প্রাথমিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে অনলাইনে কাজের ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত মার্কেটপ্লেস যেমন ওডেস্ক, ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, ৯৯ডিজাইন ইত্যাদি সাইটের দ্বারস্ত হতে হয়। তবে এসব মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয়। এই কৌশলগুলো মেনে চললে কাজ পাওয়া যেমন সহজ হয়, তেমনিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা যায়।
সময়ের জনপ্রিয় পেশা ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং। স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ, যেখানে খুশি, যেভাবে খুশি ইত্যাদি নানা সুবিধার কারণে ক্রমেই এই পেশাতে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করার সুযোগও রয়েছে।
আমাদের দেশে আপওয়ার্ক নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি হয়। যার ফলে অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং মানেই আপওয়ার্কে কাজ করতে হবে। আমি সহ আরও অনেকে যখন বলি ফ্রিল্যান্সিং করি, তখন অনেকেই জানতে চায়, আপওয়ার্কে কত ঘন্টা কাজ করেছি। যদি বলি আপওয়ার্কে আমার কোন অ্যাকাউন্ট নাই, তখন সবার কাছে বিষয়টা অবাক লাগে। এজন্য সবার মধ্যের এই ভুল ধারণাটি দূর করার জন্য এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ পাওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের এই পর্বটি।
ভুল ধারণা করার কারণ :
সাধারণত আমরা বাংলাদেশের কোন চাকুরি খোজার জন্য বিডিজবস এর ওয়েবসাইটে যাই। কিন্তু তাই বলে কি আপনাদের মনে হয়, বাংলাদেশের সকল চাকুরীর সংবাদ শুধুমাত্র বিডিজবসেই থাকে? এমন অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা তাদের লোক নেওয়ার জন্য কখনো বিডিজবসে কোন নিউজ প্রকাশ করেনি। বাংলাদেশের চাকুরী খোজার ক্ষেত্রে বিডিজবস যেরকম একমাত্র প্লাটফরম নয়, তেমনি সারা বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপওয়ার্ক কিভাবে একমাত্র জায়গা হতে পারে, সেটি নিজেকে সবাই একবার প্রশ্ন করুন। বাস্তবতা হচ্ছে অনলাইনে সারাবিশ্ব থেকে যত পরিমান কাজ পাওয়া যায় তার মাত্র ২৩% এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে পাওয়া যায়। তাহলে বাকি কাজ গুলো কোথায় পাওয়া যায় সেটিও নিচে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো।
ভুল ধারণাটি যেভাবে ক্ষতি করছে আমাদের :
আমাদের দেশের শূধুমাত্র নতুনরা নয়, যারা অনেক দিন ধরে কাজ করছেন অথবা যারা কাজ শিখাচ্ছেন, তাদের মধ্যেও সঠিক ধারণার কিছুটা অভাব রয়েছে। অনেকেই জানেনা যে আপওয়ার্ক ছাড়াও আরও অনেক ভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায়। এজন্য সবার মাঝে ছড়িয়ে গেছে, অনলাইনে আয় মানেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে আপওয়ার্ককে শুধু চেনার কারণে ক্ষতি হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। নিম্নে সেগুলো তুলে ধরা হল-
১) যারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে কাজ শিখে আপওয়ার্ক থেকে আয়ের চেষ্টা শুরু করেন, তারা সেখানে কোন কাজ না পেয়ে হতাশ হয় কিংবা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভুল ধারণার জন্ম নেয় তাদের মনে।
২) কাজ না পেয়ে এক সময় অনেক কম রেটে বিড শুরু করে দেয়। কাজের রেট কমালে সবার জন্য ক্ষতির কারণ হয়, যে ক্ষতির সম্মুখীন ইতিমধ্যে সবাই হচ্ছে।
৩) কাজ পেতে স্পামিং করছে, ডুপ্লিকেট কভার লেটার ব্যবহার করছে। কাজ না বুঝেই বিড করছে। আর সেটার খারাপ ফল ভোগ করছে অন্য দক্ষ বাঙ্গালী ফ্রিল্যান্সারা। ক্লায়েন্টরা এখন বাংগালীদের দিয়ে কাজ করাতে কম আগ্রহী। সত্যিকারের যারা কাজ পারেন, তাদেরকেও এখন সঠিক ভাবে ক্লায়েন্টরা চিনতে পারছেননা।
৪) আপওয়ার্ককে কাজ পাওয়ার কথা বলে এখন বিভিন্ন রকম প্রতারণার ব্যবসাও তৈরি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ইতিমধ্যে অনেকে প্রতারিত হয়ে নিজের অনেক অর্থ নষ্ট করেছে এবং তাদের মনেও অনলাইনে আয় নিয়ে বাজে একটি ধারণা ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।
৫) শুধু আপওয়ার্ককেই অনলাইনে আয় মনে করার কারণে, যোগ্যতা তৈরির আগেই আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে সেখানে বিড করা শুরু করছে। সে কারণে আপওয়ার্কে দক্ষ্য বাংলাদেশির চাইতে অদক্ষ্য বাংলাদেশির সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যা বাংলাদেশীদের দক্ষতার ব্যাপারে অন্য দেশের ক্লায়েন্টদেরকে নেগেটিভ মেসেজ দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে অনেক বড় ক্ষতির কারণ হবে। যদিও ইতিমধ্যেই সেই ক্ষতিটা সবাই অল্প স্বল্প ভোগ করা শুরু করেছে।
বিড করা ছাড়া কাজ পাওয়ার উপায় :
এখানে আমি দুটি বিখ্যাত মার্কেটপ্লেসের নাম বলবো, যেখানে কাজের জন্য বিড না করলেও চলে। এসব মার্কেটপ্লেসে শুধু লিখে রাখতে হয় আপনি কি কাজ করতে চান। বায়ারই আপনাকে খুজে বের করে কাজ দিবে।
এইসব মার্কেট প্লেসে শুধুমাত্র গিগ হিসেবে নিজের সার্ভিস লিখে রাখতে হয়। অর্থাৎ এভাবে লিখে রাখবেন, আমি একটি লোগো ডিজাইন করতে চাই, যার মূল্য ৫০ ডলার। যারা এই রেটে আপনাকে দিয়ে কাজ করতে চায়, তারাই খুজে বের করবে আপনাকে। প্রয়োজন নাই, সারাদিন মার্কেটেপ্লেসে বসে থেকে নজর রাখা বায়ার নতুন কোন কাজের জন্য লোক খুজছে কিনা, তারপর সে কাজে গিয়ে বিড করা। এই কষ্টটা এইসব মার্কেটপ্লেস গুলোতে বায়ার নিজে করে।
মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ পাওয়ার উপায় :
- সোশ্যাল মিডিয়া সাইট
- ব্লগিংয়ের মাধ্যমে
- ফোরাম পোস্টিংয়ের মাধ্যমে
- ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
- পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে
- ভিডিও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে
- ব্লগ কমেন্টিংয়ের মাধ্যমে
- প্রেজেন্টেশন স্লাইড শো তৈরি করে
- এক্সক্লুসিভ টিপস
সোশ্যাল মিডিয়া সাইট :
আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা সাধারণ জনগণ যেমন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো নিয়মিত ব্যবহার করি, তেমনি বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, অনেক নামি দামী ব্যক্তিরা কিংবা বড় বড় কোম্পানীর মালিকরাও এসব সাইট গুলোতে নিয়মিত প্রবেশ করে। এজন্য এসব জায়গা গুলো থেকেও প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বিশেষ করে লিংকডিন (Linkedin) থেকে কাজ পাওয়া যায় অনেক বেশি।
বিশ্বের বেশির ভাগ বায়াররাই মার্কেটপ্লেসে গিয়ে তার কাজের জন্য নতুন কাউকে খুজে বের করাটাকে বিরক্তিকর কাজ মনে করে। লোকাল যেকোন চাকুরীর ক্ষেত্রে যেমন সবার প্রথম নিজের পরিচিতদের মধ্যে যোগ্য কেউ থাকলে তাকেই সবাই নিতে চায়, কারণ পরিচিত একজনের ব্যপারে রিস্ক অবশ্যই কম থাকে। অনলাইনের এই যুগে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যেকোন কারও সাথেই পরিচিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর পরিচিত হওয়ার সেই সুযোগটি করে দিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো।
এইসব সাইট গুলোতে নিজেকে প্রফেশনালি এবং কাজের দক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করুন। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলো কাজ খোজার জন্য অনেক শক্তিশালী একটি মাধ্যম। ফেসবুক, লিংকডিন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট হতেই পেতে পারেন প্রচুর কাজ। তাছাড়া গ্রাফিক্স এর কাজ পেতে চাইলে নিচের দুটি মার্কেটপ্লেসে যুক্ত থাকতে পারেন। আমার পরিচিত অনেক ডিজাইনার এখান থেকেই কাজ পাচ্ছে।ড্রিবল
ব্লগিংয়ের মাধ্যমে :
ব্লগিং কাজ খোঁজার অন্যতম একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষের কাছে নিজের কাজের দক্ষতা প্রমাণ করা সম্ভব। যে বিষয়ের উপর কাজ পেতে চাচ্ছেন, সে বিষয়ের উপর নিজেকে দক্ষ হিসেবে প্রকাশ করতে কিংবা নিজেকে ব্রান্ডিং করতে ব্লগিং অনেক বেশি কার্যকরী। আপনি যখন নিজেকে দক্ষ হিসেবে সবার কাছে ব্রান্ড করতে পারবেন, তখন কাজ খুঁজতে হবেনা। বায়ার নিজে এসে আপনাকে কাজ করার জন্য অফার করবে এবং সেটি হবে অবশ্যই যেকোন মার্কেটপ্লেসের চাইতে কম পক্ষে দ্বিগুন রেটে।
বিখ্যাত ব্লগিং সাইট গুলোতে গেস্ট হিসেবে ব্লগিং করে কিংবা নিজের পার্সোনাল ব্লগ তৈরি করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন, যার লক্ষ্য থাকবে আপনার দক্ষতাকে ব্রান্ডিং করা। যত সময় ব্যয় করবেন মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করে কিংবা কাজ খুজে, ব্লগিংয়ের জন্য তার চাইতে বেশি সময় লাগবেনা। কিন্তু আপনার একেকটি ব্লগ পোস্ট আপনাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহু দিন।
ফোরাম পোস্টিংয়ের মাধ্যমে :
অনেকে ভাবছেন লেখালেখি আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না। সুতরাং ব্লগিং করে কাজ যোগাড় করার পরামর্শটি আপনার কাজে লাগবে না। তারা ফোরাম পোস্টিং করে নিজে দক্ষতা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেন। ব্লগিংয়ে লেখার জন্য টপিকস খুজতে হলেও ফোরামে সেই ঝামেলাতে পড়তে হবে না।
কারণ এখানে বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তর গুলো ভালভাবে আকর্ষণ করার মত করে দিলেই হবে। এরকম নিয়মিত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর উত্তর দিতে থাকলে সেই বিষয়ের উপর আপনার দক্ষতা সবার কাছেই প্রকাশিত হবে অর্থাৎ সেই দক্ষতা বিষয়ে নিজের ব্রান্ডিংটা হয়ে যায়, নিজের ব্রান্ডিং হলে কি সুবিধা হবে সেটি আগের প্যারাতে আলোচনা করেছি।
ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে :
ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কিত বেসিক জ্ঞান থাকলে বিভিন্ন কোম্পানীর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম খুজে বের করে তাদেরকে অফার জানিয়ে নিয়মিত মেইল করুন। তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। এভাবে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়। বড় আকারে কাজ পেতে চাইলে এই পদ্ধতি অনেক বেশি কার্যকরী। সবারই ইচ্ছা থাকে ভবিষ্যতে বড় আইটি প্রতিষ্ঠান তৈরির। যারা এরকম চান, তাদের জন্যও এই পদ্ধতিটি অনেক বেশি কার্যকরী। তবে আগে একটি প্রফেশনাল পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে নিলে বেশি ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে।
পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে :
নিজের একটি পোর্টফলিও সাইট তৈরি করে সেই ওয়েব সাইটকে নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চের ফলাফলের প্রথমে নিয়ে আসতে পারলে সেখান থেকে কাজ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে ওয়েব সাইটকে আগে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে হয়। এ ধরনের ওয়েবসাইট গুলো র্যাঙ্কিং এর পাশাপাশি ট্রাফিক অ্যানগেজমেন্টর উপরই কাজ পাওয়া বেশি নির্ভর করে। আর এভাবে কাজ যোগাড় করলে সারা জীবনই কাজ পেতে থাকবেন।
ভিডিও মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে :
ইউটিউবে নিজের একটি ভিডিও চ্যানেল খুলে সেখানে যে সম্পর্কিত কাজ করতে আগ্রহী সে সম্পর্কিত ভিডিও তৈরি করে নিয়মিত আপলোড করুন। এমন ভিডিও তৈরি করতে হবে, যাতে সেটা দেখে অন্যদের ভিতর সেই কাজের ব্যাপারে আপনাকে অভিজ্ঞ হিসেবে ধারণাটা পাকাপোক্ত হয়। এবং ভিডিওকে ইউটিউবের সার্চের প্রথমে নিয়ে আসার কাজটিও করতে হবে। না হলে ভিডিওটি বেশি মানুষের নজরে আসবে না। বেশি মানুষ আপনার ভিডিও না দেখলে উদ্দেশ্য সফল হবেনা অর্থাৎ কাজ পাবেন না।
ব্লগ কমেন্টিংয়ের মাধ্যমে :
ভাল মানের কিছু ব্লগ রয়েছে যেগুলোতে প্রচুর মানুষ শিখার জন্য যায়। সারা বিশ্বের প্রচুর মানুষ নিয়মিত এসব সাইট গুলোতে ভিজিট করে। আপনি যদি এসব সাইটে ব্লগ লিখতে পারেন, তাহলে টার্গেটেড লোকদের কাছে খুব সহজে নিজের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করতে পারবেন। কিন্তু ধরে নিলাম লেখালেখির অভ্যাস নেই। কোন ভাবেই লিখতে পারবেন না। তাহলে উপায় কি?
এসব ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট গুলোতে সবার নজরে আসার মত করে কমেন্ট করুন নিয়মিত। এসব কমেন্টের মাধ্যমেও আপনার নিজেকে ব্রান্ডিং করার সুযোগ আছে। সাধারণ দেখা যায় ৪ থেকে ৫টা ভাল কমেন্টের পর সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির পরিচয় কিংবা যোগাযোগ করার মাধ্যম অন্যরা খোজার চেষ্টা করে এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই কমেন্টকারী ব্যক্তির সাথে যুক্ত হয়। নজরে পড়ার মত এই রকম ৮ থেকে ১০টা কমেন্ট করতে পারলে কাজ পাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়।
প্রেজেন্টেশন স্লাইড শো তৈরি করে :
স্লাইডশেয়ার (slideshare.net) নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন আপলোড করা হয়। এই ওয়েব সাইটের লিংক গুলো গুগলে খুব সহজে র্যাঙ্কিং পায়। গুগলের কাছে যেমন জনপ্রিয় এই ওয়েব সাইটটি। তেমনি প্রচুর মানুষের কাছেও জনপ্রিয়। আর সেজন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ এই সাইটে এসে নিয়মিত তাদের প্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কে সার্চ করে। এজন্য প্রতি মাসে কমপক্ষে ২টি করে প্রেজেন্টেশন এই সাইটটিতে পোস্ট করুন এবং প্রেজেন্টেশনটির কন্টেন্ট হবে অবশ্যই অন্যদের জন্য উপকারী। তবে প্লেজেন্টেশনটির শেষ স্লাইডে আপনি কাজ চেয়ে বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এভাবেও অনেককে কাজ পেতে দেখেছি।
এক্সক্লুসিভ টিপস :
আমরা অনেক সময় দেখি ফেসবুকে কেউ কেউ তাদের কাজের জন্য পোস্ট করে। যেমন- একজন লোগো ডিজাইনার লাগবে, কেউ থাকলে আওয়াজ দিন। তখন আমরা কাজ জানা থাকলে সেখানে গিয়ে হয়তো অনুরোধ করি কাজটি পাওয়ার জন্য। ফেসবুকে হয়তো আমরা মাঝে মধ্যে এরকম দেখি। এবার এমন একটি টিপস দিবো, যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে যত মানুষ এরকম লোক চেয়ে তাদের নিজেদের প্রোফাইলে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তা একবারে খুজে বের করতে পারবেন। অবশ্য এটি এখনও ফেসবুকে করা সম্ভব না। কাজটি করার জন্য টুইটারে যেতে হবে।
কারা কাজ করানোর জন্য লোক খুজছে। সেই সব লোকদের পোস্টে গিয়ে কমেন্টে আপনার অফারটি দিয়ে আসুন। সেই অফার পছন্দ হলে কাজ পেয়ে যেতে পারেন।
যেকোন মাধ্যমেই কাজ খুঁজতে যান, অবশ্যই নিজের কাজের বিষয়ে একটি পোর্টফলিও তৈরি করে নিতে কেউ ভুলবেন না। কারণ এই পোর্টফলিও তে থাকা কাজ গুলো দেখেই বায়ার কাজ দিতে আগ্রহী হবে।