ওয়েবসাইটকে ভাইরাল করবে কোন ধরনের কনটেন্ট, চিন্তিত?

আপনার কাছে কনটেন্ট মার্কেটিং মানে কি মনে হয়? শুধু, মাত্র আর্টিকেল, ব্লগ পোস্ট? লেখা লিখি দিয়ে, আমার অনলাইন জীবন শুরু। এক সময় আমার কাছে কনটেন্ট মার্কেটিং মানে শুধু আর্টিকেল কেই বুঝতাম, ঠিক আপনার মতই। কিন্তু, আপনি যদি আমার পূর্বের পোস্ট গুল পরে থাকেন, তাহলে আপনি হয়ত বোঝা শুরু করছেন কনটেন্ট মার্কেটিং মানে শুধুই আর্টিকেল বা ব্লগ লেখা নয়। তার থেকেও আরো বেশি কিছু।

আপনি যদি কনটেন্ট মার্কেটিং কে বেশি ফোকাস করেন তাহলে আপনার যে দুইটা কাজ প্রধান, তাহলঃ

  • আপনার সাইট/ব্লগ শুরু কর
  • লেখা শুরু করেন

আপনার কাজ এখন নতুন নতুন অসাধারণ কনটেন্ট দিয়ে সাইট কে অসাধারণ করে তোলা। এই কাজ গুল করার পর দেখবেন আপনার সাইটে নতুন নতুন ভিজিটর আসছে, টার্গেট ভিজিটর বেড়ে গেছে, কনভার্সন রেট এবং এসইও তে অনেক ভাল করছেন। কিন্তু, এই খানে আপনি প্রধান যে ঝামেলার সম্মুখীন হবেন সেইটা হল পরবর্তী আর্টিকেল কোন টাইটেলের উপর লিখবেন, যা আপনার ভিজিটর কে আপনার সাইটে পরের বার আসতে বাধ্য করবে। আমার এই আর্টিকেল ঐ ধরনের কিছু আর্টিকেল দেখার চেষ্টা করব, যে গুল আপনাকে নতুন ট্র্যাফিক আনতে সাহায্য কবে। তার আগে আসেহ্ন কিছু রুলস দেখে নেইঃ

  • এক নজরে বিস্তারিত

    • ভিন্নতাঃ
    • ভয় নাইঃ
    • শিডিউলঃ
    • আইডিয়াঃ
    • ইনফোগ্রাফিকঃ
      • কি ভাবে বানাবঃ
      • কখনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • মিমিঃ
      • কি ভাবে বানাবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • ভিডিওঃ
      • কি ভাবে বানাবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • গাইডঃ
      • কি ভাবে লিখবঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • বইয়ের রিভিউঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • 10 মতামতঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • প্রডাক্ট রিভিউঃ
      • কি ভাবেঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • হাউ টুঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • লিংক পেজঃ
      • কি ভাবে করবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • বইঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • কেস স্টাডিঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • অডিওঃ
      • কি ভাবে করবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • ইন্টারভিউঃ
      • কি ভাবে করবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • রিসার্চ এবং ডাটাঃ
      • কি ভাবে লিখবেনঃ
      • মনে রাখবেনঃ
    • পরিশেষেঃ

    ভিন্নতাঃ

    এক এক ধরনের কনটেন্ট এক ধরনের প্রডাক্ট, ব্র্যান্ড বা ব্লগের জন্য খুব কাজের। এই খানে যে গুল আলোচনা করা হবে সে গুলর সবই যে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনার জন্য যে প্লান পারফেক্ট ঐ ব্যবহার করনে।

  • ভয় নাইঃ

    নতুন কোন কনটেন্টের ধরনা পাওয়ার পর কখন চিন্তা করবেন এই ঝামেলাতে যাওয়ার দরকার নেই। আপনি হয়ত সব সময় সেফ মুডে থাকতে পছন্দ করেন, কিন্তু আপনি যদি সব সময় সেফ মুডে থাকেন তাহলে উপরে উথবেন কি করে। আমাদের দেশে এখন ইউটিউব মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক। ভিডিও বানানর সময় আপনার যদি মনে হয় “আমার কাছে কোন ভাল মানের ক্যামেরা নেই, কোন সফটওয়্যার নেই তাহলে কি ভাবে কাজ করব”। ভাই হাতে যদি একটা স্মার্ট ফোন থাকে তাহলে ঐটা দিয়েই শুরু করেন। ছোট ছোট কাজ আপনাকে ভাবতে শেখাবে এর থেকেও ভাল জিনিস থাকলে পানি জি ভাবে কাজ করতে পারতেন।

  • শিডিউলঃ

    নিচের যে কোন একটা প্লান আপনার ভাল লেগে গেল। এই বার কি করবেন? তখন আপনার প্রথম কাজ হবে একটা শিডিউল প্লান করা। আপনি যদি কোন প্লান না করেই কাজ করা শুরু করেন, তাহলে ভাল ফলাফল পাবার সম্ভবনা কমে যাবে এবং ঐ প্লানের সত্যিকারের মজাটা আপনি মিস করবেন।

  • আইডিয়াঃ

    কোন কনটেন্ট ভাল করবে কি করবেনা এইটা অনেক অংশে নির্ভর করে, আপনার আর্টিকেলের আইডিয়া কতটা ভাল। সুতরাং, আর্টিকেল লেখার আগে একটা ভাল আইডিয়া বের করুন, পরে লেখা শুরু করুন।

তাহলে চলুন শুরু করা যাক…

  • ইনফোগ্রাফিকঃ

    আপনার কাছে এই শব্দটা অনেক বেশি পরিচিত। যে কোন ধরনের কনটেন্ট থেকে ইনফগ্রাফিক বেশি পরিমাণে শেয়ার, ভিউ বেশি পাবে। সব থেকে বড় কথা হল আপনার ভিজিটর ইনফগ্রাফিক কে যে কোন ধরনের কনটেন্ট থেকে ইনফগ্রাফিকে বেশি ভালবাসে। ইনফর্মেশন কে ভিজুয়ালি প্রকাশ করার জন্য ইনফগ্রাফিকের কোন জুড়ি নেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে ইনফগ্রাফিক যে কোন কন্টেন্টের থেকে ভাল কাজ করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়ার জন্য ইনফগ্রাফিক একটা বেস্ট অপশন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারেঃ

    • কি ভাবে বানাবঃ

      আপনার আশেপাশে যদি কোন গ্রাফিক ডিজাইনার থাকে তাহলে তার কাছ থেকে বানাতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলতে একটু খুঁজাখুঁজি করলেই আপনি ভাল মানের ইনফগ্রাফিক ডিজাইনার স্পেশালিষ্ট পেয়ে যাবেন। আর যদি আপনার পকেটে যথেষ্ট পরিমাণে বাজেট থাকে তাহলে এই সাইটের সাহায্য নিতে পারেন।

    • কখনঃ

      এখন আপনার মনে হতে কোন সময় আমার ইনফগ্রাফিক বানান উচিৎ? এত চিন্তা করার কিছু নেই। আপনি যে কোন জায়গায় ইনফগ্রাফিকে ব্যবহার করতে পারেন। কোন বাধা বা রুলস নেই। কোন পরিসংখ্যান, ডাটা, ফলাফল, রিসার্চ প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করতে পারনে।

    • মনে রাখবেনঃ

      • ইনফগ্রাফিক তৈরি করতে খরচ একটু বেশি হতে পারে।
      • ইনফগ্রাফিক বানাবেন আর সেইটা ভাইরাল হয়ে যাবে, এমন কোন কথা নেই। একবার কেউ যদি এর মজা পেয়ে যায় তাহলে সে সবসময় চেষ্টা করবে ইনফগ্রাফিক বানানর জন্য। সুতরাং, আপনাকে এমন কিছু বানাতে হবে যা আসলেই শেয়ার হওয়ার যোগ্য।
      • ইনফগ্রাফিক মানে শুধু যে আপনাকে শুধু ডাটা দিয়ে রেখে দিবেন তা কিন্তু না। এই জন্য আপনি GIF কে ব্যবহার করতে পারেন। আমার কাছে মনে হয় ছবির মাধ্যমে প্রকাশ করার থেকে GIF ব্যবহার করা অনেক ভাল।
  • মিমিঃ

    মিম আমার কাছে একটা অসাধারণ টুলস মনেহয় এর প্রধান কারণ হল বানান খুবই সোজা। ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। সব থেকে বড় কথা হল আপনাকে হাসতে হাসতে ইনফর্মেশন দিবে। আপনার বিরক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।

    • কি ভাবে বানাবেনঃ

      • আপনাকে মিমি বানাতে হলে গ্রাফিক ডিজাইনার হওয়ার দরকার নেই। মিমি জেনারেটর এবং কুইক মিমি থেকে খব সহজেই মিমি বানাতে পারবেন।
      • মিমি কিন্তু আপনার ব্লগের জন্য বেস্ট অপশন নয় তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এর কোন তুলনা নেই।
      • কখন কখন আপনার ফান মুডের ইনফর্মেশন কে প্রকাশ করার জন্য মিমি হতে পারে একটা ভাল মাধ্যম
    • মনে রাখবেনঃ

      • মিমি যে কোন নিসের জন্যই ভাল কাজ করে। আপনার নিস যাইহোক না কেন আপনি মিমি ব্যবহার করতে পারেন।
      • আমি এই কথা মনে হয় অনেকবারি বলছি কোন কিছু অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না। ব্যবহার করার সময় একটু ভেবে চিন্তে ব্যবহার করবেন। কোন ধরনের ভুল ব্যবহার আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।
  • ভিডিওঃ

    এই ভিডিও বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। আপনি যে খানে আর্টিকেল লিখছেন, ইচ্ছা করলে ঐটাকে আপনি ভিডিও আকারে পোস্ট করতে পারেন। ভিডিও লেখার থেকেও অনেক ভাল কাজ করে। কারণ কোন ঘটনা কার কাছ থেকে শোনা আর সামনে ঘটতে দেখা দুইটাই আলাদা জিনিস। আপনার সামনে যে জিনিস ঘটতে দেখবেন ঐটা বেশি দিন পর্যন্ত মনে থাকবে। আপনি যদি খুভ ভাল মানের ভিডিও বানাতে পারেন তাহলে তার সুফল অনেক।

    • কি ভাবে বানাবেনঃ

      • যে কোন ধরনের ভিডিও বানানর আগে আপনাকে একটা স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে। ভিডিও মানেই যে সেখানে মুভিং পিকচার থাকতে হবে, তা কিন্তু নয়। আপনি যে কথা গুল বলতে চান সেই গুলা প্রকাশ করাই তার মূল উদ্দ্যেশ্য।
      • ভিডিও তৈরি করা হয়ে যাওয়ার পর ইউটিউব অথবা ভিমো তে পাবলিশ করেন। আপনি কোন কিছু লিখে যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন ইউটিউব এর ভিডিও শো করছে। সুতরাং, ইউটিউব কিন্তু গুগলে সারপে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং, আপনার ভিডিও এসইও তে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
    • মনে রাখবেনঃ

      • আপনি যদি একটু ভাল মানের ভিডিও বানানর চেষ্টা করেন তাহলে আপনার বাজেট ভাল থাকা লাগবে। তবে আপনি নিজে চেষ্টা করতে পারেন বানান জন্য ছোট পরিসরে, তবে আপনি যদি কোন ভিডিও স্পেশালিষ্ট সাথে যোগাযোগ করেন তাহলে একটু খরচ হবে এইটা স্বাভাবিক।
      • তবে কখনই ভিডিও কে অনেক বড় করে ফেলবেন না। দুই – তিন মিনিট একটা ভিডিও এর জন্য পারফেক্ট।
  • গাইডঃ

    গাইড হল একটু বড় কনটেন্ট। আমারা এইটাকে ব্লগ পোস্টের মহাকাব্য বলতে পারি। যে কোন সাধারণ একটা ব্লগ পোস্টের লেন্থ, স্টাইল এবং প্রকাশ করার ভঙ্গি থেকে গাইড বড় হবে।

    • কি ভাবে লিখবঃ

      আপনি যদি একটা গাইড লিখতে যান তাহলে আপনার দরকার ভাল মানের রাইটার, ডিজাইনার, এবং একটা আইডিয়া। রাইটার কি জানতে হবে কি ভাবে কোন লিখে প্রকাশ করতে হয়। আর ডিজাইনারের কাজ হবে আকর্ষণীয় করে তোলা। আর আইডিয়া হবে এমন কিছু যা আপনার ভিজিটর সব সময় খুঁজা খুঁজি করছে। আপনি ইচ্ছা করলে পিডিএফ আকারে আপনার গাইডকে প্রকাশ করতে পারনে।

    • মনে রাখবেনঃ

      • আপনি মেইল এড্রেস কালেক্ট করার জন্য গাইড কে ব্যবহার করতে পারেন। যখন কেই আপনার গাইডকে ডাউনলোড করতে চাইল, তখন তাকে বলতে পারনে “গাইড ডাউনলোড করতে রেজিস্টার করুন
      • আপনি যদি একটা ভাল মানের গাইড লিখে ফেলতে পারেন তাহলে আপনি অনেক দিন ধরে সুবিধা পাবেন কোন ধরনের এক্সট্রা কাজ ছাড়াই। সুতরাং, গাইড লেখার সময় একটু সময় নিয়ে মান নিশ্চিত করুন। ভাল মানের লেখা যদি আপনি অসাধারণ ভাবে প্রেজেন্ট না করতে পারনে তাহলে আসল উদ্দ্যেশ্য জলে যাবে।
  • বইয়ের রিভিউঃ

    একটা বইয়ের রিভিউ হল যে কোন একটা বইয়ের উপর লেখা। বইটা পড়ার পর আপনার ভাল লাগা, খারাপ লাগা, কোন বিষয়টা আরো ভাল করার দরকার ছিল। এই বিষয় গুল নিয়ে আলোচনা করা।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      রিভিউ লেখাটা কেমন হবে এইটা নির্ভর করছে আপনার উপর। তবে লেখার সময় আপনি যে বিষয় গুল মাথায় রাখবেনঃ

      • একটা সুচনা লিখনঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যে
      • লেখকের পরিচয়ঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যে
      • বিশেষ পয়েন্টঃ বইয়ে লেখা বিশেষ পয়েন্ট গুল উল্ল্যেখ করেনঃ ১-৩ বাক্যের মধ্যে
      • যে গুল পছন্দ হয়নিঃ বই পড়ার পর আপনার যে বিষয় গুল পছন্দ হয়নি ঐ গুল প্রকাশ করেনঃ ১-৫ বাক্যের মধ্যে।
      • আপনার রিভিউ যারা পড়বে তাদের উপদেশ দিতে পারেন বইটা পড়ার জন্যঃ ১-৩ বাক্যের মধ্যে
      • পরিশেষ বইটা কোন খানে পাওয়া যাবে সেইটা উল্ল্যেখ করতে ভুলবেন না।
    • মনে রাখবেনঃ

      • এই ধরনের রিভিউ অনেক ভাল কাজ করে যদি আপনার ভিজিটর একটু পড়ুয়া টাইপের হয়
      • আপনি যদি কোন নতুন পাবলিশ হওয়া অথবা কিছু দিন পরেই পাবলিশ হবে এমন কিসুর উপর রিভিউ লিখতে পারনে তাহলে ভাল ফলাফল পাবেন। আর যদি কোন ভাবে লেখকের ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন তাহলে ফলাফল কপ্লনা অতীত হওয়ার কথা।
  • মতামতঃ

    সাধারণত আমারা যে আর্টিকেল পোস্ট করি তার থেকে এইটা আলাদা। আপনি আর্টিকেল লেখার সময় চেষ্টা করেন একটা ভাল মানের রিসার্চ বেজ আর্টিকেল লেখার জন্য। আপনি যে নিসের উপর কাজ করছেন ঐ কাজের গুরু গুলকে বের করে ফেলবেন। এর পর আপনার মতামত।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      প্রথম কাজ হল আপনার নিসের বর্তমান হট টপিক খুঁজে বের করুন। আপনার নিসের যদি হটাত কোন পরিবর্তন আসে চেষ্টা করুন, ঐটা নিয়ে লেখার জন্য। আপনি যখন কোন জনপ্রিয় টপিক নিয়ে লিখবেন তখন সার্চ ইঞ্জিন এবং শেয়ার দুইটাই ভাল কিছু পাবেন।

    • মনে রাখবেনঃ

      • কখন এমন যেন না হয় প্রত্যেক দিনই অন্যের কোন কিছু নিয়ে কথা বলা শুরু করে দিবেন।
      • সব সময় চেষ্টা করুন সাধারণ থাকার। আপনার মতামত যেন অন্যের রাগের কারণ না, হয়ে দাঁড়ায়।
      • নিজের কথা গুলকে সব সময় স্পষ্ট করে লিখবেন। আপনার লজিকের মধ্যে জড়তা যেন, না থাকে।
  • প্রডাক্ট রিভিউঃ

    প্রডাক্ট রিভিউ ঠিক বইয়ের রিভিউর মতই কাজ করে। আপনি যদি ভাল মানের রিভিউ আপনার নিসের উপর লিখতে পারেন তাহলে সবাই আপনাকে গুরু বলে ভাবা শুরু করবে। আপনি যদি আপনার নিস নিয়ে একটু সময় দেন তাহলে দেখবেন রিভিউ লেখার মত অনেক কিছু আছে যেমন প্রডাক্ট, সফটওয়্যার, এবং সার্ভিস। আপনাকে যে জিনিসটা করতে হবে তা হল আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

    • কি ভাবেঃ

      • প্রথমে প্রডাক্টকে পরিচয় করিয়ে দিন
      • এর প্রডাক্টের উৎপাদক
      • প্রডাক্ট সম্পর্কে লিখুন
      • যে বিষয়টা পছন্দ
      • কোনটা পছন্দ হল না
      • আপনার যদি কোন সাজেশন থাকে
      • কোন খানে পাওয়া যাবে তার লিংক
    • মনে রাখবেনঃ

      প্রডাক্টের রিভিউ দেয়ার সময় চেষ্টা করেন প্রডাক্ট হাতের কাছে রেখে একটা ভিডিও দেয়ার জন্য।

  • হাউ টুঃ

    হাউ টু আর্টিকেল সব থেকে জনপ্রিয় কনটেন্ট। হাউ টু আর্টিকেল লং টেইল সার্চে অনেক ভাল কাজ করে।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      • সমস্যার কথা বলেন
      • সমাধান বলুন
      • সমাধানের প্রত্যেকটা স্টেপ ভাল ভাবে বলুন
      • সারমর্ম লিখুন
      • এবং পরিশেষে উপসংহার
    • মনে রাখবেনঃ

      • প্রতিদিন যে সব সমস্যার সম্মুখীন হন, চেষ্টা করেন ঐ সব নিয়ে আর্টিকেল লেখার
      • আপনি যত পরিষ্কার করে লিখতে পারবেন, তত ভিজিটর আপনার আর্টিকেল কে গুরুত্ব দিবে। আর্টিকেল কে ভাল করার জন্য আপনি ডায়াগ্রাম, ভিডিও, এবং পিকচার ব্যবহার করতে পারেন।
  • লিংক পেজঃ

    লিংক পেজ হল এমন একটা পেজ যেখানে অনলাইনে আপনার ভাল লাগা ভাল মানের আর্টিকেল গুলর লিংক এক জায়গায় করে রাখবেন। এই ধরনের রিসোর্স পেজ এসইও তে অনেক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

    • কি ভাবে করবেনঃ

      • কাজ খুবই সিম্পিল। কাজ হবে একদম লিংক রাউন্ড আপের মত। মাসের সেরা আর্টিকেল গুল এক জায়গাই করে এবং আর্টিকেল গুলর টাইটেল কে হাইপার লিংক করে দেন। কাজ শেষ।
    • মনে রাখবেনঃ

      • লিংক এ্যাড করার যদি পারেন একটু বর্ণান দিয়ে দিতে পারেন।
  • বইঃ

    বই হল একটা লং কনটেন্ট যা বিভিন্ন ফরমেটে হতে পারে যেমন পিডিএফ। আপনি ফ্রী বই ডাউনলোড করার অপশন রাখতে পারেন, বিনিময়ে শুধু মেইল অ্যাড্রেস দিয়ে সাবস্ক্রাইব করবে। সাধারণ আর্টিকেলের থেকে বই অনেক বেশি কাজের, কারণ একটা বই হল আপনার জ্ঞান শেয়ার করার সব থেকে ভাল অপশন।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      • আপনি যদি কখন চিন্তা করেন যে বই লিখবেন তাহলে নিশ্চিত করতে হবে যে একটা বইতে যে পরিমাণে কনটেন্ট থাকে সমপরিমাণে কনটেন্ট আছে এবং সাথে গুণগত মান। ১০ হাজার শব্দ একটা বইয়ের জন্য পারফেক্ট।
      • বইয়ের চ্যাপ্টার গুল কে ছোট ছোট সাব হেডিং এ ভাগ করে দিতে পারেন। তাহালে যে পড়বে তার জন্য বুঝতে সুবিধা হবে।
    • মনে রাখবেনঃ

      • অবশ্যই একটা ভাল টাইটেল দেয়ার জন্য সময় নেন। আপনার বই কি পরিমাণে রিডার পাবেন এইটা অনেক অংশে নির্ভর করে টাইটেলের উপর।
      • মন্মুগ্ধকর ডিজাইন।
      • পিডিএফ ভার্সনের পাশাপাশী একটা HTML ভার্সন রাখতে পারেন।
  • কেস স্টাডিঃ

    একটা কেস স্টাডি বলে দিবে আপনার প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস ভোক্তাদের কত টুকু কি ভাবে উপকার করছে।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      • একটা সারমর্ম লিখে ফেলেন এবং ফলাফল কেমন হতে পারে
      • যে কারণে কাস্টমার আপনার সার্ভিস নেয়া শুরু করল এবং কি ভাবে সাফল্য পেল
      • আপনার দেয়া সমাধান কি ছিল। অবশ্যই এই পার্টকে স্টেপ বাই স্টেপ করে আলোচনা করেন যে পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
      • সব শেষে একটা উপসংহার এবং কেউ যদি ঐ সার্ভিস নিতে চায় তার জন্য একটা লিংক
    • মনে রাখবেনঃ

      • কেস স্টাডি লেখা দেখে যেন মনে না হয়, আপনি শুধু মার্কেটিং করার জন্যই এই লেখা লিখছেন
      • একটা গপ্লের মত করে প্রকাশ করেন। কিন্তু, গল্পটা হবে সফলতার গল্প
  • অডিওঃ

    পোডোকাস্ট কনটেন্ট হিসাবে এখনো অনেক জনপ্রিয়। আর সব থেকে বড় কথা হল এইটা বানাতে আপনাকে অনেক পরিশ্রম করা লাগবে না। আপনার আসে পাশে অনেকেই আছে যারা গান শোনার মত করে পোডোকাস্ট শুনতে ভালবাসে।

    • কি ভাবে করবেনঃ

      • একটা ভাল মানের মাইক্রফন এবং একটু টেকনিকাল জ্ঞান। আপনি এই গাইডটা ফলো করতে পারেন।
    • মনে রাখবেনঃ

      • আপনার পাবলিশ কনটেন্ট গুলর একটা ভয়েচ ভার্সন রাখতে পারেন পোডকাস্টের মাধ্যমে।
  • ইন্টারভিউঃ

    আপনার নিসের লিডারদের একটা তালিকা করে রাখেন। চেষ্টা করেন তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করার জন্য। যদি কোন সুজগ পান তাহলে ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন। আপনি যদি কোন ভাবে একটা লিডারের ইন্টার্ভিউ নিতে পারেন তাহলে আপনার প্রডাক্ট, সাইট, সার্ভিসের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে অনেক, আর ভিজিটর যে বৃদ্ধি পাবে এইটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আর সব থেকে বড় কথা হল, ঐ ইন্টার্ভিউ হবে সম্পূর্ণ উনিক- কার কাছে নেই শুধু আপনার কাছে আছে।

    • কি ভাবে করবেনঃ

      • প্রথম কাজ হল যার ইন্টার্ভিউ নিবেন তাকে ইনভাইট করা এবং একটা সময় নিধারন করা। এই কাজ শেষ হওয়ার পর আপনাকে ঠিক করতে হবে কি ভাবে ইন্টার্ভিউ নিবেনঃ
        • যার ইন্টার্ভিউ নিচ্ছেন তাকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া
        • কোন ধরনের প্রশ্ন করার পর তাকে উত্তর দেয়ার সুজগ দিন
        • প্রশ্ন গুল এমন ভাবে ঠিক করে যেন, সর্বশেষ একটা সিধান্তে পৌছাতে পারেন।
        • ধন্যবাদ দিয়ে শেষ করেন এবং অবশ্যই ঐ ধরনের সার্ভিস নেয়ার জন্য কোথায় যাওয়া লাগবে তার একটা লিংক
    • মনে রাখবেনঃ

      • এই ইন্টার্ভিউ যে ভাবে রাখতে পারেন
        • ভিডিও
        • অডিও
        • লেখা
  • রিসার্চ এবং ডাটাঃ

    আপনার লেখার সাথে যদি গ্রহণযোগ্য ডাটা থাকে তাহলে আপনার লেখাকে একটা অন্যরকম গ্রহ্নজোগত্য দান করে। আপনি ডাটা এ্যানালিসিসের ফলাফল অন্যের সাথে শেয়ার করা ভিজিটর নিয়ে আসার সব থেকে ভাল একটা মাধ্যম। একটা রিসার্চ বেজ আর্টিকেল লেখা সোজা কাজ না, আর ভিজিটর + গুগল খুব ভাল ভাবেই জানে কি ভাবে এই কঠোর পরিশ্রমের প্রতিদান দিতে হয়। মানুষ আপনার লেখাকে শেয়ার করতে ভয় করবে না, যা ডাটা বিহীন লেখা দেখলে করে।

    • কি ভাবে লিখবেনঃ

      • অবশ্যই আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। আপনি যদি রিসার্চের জন্য ভাল সময় দেন তাহলে পেয়ে যাবেন আপনার টাইটেল কি হওয়া উচিৎ।
      • ডাটা গুলকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করেন। আপনার ডাটা হতে পারে নাম্বার, শতকরা এবং অন্যান্য যা ভিজিটরের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে
    • মনে রাখবেনঃ

      • ভাল করে যদি আপনি রিসার্চ করতে গেলে অনেক সময় আপনাকে টাকা খরচ করতে হতে পারে।
      • ডাটা গুলর একটা ইনফগ্রাফিক করে রাখতে পারেন। লেখার সাথে ইনফগ্রাফিক, ভিজিটরের মনযোগ আকর্ষণ বেশি করে।

পরিশেষেঃ

এত সময় ধরে আমি আপনাকে অনেক গুল টুলসের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছি। এখন আপনার কাজ হল, আপনার নিসের জন্য পারফেক্ট যত গুল টুলস আছে ব্যবহার করার চেষ্টা করেন। আপনি ভালভাবে যত বেশি ব্যবহার করতে পারবেন, আপনার সাইট ভাইরাল হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি।

আর আপনার যদি নিজেস্ব কোন প্লান, প্রশ্ন এবং উপদেশ থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ