Facebook-Google কীভাবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করবেন





Facebook-Google কীভাবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করবেন ফেসবুকের কোটি কোটি ব্যবহারকারীর তথ্য তাদের অজান্তে ‘ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা’ চুরি করেছে বলে প্রকাশ পাওয়ার পর এখন তীব্র বিতর্ক চলছে ‘ডাটা প্রাইভেসি’ নিয়ে।প্রায় ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ঘেঁটে, তাদের অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা একটি সিস্টেম দাঁড় করিয়েছিল।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তারা ব্যবহারকারীদের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলের ভিত্তিতে তাদের টার্গেট করে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন পাঠাতে থাকে।

ফেসবুক বা গুগল যে আপনার অনেক ব্যক্তিগত তথ্য গোপনে সংরক্ষণ করছে, সেটা এই কেলেংকারি ফাঁস হওয়ার পরই কেবল জানা গেল, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। যারা খোঁজ-খবর রাখেন, তারা জানেন, এটা চলছে বহুদিন ধরেই।

আপনার মোবাইল কি গোয়েন্দাগিরি করছে?

ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখবেন কীভাবে

আপনার ফেসবুক ডিলিট করার কি সময় এসেছে?

আপনার কি আদৌ কোন ধারণা আছে ফেসবুক বা গুগল আপনার জীবন সম্পর্কে কতটা জানে?

অনলাইনে আপনার শেয়ার করা তথ্যের গোপনীয়তা সম্পর্কে যদি আপনার মধ্যে কোন উদ্বেগ থাকে, তাহলে সহজ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে আপনি নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। বার্লিন ভিত্তিক একটি প্রযুক্তি কোম্পানি ‘ট্যাকটিক্যাল টেক’ এর সঙ্গে কথা বলে বিবিসি এই সহজ নির্দেশিকা তৈরি করেছে;

১. আপনার ফেসবুক প্রোফাইল ঠিক করুন

ফেসবুক আপনাকে সব তথ্য ডাউনলোড করার অপশন দেয়। এর মধ্যে আপনার ছবি থেকে শুরু করে এ যাবত যত মেসেজ আপনি আদান-প্রদান করেছেন, সবকিছু।

যদি এসব তথ্যের কপি পেতে চান, তাহলে জেনারেল একাউন্ট সেটিং এ যান। সেখানে ‘ডাউনলোড এ কপি অব ইউর ফেসবুক ডাটা’তে ক্লিক করুন। এরপর সব ডাটা আপনার ইমেল ঠিকানায় চলে যাবে। Online Income Tunes

জেনারেল একাউন্ট সেটিং থেকে আপনি ‘অ্যাপস’ এ ক্লিক করে দেখতে পারেন কোন অ্যাপসগুলি অপ্রয়োজনীয়। এসব অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করতে পারেন। হয়তো বহু বছর আগে ফেসবুবকে একটি কুইজ টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন। সেই অ্যাপটি হয়তো আপনার অনেক তথ্য সংরক্ষণ করে রেখেছে।

এরকম কোন অ্যাপ ডিলিট করার আগে দেখে নিতে পারেন, আপনার সম্পর্কে কত কিছু এই অ্যাপ জানে। আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!

এছাড়াও আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে এরকম বহু ছবি থেকেও নিজেকে আন-ট্যাগ করতে পারেন।

প্রোফাইল পেজে গিয়ে অ্যাকটিভিটি লগ ভালো করে দেখুন। স্ক্রল করে যত ছবি আর পোস্টে আপনাকে ট্যাগ করা হয়েছে সেগুলো দেখুন। আপনার অপছন্দের ছবি আর পোস্ট ডিলিট করুন।

২. ওকে গুগল, আমার সম্পর্কে কতটা জানো তুমি?

এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনি প্রতিদিন অন্তত একবার গুগলের কোন না কোন কিছু ব্যবহার করেন।

এবং বিশ্বের আর যে কোন কোম্পানির চেয়ে গুগল আপনাকে অনেক ভালোভাবে চেনে।

আপনার গুগল একাউন্টে লগ ইন করুন। আপনার লোগোর ওপর ক্লিক করুন। এরপর প্রাইভেসি চেক আপ পেজে গিয়ে আপনার সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য নিজের নিয়ন্ত্রণে নিন।

সেখানে তিন নম্বর ধাপে পার্সোনালাইজ ইউর গুগল এক্সপেরিয়েন্সে যান। এর মাধ্যমে গুগলের নিয়ন্ত্রণ আপনি নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারেন। ভবিষ্যতে গুগল আপনার কোন তথ্য ‘লগ’ করবে, তার সীমা আপনি ঠিক করে দিতে পারেন।

আপনার কী কী তথ্য গুগলের কাছে আছে, সেটা জানতে চাইলে এই লিংকটিতে যেতে

৩. লোকেশন ডাটা সম্পর্কে কতটা জানেন?

আপনার যদি একটি স্মার্টফোন থাকে, তাহলে এমন সম্ভাবনা খুব বেশি যে আপনার অনেক তথ্য চলে যাচ্ছে থার্ড পার্টি অ্যাপসের কাছে। আপনি কে, কোথায় থাকেন, কোথায় যান, সব তাদের জানা।

আপনার লোকেশন হিস্ট্রি জানতে আপনাকে যা করতে হবে:

• Android: Open Google Maps > menu > Your timeline. Select individual items for more detail.

• iPhone: Settings > Privacy > Location Services > scroll down and select System Services >scroll down and select Frequent/Significant Locations. Select individual items for more detail.

যদি আপনি থার্ড পার্টি অ্যাপসকে আপনার ওপর নজরদারি করতে দিতে না চান তাহলে যেখানে গিয়ে সেটিং বদলাতে পারেন:

• Android: Settings > Apps > App permissions > Location.

• iPhone: Settings > Privacy > Location Services > manage location access on a per-app basis.

Facebook-Google কীভাবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করবেন
Facebook-Google কীভাবে নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করবেন

৪. প্রাইভেট ব্রাউজার ব্যবহারের চেষ্টা করুন

কোন একটা শপিং সাইটে গিয়ে কিছু কেনার চেষ্টার পর নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন এরপর যে পেজেই যাচ্ছেন, সেই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখতে পাচ্ছেন?

কিছু থার্ড পার্টি কোম্পানি আপনাকে টার্গেট করে এসব পাঠাচ্ছে।

এরা পর্দার আড়ালে থেকে আপনার সম্পর্কে অনেক তথ্য জোগাড় করে। আপনি কি সার্চ করছেন, কোন ওয়েবসাইটে যাচ্ছেন এবং আপনার আইপি এড্রেস কি, সব তাদের জানা।

আপনার জন্য একটা দুঃসংবাদ হলো, বাজার চলতে কোন ব্রাউজারের ডিফল্ট সেটিংই আসলে প্রাইভেট বা গোপনীয় নয়। এরা সবাই কুকিজ থেকে শুরু করে ব্রাউজিং হিস্ট্রি, ওয়েব ফর্ম এন্ট্রি থেকে শুরু করে আরও নানা তথ্য মওজুদ করতে থাকে।

তবে গুগল, ফায়ারফক্স এবং সাফারিতে প্রাইভেট বা ‘ইনকগনিটো’ ব্রাউজিং মডের সুযোগ আছে। এই মডে আপনার ব্রাউজিং হিস্ট্রি, কুকিজ, টেম্পোরারি ফাইল এবং ওয়েব এন্ট্রি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।

নিজে চেষ্টা করে দেখতে পারেন:

Open your browser (Firefox, Chrome, Chromium or Safari) and go to Menu > New Private/Incognito Window (depending on the browser).

  • To set Private Browsing permanently in Firefox or Safari, go to:
  • Firefox: menu > Preferences > Privacy > History: Firefox will: select Use custom settings for history > check Always use private browsing mode.
  • Safari: Safari in the top bar > Preferences > General > Safari opens with: select A new private window.
Phone with social media apps on screen

৫. নিজেকে প্রশ্ন করুন:আমার কী আসলে এত রকমের অ্যাপস দরকার?

আপনি কি জানেন আপনার ফোনে কত রকমের অ্যাপস আছে? অনুমান করুন তো? এরপর নিজে গুনে দেখুন।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ