চায়না থেকে কোন পণ্য আমদানি করার নিয়ম কী?

ফাইভার কি?

চায়না থেকে কোন পণ্য আমদানি করার নিয়ম কী? ফাইভার হচ্ছে একটা মার্কেটপ্লেস। এখানে কাজ কখনো ফুরাবে না। এখানে ৫ডলার থেকে শুরু এবং সেটা ১৫০০+ ডলার
পর্যন্ত বা বেশিও হতে পারে। ফাইভার হচ্ছে একটি বেচা কেনা করার মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন
আর একজন বায়ার সেটি আপনার কাছ থেকে কিনবে। ফাইভার এখন এমন একটা জায়গা যেখানে কাজ শিখে সহজে কাজ পাওয়া যায়, একটু চেস্টা করলে। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি
এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে থাকবেন।

তবে বর্তমানে, নতুন অনেকেই অনেক ভালো করতেছে। মাসে ৫০০-৫০০০+ $ আয় করতেছে ফাইভার থেকে। কাজের ধরন অনুযায়ী।

ফাইবার জিনিসটা কি তা তো বুঝলাম কিন্ত ফাইবার এ কাজ করতে হলে তো আমাদের আগে একটা ফাইবার একাউন্ট লাগবে। আসুন এবার দেখে নেওয়া যাক কি ভাবে একটা প্রোফেশনাল ফাইবার একাউন্ট করা যায়। ফাইবার একাউন্ট করাটা আমি আপনাদের বুঝার সুবিধার জন্য কয়েকটি ধাপ ধাপে দেখাব

১.প্রথমে আমরা আপনার ব্রাউজার থেকে Fiverr.com প্রবেশ করব।

Fiverr.com এ প্রবেশ করার পেজের উপরের দিকে দেখেন join লিখা আছে। আমরা এ ক্লিক করব.

২.ক্লিক করার পর নিচের মোট একটা পপ-আপ পেজ আসবে। ওই খানে আপনি আপনার যে মেইলটা দিয়ে ফাইবার একাউন্ট করতে চাইতেছেন সেটা বস্কে বসিয়ে দিন। এবং Continue বাটনে ক্লিক অথবা আপনি আপনার ফেজবুক, টুইটার, গুগল প্লাস দিয়া ও ফাইবার একাউন্ট করতে পারবেন এই অপশন গুলা ও আপনি পপ আপ বস্কে এ পাবেন।

৪.এরপর আপনার ইমেইল এ একটা কনফার্ম মেসেজ যাবে ম্যাসেজটা ওপেন Active Your Account করে ক্লিক করুন

৫.আপনার ফাইবার একাউন্টটা একটিভ হয়ে গেল, এর পর আপনার প্রোফাইল এডিট করতে হবে কারন

আপনার প্রোফাইল যদি ভাল না থাকে তা হলে বায়ারের থেকে কাজ পাবার আশা ছেড়ে দিতে পারেন,

কারন আপনি যত ভাল কাজ পারেন না কেন বায়ার কিন্তু আগে আপনার কাজ দেখবে না দেখবে আপনার প্রোফাইল

এই জন্য আগে আপনার প্রোফাইলটা প্রফেশনাল মানের করতে হবে.প্রোফাইল এডিট করার জন্য প্রথমে

আপনার User Name এর উপর ক্লিক করুন তারপর Satting এ ক্লিক করুন

৬.তারপর নিচের মত একটা পেজ আসবে ওই খানে আপনি আপনার একটা ফরমাল প্রোফাইল পিকচার দিন,

যদি ছবিটা হাসি হাসি মুখের হয় তাহলে সব থেকে ভাল হয় বাকি অপশন গুলা আমি যে ভাবে রাখছি

ওই ভাবে রেখে save change ক্লিক করুন।

৭.এর পর আবার আপনার user name এর উপর ক্লিক করুন তারপর satting এ ক্লিক করার পর my profile এ যান।

এর পর নিচের মত একটা পেজ আসবে ওখান থাকে edit discription ক্লিক করে আপনি আপনার মত করে লিখুন।

বাকি নিচের অপশন গুলা যদি থাকে তাহলে add করুন। এর পর সেভ করুন।

কিভাবে ফাইবারে সফল হওয়া য়ায় তার কিছু টিপস শেয়ার করেছে। আসুন দেখি কি টিপস।

প্রথমে প্রফাইল সুন্দর করে প্রফেশনালি সাজাতে হবে।

চায়না থেকে কোন পণ্য আমদানি করার নিয়ম কী?

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে প্রচুর কাজ পাওয়ার কিছু এক্সক্লুসিভ টিপস

কোন ধরনের গিগ গুলো ফাইভারে বেশি বিক্রি হয়?

সাধারণত ক্রিয়েটিভ ধরনের গিগগুলো বেশি বিক্রি হয়। ক্রিয়েটিভ গিগের উদাহরণ। যেমনঃ

animation video,
video creating,
vector tracing,
bizarre services,
proofreading,
content creation like blog posts,
artwork creation like sketches or logos,
book cover,
3D product design,
business card design,
website speed optimization,
web traffic,
web development etc.
কিভাবে গিগ কে সার্চের ফলাফলের প্রথমে রাখব?

কোন বায়ারের যখন কোন সার্ভিস দরকার হয়, তখন ফাইভারে গিয়ে সার্চ করে। তখন সার্চের প্রথম দিকে আপনার গিগটিকে পাওয়া গেলে বিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। গিগটিকে সার্চের ফলাফলের প্রথমে আনার জন্য টিপস শিখিয়ে দিচ্ছি।

১ম পদক্ষেপঃ

গিগ অপ্টিমাইজ করুনঃ

১) গিগের টাইটেলটি আকর্ষণীয় করুন। যাতে যে কেউ টাইটেলটা দেখেই ভিতরে গিয়ে পড়তে আকর্ষণবোধ করে। টাইটেলে অবশ্যই সার্চের সম্ভাব্য কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

২) ট্যাগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রিলেটেড কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করুন।

৩) ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কাউকে হঠাৎ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়, এরকম কিছু ব্যবহার করুন। গতানুগতিকের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রম কিছু করলেই সেটি মানুষকে আকর্ষণ করে। সুতরাং সে চেষ্টাটা করুন। Online Earning Income

৪) গিগে যদি ভিডিও ব্যবহার করেন তাহলে সেক্ষেত্রে বিক্রির সম্ভাবনা ৬০% বেড়ে যায়। এটা ফাইভার অথোরিটি থেকেই বলা আছে। সুতরাং চেষ্টা করুন, ফাইভারের নিয়ম মেনে ভিডিও তৈরি করে সেটি গিগে ব্যবহার করার জন্য। গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, Fiverr ব্লগ থেকে জানা গেল যে, যেসকল গিগে ভিডিও ছিল তাদের সেল অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয় যে সকল সেলারের ভিডিওতে নিজেরাই নিজেদের কাজ উপস্থাপন করেছেন তাদের সেল বেড়েছে ৯৬% আর যাদের ভিডিও ইফেক্ট, এনিমেশন, লেখা, ষ্টীল ছবি, ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তাদের সেল বেড়েছে ৮৪%। মিউজিক এবং অডিও ক্যাটাগরিতে যাদের ভিডিও ছিল তাদের সেল বেড়েছে অবিশ্বাস্য ভাবে ৪১৮%। সুতরাং গিগে ভিডিওর গুরুত্বটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, আশা করি।

এখন ভিডিওর ব্যাপারে Fiverr এর কিছু নিয়ম বলি

১। ভিডিও অবশ্যই ১ মিনিট বা তার কম হতে হবে

২। “Exclusively on Fiverr” এই কথাটা অবশ্যই গিগে থাকতে হবে। সেটা লিখে, মুখে বলে, বা ছবির মাধ্যমে যে ভাবে হোক।

৩। পর পর তিনবার ভিডিও রিজেক্ট হলে আর কখনই গিগে ভিডিও যুক্ত করতে পারেন না। কাজেই সাবধান। উপরোক্ত ১,২ করণেই সাধারণত ভিডিও রিজেক্ট হয়।

৪। ভিডিও অবশ্যই গিগের উপর ভিত্তি করে হতে হবে।

৫। একই ভিডিও একধিক গিগে যুক্ত করতে পারবেন।

৬। ভিডিও যুক্ত করার সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গিগে শো করে।

৭। ভিডিও পাবলিশ হবার পর যতবার খুশি ভিডিও পরিবর্তন করতে পারবেন। Thumbnail ও ইচ্ছেমত পরিবর্তন করতে পারবেন।

২য় পদক্ষেপঃ

গিগ অপ্টিমাইজ হয়ে গেলে এবার দুটি বিষয় নির্ভর করে সার্চে উপরে থাকার জন্য। এ দুটি বিষয় হচ্ছেঃ গিগ পপুলারিটি, গিগ রিভিউ।

১নং বিষয়ঃ গিগ পপুলারিটি অর্জনঃ

গিগের ভিতর যদি প্রচুর মানুষকে নিয়ে আসতে পারেন অর্থাৎ প্রচুর মানুষকে গিগটি পড়াতে পারেন তাহলেই সেই গিগের পপুলারিটি অর্জিত হয়। প্রচুর মানুষকে গিগটির লিংকে ক্লিক করানোর জন্য কিছু এস.ই.ও টিপস ব্যবহার করতে হবে।

সোশ্যালমিডিয়াতে ক্যাম্পেইনঃ

গিগটিকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলোতে (ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন, রেডিট ইত্যাদি) শেয়ার করুন।

গিগ সংশ্লিষ্ট ব্লগপোস্টের মাধ্যমে গিগের লিংক প্রচারঃ

গিগটি যদি লোগো ডিজাইন সম্পর্কিত হয়ে থাকে, তাহলে আকর্ষণীয় লোগো ডিজাইনের উপর টিপস নিয়ে কোন ব্লগপোস্ট লিখে ফেলতে পারেন। এ পোস্টটি প্রচুর মানুষ পড়বে, প্রচুর মানুষকে লেখাটি আকর্ষণও করবে। সেই পোস্টের ভিতর যদি গিগের লিংকটি দিয়ে আসেন তাহলেও গিগটিতে অনেক ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন।

এ দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করে গিগের পপুলারিটি বৃদ্ধি করুন।

২নং বিষয়ঃ গিগ রিভিউ বৃদ্ধিঃ

উপরের কাজগুলো করলে আশাকরা যায় খুব দ্রুত কিছু গিগ বিক্রির অর্ডার পেয়ে যাবেন। গিগ অনুযায়ি কাজ করে এবং সময়মত কাজ ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের কাছ থেকে ভাল ফিডব্যাক সংগ্রহ করুন। যতবেশি ভাল ফিডব্যাক পাবেন, আপনার গিগ ততবেশি সার্চের উপরে উঠতে থাকবে।

পুরো পোস্ট অনুযায়ি কাজ করলে অবশ্যই ফাইভারে প্রচুর গিগ বিক্রি করতে পারবেন। ভাল প্রস্তুতি, পরিকল্পিত প্রস্তুতি ছাড়া কাজ করলে সফল হতে পারবেননা, হলেও অনেক দেরী হবে। সুতরাং সঠিকভাবে কাজ করুন, না হলে ব্যর্থ হলে ভাগ্যের দোষ দিয়ে লাভ নাই।

কিভাবে গিগ বানাবেন।

এখান থেকে আপনার নামটি সিলেক্ট করুন। তার পর My Sales>Create a Gig এ ক্লিক করুন। তাহলে এমন দেখতে পাবেন।

উপরের মত নতুন একটি পেজ ওপেন হবে। তার পর আপনি প্রথমেই পাবেন গিগ টাইটেল। লক্ষ করি প্রথমে I will দেয়া আছে, এটা মুছতে পারবেন না, এটা থাকবেই। তো এখানে আপনি আপনার কাজের নামটি সংক্ষেপে সুন্দর করে লিখবেন, যেমন ধরা যাক I will Create a Beautiful Logo For You

উল্লেখ যে এখানে কোনো বিরাম চিনহ বসবে না শেষে। তো এটার পরে আসে ক্যটাগরি। ঐখানে ক্লিক করে কাজের ক্যটাগরি সিলেক্ট করুন। যেমন আমার এই কাজের জন্য Graphics Design সিলেক্ট হবে।

এবার আসবে গিগ গ্যলারি। আপনার আগের কাজগুলর একটা বা কিছু পিকচার এড করতে পারেন এখানে। নতুন হলে ইউনিক পিক লাগান। এর পর আসবে Description। এখানে আপনার কাজের ধরন, কেমন পারেন, আপনার কোয়ালিটি এসব লিখবেন, মানে নিজের প্রশংসা আর কি। পরের স্টেপ এ যাই।

এবার Tag ট্যগ দিতেই গবে, আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ট্যগ দিন। যেমন আমার কাজের জন্য দিবো, Graphics Design, Logo, Awesome,

এর পর Duration. আপনি কয় দিনের মাঝে পারবেন সেটা সিলেক্ট করুন।

Instruction For Buyers এ আপনার সাথে কাজ করতে হলে আপনার কি কি চাই, তা এখানে লিখবেন। লেখা শেষ হলে Save& Continue চাপবেন। তাহলে নিচের মত পাবেন। যেখানে আপনাকে একটি বার্তা দেখাবে। এরকম।

এবার আপনি ADD GIG EXTRAS এ কিল্ক করতে পারেন বা স্কিপ করে পরের স্টেপ এ যেতে পারেন। এটা করা খুব দরকার। করুন ক্লিক করলে আপনি বাইয়ার কে এডিসনাল মেসেজ দিতে পারবেন যেমন আমি আমার কাজ টি Extra Fast 24/48/72 Hours এর মাঝে দিতে পারব, কিন্তু এতে আপনাকে আরো 5$/10$/20$ বা আপনি যত চান তা দিতে পারবেন। এর পরে পাবেন এই স্টেপ টি,

আপনার যদি আপনার কাজ সম্পরকে ভিডিও থাকে আপলোড করতে পারেন, বা স্কিপ করুন। তাহলে এমন আসবে,

আপনার যদি কোনো ফিজিকাল জিনিষ হয়, তাহলে সেটা পাঠাবার খরচ রাখবেন কিনা? তাহলে সেটা দিন, অথবা No Thanks দিন। তাহলে এমন আসবে।

এবার আমরা শেষ পর্যায়ে এসে গেছি, এখন পাবলিশ গিগ চাপলেই মার্কেটে আপনার গিগ চলে যাবে। স্কিপ করলে সেভ হবে, গো ব্যক দিলে পিছনের স্টেপ এ যাবে

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ