ব্লগ কি ? মোবাইল থেকে কিভাবে ব্লগ বানাতে হয় ? আমরা যারা কমবেশি ব্লগ বা ব্লগিং এর সঙ্গে যুক্ত তাদের সবার কাছেইকম্পিউটারবাল্যাপটপনা থাকায় আমাদের দ্বিতীয় অপশন বেছে নিতে হয়মোবাইল। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যেমোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়। কিন্তু আজ আমি এই আর্টিকেলটিতেমোবাইল দিয়ে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়তা জানাবো।
মোবাইল দিয়ে কিভাবে ব্লগ বানাতে হয়তা আমি খুব সহজেই আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করব। আর আমি এটি খুব সহজ ভাবে বোঝাতে পারবো এই কারণে যে আমি নিজেইমোবাইল দিয়ে ব্লগ বানিয়েতা ব্যবহার করি।
সুতরাং আশা করি বুঝতে পারছেন আমি মোবাইল দিয়ে যদি এত সুন্দর একটিব্লগ সাইটতৈরি করতে পারি তবে আশাকরি আপনারাও আমার এই অভিজ্ঞতা গুলি শুনে বা বুঝে নিশ্চয়ই নিজে একটিমোবাইল থেকে ব্লক সাইটবানাতে পারবেন।
মোবাইল থেকে ব্লক সাইট বানাতেগেলে আপনাকে অবশ্যই এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত এবং মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। কেননা আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে সমস্ত জিজ্ঞাসাগুলো আমাদের মনে থাকে তা নিয়ে আলোচনা করব।
মোবাইল থেকে একটি ব্লগ বানাতেগেলে যে সমস্ত বিষয়গুলি অত্যন্ত ভাবে আমাদের জানা জরুরী সেগুলি আমাদের জানতেই হবে। এই কারণে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অনুরোধ বিষয়গুলিকে পরপর বোঝার জন্য।
ব্লগ কি ?
আমরা কম-বেশি যারা ওয়েবসাইট এর সঙ্গে যুক্ত তারাব্লগকথাটির অর্থ জানলেও আমরা যারা নতুন তারা এইব্লগ কিএই বিষয়টি সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা নেই। তাহলে একটিমোবাইল থেকে ব্লক বানাতেগেলে প্রথমেই জানতে হবেব্লগ কি।
ব্লগ এর নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা বা কাকে বলে এমন কোন ধারণা আমাদের কাছে নেই। কিন্তু যদি বিষয়টিকে বোঝানো যায় তবে আমরা খুব ভালোভাবেই বিষয়টি বুঝতে পারি।ব্লগ হল আসলে একটি পোর্টফলিও।
আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জ্ঞান বা বিভিন্ন তথ্য এই ব্লগে লিখতে পারি। অর্থাৎ বলতে পারি ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আমরা এই ব্লগ গুলি ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু এর অর্থ এটা হয়ে দাঁড়ায় না যে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে আমরা ব্লগ ব্যবহার করি। ব্লগ হল এমন একটি প্ল্যাটফরম যেখানে আমাদের জানা বিভিন্ন তথ্য অন্য মানুষদের সাহায্য করে থাকে। ব্লগ সাধারণত ওয়েবসাইট এর সমতুল্য।
আমরা সচরাচর ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য সার্চ করলে আমাদের সামনে অনেকগুলি ওয়েবসাইট এরঠিকানা চলে আসে এবং এর থেকে যেকোনো একটিকে আমরা বেছে নিয়ে তাতে প্রবেশ করি।
এই সকল ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন প্রকার তথ্য দেওয়া থাকে যা আমাদের ইচ্ছাকে পূরণ করে থাকে। এই বিষয়গুলি নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি তার নিজের মতো করে লিখে রেখেছে আমাদেরকে সাহায্য করার জন্য।
এই জন্য এটি একটিব্লগ সাইট বা ব্লগ।তাহলে বুঝতে পারছি যে ব্লগ হল এমন একটি মাধ্যম যেখানে আমরা আমাদের জানা বিষয় কে শেয়ার করি অন্যের উপকার হবার জন্য। আরও সহজ করে যদি বলি তাহলে দাঁড়াবে যেব্লগ হল, একটি ওয়েবসাইট যেখানে আমরা আমাদের বিভিন্ন তথ্য বাগানকে শেয়ার করে থাকি।
ব্লগ একাউন্ট কিভাবে খুলবো ?
প্রথমেই বলিব্লগ একাউন্ট কিভাবে খুলবএর উত্তরে আমি দুটো পথের কথা বলতে পারি একটি হলো ফ্রি ভাবে আপনি কি ব্লক একাউন্ট খুলতে পারেন আর আবার আপনি টাকার বিনিময়েও একটিব্লগ খুলতে পারেন।
তবে যেহেতু ইন্টারনেটে সবথেকে বেশি পরিমাণে জিজ্ঞাসা করা হয় যেমোবাইল থেকে কিভাবে ব্লগ বানাতে হয়বা একটি ব্লক একাউন্ট কিভাবে খুলব তাই আমি আজ ফ্রিতে কি করে একটি ব্লগ একাউন্ট খুলতে হয় তা বলছি।
একটি ব্লগ একাউন্ট খুলতে গেলে প্রথমেই একটিজিমেইল একাউন্টবা জিমেইল আইডি থাকতে হবে। কারণ আমরা যে ব্লগ তৈরি করব তা গুগোল এর একটি প্রোডাক্ট সুতরাং সেখানে সাইন আপ বা একাউন্ট তৈরি করতে গেলে প্রথমেই একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে।
একটিব্লগ একাউন্ট তৈরিকরতে তেমন কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কেননা একটি ব্লগ একাউন্ট খুলতে গেলে গুগোল এর আইডি দিয়ে সাইন ইন করে গুগলে খুঁজতে হয়blogger.com
অর্থাৎব্লগ একাউন্ট তৈরিকরতে গেলে আমাদের blogger.com এ গিয়ে সাইন ইন করতে হয়। এর জন্য প্রথমে আপনি গুগল খুলে নিয়ে ডান দিকের কর্নার থেকে সাইন ইন করতে পারেন।
একবার সাইন ইন হয়ে গেলে তার পাশে দেওয়া মেনু আইকন থেকে আপনি ডাইরেক্ট ব্লগার সিলেক্ট করতে পারেন অথবা সার্চ অপশনে গিয়ে আপনি blogger.com লিখে সার্চ করলে সরাসরি ব্লগ সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন।
আপনি প্রথমে ব্লগ সাইটে প্রবেশ করার পর সেখানে আপনাকে জানানো হবে একটি নতুন ব্লগ সাইট ক্রিয়েট করার জন্য। তাহলে আমরাকিভাবে ব্লগ একাউন্ট খুলব তা জানলাম। এবার চলুন জেনে নিই কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো।
কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো ?
প্রথমেই বলেছি একটিব্লগ সাইটহল ওয়েবসাইটের মতন পোর্টফলিও। সুতরাং একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে গেলে প্রথমেই আপনাকে তার কি নাম দেবেন তা সিলেক্ট করতে হবে।
ধরুন আপনি আপনার ব্লগ সাইটের নাম কি দেবেন তা এখানে লিখতে হবে। মনে রাখবেন এই ব্লগ সাইটের যা নাম দেবেন তাই হবে আপনারওয়েবসাইটেরনাম।
আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের নাম দেওয়ার পর নেক্সট অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ টি তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু একটি ব্লগ কিভাবে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হয় সেটি জানতে গেলে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে –
প্রথমেইআপনি যে নামে ব্লগ তৈরি করতে চাইছেন তার নামটি আপনাকে ঠিক করতে হবে এবং সেই নামের সাথে সম্পর্কিত একটি ইউআরএল আপনাকে দিতে হবে। আসলে ইউ আর এল টি হলো আপনার ব্লগ বাওয়েবসাইটের লিঙ্ক।
অবশ্যই ওয়েবসাইটের লিংক টি আপনার ব্লগ এর নামের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকলে ভালো হয়। তবে একটি ফ্রিতে ব্লগ সাইট বানাতে গেলে আপনাকে অবশ্যই গুগলের দেওয়াসাবডোমেইনঅর্থাৎ blogspot.comব্যবহার করতে হবে।
কারণ এই blogspot.com ডোমেইন গুগোল আমাদেরকে ফ্রিতে দিয়ে থাকে। অর্থাৎ যদি আপনার ওয়েবসাইটের নাম কিভাবে হয় তবে আপনার ওয়েবসাইটের ইউ আর এল হতে পারে – kivabe.blogspot.com । তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যাতে এই নামটি এভেলেবেল আছে কিনা তা দেখে নেওয়া।
এবার আপনার ব্লগের ইউ আর এল বাছাই করা হয়ে গেলে পরবর্তীতে আপনাকে একটি অপশন দেয়া হবে যেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইট বাব্লগের ডিজাইনটি নির্বাচনকরতে হবে। এই ওয়েবসাইটের ডিজাইন কে আমরা বলব টেমপ্লেট।
বেশিরভাগ ব্লগ গুলি এই সকল টেমপ্লেট গুলি দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। সুতরাং এখানে অনেক রকম টেমপ্লেট আপনি পাবেন তার যেকোনো একটিকে বেছে নিয়ে আপনি সিলেক্ট করতে পারেন।
একবার আপনার ওয়েবসাইটের বা ব্লগের জন্য টেমপ্লেট নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনি নিজে এবার আপনার ওই ইউআরএল টি কোনসার্চ ইঞ্জিনএগিয়ে সাবমিট করলেই আপনার ওয়েব সাইটের বা ব্লগের ডিজাইন টি দেখতে পাবেন।
এবার বলি একটি ব্লগ তৈরি করতে হলে অবশ্যই যে বিষয়ের উপর তৈরি করতে চলেছেন সেই বিষয়ের সম্পর্কে একটি ডেসক্রিপশন আপনাকে এই ব্লগে লিখতে হবে।
এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো এই যে আপনি যদি সত্যিই একটি ব্লগ বানিয়ে সেখানে কাজ করতে চান বা মানুষকে সাহায্য করতে চান তবে অবশ্যই তার জন্য আপনাকে একটিটপ লেভেল ডোমেইনকিনে এই ব্লগ সাইটে যুক্ত করতে হবে।
কারণ টপ লেভেল ডোমেইন ছাড়া কোনো ব্লগ বা ওয়েবসাইট খুব ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিনে উঠে আসতে পারে না। তাই যদি আপনি মনে করে থাকেন যে একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করবেন তবে অবশ্যই তার আগে একটি কাস্টম ডোমেইন কিনে নিতে পারেন।
মোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয় ?
ইন্টারনেটে প্রশ্ন করা সবথেকে বেশিরভাগ প্রশ্ন টি হল এই বিষয়ে যেমোবাইল থেকে কিভাবে ব্লগ বানাতে হয়। এর প্রথমেই বলি মোবাইল একটি ছোট তম কম্পিউটারের সংস্করণ সুতরাং যে সমস্ত কাজ কম্পিউটারে করা সম্ভব তার 97 শতাংশ কাজ আমরা মোবাইল দিয়ে করতে পারি।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেই মোবাইল দিয়ে আমার সমস্ত ওয়েবসাইটগুলি তৈরি করেছি এবং তাদেরকে আমি মোবাইল দিয়ে ম্যানেজ করে থাকি। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তবুও বেশির ভাগ কাজগুলি মোবাইল দিয়ে সম্ভব।
চলুন তাহলে দেখে নিইকিভাবে আমরা মোবাইল দিয়ে একটি ব্লগ বানাতে পারি। প্রথমত বলব মোবাইল দিয়ে ব্লগ বানানোর তেমন কোন কঠিন বিষয় নয় আপনি যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে ব্লক বানানো দেখে থাকেন তা একই রকম ভাবে মোবাইলে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়তঃমোবাইল থেকে একটি ব্লগ বানাতে গেলে আপনার মোবাইলটি কে অবশ্যইডেক্সটপ মোডঅন করে রাখতে হবে। কারণ ডেক্সটপ মোড অন না করলে ব্লগের অনেকগুলি অপশন আপনি ব্যবহার করতে পারবেন না সেক্ষেত্রে সমস্যা হবে।
তৃতীয়তঃ মোবাইল থেকে ব্লক বানাতে গেলে অবশ্যই আপনার একটি জিমেইল একাউন্ট থাকতে হবে। ওইজিমেইল অ্যাকাউন্টটি আপনাকে গুগল এর পেজে গিয়ে সাইন-ইন করতে হবে। একবার সাইন ইন হয়ে যাওয়ার পর মেনু অপশন থেকে ব্লগার বা সার্চ অপশন থেকে ব্লগার লিখে সার্চ করতে হবে।
সার্চ করার পর প্রথমেই আসবে blogger.com এখানে ক্লিক করলে অটোমেটিক আপনাকে বলবে যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। যেহেতু আপনি নতুন তাই লেখা থাকবে ক্রিয়েট এ নিউ ব্লগ।
এখানে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি নতুন উইন্ডো খুলবে যেখানে আপনাকে বলা হবে যে আপনারব্লগের নামটিআপনি কি দিতে চাইছেন নাম সাবমিট করার পর আপনার কাছে চাইবে যে আপনারইউ আর এলবা আপনার ওয়েব সাইটের লিংকটি কি রাখবেন।
ওয়েবসাইটের লিংকটি দেওয়ার পর নেক্সট করলে আপনার সামনে দেখাবে যে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য কি ধরনের ডিজাইন কে আপনি বেছে নিতে চাইছেন সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটেরডিজাইন বা টেম্পলেট নির্বাচনকরে নিতে হবে।
একবার টেমপ্লেট নির্বাচন করা হয়ে গেলে আপনার ব্লগ তৈরি হয়ে যায় বা আপনার ব্লগটি তৈরী হয়ে যাবে সুতরাংমোবাইল থেকে ব্লক বানানোরতেমন কোন কঠিন কাজ নয়।
বেশিরভাগ ব্লগাররা তাদের ব্লগগুলি মোবাইল থেকে অপারেট করে থাকে সুতরাং আপনিও আপনারমোবাইল থেকে একটি ব্লগ সাইটতৈরী করতে পারেন খুব সহজে।
এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন তাহলো একটি ব্লগ খুলতে গেলে আপনাকে কোন টাকা দিতে হয় না কিন্তু একটিডোমেইনকিনে যদি আপনি এই ব্লগারের সঙ্গে যুক্ত করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটিডোমেইনকিনতে হবে।
আমার মতামত থাকবে অবশ্যই আপনি একটি উন্নত মানের ডোমেইন কিনে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করবেন কারণ একটি উন্নত মানের ডোমেইন আমাদের ব্লগ সাইট কে খুব ভালভাবে পরিচয় দান করে ও আমরা বেশি পরিমান ভিজিটর পেতে পারি।
অবশ্যই আপনি যদি google-এর blogger.com থেকে একটি ব্লগ তৈরি করেন সেক্ষেত্রে আপনার কোন চার্জ দিতে হয় না। কিন্তু একটি কাস্টম ডোমেইন যদি আপনি এর সঙ্গে যুক্ত করেন সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওই ডোমেইনের জন্য আপনাকে চার্জ দিতে দিতে হয়।
আরেকটি কথা বলে রাখা প্রয়োজন তাহলো যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণ ভালো একটি ব্লগ তৈরী করতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে blogger.com ছেড়েওয়ার্ডপ্রেসেএকটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে হবে।
কারণ blogger.com এ অনেক ধরনের সীমাবদ্ধতা থাকে যা আমরা ওয়ার্ডপ্রেসে খুব সহজেই পেয়ে যাই। কিন্তু মূল বিষয় হলো এখানেওয়ার্ডপ্রেসঅনেক ব্যয়বহুল এবং তাকে শিখতে অনেকটা সময় প্রয়োজন তাই আমরা প্রাথমিকভাবে প্রায় সমস্ত ব্লগাররাই blogger.com এ আমাদের ব্লগ তৈরি করি।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে মোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়। মোবাইল ও ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে একই প্রসেস থাকে শুধুমাত্র আপনারমোবাইলের ব্রাউজারটিকে ডেক্সটপমোড অন করে নেবেন।
আমি সহজ-সরল ভাবেমোবাইল থেকে যেভাবে ব্লগবানিয়েছি ঠিক সেইভাবে কি করেমোবাইল থেকে ব্লক বানাতেহয় তা নিয়ে আলোচনা করলাম যদি আপনাদের বুঝতে কোথাও সমস্যা হয় তবে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।
ব্লগ কি বা মোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয় এবং ব্লগের সব খুঁটিনাটি গুলো আমরা এত সময় শিখেছি, এবার চলুন জেনে নিইকিভাবে একটি ব্লগ লিখতে হয়।
ব্লগ লেখার নিয়ম
ব্লগ সাইট তৈরি এবংকিভাবে মোবাইল থেকে ব্লক বানাতে হয়তা আমরা শিখেছি কিন্তু ব্লগ লেখার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরী। কারণ আপনি যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন সকলেই বলে কন্টাক্ট ইজ কিং।
এর মানে হল আপনার ব্লগের বিষয়টি হলো আপনার ব্লগের রাজা হঠাৎ আপনার ব্লগের লেখার নিয়ম বা বিষয়টি যদি উপযুক্ত মানের এবং গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ব্লগ টি মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
আর মানুষের কাছে নিজের ব্লগ জনপ্রিয় করে তুলতে গেলে আপনাকে শিখতে হবে যেকিভাবে ব্লগ লিখতে হয় বা ব্লগ লেখার নিয়ম কি। চলুন এখন আমরা দেখি যে ব্লগ লেখার নিয়ম কি
একটিব্লগ তৈরি করার যেমন নিয়মআছে ঠিক তেমনি একটি ব্লগ লেখারও অনেকগুলি নিয়ম আছে যদি সেই নিয়মগুলি আপনি মান্য করে একটি ব্লগ লিখেন তবে তা অনেক পরিমান দর্শক পড়তে পারবে।
একটি ব্লগ পোস্ট লেখার অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে তা যাতে বেশি পরিমাণ দর্শকরা এসে পড়তে পারে এই কারণে অবশ্যই দর্শকদের উপযোগী করে একটি ব্লগ আমাদের লেখা প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে ব্লক লিখবো এই বিষয়টি না জানার কারণে তা দর্শকদের কাছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে না।
কিভাবে ব্লগ লিখবএর প্রথমেই বলি আপনাকে আগে খুঁজে বের করতে হবে যে দর্শকরা কি ধরনের বিষয় জানতে চাইছে। যদি আপনি দর্শকদের এই জানতে চাওয়া বিষয়গুলিকে খুঁজে বের করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি সেই বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ লিখবেন।
ব্লগ সাইট থেকে ব্লগ লিখতে গেলে আপনার ব্লগের বাঁদিকের মেনু অপশন থেকে পোস্ট অপশন এ ক্লিক করলে আপনি সেখানে ব্লগ লেখার জায়গা পেয়ে যাবেন।
আপনি যে বিষয় নিয়ে একটি ব্লগ লিখতে চাইছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে প্রথমে একটি হেডিং দিতে হবে অর্থাৎ আপনার বিষয় সম্পর্কিত যেন একটি হেডিং হয় এটি হবে একটি ব্লগ লেখার প্রথম শর্ত।
একটি ব্লগ লেখার দ্বিতীয় নিয়মহল যে সম্পর্কে আপনি এই ব্লগ টি লিখতে চলেছেন সেই সম্পর্কে কমপক্ষে200 টিশব্দের এমন একটিডেসক্রিপশনতৈরি করুন যা আপনার ব্লগের প্রথম দিকে থাকবে। এটি বোঝার জন্য আপনি আমারএই ব্লগের একদম প্রথম প্যারাটি লক্ষ্য করতে পারেন।
যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আপনি লিখতে চলেছেন সেই বিষয়টি যেন আপনার প্রথম para te অবশ্যই উল্লেখ করা থাকে। এরপর ধীরে ধীরে আপনি আপনার সেই বিষয় সম্পর্কে লেখা শুরু করুন।
লেখাগুলি যেন কখনোই বেশি বড় প্যারা না করা হয় দেড়শো থেকে 200 টি শব্দ করে একেকটি প্যারা করে করে আপনি লিখতে থাকুন।
এইভাবেকমপক্ষে 600 থেকে 700 শব্দে আপনি একটি ব্লগলিখতে পারেন। ব্লক লেখার অন্যতম নিয়ম হল অবশ্যই আপনার লেখাটির যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বিষয় উপযোগী হয়। অর্থাৎ আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখছেন সেই বিষয়ের বাইরে গিয়ে কখনোই অন্য কোন বিষয় নিয়ে বর্ণনা করবেন না।
আপনি যেহেতু দর্শকদের জিজ্ঞাস্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি ব্লগ লিখবেন সুতরাং এমন ভাবে লিখবেন যাতে দর্শকদের সমস্ত আকাঙ্ক্ষা আপনার এই ব্লগ টি পড়ে সম্পন্ন হয়।
যদি আপনার বর্ণনা করা বিষয়টি পড়ে দর্শকের সমস্ত উত্তর পেয়ে যায় তবে অবশ্যই সেই ধর্ষক পুনরায় আপনার এই ওয়েবসাইটে ঘুরে ফিরে আসবে বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য।
অবশ্যই একটি ব্লগ লিখলে তার মধ্যে কমপক্ষে একটি ছবি অর্থাৎ ব্লগ সম্পর্কিত ছবি যুক্ত করবেন এতে ব্লগ দেখতে অনেকটা সুবিধাজনক হয়।
ব্লগ লিখতে লিখতে অবশ্যই ব্লগের মধ্যে আপনার মূল শব্দটি কে কয়েকবার একটুবোল্ডকরে দিন এতে দর্শকের আকর্ষণ বেড়ে যায়। আপনার ব্লগ পোস্টের মধ্যে কমপক্ষে দুই থেকে তিনটি হেডিং যুক্ত করুন। আশা করি কি করে হেডিং যুক্ত করতে হয় বিষয়গুলি আপনি জানেন।
আপনার লেখা ব্লগ পোস্টে এমন সুন্দর হবে যা পড়ে কোন দর্শক তার সম্পূর্ণ পরিতৃপ্তি ঘটাতে পারবে যদি তা সম্ভব হয় তবে আশাকরি অবশ্যই আপনার ব্লগ লেখার নিয়ম কি আপনি অর্জন করতে পেরেছেন।
একটু উদাহরণ দি ধরুন আপনি এখানে প্রবেশ করেছিলেন যেকিভাবে মোবাইল দিয়ে একটি ব্লগ বানাতে হয়সেটি জানার জন্য। কিন্তু লক্ষ্য করুন আমি প্রথম থেকেই আলোচনা করে এসেছি যেব্লগ কি? একটি ব্লগ একাউন্ট কি করে খুলবো? কিভাবে ব্লগ সাইট বানাবো? তারপর লিখেছি মোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়?
এর থেকে আপনি আশা করি বুঝতে পারছেন যে আপনার একটি জিজ্ঞাসা বিষয়ে আপনি জানতে বা পড়তে এসে সমস্ত বিষয়গুলি আপনি জানতে পারবেন বা বুঝতে পারলেন এতে আপনার একটি পরিস্থিতি ঘটলো।
আসলে এইভাবে একটি ব্লগ পোস্ট করলে তা দর্শকরা খুব খুশি হয় ও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে তাদের সমস্ত বিষয়গুলি বোঝার চেষ্টা করে নাই সুতরাং আপনিও আপনারব্লগ লেখার নিয়মএটিকে অবশ্যই যুক্ত করবেন।
আমার মতামত : প্রথমে আমি স্বীকার করেছি যে আমি ব্যক্তিগতভাবেমোবাইল থেকে ব্লগ বানিয়েতা ব্যবহার করি এই কারণে আমার জন্য আপনাদের কাছে এটিকে বলা বা বোঝানো হয়তো একটু সহজ হয়ে গেছে।
আবারো বলিমোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়এই বিষয়টি অনেকেই জানতে চাই তাই আমি এটি কে আমার মত করে সহজ ভাষায় বর্ণনা করেছি যদি আপনাদের সত্যি ভালো লেগে থাকে বা উপকার হয় তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
খুব সাবলীল ভাষায় আমি যেহেতু এই ব্লগের সমস্ত বিষয় গুলি আলোচনা করেছি তাই হয়তো আপনাদের ভালো লাগবে এবং অবশ্যই এই সম্পর্কে আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে তা কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
আরো একবার বলিমোবাইল থেকে কিভাবে ব্লক বানাতে হয়এই বিষয়টি খুব জটিল কোনো বিষয় নয় আপনি যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে একটি ব্লগ কি করে তৈরি করতে হয় তা জানেন তবে অবশ্যই শুধুমাত্র আপনার মোবাইল ফোনের ব্রাউজারটিকে ডেক্সটপ মোড অন করে শুরু করুন অবশ্যই আপনিমোবাইল থেকে ব্লক বানাতেসক্ষম হবেন।