায়। তাই বিশেষ করে অফিসে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করাই ভাল।

প্রক্সি সার্ভারের ক্ষতিকর দিক

Proxy Server কি? ব্যবহার এবং ক্ষতিকর দিকগুলো [বিস্তারিত] 4

সব কিছুর ভাল দিক যেমন আছে তেমন ক্ষতিকর দিকও আছে। চলুন এবার ক্ষতিকর দিকগুলো একটু জেনে নিই –

ফ্রি প্রক্সি

অনলাইনে সার্চ করলে আপনি অনেক ফ্রি প্রক্সি সার্ভারের ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন। এরকম ওয়েবসাইট দুই রকমের হয়।

  • এক প্রকারের ওয়েবসাইটে অনেক আইপি অ্যাড্রেস দেওয়া থাকে যেগুলো ব্রাউজারের সেটিংসে গিয়ে সেটাপ করলে আপনি প্রক্সি সার্ভারের সাথে কানেক্ট হয়ে যাবেন।
  • অন্য প্রকারের ওয়েবসাইটে সবকিছু আগে থেকেই সেটাপ করা থাকে। আপনাকে শুধু ওয়েবসাইটে এসে প্রক্সি সার্ভারের দেশটি সিলেক্ট করে ব্রাউজ করলেই হবে।

একটা কথা মনে রাখবেন, পৃথিবীতে কেউ কাউকে ফ্রিতে দেবে বলে ব্যবসা করে না। তাই যা দেখবেন ফ্রি বলে প্রচার করছে সেখানে বুঝবেন তাদের আয়ের উৎস একমাত্র আপনি! আপনি হলেন তাদের প্রডাক্ট। এখন আপনার ইচ্ছা আপনি তাদের প্রডাক্ট হবেন কি না।

এসব ফ্রি প্রক্সি ওয়েবসাইট থেকে দুরে থাকবেন। কেননা-

  • এরা আপনার আইপি গোপন করে রাখলেও এদের কানেকশন Encrypted হয় না। ফলে বিষয়টি এমন যে, আপনি ইন্টারনেটে লুকানোর জন্য ছদ্মবেশ ধারন না করে মুখে শুধু রুমাল দিলেন।অথচ পুরো ইন্টারনেট কিন্তু দেখতে পাচ্ছে মুখে রুমাল শুধু আপনি দিয়েছেন। যার ফলে হ্যাকাররা আপনার প্রতি একটু বেশি আগ্রহ দেখাবে।
  • এরা যেহেতু ফ্রি এজন্য এরা হার্ডওয়্যারের প্রতি তেমন বেশি খরচ করে না। ফলে পারফরমেন্স অনেক খারাপ হয়।
  • এরা ফ্রি বলে অনেক সময় এরা নিজেরাই আপনার পিসিতে বিভিন্ন অ্যাড ইনজেক্ট করে আয় করার চেষ্টা করে।

ইন্টারনেট ব্যবহার মনিটর

আপনি যে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করেন এবং ঠিক কোন প্রক্সি ব্যবহার করছেন সেটা কিন্তু আপনার ISP দেখতে পারে। তবে অনেকসময় ISP এটাও দেখতে পারে যে, আপনি প্রক্সি সার্ভারে কি কি ওয়েবসাইট ভিজিট করেন, ইন্টারনেটে কি কি আপলোড বা ডাউনলোড করেন (যদিও এই বিষয়টা প্রক্সি সার্ভারের উপর নির্ভর করে)।

প্রক্সি সার্ভার চেকিং

আপনি যে প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করছেন তাদের কাছে আপনার আইপি অ্যাড্রেস, আপনার ব্রাউজিং হিসটোরি সবকিছু রয়েছে। তাই একবার যদি প্রক্সি সার্ভারটি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে সবকিছু লিক হয়ে যাবে। তাই প্রক্সি সার্ভার ব্যবহার করার আগে দেখে নিন তারা কিভাবে ইউজারদের ডেটা সংরক্ষন করে। তাদের সিকিউরিটি সিস্টেম কোন লেবেলের।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ