ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে জেনে রাখুন 10 টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারে। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার বিষয়টি কোন কোন ক্ষেত্রে জটিল প্রক্রিয়া তৈরি করে। লোন পাওয়ার জন্য যে আবেদন করতে হয় তাতে যদি সামান্য কিছু ভুল হয় তাহলে লোনের আবেদন প্রত্যাখ্যান হতে পারে। লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি মাথায় রাখা প্রয়োজন তা হল আপনি যে ব্যাংক থেকে লোন নিবেন তাতে সুদের হার কত শতাংশ?

ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে জেনে রাখুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
ব্যাংক লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে জেনে রাখুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

সুদের হার বেশি হয়ে গেলে লোন পরিশোধ করা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। এমন হতে পারে সুদের হার শোধ করতে করতে আপনার আসল টাকার বেশি পরিমাণ চলে যেতে পারে তাই লোন নেয়ার সময় সুদের হারের বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। খুব সহজেই ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার জন্য আপনার যদি লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকে তাহলে এটা আপনার জন্য খুব সহায়ক হবে।

অনেকে bank থেকে লোন কিভাবে পাওয়া যায় সে বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়। আজকের আর্টিকেলটি পড়লে আপনাদের এই প্রক্রিয়াটি তুলনামূলক সহজ মনে হবে। চলুন তাহলে দেখে নেই bank থেকে loan পাওয়ার কিছু বিষয় জেনে রাখুন শীর্ষক আর্টিকেলটি।

কি ধরনের লোন প্রয়োজন এবং লোনের ধরনঃ bank থেকে লোন পাওয়ার প্রথম ধাপ হল আপনার কি ধরনের লোন প্রয়োজন? আপনি কোন ধরনের লোন কি উদ্দেশ্যে নিতে চান সেটি আপনাকে প্রথমে ঠিক করে নিতে হবে। ব্যাংকে প্রথমে গেলে আপনাকে লোনের বিভিন্ন ক্যাটাগরি দেয়া হবে, আপনার জন্য যে লোন দরকার সেটি নির্বাচন করে নিতে হবে। Online Income Tunes

লোনের ধরন নির্বাচন করতে পারলে একদিকে যেমন লোন পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে অন্যদিকে লোন পাওয়ার জন্য যে খরচ হয় তা অনেক কমে যাবে। নিম্নে কিছু সাধারণ লোনের ধরন সম্পর্কে ধারণা দেয়া হলোঃ গাড়ি কেনার জন্য পাওয়া যায় অটো লোন। বাড়ির জন্য পাওয়া যায় হোম লোন।

যে কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার জন্য পাওয়া যায় পার্সোনাল লোন। ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য পাওয়া যায় বিজনেস লোন। পড়াশোনার জন্য পাওয়া যায় এডুকেশন লোন। বিদেশে যাওয়ার জন্য পাওয়া যায় প্রবাসী লোন। এছাড়া রয়েছে কৃষি লোন।

কোন প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিবেনঃ কোন ব্যাংক লোন দেয় সেটি সম্পর্কে ধারনা হবে। কোন bank থেকে লোন নিবেন সেটি আপনাকে আগে থেকে নির্বাচন করতে হবে। একটি ব্যাংক সব ধরনের লোন প্রদান করে না। আবার সব ধরনের লোন প্রদান করলেও পাওয়া যাবে তা কিন্তু না। যেমন কিছু bank বা ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউট ব্যবসার জন্য সহজ শর্তে লোন প্রদান করে। আবার কিছু ব্যাংক পার্সোনাল লোন বা স্যালারি লোন এর জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে।

তবে এখানে একটা কথা বলে রাখা ভালো লোন নেওয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে ব্যাংকই ভাল সেবা প্রদান করে থাকে। যদিও bank ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠান লোন প্রদান করে কিন্তু সব সময় চেষ্টা করতে হবে ব্যাংক থেকে লোন নেয়ার জন্য। লোন নেওয়ার পূর্বে অবশ্যই সুদের হার কত তা জেনে নিতে হবে। যে ব্যাংকের সুদের হার এবং প্রসেসিং ফি কম সেই ব্যাংকেই লোন নেওয়ার জন্য নির্বাচন করতে হবে, তাহলে অহেতুক জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

লোনের শর্তঃ ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কি কি শর্ত আছে তা জেনে নিতে হবে এবং সেগুলো আপনি পূরণ করতে পারবেন কি না তা যাচাই করতে হবে। আপনি যদি সেই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তবেই লোনের জন্য আবেদন করুন।

ইনস্টলমেন্ট এর পরিমানঃ আপনি যে লোন নিবেন আপনাকে তো মাসে মাসে অবশ্যই সেটি পরিশোধ করতে হবে। তাই আপনাকে মাসে কত টাকা প্রদান করতে হবে সে সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে নিন। ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট বা ইএমআই আপনি অনলাইন থেকেও জেনে নিতে পারবেন কিন্তু সেজন্য আপনাকে লোনের পরিমাণ এবং সুদের হার সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।

আপনার আয়ের সাথে ইএমআই অবশ্যই মিলিয়ে নিতে হবে। আয়ের তুলনায় ইএমআই যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে সেটি আপনার জীবনযাত্রার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তাই আগে থেকেই ইনস্টলমেন্ট এর পরিমান জেনে রাখুন।

যে সমস্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়ঃ লোনের জন্য আবেদন করার সময় সাধারন কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। নিম্নে সেসব কাগজপত্র এর লিস্ট দেয়া হল- আবেদন ফরম ভালোভাবে পূরণ করা এবং স্বাক্ষর করা। আবেদনকারীর ছবি। জাতীয় পরিচয় পত্র। অফিস আইডি। ভিজিটিং কার্ড

স্যালারি সার্টিফিকেটঅথবা পে স্লিপ। মোবাইল ফোন অথবা গ্যাস বিল অথবা ইউটিলিটি বিল ইত্যাদির কপি। আয় কর রিটার্নেরঅনুলিপি। চেকের পাতা। বৈধ পাসপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্সের অনুলিপি। ব্যাংক স্টেটমেন্ট ন্যূনতম ৬ মাসের। অন্যান্য ব্যাংক ঋণ অনুমোদনের চিঠি। অন্যান্য আয়ের ডকুমেন্টস।

ট্রেড লাইসেন্স বা শেয়ার মূলধনের সংক্ষিপ্তসার। অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠান স্মারকলিপি বা অ্যাসোসিয়েশন অংশীদারী চুক্তির নিবন্ধ। ভাড়া চুক্তি মালিকানা দলিল সমূহ। ভাড়া বা অন্যান্য আয়ের পরিদর্শন প্রতিবেদন। অন্যান্য নথি যদি থাকে। গ্যারান্টার এর ফটো, জাতীয় পরিচয় পত্র, অফিস আইডি, ভিজিটিং কার্ড।

পরিশেষে বলা যায় কিছু কিছু মানুষ লোন পাওয়ার জন্য তার বন্ধুবান্ধব ফ্যামিলি থেকে লোন নিয়ে থাকে। এসব লোন পাওয়া অনেক সহজ হয় কিন্তু এসব লোন নিয়ে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে যে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। তাই এ ধরনের লোন দূরে থাকা উচিত। যত প্রয়োজনই হোক না কেন কখনোই উচ্চ সুদের হারে লোন নেওয়া উচিত নয়।

কারণ উচ্চ সুদের হারের লোন নিলে অধিক ঋণে জর্জরিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ব্যাংক খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে লোন প্রদান করে তাই এ ধরনের ব্যাংকগুলোতে সুদের হার একটু বেশি হয়ে থাকে। আশা করি ব্যাংক থেকে লোন পাওয়ার কিছু বিষয় জেনে রাখুন আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের উপকার হবে। সবার জন্য রইল শুভকামনা।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ