অনলাইন থেকে আয় করতে চান? যদি আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে চান তাহলে কিভাবে কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়াই অনলাইন থেকে ইনকাম করবেন সেই বিষয়গুলো আজকের এই আর্টিকেলে আমি তুলে ধরেছিঃ
বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্ডিয়া থেকে অনেক ছেলে মেয়ে ঘরে বসেই লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছেন। আপনার মনে যদি এরকম ধারনা থাকে তাহলে ধারণাটি আজি পাল্টিয়ে দেখে নিন কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন।
ইনভেস্ট ছাড়া আয় করার জনপ্রিয় কিছু মাধ্যম হলোঃ
ইউটিউব থেকে আয়
কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়াই আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে ইউটিউব হচ্ছে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এখানে চাইলেই যে কেউ অল্প পরিশ্রম করে প্রতিদিন কিছু সময় বের করে অনলাইন থেকে মোটামুটি আয় করতে পারবেন তবে হ্যাঁ যদি আপনি ইউটিউবে লেগে থাকেন তাহলে কিছুদিন যাওয়ার পর আস্তে আস্তে আপনার ইনকাম জ্যামিতিক হারে বাড়তে থাকবে এটাই সত্য। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে আমাদের এই টিউটোরিয়ালটি দেখতে পারেন- ইউটিউব থেকে আয় এর খুঁটিনাটি।
ব্লগিং থেকে আয়ঃ
কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়াই ঘরে বসে আয় করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলোর মধ্যে আরও একটি মাধ্যম হলো ব্লগিং। বর্তমানে যে কেউ ফুলটাইম বা পার্টটাইম ব্লগিং করে ঘরে বসে ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি ব্লগিং করে ঘরে বসে আয় করতে চান তাহলে আমাদের এই ওয়েবসাইট থেকে টিউটোরিয়ালগুলো ফ্রিতে দেখে নিতে পারেন কিভাবে আপনার আরনিং শুরু হবে এবং কিভাবে আর্নিং করবেন। আমাদের এই ব্লগে রয়েছে বাংলায় ব্লগিং এর পূর্ণাঙ্গ গাইড। এবং রয়েছে কিভাবে বাংলায় ব্লগিং শুরু করবেন।
আর্টিকেল রাইটিং করে আয়:
আপনি যদি ভাল মানের আর্টিকেল লিখতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে ইনভেস্ট ছাড়াই ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। আর্টিকেল লিখে আয় করার বেশ কিছু জনপ্রিয় মাধ্যম হলঃ
- নিজের ব্লগ তৈরী করে নিজের ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয়
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অন্যের জন্য আর্টিকেল লিখে আয়
প্রোডাক্ট রিভিউ রাইটিং করে আয়:
বর্তমানে ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর জন্য অথবা এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য প্রোডাক্টের রিভিউ লেখার অনেক বেশি। আপনি যদি কোন প্রোডাক্টের রিভিউ লিখতে পারেন তাহলে আপনি চাইলে নিজে নিজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অথবা নিজে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে প্রোডাক্টের রিভিউ করে প্রোডাক্ট সেল করে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রোডাক্ট এর উপরে রাইটিং লেখকদের অনেক ডিমান্ড রয়েছে।
আপনি যদি প্রোডাক্ট রিভিউ লিখতে পারেন তাহলে কোথায় কাজ পাবেন বা কিভাবে কাজ করবেন তার কিছু নমুনা নিচে দিয়ে দিচ্ছিঃ-
- কোন স্পন্সর এর প্রোডাক্ট রিভিউ করে আয়
- ফ্রিল্যান্সার হিসেবে প্রডাক্ট রিভিউ লিখে আয়
- নিজের ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট রিভিউ লিখে আয়
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়:
আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীল মন মানসিকতা থাকে তাহলে আপনি চাইলেই সৃজনশীল কাজ করে অনলাইন থেকে প্রতিদিন ভালো পরিমানে আয় করতে পারবেন। সৃজনশীল কাজ গুলোর ধরন হচ্ছেঃ- গ্রাফিক্স ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বুক কভার ডিজাইন, ব্যানার পোস্টার ডিজাইন, প্যাকেজিং ডিজাইন, এছাড়াও অনেক নিত্য নতুন প্রোডাক্ট রয়েছে সে সকল প্রোডাক্ট ডিজাইন করেও আপনি ঘরে বসে আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ডিজাইনার হন বা ডিজাইনের উপর আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে আপনি চাইলেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন থেকে আজকের শুরু করতে পারেন।
লগো ডিজাইন করে ঘরে বসে আয়:
লোগো ডিজাইন হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি অংশ। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে শুধুমাত্র লোগো ডিজাইনের সেক্টরটিতে কাজ করেই আপনি প্রফেশনালভাবে আপনার পেশা সেট করে নিতে পারেন। কেননা বর্তমানে লোগো ডিজাইনের ওপর রয়েছে মার্কেটপ্লেসে প্রচুর সংখ্যক কাজ। একজন ভাল মানের লোগো ডিজাইনার মাসে কমপক্ষে 50 হাজার টাকা থেকে শুরু করে 5 লক্ষ টাকা আয় করে থাকে।
গুগল এডসেন্স থেকে আয়:
অনলাইনে আয় সম্পর্কে অনলাইনে ঘাটাঘাটি করে থাকেন বা বিভিন্ন চিঠি পড়ে থাকেন তারা অবশ্যই গুগল এডসেন্সের কথা ইতিমধ্যে শুনেছেন। google-adsense হলো গুগলের একটি সার্ভিস। এটা খুবই জনপ্রিয় একটি অনলাইন আর্নিং এর মাধ্যম। সারা বিশ্বে যতগুলো বিজ্ঞাপন পাবলিশার রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেমেন্ট করে থাকে গুগল এডসেন্স।
এখন কথা হচ্ছে যদি গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনার কি কি জিনিসের প্রয়োজন হবেঃ
গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চাইলে প্রথমে আপনার একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রয়োজন হবে। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনি সেখানে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন বসে অনলাইন থেকে আয় শুরু করে দিতে পারেন। কিন্তু গুগল এডসেন্স ব্যবহার করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে গুগলের যে নীতিমালা গুলো রয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়:
ইনভেস্টমেন্ট ছাড়া অনলাইন থেকে আয় করার আরও একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেকটাই অগ্রগতি ভূমিকা পালন করছে। বর্তমানে বিভিন্ন সার্ভিস বা বিভিন্ন ব্র্যান্ড প্রমোট করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অত্যাধুনিক ও জনপ্রিয় মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার ব্র্যান্ড বা আপনার কোন সার্ভিস খুব সহজেই ক্রেতা বা সেবা গ্রহণকারীর মাঝখানে পৌঁছে দিতে পারেন।
স্পন্সর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে আয়:
আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট অথবা ভালো একটি ফেসবুক পেজ অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে তাহলে আপনি চাইলেই সেখানে স্পন্সর বিজ্ঞাপন ইউজ করে সেখান থেকে আয় করতে পারবেন। স্পন্সর বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার সবচেয়ে বেশি সুযোগ হয় তাদের যাদের বড় কোন কমিউনিটি রয়েছে। যেমন, ফেইসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়েবসাইট/ব্লগ ইত্যাদি।
ট্রান্সলেটর হিসাবে আয়:
আপনি যদি কয়েকটি ভাষা জানেন তাহলে একটি ভাষা থেকে অন্য আরেকটি ভাষাতে ট্রান্সলেট করে ও ইনকাম করতে পারেন। ট্রান্সলেশন করে ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট বা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে।
এরকম বেশ কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হলঃ
- Fiverr.com
- Upwork.com
- Guru.com
- peopleperhour.com
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল ইনভেস্ট ছাড়া আয় করার অন্যতম একটি মাধ্যম। বর্তমানে অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক সার্ভিস বা প্রোডাক্ট রয়েছে যেখানে আপনি চাইলেই একটি এফিলিয়েট একাউন্ট করে তাদের পণ্য বিক্রয় করে সেখান থেকে কমিশন নিয়ে প্রতি মাসে আয় করতে পারেন হাজার হাজার টাকা।
বর্তমানে অনেক লোক ফুলটাইম পেশা হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং পেশাকে বেছে নিয়েছেন।
অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট প্রোগ্রাম:
- CJ Affiliate
- Share sale
- Amazon Associates
- Ebay
- Clickbank
আমাদের শেষকথা:
অনলাইনে ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অনলাইনে আয় করার বেশকিছু সুবর্ণ মাধ্যম এবং সুযোগ। আপনার যদি পড়ালেখার পাশাপাশি চাকরি অথবা ব্যবসার পাশাপাশি কিছু অবশিষ্ট সময় থাকে তাহলে আজই কোন একটি বিষয় নিয়ে অনলাইনে কাজ করা শুরু করে দিন আশা করি অবশ্যই ফলাফল পাবেন।
Comments (No)