কিভাবে Paypal Bangladesh ব্যবহার করবেন ও টাকা তুলবেন?

কিভাবে Paypal Bangladesh ব্যবহার করবেন ও টাকা তুলবেন? আপনারা অনেকেই জানতে চান পেপাল কিভাবে বাংলাদেশ এ ব্যবহার করবেন। যেহেতু বাংলাদেশ এ পেপাল অফিসিয়াল ভাবে এখনো আসে নাই ২০২১ সালের এই আর্টিকেল লেখার সময় অব্দি। তাহলে আমরা কি পেপাল ব্যাবহার করতে পারব আজকে সেই প্রশ্নের জবাব দিব।পেপাল মূলত বহুমুখী কাজে লাগে। এটির সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয় পেমেন্ট সেন্ড ও রিসিভ এর ক্ষেত্রে। এর মাধ্যমে ফ্রি তে বিশ্বব্যাপী $ পাঠানো যায়। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্য পেপাল এর গুরত্ব সবথেকে বেশি।

Table of Contents

  • পেপাল কি?
  • পেপাল এর ব্যবহার:
    • Paypal পার্সোনাল না বিজনেস একাউন্ট কোনটা করবেন? 
  • কিভাবে বাংলাদেশ থেকে Paypalএকাউন্ট করবেন?
    • কি কি ডকুমেন্টস লাগতে পারে?
    • পেওনিয়ার এর ব্যাংক বা IBAN দিয়ে পেপাল একাউন্ট ভেরিফাই করা যায়?
  • পেপাল থেকে বাংলাদেশে টাকা কিভাবে আনবেন?
    • বাংলাদেশ থেকে পেপাল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা: 

Paypal কি?

Paypal হল একটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট মাধ্যম বা আন্তর্জাতিক ব্যাংক। পেপাল এর মাধ্যম এ আপনি যেকোনো দেশে ( যে দেশে Paypal সাপোর্ট করে) যেকোনো সময় টাকা পাঠাতে পারবেন ও রিসিভ করতে পারবেন। এই প্রতিষ্ঠান এর জন্ম টা একটু জটিল। এটি মূলত ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 

Paypal এর ব্যবহার:

Paypalমূলত বহুমুখী কাজে লাগে। এটির সব থেকে বেশি ব্যবহৃত হয় পেমেন্ট সেন্ড ও রিসিভ এর ক্ষেত্রে। এর মাধ্যমে ফ্রি তে বিশ্বব্যাপী $ পাঠানো যায়। আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের জন্য পেপাল এর গুরত্ব সবথেকে বেশি। আন্তর্জাতিক ভাবে পেপাল এর মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে পেমেন্ট নেয়া যায়। এছাড়া আন্তর্জাতিক প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান এ পণ্য ক্রয় এর জন্য পেপাল ব্যবহৃত হয়। ডোমেইন হোস্টিং ক্রয়, ফেসবুক অ্যাডস, ইত্যাদি অনেক বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পেপাল এর ব্যবহার হয়।

Paypalপার্সোনাল না বিজনেস একাউন্ট কোনটা করবেন? 

অনেকে মনে করে পার্সোনাল আর বিজনেস একাউন্ট দুটোর মধ্যে বিশেষ কোন পার্থক্য নেই। আসলে বিস্তর পার্থক্য আছে। যারা Paypal ব্যবহার করেছে তারা আসলে ব্যাপার টা ধরতে পারেন। 

পার্সোনাল একাউন্ট মূলত ব্যবহার হয় পার্সোনাল পেমেন্ট রিসিভ এর জন্য। এক্ষেত্রে আপনি বিজনেস ডিল বা কোন প্রকার বিজনেস পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন নাহ। পার্সোনাল একাউন্ট থেকে আপনি আপনার কোন ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন নাহ। তবে পার্সোনাল একাউন্ট দিয়ে আপনি যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে ডলার পেমেন্ট নিতে পারবেন। 

বিজনেস একাউন্ট মূলত ব্যবহার করা হয় ব্যবসায়িক লেনদেন সমুহ তে। বিজনেস একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো ইকমার্স সাইট বানিয়ে সেখান থেকে পেমেন্ট গুলো Paypal দিয়ে নিতে পারবেন। এছাড়াও আপনি আরো অনেক ফিচার পাবেন বিজনেস একাউন্ট গুলোতে যেটি আপনি পার্সোনাল একাউন্ট এ পাবেন নাহ। যেমন মাল্টি লগইন একসেস। যেটা পার্সোনাল একাউন্ট এ আপনি করতে পারবেন নাহ।

কিভাবে বাংলাদেশ থেকে Paypal একাউন্ট করবেন?

আসলে বাংলাদেশ থেকে Paypal একাউন্ট করার কোন লিগ্যাল পদ্ধতি নেই। কারণ Paypal বাংলাদেশ কে এখনো সাপোর্ট করে নাহ। অনেকেই বলেন কি বলেন ভাই বাংলাদেশ থেকে পেপাল এ ঢুকা যায় তাইলে সাপোর্ট করবে না কেন। আসলে সাপোর্ট করা বলতে বুঝায় যে আপনি একাউন্ট করার সময় বাংলাদেশ সিলেক্ট করতে পারবেন এবং বাংলাদেশ এর ডকুমেন্ট দিয়ে ভেরিফাই করতে পারবেন। এগুলো বাংলাদেশ থেকে করা যায় নাহ। 

অনেকে সাইপ্রাস থেকে একাউন্ট করার ভিডিও দেখে ইউটিউব এ। আমি নিজেও আমার প্রথম একাউন্ট করেছিলাম সাইপ্রাস থেকে। তবে কিছুদিন পরেই সেই একাউন্ট ব্যান বা লিমিট হয়ে যায়। Paypal ইউজার দের ক্ষেত্রে এটি খুব স্বাভাবিক একটি সমস্যা। 

তবে এখন সব থেকে গ্রহণযোগ্য ও সেফ উপায় হোল আপনার কোন পরিচিত বা আত্মীয় স্বজন যদি Paypal সাপোর্টেড দেশে বসবাস করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি তাদের থেকে পেপাল ভেরিফাই করে নিতে পারেন। পেপাল ব্যবহার এর ক্ষেত্রে US একাউন্ট গুলো সব থেকে বেটার হয় এবং সব দেশেই সাপোর্ট করে। তাই আমাদের সবার ই ইচ্ছে থাকে এই পেপাল পাবার। অনেকেই ট্রাই করে থাকে এই দেশ থেকে USA পেপাল এর। কিন্তু তারা জানে নাহ পেপাল ভেরিফাই করতে এখন SSN বা সোশ্যাল সিকিউরিটি নাম্বার দরকার পরে। যেটা শুধুমাত্র আমেরিকান সিটিজেন দের কাছেই আছে। 

এছাড়া বিজনেস Paypal করার জন্য বিজনেস ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন পরে। অনেকে একাউন্ট খুলে বড় আকারের পেমেন্ট নিয়ে ফেলে কিন্তু নেবার পরেই বাঁধে বিপত্তি। পেপাল তাদের একাউন্ট টা লিমিট করে দেয় আমার নিজের ই ৩ টা একাউন্ট এমন ডলার লিমিট হয়ে পরে আছে। তাহলে আপনি আপনার আত্মীয় এর ডকুমেন্টস দিয়ে পেপাল ভেরিফাই করে ব্যবহার করতে পারবেন। 

কিভাবে Paypal Bangladesh ব্যবহার করবেন ও টাকা তুলবেন?
কিভাবে Paypal Bangladesh ব্যবহার করবেন ও টাকা তুলবেন?

কি কি ডকুমেন্টস লাগতে পারে?

১. আইডি কার্ড

২. SSN নাম্বার

৩. ক্রেডিট কার্ড

৪. ব্যাংক একাউন্ট 

৫. ভ্যালিড এড্রেস

. বিজনেস ডকুমেন্ট ( বিজনেস একাউন্ট এ)

৭. ইউটিলিটি বিলের কপি চাইতে পারে

আপনি এই সকল ডকুমেন্ট গুলো সংগ্রহ করে একাউন্ট করতে পারেন। 

পেওনিয়ার এর ব্যাংক বা IBAN দিয়ে Paypal একাউন্ট ভেরিফাই করা যায়?

এটা নিয়ে অনেক মতবাদ দিয়ে থাকবে যে ভাই আমি করেছি টাকা তুলেছি অনেক কথা। কিন্তু আসলে আপনি পেওনিয়ার দিয়ে Paypal এর ব্যাংক ভেরিফিকেশন কমপ্লিট মাঝে মাঝে করতে পারলেও খুব অল্প কদিনের মাঝেই আপনি আপনার প্রিয় একাউন্ট টি হারাবেন। কারণ পেওনিয়ার ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে ভেরিফাই করেছে এমন একাউন্ট ব্যান সব থেকে বেশি হয়। তাই আমি কখনোই বলবো নাহ আপনি এটা ট্রাই করুন। যদি অনেক কষ্ট করে আপনার একাউন্ট টা হারাতে না চান। 

এখন সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন কিভাবে আপনি আপনার Paypal এ ঢুকানো ডলার বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তর করবেন। 

Paypal থেকে বাংলাদেশে টাকা কিভাবে আনবেন?

পেপাল থেকে বাংলাদেশে টাকা আনার দুইটি উপায় আছে। এক হলো লিগ্যাল উপায় আরেকটি হল ইলিগ্যাল ওয়ে। আমরা সবাই ইলিগ্যাল ওয়ে টা বেশি ব্যবহার করে থাকি। আর সেটা হলো ডলার বাই সেল। বাংলাদেশ এ ডলার বাই সেল সম্পূর্ণ আইন বিরোধী একটা ব্যাপার। এছাড়া এই সেক্টরে সব থেকে বেশি চিটার বাটপার এর জায়গা। ডলার নিয়ে টাকা দেয় নাহ আবার টাকা নিয়ে ডলার দেয় নাহ এমন লোক প্রচুর আছে। 

তাহলে এই সব বদ লোকদের কে এড়াইয়া কোন প্রকৃত রিস্ক ফ্রি কোন উপায় আছে কি ডলার বাংলাদেশী ব্যাংক এ আনার?

হ্যা আছে বাংলাদেশ সরকার সম্ভবত ২০১৭ এর দিকে পেপাল এর সেবা জুম ( XOOM) বাংলাদেশ এ চালু করে। যার মাধ্যমে কোন ক্লায়েন্ট খুব সহজে তার পেপাল ব্যবহার করে আমাদের দেশের জুম একাউন্ট এ টাকা পাঠাতে পারে এবং জুম থেকে আমাদের দেশীয় ব্যাংক একাউন্ট এ। তাহলে আপনি একবার ভাবুন আপনি আপনার পেপাল থেকে আপনার জুম একাউন্ট এ টাকা পাঠালেই কিন্তু সব হিসেব বা ঝামেলা থেকে বেঁচে গিয়ে ভালো ডলার রেট এ ২-৩ দিনে লিগ্যাল ভাবে টাকা ব্যাংক এ পেয়ে যাচ্ছেন। জি হ্যা এটাই লিগ্যাল ও রিস্ক ফ্রি পদ্ধতি। 

বাংলাদেশ থেকে পেপাল ব্যবহারে কিছু সতর্কতা: 

১. যে ব্রাউজারে একবার ব্যবহার করবেন সেই ব্রাউজারে অন্য কোন সার্ভিস ব্যবহার করবেন নাহ এমন কি সার্ফিং ও করবেন নাহ। 

২. ব্রাউজার এর কুকি কখনো ডিলেট করবেন নাহ

৩. হুটহাট রিফান্ড করবেন নাহ বা নিবেন নাহ

৪. এড্রেস ভেরিফিকেশন লাগে এমন জায়গায় পেমেন্ট করবেন নাহ

৫. ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড পরিবর্তন বা যুক্ত করবেন নাহ একবার ভেরিফাই করার পরে। 

৬. VPS ব্যবহার করতে পারবেন সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। 

জি আজ এই পর্যন্ত ই পেপাল নিয়ে অনেক ক্ষন আপনার মাথা খেলাম ধন্যবাদ আমার এই পোস্ট টি পড়ার জন্য। আর হ্যা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন কোন জায়গায় বুঝেন নাই বা ভালো লাগে নাই বা আপনার বুঝার কোনো সমস্যা আছে। 

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ