আপনার আউটসোর্সিং করা উচিত নয়। আজ আমি আউটসোর্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে যাচ্ছি।
যে সকল কারনে আপনার অনলাইনে আউটসোর্সিং করা উচিত নয়।
বাংলাদেশ থেকেও অনেকেই হাজার হাজার ডলার আয় করেন। তাদের অনেকের কাছে শিখতে গেলে দাবি করে মোটা অংকের টাকা।
এই পোস্টটি পড়ে আপনার জীবন পালটে যেতে পারে। সকলের মঙ্গলের জন্য অবশ্যই লেখাটুকু পরুন আর শেয়ার করুন।
আউটসোর্সিং কি?
যারা প্রথমে অনলাইনে আউটসোর্সিং করতে আসে তারা বেসিরভাগি যায়-
1. PTC/Adclick, Bitcoin, ইত্যাদি।
2. Visa, Cl/Cgaigslist traffic ইত্যাদি।
3. Link Shortner, Link share ইত্যাদি।
4. Blooging, Adsense, Youtube ইত্যাদি।
5. Upwork, freelancer, Fiver, Microworkers ইত্যাদি।
6. Affiliate Marketing, CPA Marketing.
এইবার এসকল সমস্যা ও সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
1. PTC/Adclick, Bitcoin ইত্যাদি-
সবথেকে বাজে এবং প্রতারনা হচ্ছে এইটি। এইটা দিয়ে কোনদিন ভালো ইনকাম করা সম্ভব নয় রেফারেল ছাড়া। সকলেই রেফারেল এর জন্য মাথা নস্ত করে কয়েকমাস খুব পরিশ্রম করে। কিন্তু যখন কয়েকমাস পরে সে বুঝতে পারে যে এইতা দিয়ে তার ইন্টারনেট এর খরচটায় উঠছেনা তখন অনলাইনে আউটসোর্সিং ইনকাম করার সাধ মিটে যায়।
2. Visa, Cl/craigslist traffic ইত্যাদি-
অনেকেই অনলাইনে আউটসোর্সিং / কোন মাধ্যমে কারো আন্ডারে এই কাজ গুলো করে থাকে। কিন্তু অবাক হলেও সত্য যে এইটারও কোন ভবিসসত নায়। কারন Affiliate Marketing, CPA Marketing এর জন্য আপনাকে গরুর মত খাটিয়ে নিচ্ছে কিন্তু আপনাকে কিছুই দিচ্ছে না। আর সবথেকে বড় কথা হল এইটা কোন লিগাল পথ না। আজ আছে কাল নাও থাকতে পারে।
3. Link Shortner, Link share ইত্যাদি –
আপনি যেকোনো লেখা, সফটওয়্যার এর ডাউনলোড লিঙ্ক Short করে নিবেন। এর ফলে এই লিঙ্কে অন্য কেও ক্লিক করলে ৫ সেকেন্ড এর একটা অ্যাড দেখবে এর ফলে আপনি .০০১- .০২ ডলার পাবেন। যারা অনলাইনে আউটসোর্সিং একেবারে নতুন বা কোন কাজ জানেন না তারা এইতা করতে পারেন। পাশাপাশি অন্ন কাজ গুলো শিখতে থাকবেন।
4. Blooging, Adsense, Youtube ইত্যাদি-
এইটা মুলত আপনার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে, মানুষের উপকার করে বিভিন্ন লেখালেখি করবেন, ডাউনলোড লিঙ্ক দিবেন। আর এইখানে Adsense এর অ্যাড দেয়া থাকবে কেও এই অ্যাডে ক্লিক করলে .০১-২০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম হবে। তবে Youtube এ একটা মজা আছে সেইতা হল অ্যাডে কেও ক্লিক না করলেও আপনার ইনকাম হবে। যদিও সেইতা খুব সামান্ন তবে আজিবন সেইতা আস্তেই থাকে। অনলাইন এ কাজ করতে গেলে এইটা আপনি কখনই বাদ দিতে পারবেন না। আকারন এইগুলা খুবি কারজকরি ও প্রয়োজনিও জিনিস।
5. Upwork, freelancer, Fiver, Microworkers ইত্যাদি-
যারা খুব ভালো মানের কাজ জানেন তারা এইকাজ করে থাকেন। Upwork, freelancer, বিভিন্ন ক্রেতা তাদের প্রয়োজন মত কাজ (টেন্দার) ছাড়ে। আপনি যদি সেই কাজটি পেতে
চান তবে বিড করে কাজ পেতে হয়। প্রথম অবস্থায় কাজ কেও দিতে চায়না এর ফলে অনেকেই এতা অপছন্দ করেন। কিন্তু এইটা ১-১০০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভম।
Fiver রে ৫ ডলার এর ছোট ছোট কাজ থাকে এইখানে আপনি আপনার কাজ সম্পর্কে সকল তথ্য দিয়ে দিবেন কোন ক্রেতা সেই সেবা নিতে চাইলে আপনাকে কাজ দিবে তার ফলে আপনি ৫ ডলার পাবেন (১ ডলার Fiver কেটে রাখে) তবে এইটি টে কোন বিড করা লাগেনা।
Microworkers এ খুব ছোট সহজ কাজ থাকে। আপনি ইচ্ছা মত খুব সহজেই এই কাজ গুলো করতে পারেন। এইখান থেকে .১০-৫ ডলার এর কাজ থাকে।
6. Affiliate Marketing, CPA Marketing-
অনেকে আবার এসকল গণ্ডি পেরিয়ে আফফিলিয়েট ও সিপিয়ে মার্কেটিং সম্পর্কে আগ্রহি হয়। আর এই মাদ্ধমে ইনকাম করতে চাইলে আপনাকে খুবি অভিজ্ঞ হতে হবে। আর উপরের সকল বিসয়েই খুব বেশি গ্যান থাকতে হবে। টাকা ছাড়া কখনই এইগুলা করা সম্ভব নয়।
কারন Affiliate Marketing, CPA Marketing করতে গেলে আপনাকে অ্যাডক্লিক সায়িটে বোকা মানুষদের দিয়ে ক্লিক করাতে হবে। আপনার নিজের ওয়েবসাইট থাকা লাগবে। আর অনেক কাজের জন্যই টাকা খরছ করতে হবে। ফ্রিতেঁ গেলে ইনকাম করতে ৫-৭ বছর পার হয়ে যাবে কিন্তু টাকার মুখ দেখতে পাবেন না। Affiliate Marketing, CPA Marketing করে প্রতিদিন ১০-১০০০০ ডলার ইনকাম করা সম্ভব।
এখন ভাবছেন, তাহলে আপনার কি করা উচিত?
আসুন আজ এই সুবিশাল কমিউনিটিতে, সঠিক পথে কিভাবে চলবেন সব কিছুই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার জীবনের সকল অভিজ্ঞতা।
আমারা বাঙ্গালিরা এততাই খারাপ যে নিজেরা নিজেদের পেটে লাথি মারি। আজ আমাদের মাঝে কোন একতা নেই,
নিজে কিছু জানলে কাওকে বলিনা হিংসা করে। কেও আবার এই গুলাকে সিক্রেট টিউটোরিয়াল করে বিক্রি করছি।
২০১২ তেঁ টিভি তে পাকিস্তানী চ্যানেলে একটা খবরে দেখেছিলাম। সেইটা ছিল “পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশ,
কিন্তু আজ সেই বাংলাদেশ অনলাইন ইনকামের দিক থেকে পাকিস্তানের থেকে অনেক এগিয়ে”।
কিন্তু ২০১৬ তেঁ সেইটা অনেক পালটে গেছে। এখন এশিয়ার মধ্যে পাকিস্থান সব থেকে এগিয়ে আছে।
কারন নিজেদের মধ্যে তারা কখন প্রতারনা করে না, করলে অন্যদের সাথে করে। একে অন্নের মধ্যে জ্ঞান আদান প্রদান
করে আজ তারা অনেক উপরে আছে। আমি নিজে বিসসাস করি যে জ্ঞান দান করলে কারো জ্ঞান কমে না,
বরং আলছনার মাদ্ধমে তা আর বাড়ে। নিজেকে প্রশ্ন করুন আপনার ভাগ্য/কপাল কেও কি নিতে পারবে?
সেইটা মহান আল্লাহ তাআলার হাতে। আর বাংলাদেশে অনেকেই প্রতারিত হয়ে, সঠিক পথ না পেয়ে অনলাইনে,
ইনকামের কথা শুনলে বিরক্তি প্রকাশ করে। কিন্তু এখন থেকে তা আর আমি হতে দিব না।
আজ আল্লাহ আমাকে এতটা জ্ঞান দিয়েছেন, শুধু ভালো কাজের জন্য। মানুষের উপকার করলে, আল্লাহ সেটার বিনিময়ে আর ভালো কিছুই দেন।
যদি নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করতে চান, ভালো মানসিকতা নিয়ে সামনে এগুতে চান, তাহলে যোগ দিন আমাদের এই কমিউনিটিতে।
ভাবছেন কত টাকা না সেই আবার চেয়ে বসে?না আমি কোন টাকা নিতে চাইনা। আর যেইদিন চাইব সেইদিন ভাববেন আমার সততা নষ্ট হয়ে গেছে।
যারা অনেক অভিজ্ঞ আছেন তাদেরকে আমি অনুরধ করব এই অসহায় মানুষগুলোর জন্য একটু সময় দিতেঁ।
আমার মতে প্রথমে
Blooging, Adsense, Youtube, Fiver, Link Shortner এইগুলো একসাথে মিলেয়ে কাজ করা উচিত।
Affiliate Marketing, CPA Marketing সহ সকল কিছুই ধারাবাহিকভাবে করব।
কিভাবে এইগুলো থেকে আয় করবেন, বিদেশি ডলার দিয়ে নিজেকে সচ্ছল এবং সমৃদ্ধ করবেন, এসকল প্রশ্নের জন্য আমদের গ্রুপে জয়েন করেন।
আমার বানানো কিছু Youtube ভিডিও দেখে নিন Youtube চ্যাঁনেল থেকে। আসুন জেনে নিই
অনলাইন আয়ের A to Z, আর কাজ করা শুরু করি আজ থেকেই।
এর জন্য আপনার যা যা লাগবে-
১ টি কম্পিউটার/ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট,
কিছু কম্পিউটার Software,
Gmail ID লাগবে
YouTube Channel তৈরী করা,
AdSense এ Apply করা
নিয়মিত ভিডিও তৈরী করা
ভিডিও আপলোড করা
ভিডিও শেয়ার করা
লিস্ট দেখে ভয় পাবেন না, আপনারা যারা আমার পোস্ট পড়ছেন তাদের প্রায় সবারই ডেস্কটপ/ ল্যাপটপ আছেই আর লাগবে ইন্টারনেট। আর একটা বিষয় লাগবে তা হলো আপনার আগ্রহ বা ইচ্ছা। চিন্তার কোন কারন নাই, আমি আপনাদের ভিডিও নিয়ে কাজ করবেন তা আজিবন ফ্রিতে দেখাব। আমি আপনাদের জন্য প্রতিটি বিষয় খুব সহজভাবে আলোচনা করেছি, আমার পোস্ট শেষে লিঙ্ক দিব।[আমার এই ছোট্ট পোস্টটি মনযোগ এবং গুরুত্বসহকারে পড়বেন, আশা করি আপনি সফল হবেন]
শুরু করা যাক-
জিমেইলঃ প্রথমে লাগবে Gmail ID, আশা করি সবারই আছে। যাদের নাই ভাববেন না আমার আর হলো না। একটা জেমিইল আইডি খোলা খুব সহজ, সাথে থাকুন আমি আছি।
ইউটিউব চ্যানেলঃ YouTube এ গিয়ে সাইন ইন করে একটা Channel তৈরী করুন। একাউন্ট তৈরী করার সময় যেকোন নাম না দিয়ে এমন নাম দেন যার সার্চ বেশী হয়, চ্যানেল নেম খুব গুরুত্বপুর্ন।
ভিডিও তৈরীঃ আপনি আপনার কম্পিউটার স্ক্রিন ক্যাপচার করতে পারেন। স্ক্রিন ক্যাপচার এবং ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যদি লাগে আমি দিব।
Partnar ভেরিফাইডঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেলে সেটিং থেকে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফাইড করে নিতে হবে।ভেরিফাইড হলে আপনি Youtube Partnar হয়ে যাবেন।
ভিডিও আপলোডঃ আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড দিবেন। অবশ্যই আপলোড দেওয়ার সময় আপনারা ভালো টাইটেল,ট্যাগ এবং ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটা দিয়ে দিবেন। আপনার ভিডিও ডেসক্রিপশন এর সাথে আপনার ওয়েবসাইটের URL,Facebook page/Group/Twitter দিয়ে দিবেন।
Google AdSense: আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বা আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি ইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকেই একটা অফার পেতে পারেন। অথবা আপনি Country চেঞ্জ করে YouTube এর মাধ্যমে খুব সহজেই Google AdSense অনুমোদন পাওয়া যায়।
সেয়ারঃ আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোসিয়াল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। Video শুধু Youtube-এ রাখলেই হবে না। আপনার ব্লগে, Facebook page/Group/Twitter/google+/pinterest bestearnidea.com
সব জায়গায় Video শেয়ার করুন।
Comments (No)