আর্টিকেল রাইটিং কি
আর্টিকেল বা আর্টিকেল রাইটিং সাধারণ ভাবে একটি লেখার টুকরা, ভাগ বা অংশ যেটা আমরা মিনিমাম ৩০০ শব্দের ভেতরে লিখতে হয়। এবং, যেকোনো আর্টিকেল আমরা কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়, সাবজেক্ট বা টপিক এর ওপর লিখি। এমন একটি টপিক বা বিষয়, জেবেপারে আপনার ভালো জ্ঞান আছে এবং সেই বিষয়ে আপনি আর্টিকেলের মাধ্যমে লোকেদের অনেক তথ্য দিতে পারবেন।
আগে, আর্টিকেল সাধারণ ভাবে newspaper এবং বই বা মেগাজিনে লেখা বা প্রকাশ করা হতো। কিন্তু, এখনকার যুগে আপনি আর্টিকেল অনলাইন ব্লগ, ফোরাম, ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো মাধ্যমে প্রকাশ বা publish করতে পারবেন। এখন, সময় বদলে গেছে এবং সবটাই ডিজিটাল।
আর্টিকেল কিভাবে লিখতে হয় ?
আপনি কি বিষিয়ে আর্টিকেল লিখছেন বা কত ভালো ভাবে কোনো বিষয় বা টপিক শব্দৰ মাধ্যমে আর্টিকেলে প্রকাশ করছেন সেটা শিখানো আমার হাথে নেই। সেটা পুরোটাই, যেকোনো টপিক বা বিষয়ে আপনার থাকা knowledge এবং experience এর ওপর নির্ভর করে। যত বেশি আপনার knowledge এবং experience থাকবে ততটাই ভালোকরে ডিটেলস এ আপনি কোনো বিষয়ে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। কেবল তখনি লোকেরা আপনার আর্টিকেলে রুচি রাখবেন। এবং তাই, সব সময় মনে রাখবেন “আর্টিকেল লেখার আগে, যেই বিষয় বা টপিকে লিখবেন ভাবছেন তার বিষয়ে A to Z সবটাই যাতে আপনি জেনেনিন।
ভালো আর্টিকেল লেখার কিছু লাভকনক নিয়ম
- স্পষ্ট, আকর্ষণীয় এবং ছোট্ট টাইটেল (TITLE) এর প্রয়োগ করতে হবে। এতে টাইটেল পড়েই ভিসিটর্স রা আপনার আর্টিকেল পড়ার জন্য রুচি রাখবেন। এবং, ছোট্ট টাইটেল লেখার ফলে, আপনার আর্টিকেলের বিষয় সহজে স্পষ্ট হয়ে যাবে।
- মনে রাখবেন, ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লিখতে হবে। একটি স্পষ্ট, পরিষ্কার এবং user friendly কনটেন্ট লেখার এইটা অনেক অনেক কার্যকর নিয়ম। আপনি অনলাইন ইন্টারনেটে যতসব বড়ো বড়ো ব্লগ দেখলেই বুঝবেন। তারা যখনি আর্টিকেল লিখেন তার মধ্যে ছোট ছোট ৩ থেকে ৪ লাইনের প্যারাগ্রাফ করে লিখেন। এরম ছোট ছোট্ট প্যারাগ্রাফ লোকেরা পরে অনেক ভালো পান এবং এর ফলে অনেক বেশি সময় লোকেরা আপনার লেখন পড়েন।
- হেডিং (heading) অবশই ব্যবহার করবেন। হেডিং যেমন (H১, H২, H৩ এবং H৪ ব্যবহার করা অনেক জরুরি। এতে, পুরো আর্টিকেলের অনেক ভাগ তৈরি করা যায় এবং আপনার রিডার (reader) দেড় লেখন পড়তে প্রচুর সুবিধে হয়। মনে রাখবেন, Heading এর ব্যবহার কিন্তু অনেক জরুরি।
- মিনিমাম ৫০০ থেকে ১৫০০ র মধ্যে আর্টিকেল লিখুন। হে আপনি চাইলে ১৫০০ থেকেও অনেক বেশি শব্দের আর্টিকেল লিখতে পারবেন। কিন্তু, ৫০০ থেকে কম শব্দের আর্টিকেল লিখবেননা। যত বেশি শব্দ ব্যবহার করে কোনো বিষয়ে নিজের কনটেন্ট বা লেখন তৈরি করবেন ততই বেশি সেই লেখন পোড়ে সেই বিষয়ে জ্ঞান পাওয়া যাবে। এবং, আপনার রিডার (reader) রা জ্ঞান পাওয়ার জন্যই আপনার লেখন বা কনটেন্ট পড়তে আসেন।
- ছবি ব্যবহার করবেন। হে, একটি ভালো এবং আকর্ষণীয় লেখন ছবি ছাড়া বানানো যায়না। আপনি নিজের টপিক বা বিষয়ের সাথে জড়িত ছবি আর্টিকেলে ব্যবহার করতে পারেন। এতে, আর্টিকেল আরো বেশি আকর্ষণীয় হবে এবং দেখতে ভালো লাগবে.
কিভাবে আর্টিকেল লিখে অনলাইন টাকা আয় করা যাবে ,,,,,
লোকেরা online content writing এর মাধ্যমে বেশি টাকা আয় করা যাবে প্রত্যেক মাসে। তবে হে, সেটা নির্ভর করে, আপনার writing skills, যোগ্যতার এবং কর্মক্ষমতার ওপর আর তার সাথেই, আপনি কোন মাদ্ধম ব্যবহার করে আয় করছেন সেটার ওপরে। কনটেন্ট রাইটিং একটি বিসনেস হিসেবেই নিয়ে আপনি কাজ করতে পারবেন।
১. Blogging এর মাধ্যমে আর্টিকেল লিখুন
যখনি আর্টিকেল লেখনের মাধ্যমে আয়ের কথা আসবে,আমি blogging কেই সেরা এবং শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবে বাছাই করবো। একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে আপনি নিজের মতো করে আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আপনার যা লিখে ভালো লাগে ঠিক ওগুলোই লিখতে পারবেন। উদাহরণ স্বরূপে, আপনি যদি ইংরেজি জানেননা তাহলে হিন্দি বা বাংলা কনটেন্ট লিখে আয় করতে পারবেন। যেরকম আমিকরছি।
ব্লগ বানিয়ে টাকা আয় করার প্রক্রিয়া অনেক সোজা। এবং, আপনি চাইলে নিজেই একটি ব্লগ বানিয়ে তাতে আর্টিকেল লিখে তারপর ব্লগে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে বা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। পুরোটাই একটি সহজ এবং লাভজনক মাধ্যম যার দ্বারা আপনারা রেগুলার টাকা আয় করতে পারবেন। এই blogging এর মাধ্যমে আর্টিকেল লিখে দেশ বিদেশের হাজার হাজার লোকেরা মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন।
আশা করি বন্ধুরা আমি আপনাদের, আর্টিকেল কি, কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন এবং ভালো আর্টিকেল লেখার কিছু লাভকনক নিয়ম আমার আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে শেয়ার অবশই করবেন। ধন্যবাদ।
Comments (No)