তরুণ উদ্যোক্তা মামুন ও তুলশীমালা এক্সপ্রেস শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জন্মস্থান উত্তরে গাড়ো পাহাড়ে ঘেরা ছায়া সুনিবিড় জেলা শেরপুরে। এ জেলার সীমান্তের ওপারেই ভারতের মেঘালয় রাজ্য। পূর্বে এর নাম ছিল দশকাহনিয়া বাজু, এরপর হয় দশকাহনিয়া। সময়ের পালাবদলে শের আলী গাজির নামানুসারে এ জেলার নাম হয় শেরপুর।
শেরপুর জেলার সন্তান শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্কুল ও কলেজ জীবন ছিল শেরপুরেই, এরপর দেশের অন্যতম স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন।
পড়াশুনার পাশাপাশি দীর্ঘ একটি সময় ছিলেন প্রগতিশীল রাজনীতিতে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে। এছাড়াও সামাজিক ও মানবিক কাজে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। বন্যার সময় শেরপুরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
তিনি জানান, খুব শীঘ্রই শেরপুরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম করতে যাচ্ছেন, যেটা কাজ করবে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এবং মানবিক ও দেশের প্রয়োজনে সব কাজে থাকবে তাদের অংশগ্রহণ।
সম্প্রতি তিনি কাজ শুরু করেছেন তার জেলা শেরপুরের ব্র্যান্ডিং পণ্য ‘তুলশীমালা’ সুগন্ধি চাল নিয়ে। এটি শত শত বছর ধরে শেরপুরে চাষ হয়। এটি শেরপুরের কৃষকদের কাছে রত্নের মতো। শেরপুরে একে জামাই আদুরে চাল বলা হয়।
এত ভালো একটি চাল সম্পর্কে দেশের অনেক জেলার মানুষই অবগত নয়। তাই নিজের জেলাকে এবং জেলার এই ব্র্যান্ডিং পণ্য তুলশীমালাকে সারাদেশে পরিচিত করতে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন ‘তুলশীমালা এক্সপ্রেস – Tulshimala express ’ নামের এই প্ল্যাটফর্মে।
কৃষকদের কাছ থেকে এই পণ্য সংগ্রহ করে সুলভ মূল্যেই গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তার ‘তুলশীমালা এক্সপ্রেস – Tulshimala express’, পণ্য পরিবহন সেবার মাধ্যমে এই চাল পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তুলশীমালা এক্সপ্রেসের চাল নিয়ে গ্রাহকদের আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
শিমুল চন্দ টুম্পা বলেন, তুলশীমালা চাল আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্য হলেও আমি আগে এর নাম শুনিনি। তাই যখন জানলাম, বহু বছর ধরে শেরপুরে এ জাতের ধানের চাষ হয়ে আসছে, তখন তুলশীমালা এক্সপ্রেস- Tulshimala express থেকে অর্ডার করলাম। এই চাল দিয়ে রান্না করলাম ভাত, পোলাও আর পায়েস। খুবই সুগন্ধযুক্ত, সুস্বাদু আর রান্নাও সহজ।
আমার ও আমার পরিবারের সবার খুব ভালো লেগেছে। আমার আত্মীয় পরিজনরাও এ চালের ভক্ত হয়ে পড়েছে। এতদূর থেকে অনেক কষ্ট করে এ চাল পৌঁছে দেওয়ার জন্য Sheikh Abdullah Al Mamun ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশাকরি তুলশীমালা এক্সপ্রেস- Tulshimala express এর সুনাম আরও বিস্তৃত হবে।
খেতাব আহমেদ নামের একজন ক্রেতা বলেন, ‘কাচ্চির চালের সবচেয়ে বড়গুণ হচ্ছে ঝরঝরে থাকবে এবং ভাঙবে না। তুলশিমালা চাল দিয়ে আমার মায়ের হাতের রান্না করা কাচ্চি স্বাদে ও গন্ধে এক কথায় অসাধারণ।’
Tulshimala express এর কর্ণধার শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের বলেন, ‘নিজের জেলাকে সবার কাছে পরিচিত করার এই মাধ্যম আমার জন্য গর্বের। শেরপুরকে আমি সবার কাছে তুলে ধরতে চাই। শুধু তুলশীমালা চালই নয়, আমাদের জেলার পর্যটন খাতও অনেক সম্ভাবনাময়,
আমি এটি নিয়েও কাজ করতে চাই। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার তুলশীমালা এক্সপ্রেসকে আরও বৃহৎ প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর। গ্রাহকদের এবং আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের যে ভালোবাসা ও দোয়া পাচ্ছি, আমি বিশ্বাস করি আমি পারবো। ’
Comments (No)