সূর্যমূখী sunflower চাষে দ্বিগুণ লাভ

বাংলাদেশে তেলবীজ হিসেবে সূর্যমূখী ফুলের চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। স্বল্প ব্যয়ে লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

এদিকে, সূর্যমুখীর চাষ করে লাভের আশায় লালমনিরহাটের চাষীরাও।লালমনিরহাটের বিভিন্ন জায়গায় ফসলি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সাফল্য অর্জনের আশা করছে।এবার রবি মৌসুমে প্রায় ৬শত হেক্টর জমিতে এ ফুলের চাষ করা হচ্ছে। মধু ও কোলষ্টেরলমুক্ত তেল উৎপাদন ছাড়াও এর মোছা ও গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

পুদিনা- ছাদে এক সম্ভাবনা

sunflower

অন্যন্য ফসলের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে হাইজান জাতের সুর্যমূখী ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে চাষীরা। চাষীরা বলেন, বীজের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত হলে আগামীতে ফুলের উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।এটা উন্নত জাতের ফুল, এর তেল উপকারী, দাম ও পাওয়া যায় বেশি, তাই এ ফুল উৎপাদন করি।বিভিন্ন জায়গা থেকে মধু সংগ্রহকারীরা আসছে আমাদের সাথে কথা বলছে, বিভিন্ন তেল কোম্পানী আমাদের কাছ থেকে বীজ নিতে চাচ্ছে তেল উৎপাদনের জন্য।

স্টেভিয়া চাষে কমপক্ষে ১২ গুন লাভ

শুধু সাফল্য অর্জন নয়, এ ফুলে লাভবান হলে সামনে উৎপাদন আরো বাড়িয়ে ‘ফুলগাছ গ্রাম’ নামের স্বার্থকতা ধরে রাখতে চান চাষীরা।এদিকে তেল ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় সূর্যমূখী ফুল চাষে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি অফিস জানায়, এবার ৫০ থেকে ৬০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে এ ফুল।বাজারজাতকরণের ভাল ব্যবস্থা গড়ে উঠলে ফুলের আবাদ যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি নিরাপদ তেলের ও সংস্থান হবে বলে আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, ফুলচাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানের ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে যুক্ত করে এই প্রযুক্তিগত সহযোহিতা গ্রহণ করেছে। উৎপাদন খরচ বাদে কৃষকদের যে লাভ আসবে, তা কৃষকদের কাছে অন্যান্য ফসলের চেয়ে অনেক ভালো হবে।’ 

পশু পালন করে স্বাবলম্বী রূপগঞ্জের কামরুন্নাহার

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ