2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ চাকরি বা  ব্যবসার আশায় না থেকে তুমি  আত্মকর্মসংস্থান জন্য কিছু গঠনমূলক কাজ করলে তুমি তোমার  সঙ্গে সঙ্গে সমাজকেও  কিছু উপহার দিতে পারবে। এজন্য সর্বপ্রথম দরকার আত্ববিশ্বাস এবং পরিশ্রম ও নিষ্ঠা।  অনেক ব্যতিক্রমী পেশা রয়েছে যেখানে একটু পরিশ্রম ও চিন্তাভাবনা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করলে সফলতা দরজায় এসে কড়া নাড়বে।

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 1

 ভারতে  এখন সফল মুরগী ফার্মের সংখ্যা অনেক। দিন দিন এর চাহিদাও বাজার বাড়ছে। এ থেকে আদর্শ খাবার হিসেবে ডিম, আমিষের চাহিদা মেটাতে মাংস এবং জৈব সার বিষ্ঠা পাওয়া যাবে। তেমনি অন্যদিকে এ খাত থেকে বেশ ভালো আয় করাও সম্ভব।

কিভাবে শুরু করবে? 

মুরগীর ফার্মে করে ব্যবসা করা অন্যন্য ব্যবসার চেয়ে কারিগরি জ্ঞান থাকার বেশী প্রয়োজন হয়। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ নিলে। কোন মুরগীর ফার্মে কিছুদিন কাজ করেও প্রাথমিক মুরগি পালন করার জ্ঞান অর্জন করা যেতে পারে।  একটা ভালো মানের ফার্ম গড়তে সবার আগে প্রয়োজন পপ্রস্তুতি।

  প্রস্তুতির উপর নির্ভর করে যে কোনো কাজের সফলতার ও ব্যর্থতা। ফার্ম গড়ে তুলতে প্রয়োজন আর্থিক সঙ্গতি, অভিজ্ঞতা ও মুরগির নিরাপদ আশ্রয়। প্রথমেই বিশাল ফার্ম তৈরিতে হাত না দিয়ে ছোট পরিসরে কাজে হাত দেওয়া ভালো। ৫০০ থেকে ১০০০ টি মুরগি নিয়ে যাত্রা শুরু করে আস্তে আস্তে ফার্মকে সম্প্রসারণ করাই উত্তম।

মুরগী পালন করার ঘর কেমন হবে? 

একটি মোরগের সংসার গড়তে প্রথমে প্রয়োজন হবে মুরগির ঘর ঠিক করা। মুরগির থাকার ঘর উচ্চতায় চার ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৪ ফুট এবং দৈর্ঘ্য ৬ ফুট করলে ভালো হয়। এর ভেতরে ডিম পাড়ার খাঁচি, খাবার পাত্র ও পানির পাত্র রাখতে হবে। এভাবে একটা মাপযোগ করে ৫০০ থেকে ১০০০ মুরগী পালন করার জন্য একটা ঘর বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। সব থেকে ভালো হবে যদি তুমি কোন খামারীর পরামর্শ অনুযায়ী ফার্ম করো। মুরগী পালন করতে আরও যা যা খেয়াল রাখবেঃ 

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 2

(১) ঘর সব সময় শুকনো ও পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
(২) খোলামেলা স্থানে ঘর বানাতে হবে বিশেষ করে পূরব–পশ্চিম দিক করে।
(৩) ঘরের মেঝে তিন ইঞ্চি পুরু হয় এ পরিমাণ তুস, কাঠের গুঁড়া বা বালির সঙ্গে আধা কেজি          গুঁড়া চূর্ণ ভালোভাবে মিশিয়ে সমানভাবে বিছিয়ে দিতে হবে।
(৪) মেঝের কাঠের গুঁড়া বা তুস ৭ দিন পরপর ওলট–পালট করে দিলে ভালো হয়। স্যাঁতসঁতে হলে বা জমাট বেধে গেলে তা পরিবর্তন করে দিতে হবে। 

কোথায় থেকে মুরগী সংগ্রহ করবে? 

আজকাল খুব সহজেই মুরগী সংগ্রহ করা যায়। মুরগী পালন করার জন্য উন্নত জাত খুব গুরুত্ব পূর্ণ। তোমার এলাকার আশেপাশে যদি কোন ফার্ম থাকে তবে সেখান থেকে মুরগীর বাচ্চা বা মুরগী সংগ্রহ করে নিতে পারো। তাছারা বাজারে যারা মুরগী  বিক্রি করে থাকে তাদের বললে ওরাই তোমাকে উন্নত জাতের মুরগী যোগার করে দেবে। 

কেমন খাদ্য খেতে দিতে হবে?

অধিক ডিম পেতে হলে মুরগিকে দৈনিক সুষম খাবার খেতে দেবে, প্রত্যহ প্রতিটি মুরগিকে ১১৫ গ্রাম সুষম খাদ্য, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি ও ২৫ গ্রাম সবুজ শাক–সবজি বা কচি ঘাস কুচি কুচি করে কেটে খেতে দেওয়া যেতে পারে।

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 3

 এছাড়াও তুমজ চাইলে নিজেই সুষম খাদ্য তৈরি করতে পারো।

 সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো কি কি?

খাদ্য উত্পাদন–গম/ভুট্টা ভাঙা বা চালের খুদ ৪০০ গ্রাম। গমের ভুসি ৫০ গ্রাম। চালের কুঁড়া (তুষ ছাড়া) ২৫০ গ্রাম। তিলের খৈল ১২০ গ্রাম। শুঁটকি মাছের গুঁড়া ১০০ গ্রাম। ঝিনুকের গুঁড়া ৭৫ গ্রাম। সুষম খাদ্য মোট ১,০০০ গ্রাম বা ১ কেজি।

রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাগূলো কি

তোমার মুরগিকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত টিকা দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের থেকে  বিনামূল্যে রানীক্ষেত, কলেরা, বসন্ত রোগের প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ করতে পারো। আরেকটু খেয়াল রাখবে, তোমার মুরগি অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে পশু চিকিত্সালয়ের পরামর্শ নিতে হবে। অসুস্থ মুরগিকে চিহ্নিত করে তত্ক্ষণাত্ আলাদা করে রাখবে। তা ছাড়া রোগাক্রান্ত মুরগির বিষ্ঠা ও লালা সতর্কতার সঙ্গে সংগ্রহ করে তা মাটিতে পুঁতে রাখার ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।

বাজারজাতকরণ কিভাবে হবে

খুব সহজেই আমিষের প্রয়োজন মেটাতে গ্রাহকের কাছে মুরগী ও ডিমের চাহিদা ব্যাপক। তুমি চাইলে বাজারে যারা মুরগীর ও ডিমের দোকানের ব্যাবসা করে তাদের কাছে তোমার ফার্মের মুরগী ও ডিম গুলো বিক্রি করতে পারো। আশেপাশের ছোট বড় শহরের পাইকেরী বাজারে বা সুপার শপের সাথে কন্টাক্ট করেও মুরগী ও ডিম বিক্রি করা যায়। এছাড়া মুরগী ও ডিম বিক্রি করতে অনলাইন মারকেটপ্লেসের আশ্রয়ও নেওয়া যেতে পারে।

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 4

এছাড়াও কম বয়সী মুরগী, মুরগীর বাচ্চা খামারীদের কাছে এবং কৃষকদের জৈব সার হিসেবে বিষ্ঠাও বিক্রি করা যায়।

মুরগি পালনে ব্যায় কেমন?  

একটি মোরগের সংসারের সাজানোর ঘর খাবার পাত্রসহ তৈরি করা বাবদ প্রায় ১৫০০ থেকে ২ রুপি  খরচ হতে পারে। মোরেগের জন্য তৈরি কয়া ঘর কয়েক বছর ব্যবহার করা যাবে। ছয় মাস বয়সী ৯টি মুরগি এবং ১টি মোরগের ক্রয়মূল্য ১৮০০ থেকে ২৫০০ রুপি। এক বছর পরে মোরগ সহ ১০টি মুরগিকে প্রায় একই দামে বিক্রি করা যাবে। মানসম্মত ডিম কিনলে একটির দাম পড়বে ৮ থেকে ১০ রুপি। মুরগির ছোট বাচ্চা কিনলে একটির দাম পড়বে ৩৫ রপি প্রায়। এমন ভাবে মোরোগ সহ দশটি  মুরগীর  দাম হবে ৩৫০ রুপি। এক মাসে মুরগির খাবার ক্রয় বাবদ প্রায় ৮০০ রুপি ব্যয় হবে। আর তুমি নিজেই মুরগির সুষম খাবার তৈরি করতে পারো তাহলে খরচ আরও কম হবে।

এভাবে তুমি ৫০০–১০০০ হাজার মুরগী পালন করার জন্য একটা হিসেব বের করে ঠিক কেমন পুঁজি বিনিয়োগ করতে হবে সেটা সহিজেই বের করতে পারবে। 

মুরগী পালনে আয় কেমন

একটি মোরোগ ও নয়টি মুরগি থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬টি ডিম পাওয়া যায়। ডিম বিক্রি করে প্রতি মাসে গড়ে ১৪৪০ রুপির মতন আয় করা যেতে পারে। আবার উত্পাদিত ডিম, খাবার এবং বাচ্চা ফুটানোর ডিম হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। তোমার  শ্রমে উত্পাদিত ডিমের একটি অংশ দিয়ে যদি বাচ্চা ফুটাতে পারো তবে খুব সহজেই তুমি তোমার ফার্ম থেকে ভালো আয় করতে পারবে। 
প্রতি ১ মোরোগ ও ৯ মুরগী থেকে যদি ১৪৪০ রুপির মতন আয় হয় তবে একবার ভেবে দেখো ৫০০–১০০০ হাজার মুরগীর একটা ফার্ম থেকে কেমন আয় করা যেতে পারে।  এছাড়াও মুরগীর বাচ্চা এবং জৈব সার হিসেবে বিষ্ঠা বিক্রি করেও আয় করা যায়। 

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 5

মুরগীর ফার্মের ব্যবসা অত্যন্ত একটি লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসায় কম পুঁজি বিনিয়োগ করে  খুব সহজেই অল্প সময়ে অনেক বেশী আয় করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তাই তুমিও এ ব্যবসার কৌশল কাযে লাগিয়ে একজন সফল উদ্যোগতা হতে পারো

পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা 2023: প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ দুধ এবং ডিম প্রতিদিনের একটি সুষম আহার বলতে পারেন। প্রত্যেক ঘরে ডিম ও দুধের প্রয়োজনীয়তা অবশ্যম্ভাবী।

সে ক্ষেত্রে দুধ ও ডিমের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর জন্য এবং বেকারত্ব দূর করার জন্য পোল্ট্রি ফার্ম এর ব্যবসা আজকে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ব্যবসাটি করতে গেলে আপনার এক বিশেষ আনন্দ অনুভূতি হতে পারে। চলুন এই ব্যবসা সম্পর্কে একটু জানা যাক:

পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা করার জন্য কেমন জায়গার প্রয়োজন হতে পারে:

এই ব্যবসার জন্য আপনার একটু বড় ধরনের জায়গার প্রয়োজন পড়তে পারে। পোল্ট্রি ফার্ম অথবা ডেয়ারি ফার্ম করার জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর একটা জায়গার প্রয়োজনীয়তা আছে।

তবে এক্ষেত্রে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, ছোট জায়গা থেকেও আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার ঘরের পাশে পড়ে থাকা অল্প জায়গা অথবা জমি কেও কাজে লাগিয়ে এই ব্যবসা করতে পারেন।

#১) এমন ব্যবসার জন্য আপনাকে প্রথমত এমন জায়গার সন্ধান করতে হবে যেখানে কোন হইচই অথবা অন্য কোন পশুর উপদ্রব যেন না থাকে।

#২) আপনার পছন্দমত এবং আপনার নির্বাচন করা জায়গার উপর এখানে যেন কোন রকম ভাবে জলের সমস্যা না দেখা দেয়, যদি আপনি এই পোল্টি ফার্ম আপনার ঘরের আশেপাশেই করতে চান, সে ক্ষেত্রে সমস্যাটা আপনার দেখা নাও যেত পারে।

পোল্ট্রি ফার্ম অথবা মুরগি পালন করার জন্য ঋণ:

Poultry Farming Business loan in India: পোল্ট্রি ফার্মের জন্য সরকার থেকে কিছুটা পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে

আপনি কি পোল্ট্রি ফার্ম করতে চান সে ক্ষেত্রে এক লাখ টাকা পর্যন্ত লাগতে পারে, এই ব্যবসাটি করার ক্ষেত্রে ভালোভাবে, এবং সরকার জন্য ২৫% অর্থাৎ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দেবে, তাছাড়া এসটি, এসসি ক্যাটাগরির মানুষদের জন্য ৩৫ শতাংশ অর্থাৎ ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় দিতে পারে।

পোল্ট্রি ফার্ম অথবা মুরগি পালন ব্যবসার জন্য কিভাবে লোনের জন্য আপনি আবেদন করবেন:

সরকারি এই ব্যবসার জন্য বিশেষ তৎপরতা দেখিয়েছে কিন্তু এই যোজনা এবং বিভিন্ন রকমের তথ্য মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না। সেক্ষেত্রে এই প্রকল্পের সুবিধা ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না।

এই ছাড় এর কারণে এই ব্যবসার জন্য যতটা থাকার প্রয়োজন ততটা ঋণের মাধ্যমে পেয়ে যেতে পারে সেই ব্যবসায়ী। এইভাবে আপনি ঘর থেকে একটাও টাকা খরচ না করে এই ঋণের মাধ্যমে এই ব্যবসা করতে পারেন।

2023 পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসা শুরুর পদ্ধতি সরকারি সাহায্য ও লাভ 6

এই ব্যবসার জন্য কতটা পরিমাণ ঋণের সুদ দিতে হবে:

এই ব্যবসার জন্য এ ঋণের উপর 0% সুদ রয়েছে অর্থাৎ একেবারে নেই বললেই চলে। অর্থাৎ ঋণের আসল টাকা ছাড়া কোন রকম সুদ আপনাকে দিতে হবে না।

এই ব্যবসাটাকে কিভাবে শুরু করবেন:

এই ব্যবসার ক্ষেত্রে সরকার থেকে সম্পূর্ণভাবে আপনি সহযোগিতা পাবেন, সেক্ষেত্রে খুব ভালোভাবে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১) জায়গা নির্বাচন:

সবার প্রথমে আপনি যে জায়গায় এই ব্যবসাটি করতে চান অথবা মুরগি গুলোকে রাখতে চান সেই জায়গাটিকে নির্বাচন করে ফেলুন। সেই জায়গাটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

২) রেজিস্ট্রেশন:

এরপর আপনার পোল্ট্রি ফার্ম টা কে এম এস এম ই এর মাধ্যমে কোম্পানি অথবা এম এস এম ই এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে এম এস এম ই এর সহযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন খুব সহজেই হয়ে যায়।

এই বিষয় গুলোর উপর খেয়াল রাখতে হবে-

উদ্যোগ আধার অনলাইন ওয়েবসাইটের উপর রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন, খুব সহজেই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য যে ওয়েবসাইটটি হল: www.udyogaadhar.gov.in

# এই ওয়েব সাইটের উপরে যাওয়ার পর এখানে আবেদনকারীর আধার নাম্বার এবং নাম দিতে হবে তারপর ভ্যালিডেট আধার এই অপশনে ক্লিক করতে হবে।

# তারপর আপনার আধার ভ্যালিডেট হয়ে যাবে।

# আধার ভ্যালিডেট হয়ে যাওয়ার পর কোম্পানির নাম, কোম্পানির প্রকার, ব্যবসার ঠিকানা, রাজ্য, জেলা, পিন কোড, মোবাইল নাম্বার, ব্যবসার ইমেইল আইডি, ব্যবসা শুরু করার তারিখ, রেজিস্ট্রেশন এর ডিটেলস, ব্যাঙ্কের ডিটেলস, এন আই সি কোড, আপনার এই ব্যবসায় কাজ করার লোকের সংখ্যা, ইনভেস্টমেন্ট, ইত্যাদি এখানে দিতে হবে।

# এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।

# এবার এম এস এম ই এর তরফ থেকে একটা সার্টিফিকেট তৈরি হয়ে যাবে, এরপর আপনাকে ইমেইল এড্রেসে সেই সার্টিফিকেট চলে আসবে। ইমেইল থেকে আপনি এই সার্টিফিকেট প্রিন্ট আউট করে বের করে, আপনার ওই ব্যবসার অথবা কোম্পানির অফিসে লাগাতে পারেন।

এভাবে আপনার ব্যবসার রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে এবং এইভাবে আপনি লোন নিতে পারবেন।

হিসাব:

এরপর একটি সাদা কাগজে আপনি পোল্ট্রি ফার্ম অথবা ডেয়ারি ফার্ম বানানোর জন্য যে খরচ হবে সেটা বানাতে পারেন। কি কি লাগতে পারে এই ফার্ম তৈরি করার জন্য, সেক্ষেত্রে একটি লিস্ট বানিয়ে নিতে পারেন, আপনার আরত্ত মত।

বিভিন্ন রকমের খরচ এর তালিকা বানিয়ে নিন। এবার এই হিসাবের সাথে আপনার ঠিকানার প্রমাণপত্র, আপনার পরিচয় পত্র, একসাথে নিয়ে আপনার কাছাকাছি কোন ব্যাংকে চলে যান।

সার্ভিস ব্যাংক লোন:

এটা ঋণ নেওয়ার পরবর্তী প্রক্রিয়া, এই প্রক্রিয়াতে এই ব্যবসার জন্য ঋণ নেওয়া আবেদনকারীর বিভিন্ন পেপারে সাইন করতে হয়, অথবা সই করতে হয়।

সাবসিটি রিলিজ:

এটা সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, যে ব্যাংক থেকে লোন নেবেন,  সেই ব্যাংক সাবসিটি করে দেয়। সাবসিটি পাওয়ার জন্য অন্য কোন জায়গায় আপনার যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এই সাবসিডি অথবা ছাড় আপনার ব্যাংক একাউন্টে আপনা আপনিই চলে যাবে

।এইভাবে কিন্তু খুব সহজেই আপনি আপনার পোল্ট্রি ফার্ম অথবা মুরগি পালন ব্যবসা শুরু করতে পারেন অনায়াসেই।

এই ব্যবসায় লাভ সম্পর্কে জানা যাক:

১) বর্তমান সময়ে দেশে পোল্ট্রি (Poultry Farming) এবং ডেইরি ফার্ম (Dairy Farm) তেমনভাবে হয়ে ওঠে না, সে ক্ষেত্রে বাইরে থেকে বেশি দাম দিয়ে এই সবগুলি আমদানি করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সরকার এই ব্যবসাটা কে উৎসাহের সাথে করার জন্য বিভিন্ন রকমের সুবিধা এবং শূন্য শতাংশ সুদ দিয়ে ব্যবসাটাকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

২) যদি আপনি কৃষক হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে এই ব্যবসায় পশু পাখিদের খাবার নিয়ে আপনাকে চিন্তা করতে হবে না, কেননা যেসব শাকসবজি উৎপাদন হয়, আপনি সেই শাকসবজির কিছুটা অংশ পশু পালন এবং চাষ করা শস্যদানা ও মুরগি পালনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনার এই ব্যবসার খাদ্য সম্পর্কে চিন্তাটা চলে গেল।

৩) যারা বেকার মানুষ, তারাও কিন্তু পোল্ট্রি ফার্ম অথবা মুরগি পালন করে নিজেদের রোজগার তৈরি করে নিতে পারেন।

৪) এই ব্যবসায় অধিক লাভের সম্ভবনা রয়েছে।

৫) এটা এমন একটা ব্যবসা, সেটা কে আপনি খুব ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন এবং যদি ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারেন, ভবিষ্যতে সরকার এর এই ঋণ শোধ করে একটা ভালো রকমের পোল্ট্রি ফার্মের মালিক হয়ে যেতে পারেন আপনি।

সরকারি সহযোগিতা এবং নিজের কষ্ট, দক্ষতা, দিয়ে পোল্ট্রি ফার্ম (Poultry Farming Business) ও পশুপালন করে অথবা ডেয়ারি ফার্ম করে বেকারত্ব কাটিয়ে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। দেশের, রাজ্য এবং আপনার আশেপাশে ডিম, দুধের, মাংসের প্রয়োজনীয়তা মেটানোর পাশাপাশি আপনি হয়ে উঠবেন একজন সুদক্ষ ব্যবসায়ী, এই ক্ষেত্রে।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ