কিছু মানুষ আছেন যারা অনলাইনে উপার্জনের জন্য পাগলপ্রায় হয়ে যান, আর ঠিক ঐ সময়ে কিছু মানুষ তাদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে নেন ! অনলাইনে আয় করার অনেক পদ্ধতি থাকলেও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতি খুব বেশী নেই, ওয়েব ডেভেরপমেন্ট এদের মধ্যে অন্যতম । যাইহোক, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অবশ্যই অনেক কঠিন একটি বিষয় । ওয়েব ডেভেলপমেন্ট অনেক ধরনেরই হতে পারে । আজকে আমরা এর বেসিক জিনিস গুলো শিখবো ।
ওয়েব ডেভেলপারদের এর প্রকারভেদ:
১. ফ্রেমওয়ার্ক বেজড ডেভেলপার
২. কাস্টম ডেভেলপার
৩. কাস্টমাইজার
** এটি কোনো লিখিত প্রকারভেদ নয়, বুঝতে সুবিধার জন্য এ ভাবে সাজানো হয়েছে ।
কাস্টমাইজার:
এরা আসলে নিজেরা কিছু তৈরী করে না অন্যের তৈরী করা জিনিসই রং মেখে নিজের বলে চালিয়ে দেয় । বাংলাদেশে ৭০% এরও বেশী ডেভেলপার এই ক্যাটেগরিতে পরে । এদের কে ডেভেলপার বলা যায় কিন্তু প্রোগ্র্রামার বলা যায় না ।
কারা?
Blogspot/blogger, wapka, wordpress.com এ যারা সাইট বানায় তারা এই ক্যাটেগরিতে পরে । অনেক wordpress.org এবং joomla সহ অন্যান্য স্ক্রিপ্ট ব্যবহারকারীরাও এই দলের মধ্যে পরে, তবে সবাই না কারন অনেক ওয়ার্ডপ্রেস কিনবা জুমলা ব্যবহারকারীরা অ্যাডভান্স কাজ করার জন্য প্রায়ই সিএমএস কিনবা স্ক্রিপ্ট এর পুরোপুরি বদলিয়ে ফেলে যেটা করতে তাদের প্রোগ্রাম করা লাগে ।
ফ্রেমওয়ার্ক ডেভেলপার:
অনেক ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক বর্তমানে আছে । যেমন: ASP.NET, Laravel, symphony, cakephp ইত্যাদি ।
ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে খুবই কম সময়ে অনেক সুন্দর ওয়েব অ্যাপ বানানো সম্ভব । ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে প্রায় সব ধরনেরই ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ বানানো যায় । এর সবথেকে বড় সুবিধা হলো কম কোডিং লিখে যে কোনো ধরনের সাইট বানানো সম্ভব ।
সুবিধা:
দ্রুত অ্যাপ বানানো যাবে
বাগস্ থাকবে কম এবং স্ট্যাবিলিটি বেশী
কম কোডিং করা লাগবে
সহজেই বিভিন্ন ফোরাম থেকে সাহায্য নিতে পারবেন ।
অসুবিধা:
একাধিক অ্যাপ বানানেও সব গুলোর মধ্যে একটা মিল থাকতে পারে অর্থাৎ দেখতে এক রকম কিনা একই রকম সুবিধা সম্বলিত যদিও এটা কাস্টমাইজেশন এর উপর নির্ভর করবে ।
স্বকীয়তা থাকবে না ।
প্রায় সব ধরনের অ্যাপ বানানো গেলেও কিছু কিছু কাস্টম অ্যাপ বানানো অনেক জটিল এবং কঠিন হবে ।
নতুনদের জন্য এটি শেখা উচিত না ।
কাস্টম ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপার :
মুলত এরাই সত্যিকার অর্থে ডেভেলপার, কারন এরা প্রতিটি প্রোগ্রামের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেদের মেধা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরী করে । মূলত এদের তৈরী করা জিনিসই উপরের দুই শ্রেণীর ডেভেলপাররা ব্যবহার করে কিনবা কাস্টমাইজ করে ।
সুবিধা:
১, যেকোনো ধরনের অ্যাপ বানাতে পারবেন ।
২. অ্যাপ সম্পূর্ন নিজের মতন করে তৈরী করতে পারবেন ।
৩. ক্রেটিভিটি প্রকাশের সুযোগ আছে ।
৪. তৈরীকৃত অ্যাপের স্বত্ত্ব নিজের হাতে থাকবে ।
৫. নতুন, পুরাতন সবাই হতে পারবেন ।
৬.সাইট ইউনিক ভাবে বানাতে এবং সাজাতে পারবেন, সাইটের প্রতিটি জিনিসই আপনি ইচ্ছা মত সাজাতে, পরিবর্তন করতে পারবেন ।
অসুবিধা:
১. শেখা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার অনেক
২. প্রোগ্রাম শেখা যতটা না কঠিন তার থেকে প্রোগ্রাম বানানো অনেকগুন বেশী কঠিন
৩. ভালো প্রোগ্রাম বানাতে চাইলে একাধিক ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হয় ।
Comments (No)