কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়? বা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে নিউজ বা ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম কী? এই বিষয়টি এক সময় ব্যয়বহুল ও কষ্টকর ছিল। ওয়েবসাইট খোলার জন্য কোডিং জানা ছাড়া কোনো পদ্ধতি ছিল না।
কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে অতি সহজেই একটি যায়। যেমনঃ ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress), ব্লগার (Blogger), জুমলা (Joomla), ড্রোপাল (Dropal) ইত্যাদি।
ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা গেলেও সেটি প্রফেশনাল মানের হয় না। তবে আপনি অল্প টাকা খরচ করে প্রফেশনাল মানের একটি নিউজ বা ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে পারেন।
আপনি হয়ত অনেকের কাছে শুনে থাকবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করা যায়। এই আর্টিকেলটি উক্ত বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
আমরা কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারি । চলুন শুরু করা যাক।
নিউজ বা ব্লগ সাইটের জন্য ডোমেইন ক্রয়
সাধারণত ডোমেইন নেম বলতে কোনো ওয়েবসাইটের নাম বা অ্যাড্রেস (Address) কে বোঝায়। যেমন: www.google.com এখানে google.com হচ্ছে ডোমেইন নেম ।
আপনাকেও এমন একটি ডোমেইন নেইম ক্রয় করতে হবে, যে নাম বা অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ভিজিটর আপনার সাইটে প্রবেশ করবে।
ওয়েবসাইট তৈরির আগে ডোমেইন নেম সম্পর্কে ভাল জ্ঞান প্রয়োজন। তাই আগে আমাদের ডোমেইন নেম কি এবং কেন ব্যবহার করা হয় এই পোস্টটি পড়তে পারেন।
ডোমেইন নেইম একটি ওয়েবসাইটে জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই ডোমেইন নেম ক্রয় করার আগে যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন। যেমন:
টপ লেভেল ডোমেইন: টপ লেভেল ডোমেইন বলতে ডোমেইন নামের ডট (.) এর পরের অংশ .com/.net/.org/.info ইত্যাদি থাকবে এমনটাই বোঝায়। ডোমেইন কিনার সময় এইসব এক্সটেনশনের (.com/.net/.org/.info) ডোমেইন ক্রয় করবেন।
কিছু ফ্রি ডোমেইন আছে যেগুলো ব্যবহার করবেন না, যেমন: .tk/.me/.ga/.ml ইত্যাদি। টপ লেভেল ডোমেইনে মানুষ বেশি ভিজিট বা ক্লিক করে। তাই এই ডোমেইনগুলো গুগল রেংকিং ও এগিয়ে থাকে।
র্শট নেইম (Short Name): সুন্দর ও র্শট একটি ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন। তবে চেষ্টা করবেন এই র্শট নামের মধ্যেই আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়টি ফুটিয়ে তুলতে।
মেমোরেবল (Memorable): এমন একটি নাম দিন যেটি ভিজিটরা সহজেই মনে রাখতে পারবে। যার ফলে তারা সরাসরি আপনার সাইটে প্রবেশ করতে পারে।
সহজে বলা ও লিখা যায়: সহজে বলা ও লিখা যায় এমন নাম নির্বাচন করা উচিত। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটি ব্যবহারকারীরা অন্যদের সাথে সহজেই শেয়ার করতে পারবে।
নিস (niche/topic) রিলেটেট নাম: আপনি যে ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান সেই সম্পর্কিত নাম নির্বাচন করুন। আপনি চাইলে আপনার নামও দিতে পারেন। তবে এটি প্রফেশনাল কাজের জন্য কখনই উচিত নয়।
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য হোস্টিং
সহজভাবে বললে হোস্টিং হচ্ছে ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো ( অডিও, ভিডিও, ছবি, আর্টিকেল ইত্যাদি) যে জায়গা বা মেমরিতে থাকে।
আমি মনে করি এটি একটি ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর আমরা বাংলাদেশীরা এখানেই ভুল করি। যার ফলে আমরা বেশি দূর এগুতে পারি না।
আমাদের দেশে অনেক হোস্টিং কোম্পানির রয়েছে যারা কম দামে ৫/১০/২০ GB বা আনলিমিটেত হোস্টিং অফার করে। যাদের বেশির ভাগই ভাল সেবা প্রদান করে না।
তাছাড়া, দুয়েকটি কোম্পানি ছাড়া বেশির ভাগই ভাল মানের হোস্টিং সেবা দিতে ব্যার্থ। যার ফলে সাইটগুলো অফ লাইনে থাকে বা ভাল স্পিড পায় না। যেটা গুগল রেংকিং ও ভিজিটর হারানোর মূল কারণ।
তাই চেষ্টা করবেন একটি ভাল কোম্পানি থেকে হোস্টিং সেবা নিতে। আপনার ডুয়াল কারেন্সি কার্ড থাকলে SiteGround, Hostinger, Bluehost বা Namecheap থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং নিতে পারেন। এগুলো বিশ্বের সেরা ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি।
ডুয়াল কারেন্সি কার্ড না থাকলে বিকাশ, রকেট বা বাংলাদেশের অন্যন্য অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেও ডোমেইন ও হোস্টিং কিনতে পারবেন।
বাংলাদেশে হাতে গুনা কয়েকটি সেরা ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে আমি Xeonbd রিকমেন্ট করব। তারা সুনামের সাথে বেশ ভাল সেবা দিয়ে আসছে।
হোস্টিং নিয়ে আমাদের একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আশা করি এই পোস্টি আপনাকে আরো জানতে সাহায্য করবে। এখানে দেখুন হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত।
ওয়েবসাইট বানাতে ডোমেইন হোস্টং কনেক্ট করা
ডোমেইন হোস্টিং আলাদা আলাদা কোম্পানি থেকে ক্রয় করা যায়। তখন আমাদের ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য ডোমেইন হোস্টিং কানেক্ট করতে হয়।
তবে এখন বেশির ভাগ কোম্পানি একই সাথে ডোমেইন হোস্টিং প্যাকেজ আফার করে থাকে। এইগলো বেশীর ভাগ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই কানেক্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ এক সাথে ডোমেইন হোস্টিং কিনলে কানেক্ট করার প্রয়োজন নেই।
আপনি নিচের নিয়ম অনুসরণ করে ডোমেইন হোস্টং কানেক্ট করতে পারেন। প্রায় সকল কোম্পানির জন্য প্রায় একই পদ্ধতি।
মনে রাখবেন ডোমেইন হোস্টিং এর সাথে অ্যাড করতে হলে ডোমেইনের নেম সার্ভার হোস্টিং নেম সার্ভার এর সাথে আপডেট করতে হবে।
- প্রথমে আপনার ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করতে হবে।
- নেমসার্ভার (Nameserver) ফিল্ডটি খোঁজে বাহির করুন।
- তারপর কাস্টম নেইমসার্ভার (Nameserver) ক্লিক করতে হবে।
- পরিশেষে Nameserver1 ও Nameserver2 এ আপনার হোস্টিং এর নেইম সার্ভার দিন (এটি হোস্টিং কোম্পানি মেইল করে জানিয়ে দিবে) । যেমন:
Nameserver1: ns1.example.com
Nameserver2: ns2.example.com
বিঃ দ্রঃ বেশির ভাগ সময় ডোমেইন হোস্টিং কয়েক সেকেন্ডে কানেক্ট হয়ে যায়। তবে সব্বোর্চ ৪৮ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতে পারে।
ওয়েবসাইট তৈরি জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন
ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে ওয়েবসাইট বানানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সেরা মাধ্যম। এটি দিয়ে কোনো কোডিং ও প্রোগ্রামিং জানা ছাডাই একটি প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট খোলা যায়।
তাই আমরা নিউজ বা ব্লগ সাইট তৈরি করতে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যাবহার করতে পারি। কেননা ৩৬% এটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
আমরা এটি ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করব। তাছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট আছে।
আশা করি ওয়ার্ডপ্রেস শিখা ও জানার জন্য এটি আপনাকে সাহায্য করবে। এখানে বিস্তারিত জানুন ওয়ার্ডপ্রেস কি?
যাইহোক, ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করার জন্য প্রথমে আপনার সিপ্যানেলে (Cpanel) লগইন করতে হবে।
আপনার ডোমেইন নেমের পরে ফ্ল্যাস চিহ্ন (/) দিয়ে cpanel লিখে ব্রাউজারে প্রবেশ করলেই লগইন পেজ আসবে। যেমন: aexample.com/cpanel
সধারাণত, সিপ্যানেল লগইন ইনফরমেশন হোস্টিং প্রোভাইডার ইমেলে (Email) জানিয়ে দেয়।
আপনি ইমেল করা লিংক ও তথ্য ব্যবহার করে সহজেই লগইন করতে পরেন। তারপর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
- সিপ্যানেলের একেবারে নিচে ওয়ার্ডপ্রেস খোঁজে পাবেন অথবা আপনি চাইলে soft (SOFTACULOUS) লিখে সার্স করে বাহির করতে পারেন। তারপর ওয়ার্ডপ্রেস আইকনে ক্লিক কর্রুন।
- নতুন একটি পেজ আসবে সেখান থেকে Install Now বাটনে ক্লিক করুন। ডিফল্ট সিটিংস গুলো যেভাবে আছে সেভাবেই রাখবেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিচের মত পরিবর্তন করুন।
- আপনার ডোমেইনে SSL সার্টিফিকেট থাকলে Choose Installation URL এর Choose Protocol অংশটিতে https:// (www ছাড়া রিকমেন্ট থাকবে) নির্বাচন করুন। তারপর Choose Domain অংশে আপনার ডোমেইন সেলেক্ট করুন ( একটি ডোমেইন থাকলে ওটাই সিলেক্ট হয়ে থাকবে) এবং In Directory খালি রাখবেন।
- তারপর নিচে Admin Username এ আপনার নাম (Space ছাড়া) এবং Admin Password এ ভাল একটি পাসওয়ার্ড দিবেন। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড ভাল ভাবে সংরক্ষণ করে রাখুন। কারণ এটি ভুলে গেলে আপনি বেশ সমস্যায় পড়তে পারেন। Admin Email-এ এবং সবচেয়ে নিচে Email installation details to-এ আপনার ইমেইল অ্যাড্রেস দিবেন। একই ইমেইল অ্যাড্রেস হলেও সমস্যা নেই। তবে অ্যাক্টিভ ইমেইল অ্যাড্রেস দিবেন।
- সবকিছু ঠিক মত দিয়েছেন কিনা যচাই করুন। ফাইলনালি নিচ থেকে Install বাটনে ক্লিক করলে অল্প সময়ের মধ্যে ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল হয়ে যাবে।
ওয়ার্ডপ্রেস সফলভাবে ইনস্টল হয়ে গেলে আপনাকে ইমেইল করা হবে। সেখানে অ্যাডমিন ইউআরএল লিংক দেওয়া থাকবে। যেই লিংকে গিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস অ্যাডমিন প্যালেনে লগইন করতে হবে।
ভাল ওয়ার্ডপ্রেস থিম সিলেক্ট করুন
থিম (Theme) কোনো ওয়েবসাইটের গঠন বা আকার অথাবা ওয়েবসাইটটি কিভাবে প্রকাশ হবে তা নির্ধারন করে।
অর্থাৎ ওয়েবসাইট দেখতে কত সুন্দর ও উজার ফ্রেন্ডলি হবে তা একটি থিমের উপর নির্ভর করবে।
তাছাড়া ওয়েবসাইটের স্পিডও অনেকটা থিমের উপর নির্ভর করে যা গুগল রেংকিং এ অনেক বড় একটি ফ্যাক্টর। তাই ভাল মানের থিম নির্বাচন করা খুবই গুরত্বপূর্ণ।
ফ্রি থিম গুলো বেশি ফিচার সমৃদ্ধ হয় না। তাই আপনাকে ভাল একটি প্রিমিয়াম থিম (Premium Theme) কিনে নিতে হবে। একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইটের জন্য এটি অত্যাবশ্যকীয় ।
themeforest.net প্রিমিয়াম থিম ক্রয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেট প্লেস। আপনার যদি খুব বেশি সমস্যা না থাকে তাহলে আমি একটি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করতে বললব।
তবে আপনি চাইলে ফ্রি থিমও ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য Appearance » Theme » Add New » Popular অংশে প্রবেশ করুন। এখানে আপনি ভাল ভাল ফ্রি থিম দেখতে পারবেন।
তবে ফ্রি থিম হিসাবে Astra, OceanWp, Neve থিম গুলো বেশ ভাল। আপনার যেটি পছন্দ হয় সেই থিমের নিচে “Install” বাটনে ক্লিক করুন।
তারপর একইভাবে Active বাটনে ক্লিক করলে থিমটি আপনার সাইটে কাজ করবে। মনে রাখবেন যে থিম অ্যাক্টিভ থাকবে সেটাই শুধু আপনার সাইটে কাজ করবে।
প্রয়োজনীয় প্লাগিন ও টুলসের ব্যাবহার
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সেটিকে সম্পূর্ণ রূপ দিতে আপনাকে কিছু প্লাগিন ও টুলস ব্যবহার করতে হবে।
ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিনকে আমরা এক ধরনের সফটওয়্যার বলতে পারি যা এক বা একাধিক নতুন ফিচার যোগ করে।
এই বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত একটি পোস্ট রয়েছে। যা পড়লে আপনি সহজেই প্লাগিন ব্যবহার করতে পারবেন। তাই দেখে আসুন প্লাগিন কি এবং কিভাবে ইনস্টল করবেন।
যেমন “WP Forms” আপনাকে একটি কন্টাক্ট ফর্ম (Contact Form) তৈরি করতে সাহায্য কররবে। চলুন দেখে নেই কিছু প্রয়োজনীয় প্লাগিন ও টুলস বা সফটওয়্যার।
- Elementor: এই প্লগিন সাইট কাস্টোমাইজেশন করার জন্য। অর্থাৎ এটি আপনাকে প্রফেশনাল মানের পেজ ডিজাইন করতে সাহায্য করবে।
- Yoast SEO: এটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের এসসিও এর জন্য সেরা একটি প্লাগিন।
- UpdraftPlus: ওয়েবসাইটের ব্যাকআপ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ যা এই চমৎকার প্লাগিন দিয়ে করা যায়।
- TinyMCE Advanced: লেখা বোল্ড, ইটালিক, লিংক, ছবি ইত্যাদি যুক্ত কার করা যাবে এটি দিয়ে। অনেকটা Ms Word এর মত।
- reSumsh.it: এটি একটি গুরত্বপূর্ণ প্লাগিন। ইমেজ অপ্টিমাইজ করতে কাজে লাগবে।
- WooCommerce: অনলাইন শপিং তৈরি করতে সাহায্য কর্রবে।
- Really Simple SSL: ওয়ার্ডপ্রেসে SSL সার্টিফিকেট সেটাপ করতে কিছু কনফিগারেশনের প্রয়োজন হয়। এটি দিয়ে তা সহজেই সমাধান করা যায়।
- MC4WP: ইমেইল সাবস্ক্রিবশনের জন্য সেরা মাধ্যম এটি।
- Duplicator: এক হোস্ট থেকে অন্য হোস্টে এটি মাইগ্রেশনের জন্য।
- W3 Total Cache: এটি একটি ক্যাচে প্লাগিন। যা আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বাড়িয়ে তুলবে।
- Grammarly: এটি একটি গ্রামার চেকার ও ঠিক করার সফটওয়্যার। নির্ভুল ইংরেজি লিখতে এটির জুড়ি নেই।
- Canva: ওয়েবসাইটের জন্য ইমেজ তৈরি করার জন্য সহজ ও সেরা মাধ্যম কেনভা। এখানে অনেক ফ্রি ও প্রিমিয়াম ইমেজ পাওয়া যায়।
- AdWord: কোন বিষয় বা কিওয়ার্ড নিয়ে লিখলে ভিজিটর পাওয়া যাবে। এই টুলটি এই বিষয়ে হেল্প করবে।
ওয়েবসাইট তৈরি সম্পূর্ন করতে কাস্টমাইজেশন করুন
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরি সম্পূর্ণ করতে কাস্টমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অংশে ওয়েবসাইটের মেনু, সাইডবার, ফুটার, পেজ, পোস্ট তৈরি অন্যতম বিষয়। কাস্টমাইজেশনের করতে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।
ক্যাটাগরি (Category)
ওয়েবসাইটের পোস্টের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন পোস্ট কোন শ্রেণীতে বা ক্যাটাগরিতে থাকবে তা আপনাকে নির্ধারণ করে দিতে হবে। ফলে ভিজিটরা খুব সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পোস্ট খুঁজে পাবে।
ব্লগ বা নিউজ সাইটে ক্যাটাগরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার সাইটে ক্যাটাগরি আ্যড করতে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ ক্রিশেষেপ
- প্রথমে Post » Categories এই পেজটিতে প্রবেশ করুন। নিচের মত একটি পেজ পাবেন।
- Name ফিল্ডে ক্যাটাগরির নাম দিবেন।
- Slug অংশটিতে আবার ক্যাটাগরির নাম দিলে ভাল হয় তবে ইংরেজি হলে ছোট হাতের অক্ষর দেওয়া বেস্ট প্রেকটিস। আর একাধিক শব্দ থাকলে শব্দের মাঝে ড্যাস চিহ্ন দিবেন।
- আপনি যদি কোনো ক্যাটাগরির আন্ডারে নতুন ক্যাটাগরিটি রাখতে চান তাহলে Parent Category থেকে সিলেক্ট করতে পারবেন। এটি মেইন ক্যাটাগরি রাখতে চাইলে None সিলেক্ট করতে হবে।
- Description দেওয়া এসিও (SEO) এর জন্য ভাল। তবে আপনি চাইলে খালিও রাখতে পারেন।
- পরিশেষে Add New Category বাটনে ক্লিক করলে এই ক্যাটাগরিটি তৈরি হয়ে যাবে।
পোস্ট (Post)
আমার প্রায় সময় বিভিন্ন আর্টিকেল বা নিউজ পড়ে থাকি। এগুলোই মূলত পোস্ট (Post)। যারা ব্লগিং বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চায় তাদের নিয়মিট পোস্ট করতে হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট লিখা খুবই সহজ। তবে আপনি যদি “TinyMCE Advanced” প্লাগিন ব্যবহার করেন তাহলে সবকিছু খুব দ্রুত করতে পারবেন। এটা অনেকটা MS Word এর মত সুবিধা দিবে।
ওয়ার্ডপ্রেসে পোস্ট করতে Post » Add New তে প্রবেশ করলে পোস্ট লিখার জন্য ইডিটর পাবেন। খুব সহজেই এখান থেকে সব করা যায়। নিজে ট্রাই করলেই সব বোঝতে পারবেন।
বাম দিক থেকে সব ইডিট করতে পারবেন। যেমনঃ ক্যাটাগরি, ফিচার ইমেজ, ট্যাগ, পারমালিংক ইত্যাদি। এই বিষয় গুলো গুরত্ব দিয়ে ইডিট করবেন।
সব ঠিক থাকলে উপরের Publish অফশনে ক্লিক করলে পোস্ট পাবলিশ হয়ে যাবে। তবে আপনি চাইলে Preview অপশন থেকে সব কিছু ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে পারেন।
অনেক সময় আমাদের সম্পূর্ণ পোস্ট লিখা হয় না কিন্তু তা সেভ (Save) করার প্রয়োজন হয়। এই জন্যই মূলত ড্রাফট অফশন। অগোছালো পোস্ট গুলো এখানে রেখে ইডিট করতে পারবেন।
পেজ (Page)
অয়েবসাইতে কিছু প্রয়োজনীয় পেজ তৈরি করা খুবই জরুরী। যেমন কন্টাক্ট আস (Contact Us, আবাউট আস (About Us), প্রাইভ্রেসি আন্ড পলেসি (Privacy and Policy) ইত্যাদি পেজ।
পোস্টের মত একইভাবে আপনি পেজ তৈরি করতে পারবেন। তবে ভাল মানের ডিজাইন করতে আপনাকে একটি পেজ বিল্ডার প্লাগিন (Page Builder Plugin) ব্যবহার করতে হবে।
ইলেমন্টর (Elementor) সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় পেজ বিল্ডার প্লাগিন। খুব সহজেই এটি দিয়ে প্রফেশনাল মানের পেজ ও ওয়েবসাইট ডিজাইন করা যায়।
ওয়েবসাইটে পেজ অ্যাাড করতে ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাসবোর্ডের বাম পাশ থেকে Pages » Add New প্রবেশ করুন। তারপর পেজ টাইটেল ও প্রয়োজনীয় ইডিট করে Publish বাটনে ক্লিক করলে পেজটি পাবলিশ হয়ে যাবে।
মেনু (Menu)
ওয়েবসাইটের উপরে যে অংশ হতে আমরা এক বা একাধিক পেজ বা লিংক ভিজিট করতে পারি তাকে মেনু বলে। একটি ওয়েবসাইটে অবশ্যই মেনু থাকতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসে আমরা খুব সহজেই মেনু অ্যাাড করতে পারি।
শেষ কথা
কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়? আশা করি আপনারা বিষয়টি বোঝতে পারছেন। বাসায় চেষ্টা করবেন। তাহলেই আপনার দ্বারা একটি ওয়েবসাইট খোলা সম্ভব হবে।
আর হ্যাঁ আপনার কাছে অনলাইনে আয় করা খুব কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু বিশ্বাস করুন এমন অনেক মানুষ আছে যাদের অনলাইন আয় বড় বড় ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার থেকেও কয়েক গুন বেশি।
তাছাড়া অন্য কাজের পাশাপাশি এটি করা যায়। যাদের কাজের পাশাপাশি মোটামোটি সময় থাকে তারা চেষ্টা করবেন। আর ছাত্রছাত্রীরা অব্যশই।
এই বিষয়ে যা জানা প্রয়োজন সব অনলাইন বা ইউটোবে পাওয়া যায়। মনে রাখবেন অন্যরা পারলে আপনি পারবেন না কেন।
এই বিষয়ে আরোও কোনো কিছু জানতে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে যে কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে আমাদের ইমেইল করতে পারেন।
Comments (No)