ব্লক চেইন একটা প্রযুক্তি, যার ওপর ভিত্তি করে মূলত বিটকয়েন এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে। প্রতিটি লেনদেন এই ব্লক চেইনে থাকছে। একে বলে পাবলিক লেজার, বাংলা করলে দাঁড়ায় উন্মুক্ত খতিয়ান। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত।
একটি লেনদেন পাকা হয়ে উন্মুক্ত খতিয়ানে যেতে হলে এই ব্লক চেইন নেটওয়ার্কের সিংহভাগ নোডকে (কম্পিউটার বা বিশেষ ধরনের কম্পিউটার জাতীয় মেশিন) সহমত হতে হবে। এই সহমত হওয়ার একটা অ্যালগরিদমও (কনসেনসাস অ্যালগরিদম) রয়েছে।
পরিশেষে জটিল একটি গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে হয়, যাকে বলে প্রুফ অব ওয়ার্ক। যারা এটা করে তাদের বলে মাইনার। প্রথম যে সমাধান করতে পারবে সে বিজয়ী, সে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন পাবে। আগে এটি ছিল ২৫টি বিটকয়েন, এখন ১২ দশমিক ৫টি বিটকয়েন। কিছুদিন পরপর এটা অর্ধেক হয়ে যাবে, সেটাও ব্লক চেইন প্রযুক্তির একটা প্রটোকল। মাইনাররা আবার সহমত হতে ভোট দিচ্ছে। অসংখ্য মাইনার কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণেই ক্রিপ্টো মুদ্রার লেনদেন জালিয়াতি বা ভুল হতে পারে না।
পৃথিবীর যে কেউ বিশেষ শক্তিসম্পন্ন নির্ভরযোগ্য কম্পিউটার বা মেশিন কিনে এই নেটওয়ার্কে যোগ দিয়ে মাইনার হতে পারে, এমনকি কিছু টাকাপয়সাও উপার্জন করতে পারে। এই ব্লক চেইন প্রযুক্তির সম্ভাবনা অপরিসীম। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, বাড়িঘর ও জমির মালিকানায় যদি ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাহলে মালিকানা বা দলিল জাল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। এটি উন্মুক্ত খতিয়ানে থাকার ফলে সবাই জানবে, কে কোন জায়গার মালিক।
Comments (No)