পিটিসি PTC কোম্পানি বন্ধ হওয়ার কারণ। পিটিসি কি ?

পিটিসি কি আউটসোর্সিং এর পর্যায়ে পড়ে ? লক্ষনীয় বিষয় হল ইদানিং বাংলাদেশে অনেকগুলো পিটিসি বা পে টু ক্লিক জাতীয় কোম্পানীর আবির্ভাব হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। মজার ব্যাপার হল এর মধ্যে আবার অনেকগুলো কোম্পানী বন্ধও হয়ে গেছে। এগুলো কেন হচ্ছে এবং বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে কারনইবা কি, এ নিয়ে এখনো আমাদের দেশের অনেক মানুষ অন্ধকারে আছে। এই বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার ধারনা দেবার জন্যই আমার এই পোস্ট।

ওডেস্কে কিভাবে কাজ করবেন?

আমি যতদুর জানি ডুলায়েন্সার নামক একটি কোম্পানী বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এই প্রক্রিয়ায় ব্যাবসা শুরু করে। একটি আউটসোর্সিং কোম্পানী হিসাবে নিজেদের মার্কেটিং করার মাধ্যমে কোম্পানীটি দ্রুততার সাথে বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন। মূলত বহুস্তরের বিপনন তথা মাল্টি লেভেল মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানীটি দ্রুততার সাথে লক্ষাধিক গ্রাহক সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এই নিয়ে পত্র-পত্রিকায়, বিভিন্ন ব্লগে, সামাজিক সাইটে বহু লেখালেখিও হয় বিস্তর। কিন্তু গত এক বছর যাবত কোম্পানীটি বহাল তবিয়তে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

PTC site close

এসইও শিখুন Freelancer ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ুন

ইতিমধ্যে এমএলএম মার্কেটিং নিয়ে আমাদের দেশে একধরনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। প্রায় ডজনখানের কোম্পানী লাখ লাখ গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা নিয়ে প্রতারনার আশ্রয় নিলে সাধারন মানুষের মনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। সর্বশেষ ডেস্টিনি নামক একটি বৃহৎ এমএলএম কোম্পানীর গোমড় পত্র পত্রিকার মাধ্যমে ফাঁস হয়ে গেলে পণ্য নির্ভর এমএলএম ব্যাবসার কফিনে শেষ পেড়েকটি বিধে। ফলে তাৎক্ষনিক ভাবে প্রভাব পড়ে প্রায় সকল এমএলএম কোম্পানীগুলোর উপর।

যার ফলশ্রুতিতে এই ধরনের ব্যাবসায়িক কার্যক্রমের সাথে জড়িত প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে। হঠাৎ করে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হতাশাগ্রস্ত এই মানুষগুলো আয়ের বিকল্প পথ খোজতে থাকে। এই সময়ই আশীর্বাদ হয়ে আসে পিটিসি সিস্টেম। মানুষগুলোর অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে রাতারাতি জেগে ওঠে অনেকগুলো পিটিসি কোম্পানী।

কীভাবে oDesk ওডেস্কে অ্যাকাউন্ট খুলবেন

আর সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে তাতে। মাসে মাসে টাকা আয়ের সহজ ও প্রতারণামূলক লোভনীয় প্রস্তাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এখন যখন একে একে কোম্পানী বন্ধ হচ্ছে তখন সবাই ভাবতে শুর করছে এমনটা হচ্ছে কেন ?

পিটিসি কি ?

পিটিসি এর মানে হচ্ছে পে টু ক্লিক। সহজ ভাবে বলতে গেলে আপনি কোন ওয়েবপেইজের লিংক’এ ক্লিক করবেন আর এর জন্য আপনাকে অর্থ প্রদান করা হবে। আসলে এর বাস্তব ভিত্তি কতখানি? আমাদের দেশে এই শব্দটি ইদানিং খুব পরিচিতি পেলেও এটি বহু পুড়োনো একটি প্রতারণামূলক প্রক্রিয়া। ভার্চুয়াল জগতে এই ধরনের লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট আছে যারা এই প্রতারণার ফাঁদ পেতে অনেক আগে থেকেই সহজ সরল মানুষকে প্রতারিত করে আসছে। ওয়েবসাইটের লিংক এ ক্লিক করার মাধ্যমে সহজে টাকা উপায়ের এই প্রক্রিয়াটি পুরোটাই প্রতারণামূলক।

পিটিসি করে টাকা আয়ের বিষয়টি স্বচ্ছ কিনা ?

একটু সহজ করে বল্লে আসলে এই ভাবে কোন ওয়েব সাইটের লিংক এ ক্লিক করলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা বাড়ে ঠিক আছে কিন্তু তা করলেই যে ঐ ওয়েবসাইটের মালিক টাকা উপার্যন করে তা কিন্তু নয়। কিংবা সামান্য কিছু ক্ষেত্রে কিছু উপার্যনের ব্যাবস্থা থাকলেও তা করার জন্য ঐ ওয়েবসাইটের মালিকের কাছে আরও অনেক সহজ ও গ্রহণযোগ্য উপায় আছে এবং সমগ্র প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে তিনি যে সামান্য অর্থ উপার্যন করেন তা থেকে তার সাইটে ক্লিক করা ব্যাক্তিদের যদি ভাগ দিতে হয় তাইলে বেচারার বাড়ি ঘর বিক্রি করে পালানো ছাড়া কোন উপায় থাকবে না।

আজীবন ফ্রিতে Website ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।

অতএব সহজেই বুঝতে পারছেন যে, আসলে এইভাবে ক্লিক করলে কোন সাইটের মালিকই এই ভাবে ব্যাক্তিপর্যায়ে টাকা দেয় না। আসল কথা হল এই প্রক্রিয়ায় এমএলএম প্রতারকরা মানুষের টাকা মানুষের মাঝে রুলিং করে একটা পর্যায়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে এই পিটিসির মাধ্যমে।

পিটিসি কি আউটসোর্সিং ?

বাংলাদেশের প্রায় সকল পিটিসি কোম্পানীগুলোই নিজেদেরকে আউটসোর্সিং কোম্পানী বলে জাহির করে থাকে। এবং তাদের সাথে সাথে ইতিমধ‌্যে অনেকের মনে এই ধারনার উদয় হয়েছে আউটসোর্সিং মানেই পিটিসি। আমরা যারা আউটসোর্সিং পেশার সাথে জড়িত তারাও প্রায় এই বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হই। আসল এবং সহজ কথা হল ”পিটিসি কোন ভাবেই আউটসোর্সিং এর পর্যায়ে পড়ে না”। অর্থাৎ পিটিসি কোন আউটসোর্সিং এর কোন কাজ নয়। আউটসোর্সিং এর কোন মার্কেটপ্লেসই পিটিসি কে স্বীকৃতি দেয় না।

আউটসোর্সিং কি ?

আউটসোর্সং অথবা ফ্রিলায়েন্সিং মানে হল মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আপনি একজন স্বাধীন ওয়ার্কার হিসাবে গ্রহনযোগ্য যেকোন ধরনের কাজ করবেন এবং আপনার কাজের পারিশ্রমিক বুঝে নিবেন। এক্ষেত্রে আপনি কারও কাছে দায়বদ্ধ নন। আমরা আমাদের পেশাগত জীবনে যে ধরনের কাজ করে থাকি তার সবধরনের কাজই করা যা্য় আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে।

ঘরে বসে গান শুনুন আর রিভিউ লিখে আয় করুন!

অর্থাৎ আপনি যে কাজে পারদর্শী সে কাজের ওপরই আউটসোর্সিং করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন বাড়তি অর্থ। মনে রাখবেন এর জন্য আপনাকে কখনো কোন প্রকার অর্থ প্রদান করতে হবে না। আপনি যদি কাজ জানেন তাহলে কাজ করবেন বিনিময়ে পারিশ্রমিক বুঝে নিবেন। আমাদের দেশে বর্তমানে দশ হাজারের ও বেশি তরুন-তরুনী এই পেশার সাথে জড়িত এবং এই জগতে বেশ দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে পাশাপাশি দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে।

আমাদের দেশের ফ্রিলায়েন্সার রা সাধারনত যে ধরেনের কাজ বেশি করে থাকে তা হল : অনলাইন মার্কেটিং, এসইও, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েবসাইট মেইনটেনেন্স, ডাটা এন্ট্রি, ডিজাইন, লগো ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, এনিমেশন, সফটওয়্যার ডিজাইন ইত্যাদি।

C++ শিখুন- Easy way (পর্ব- 03)

আপনি যদি এই কাজগুলো বা এর বাইরেও কোন কাজ জানেন তাহলে আপনিও ফ্রিলায়েন্সার হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ