টুইটার মার্কেটিং করে অনেকেইও তাদের ব্যবসার প্রচুর উন্নতি সাধন করেছেন। খুব সহজেই আপনিও আপনার targeted audience খুঁজে পাবেন এখান থেকে। তাই আপনাদের জ্ঞাতার্থেই এখানে কিছু টিপস জানিয়ে দেবো আজ।
টুইটার কী?
Twitter
টুইটার একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ফেসবুকের মতই টুইটারে একটি অ্যাকাউন্ট খোলার পর তাতে স্ট্যাটাস আপডেট, কারো ওয়ালে পোস্টকরা, বা কারো ওয়ালে কমেন্ট করা যায়। তবে একটু পার্থক্য তো আছেই, যা একে ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে। যেমন ফেসবুকে যেটাকে বলা হয় স্ট্যাটাসআপডেট টুইটারে সেটিকে বলা হয় টুইট(Tweet)। ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টপাঠানো যায় কিন্তু টুইটারে ফলো করা যায়। আপনি কাওকে ফলো করলে আপনি ঐব্যক্তির জন্যে ‘ফলোয়ার’ এবং কেউ যদি আপনাকে ফলো করে থাকে তবে আপনি হচ্ছেন‘ফলোয়িং’।যেকোন কিছু সম্পর্কে আপনিমাত্র ১৪০ ক্যারেক্টারের পোস্ট করতে পারেন। শেয়ার করতে পারেন ছবি, ভিডিও এবংআইডিয়া। এর পোস্ট গুলো ছোট, তবে এই ছোট পোস্ট গুলোর জন্যে টুইটার এতো জনপ্রিয়। জনপ্রিয়তার দিন দিয়ে এটি আস্তে আস্তে ফেসবুকের কাছা কাছি অবস্থানে চলে আসছে প্রায়।
২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয়। তবে ২০০৬ এর জুলাই মাসেজ্যাক ডর্সি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। ২০১০ সালের ৩১শে অক্টোবর নাগাদ টুইটারে ১৭৫মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭.৫ কোটিরও বেশি সদস্য ছিলো।অন্যান্য পরিসংখ্যান অনুসারে একই সময়ে টুইটারের ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটিসদস্য ছিলো এবং দিনে ৬৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৬ কোটি টুইট বার্তা, এবং ৮ লাখঅনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন হতো। অনেকে টুইটারকে ইন্টারনেটের এসএমএস বলেও অভিহিত করেন।
তো আর দেরী না করে চলুন দেখে নেই টুইটারে একাউন্ট টি কেমন করে সাজাবো এবং কীভাবে এর থেকে ভিজিটর নিয়ে আসবো আমাদের সাইটেঃ
টুইটারে একাউন্ট খোলা খুব সহজ। এটি যে কেও খুব সহজেই করতে পারবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন হয় খুব আকর্ষনীয় ও পরিচ্ছন্ন। তা নাহলে লোকজন আপানার টুইট পড়া তো দূরের কথা, আপনার ধারে কাছেও যাবে না।ব্যাকগ্রাউন্ড কালার/ইমেজ যেন হয় মার্জিত ও রুচি সম্পন্ন, সেদিকে অবশ্যই দৃষ্টি দিতে হবে। কারন আপনার প্রোফাইল্টি কিন্তু আপনাকে অন্যদের কাছে তুলে ধরছে আপনার পেশা, শিক্ষা, দীক্ষা ও অভিরুচি। তাই সব কিছুতেই মার্জিত ভাবটি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবেন।
আপনার সার্ভিস বা কোন বিষয়ে আপনি এক্সপার্ট বা আপনার কীওওার্ডের আগে ‘#’ hashTag ব্যবহার করুন কোন স্পেস না রেখে। এর ফলে টুইটার সার্চে সেগুলো শো করবে।
hash tag
bio তে আপনার পেশা সম্পর্কে, আপানার ইন্টারেস্ট সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাষায় লিখুন। আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইটের লিঙ্ক টি অবশ্যইbio তে দিতে ভুল করবেন না।
নিজেকে ব্রান্ডিং করুন খুব সুন্দর ও স্পষ্ট ভাবে। আর ব্রান্ডিং এর জন্য bio তে আপনার ব্লগ এবং আপনার সার্ভিস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা তুলে ধরুন,
Twitter-bio
আপনার নিস রিলেটেড ইউজার নামও ব্যবহার করতে পারেন। যেমন ধরুন, আপনি যদি এস ই ও সার্ভিস প্রমোট করেন, তাহলে নাম দিন ‘এস ই ও গুরু’, ‘এস ই ও মাস্টার’ ‘এস ই ও সার্ভিসেস’ ‘সোশাল মার্কেটিং’ ইত্যাদি।
Twitter User Name
আপনার টুইটার একাউন্টের লিঙ্ক টি পাঠিয়ে দিন আপানার বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী এবং পরিচিতদের কাছে। অথবা মেইল করে দিন তাদের কে, যাতে করে তারা আপনাকে ফলো করতে পারে, জানতে পারে আপনি কী করছেন।
আপানার অনেক বন্ধু থাকতে পারে, কিন্তু হাজার হাজার বন্ধু’র চেয়ে কম সঙ্খ্যক হলেও ফলোয়াররা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারন,এই ফলোয়ার রা আপনাকে ফলো করছে আপানার কাজের জন্য, তাই আপনি কী পোস্ট করছেন, সেদিকে এদের সব সময় নজর থাকে।
মনেও রাখবেন যত বেশী আপনার ফলোয়ার বাড়বে, ততবেশী আপনার সাইটের ভিজিটর বাড়বে। ফলোয়ারদের সাথে এঙ্গেজড থাকুন নিয়মিত। নোটিফিকেশন, মেনশনস চেক করুন নিয়মিত। ফলোয়াররা আপনাকে মেনশন করে টুইট করলে, তাকে ধন্যবাদ জানান আপনিও।
mention
আপনাকে উদ্দেশ্য করে কিছু লিখলে, রিপ্লাই দিন আন্তরিকতার সাথে,
reply
সঙ্কোচবোধ না করে Conversations গড়ে তুলুন, প্রশ্ন করুন, মতামত দিন। এতে আপনার প্রতি অন্যদের মনোযোগ বেড়ে যাবে।
যা আপনার ভালো লাগবে, সেই ব্লগ না পন্যের ব্যাপারে অন্যদের কে জানিয়ে দিন, যা ভালো লাগবে না, সেটাও জানান। তবে কেন ভালো লাগছে না, পাশা পাশি সেটা অবশ্যই জানিয়ে দিন।এতে আপনার সততা বা বিশ্বস্ততা বেড়ে যাবে।
আপনি যদি আপনার ফলোয়ারদের এবং যাদেরকে আপনি ফলো করছেন, তাদের পোস্ট করা লিঙ্ক ভিসিট করেন, তাদের টুইটগুলো রেস্পন্ড করেন, রিটুইট করেন, ফেভারিট এ নেন, তাহলে এটা নিশ্চিত যে ওরাও আপনার প্রতি সেইম কাজটাই করবে, অর্থাৎ আপনার পোস্ট, টুইটের দিকে তারাও নিয়মিত চোখ থাকবে।
Audience কে ধরে রাখার জন্য নিয়ত্মিত টুইট করুন। টুইট করতে জাস্ট সামান্য সময় ব্যয় হবে, কিন্তু এর ফল সুদূরপ্রসারী। শুধু যে আপানার সাইটের লিঙ্ক বা আপানার ব্যাবসার সঙ্ক্রান্ত পোস্টই সব সময় দিতে হবে, এমন না। নেটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পোস্ট, ভিডিও বা ব্লগ পাওয়া যায়, সেগুলোর লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন, যা অন্যদের মধে আপনার সুম্পর্কে এমন ধারণা ফুটে উঠে যে আপি শুধু নিজের স্বার্থের কথাই ভাবছেন না, অন্য সবার যাতে উপকার হয়, সেটা নিয়েও ভাবেন।
টুইটার ফিডঃ
twitter feed
টুইটার ফিড টি দারুন একটি কাজের জায়গা। এটিকে আপনার উপযোগী করে সাজিয়ে আপনার লাভ বাড়াতে পারেন খুব সহজেই। এর জন্য লগ ইন করে নিন এখানে, http://twitterfeed.com/। এখানে রেজিস্ট্রেশন করে আপনার সাইটের ইউ আর এল টি বসিয়ে দেবেন। এর পর নিয়মিত আপডেট করতে থাকুন। ভিসিটর ড্রাইভ করুন আপানার সাইটে।
সাধারণত ইউ আর এল গুলো অনেক বড় হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে ছোট করার ব্যবস্থাও আছে, আপনি চাইলেই আপনার ইউ আর এল টি থেকে ২০/২২ কেরেক্টার কমিয়ে ফেলতে পারবেন, কিছু সাইটের মাধ্যমে, সেগুলো পাবেন, এগুলোর মধ্যে TinyUrl টা খুব কাজের,
tinyurl
Twitter gadget অবশ্যই সাইটে এড করে নিন। এতে করে আপনার সাইট ভিসিট রা টুইটার এ আপনাকে ফলো করতে পারবে, আর এদের ফলোয়াররাও পরে আপনাকে ফলো করতে পারবে। এ ছাড়া এখানে প্রায় সময়েই নতুন নতুন Twitter gadget রিলিজ হচ্ছে , সেগুলোও দিকে চোখ রাখুন, আপনি অবশ্যই এগুলোর মাধ্যমেও আপনার সাইট বা ব্লগে প্রচুর ট্রাফিক ড্রাইভ করতে পারবেন।
সেইম লিঙ্ক পোস্ট করলেও , সেম আর্টিকেল বা পোস্ট কিন্তু রেগুলার পোস্ট করবেন না, এটা করলে ফলোয়ার রা বিরক্ত বোধ করবে।
শর্ট টুইট করুন নিয়মিত, এতে আপনার এক্টিভনেস সবার চোখে পড়বে,
short twit
যারা আপনাকে ফলো করছে, তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আপনিও ফলো করুন, এতে আপনাদের দুই পক্ষের মধ্যে একটা আন্তরিকতাপূর্ন সম্পর্কের সৃষ্টি হবে।
যাদেরকে আপনি ফলো করছেন, কিন্তু তারা আপনাকে ফলো ব্যাক করছে না, তাদের কে http://tweepi.com এর “Flush” টুল ব্যবহার করে খুঁজে বের করুন এবং আনফলো করুন।
twitie
আপনার পেশা’র লোকজন দের কে সার্চ দিয়ে ফলো করুন। যাদের অনেক বেশী পরিমান ফলোয়ার আছে, তাদের কে ফলো করুন, তিনি কাদের কে ফলো করছেন, বা তাকে কারা ফলো করছে, তা দেখুন এবং তাদের কেও আপনি ফলো করুন। রিলেটেড পারসনদেরকে খুজে বের করার জন্য ManageFlitter ব্যবহার করুন,
http://manageflitter.com/
mng filter
টুইটার একাউন্টের সাথে ফেইসবুক পেজ টি লিঙ্কড করে দিন। এতে টুইটার এ আপনার পোস্ট গুলো ফেইসবুক পেইজ এ শো করবে, এর ফলে আপনার ব্লগ এর লাইক এবং ভিজিটর দ্বিগুন বেড়ে যাবে।
ধন্যবাদ সবাইকে, আমাদের সাথে থাকার জন্য।
Comments (No)