উন্নয়ন ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নতির সাথে তাল রেখে চলতে গিয়ে বর্তমানে Computer শিক্ষার গুরুত্ব অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। কম্পিউটারের উপর যথাযথ জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকলে কোনো খাতেই টিকে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য, শিক্ষিত যুব সমাজের ছেলে মেয়েরা স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন সময়েই বিভিন্ন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সেন্টারে ভর্তি হয়ে, উক্ত খাতে তাদের দক্ষতাকে সমৃদ্ধ করছে।Computer প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবসার Idea
বেকার শিক্ষিত যুবকরাও বর্তমানে কম্পিউটার শিখে প্রতিযোগিতা মূলক চাকরী বাজারের দিকে চেয়ে না থেকে নিজেই যে কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বা নিজে আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে স্বাবলম্ভী হচ্ছে। তাই আপনি স্মার্ট একটি ক্যারিয়ার গড়ার প্রত্যয় নিয়ে স্বল্প পুজিঁ আর সাহসিকতার উপর নির্ভর করে একটি কম্পিইটার প্রশিক্ষণ সেন্টার স্থাপন করে স্বাবলম্ভী হতে পারেন। Computer প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবসার Idea
উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা আপনার এই ব্যবসাটিকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অফিস প্রোগ্রাম, গ্রাফিক্স ডিজাইন, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ইত্যাদি কাজগুলো বর্তমান চাকুরী বাজারে ব্যাপক চাহিদা বহুল হওয়ায় আপনি প্রশিক্ষণার্থীদের সহজেই আকৃষ্ট করতে পারেন। ধৈর্য্য ও পরিশ্রম এই ব্যবসাটিতে যে কোন উদ্যোক্তাকে সফল করে তুলতে পারে। Computer প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবসার Idea
কোথায় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবসা শুরু করবেন: যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো ও প্রচুর লোক সমাগম হয় এমন কোন স্থনে এই ব্যবসাটি শুরু করতে হবে। এ ক্ষেএে মফস্বল এলাকা এই ব্যবসার জন্য সব থেকে উপযোগী। Computer প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবসার Idea
সম্ভাব্য পুজিঁ কর লাগতে পারে: এই ব্যবসাটি শুরু করতে আনুমানিক ৩ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পুজিঁ বিনিয়োগ করতে হবে। তবে ছোট পরিসরে আরো কম টাকা দিয়ে শুরু করে পরে বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন।
যেভাবে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র শুরু করবেন: যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এমন কোন বাজার বা মার্কেটে একটি দোকান ঘর নির্ধারণ করে দোকার ঘরটি ভালো ভাবে ডেকোরেশন করতে হবে। তারপর দোকান ঘরটিতে কয়েকটি কম্পিউটার স্থাপন করতে হবে। বিভিন্ন অফার ও সুবিধা সংবলিত লিফলেট ছাপিয়ে তা আশপাশের সকল স্কুল- কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করতে হবে।
কম্পিউটার গুলোর সাথে ইন্টারনেট, প্রিন্টার ও স্ক্যানার সংযোজিত করতে হবে। হাতে কলমে হার্ডওয়্যারের কাজের প্রশিক্ষণের জন্য কয়েকটি কম্পিউটার রাখতে হবে। নিজের কাজের সুবির্ধার্থে কয়েকজন প্রশিক্ষকও নিয়োগ করা যেতে পারে। বেশি গ্রাহক পেতে হলে প্রশিক্ষন কেন্দ্রের প্রচার- প্রচারণা চালাতে হবে। এই ভাবে এই ব্যবসাটি শুরু করা যায়। কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেওয়ার সাথে সাথে স্টেশনারী ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
গ্রাহক কারা হবে: বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বেকার এবং চাকুরী প্রার্থীরাই এই ব্যবসার প্রধান ভোক্তা। তাছাড়া ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের কম্পিউটার শিখার আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় তারাও গ্রাহক হতে পারে।
যোগ্যতা: কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবসা শুরু করতে হলে উদ্যোক্তাদের কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে দক্ষতা ও ধৈর্য্য সহকারে শেখানোর মানসিকতা থাকতে হবে। যাতে আপনার প্রশিক্ষনের মাধ্যমে মানুষের উপকার এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। Online earning tips
সম্ভাব্য আয়: এই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্যবসাটি শুরু করে প্রতি মাসে ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। ভাল সুনাম অর্জন করতে পারলে আয় লক্ষ টাকারও বেশী সম্ভব।
Comments (No)