Facebook online ব্যবসা কিভাবে শুরু করবো ২০২১ Facebook অনলাইন ব্যবসা: পড়াশোনা ও নিজের হাতখরচ চালানোর জন্য অনেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি খোঁজেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি মিলে না অথবা চাকরির রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিজের যোগ্যতা বা দক্ষতা মিলে না। এগুলো ছাড়াও ভালো লাগাটাও একটা ফ্যাক্ট। কারণ বেতন যতই ভালো হোক, কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকলে সেই চাকরি করে মজা পাওয়া যায় না। কিন্তু যদি আপনি চাকরি না করে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করেন, তাহলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ অন্যরকম হবে।
বর্তমানে সময়টিকে বা যুগকে ব্যবসায়ের জন্য অনুকূল হিসেবেই গণ্য করা হয়। ব্যবসা আরম্ভ করা খুব বেশী কঠিন না। তবে ব্যবসায়ের এই সহজলভ্যতার বাজারে প্রতিযোগীতামূলক ব্যবসা করা খুবই কঠিন।
সকল ব্যবসায়ীরাই চান তার ব্যবসা সম্পর্কে সকল ক্রেতা বা ভোক্তারা জানুক। পন্য অন্য কারো থেকে না নিয়ে তাদের থেকেই ক্রয় করুক। এতে তাদের মুনাফা বাড়বে এবং ব্যবসায়ের প্রসার হবে।
তবে প্রতিযোগীতামূলক ব্যবসা করা সম্ভব হচ্ছে না শুধুমাত্র একটি প্রধান কারনে এবং সেটি হচ্ছে প্রচারের সহজলভ্যতা।
তাই সারাক্ষণ নিউজফিডে ঘুরে সময় নষ্ট না করে নিজের সময়টাকে কাজে লাগাতে পারেন। যে Facebook ঘন্টার পর ঘন্টা সময় আর ডাটা নষ্ট করছেন সেগুলোই কাজে লাগিয়েই যদি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারেন তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা মন্দ হয় না।
যদি আপনি Facebookঅনলাইন ব্যবসা করেন, তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা বেশ মজার হবে, সেইসাথে আপনার পড়াশোনার খরচ বা নিজের হাতখরচও উঠে আসবে। কিংবা আপনার ক্যারিয়ার অপশন হিসেবেও Facebook বিজনেস বা এফ কমার্স করা যায়।
সেরকম হলে আপনি নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা করতে পারবেন এবং চাইলে পড়াশোনা শেষে এই Facebook অনলাইন ব্যবসার সাথে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।
আজকে আমরা জানবো কিভাবে Facebook অনলাইন বিজনেস করা যায়। এই আর্টিকেলটিতে পুরোটা সময় আমরা জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার বিভিন্ন উপায়, সুবিধা, টিক্সস এন্ড টিপস সম্পর্কে জানবো।
এফ কমার্স কি?
ই-কমার্স সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি যে এটা হচ্ছে অনলাইন নির্ভর কেনাবেচা। কিন্তু ক্রয়-বিক্রয় যদি হয় Facebook নির্ভর, তাহলেই সেটাকে এফ কমার্স বলে।
Facebook মাধ্যমে কেনাবেচা এখন বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন দেশীয় পণ্য নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেকে ব্যবসা করে সফল হচ্ছেন। যেমন- বিভিন্ন দেশীয় মৌসুমি ফল, দেশীয় শাড়ি, শাল, আঞ্চলিক খাবার ইত্যাদি৷
যদি আপনার বিশেষ কোনো স্কিল থাকে যেমন- পেইন্টিং, ক্রাফটিং, রান্না-বান্না বা কোনো ডিজিটাল স্কিল ইত্যাদি তাহলে সে-সম্পর্কিত একটি Facebook গ্রুপ খুলুন আর গ্রুপের মেম্বার বাড়ানোর সাথে সাথে ছোট ছোট ভিডিও এর মাধ্যমে সেগুলো সম্পর্কে মানুষকে বিভিন্ন ধরণের টিপস দিতে পারেন।
এভাবে মোটামুটি পরিচিতি অর্জন করে ফেলতে পারলে তারপর এসব সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্স লঞ্চ করতে পারেন। অনলাইন টাই-ডাই প্রশিক্ষণ, বাটিক প্রশিক্ষণ, বাচ্চাদের ছবি আঁকা, হাতের লেখা, আর্টিকেল বিক্রি, আবৃত্তি ইত্যাদি সংক্রান্ত শত শত কোর্স করিয়ে বর্তমানে অনেকেই সফল হচ্ছেন।
আপনার যদি এরকম ইউনিক কোনো স্কিল থাকে তাহলে আপনিও পারেন এর মাধ্যমে আয় করতে। এটাও একটা সুন্দর এবং মোটামুটি সহজ ব্যবসা বলা যায়।
সিগনেচার পণ্য কী?
বর্তমান সময়ে আরেকটি সুন্দর মাধ্যম Facebook অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে। সিগনেচার পণ্য হলো কোনো ব্রান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রোডাক্ট।
যেমন বগুড়ায় অনেক ভালো ভালো খাবার থাকলেও দই সবচেয়ে বিখ্যাত। তাই দই হলো বগুড়ার সিগনেচার প্রোডাক্ট। অনেকেরই নিজস্ব সিগনেচার পণ্য নিয়ে কাজ করার স্বপ্ন থাকে।
তাই ব্যবসা শুরু করতে পারেন আপনার এলাকার কিংবা বিখ্যাত ব্রান্ডের সিগনেচার প্রোডাক্ট নিয়ে। যার সারাদেশে চাহিদা আগে থেকেই রয়েছে।
Facebook অনলাইন ব্যবসা
প্রথমে বিষয়টি নিয়ে অনেকেই ভাবতে পারেন যে Facebook ব্যবসা পরিচালনা করা খুবই বড় ব্যাপার। প্রক্রিয়াগুলো খুবই জটিল হবে, খরচ বেশী হবে। তবে ব্যাপারটি মোটেও তেমন কিছু না।
Facebook ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো খরচই করতে হবে না। শুধু প্রয়োজন একটা গুছানো ও পরিপাটি বিজনেস পেইজ। চলুন পরের হেডিংটি একটু মনোযোগ নিয়ে বিস্তারিত জানি।
কিভাবে Facebook অনলাইন ব্যবসা করা যায়
আমরা যারা ইতিমধ্যে Facebook ব্যবহার করি তারা প্রায়ই দেখি ফেসবুকে নিউজ ফিডে স্ক্রল করার সময় বিভিন্ন পেইজ থেকে তাদের পণ্যের একটা বিজ্ঞাপন সামনে আসে।
শুধু যে বিজ্ঞাপনটাই সামনে আসে তাই নয়। কিভাবে আপনি পণ্যটি কিনবেন, পণ্যটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ও গুনাবলি, কিভাবে আপনাকে পণ্যটি পৌছে দেওয়া হবে এবং শেষমেশ আপনি কিভাবে অনলাইনে বা ঘরে বসেই পেমেন্ট করে দিতে পারেন তা সম্পর্কেও সকল তথ্য দেওয়া থাকে।
আপনি ভাবতে পারেন এই পুরো প্রক্রিয়াটি ভীষণ ব্যয়বহুল ও সময় সাপেক্ষ। সত্য কথা হলো Facebook অনলাইনে ব্যবসা করা একদমই ব্যয়বহুল নয়। দ্বিতীয়ত এর জন্য প্রচুর সময় ব্যয় করতে হবে তা একদমই ভুল।
Facebook অনলাইন ব্যবসা করতে কি কি প্রয়োজন
আপনি আপনার ব্যবসাটি যদি অনলাইনে নিয়ে আসতে চান তবে প্রথমত আপনাকে ঐ প্লাটফর্মটির সাথে যুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ ফেসবুকে একাউন্ট তৈরী করতে হবে।
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার পূর্বশর্ত হচ্ছে ফেসবুক একাউন্ট সম্পর্কে অন্তত বেসিক ধারণা আয়ত্তে রাখা। আপনাকে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার জন্য আপনার ফেসবুক একাউন্ট এবং ফেসবুক পেইজ সম্পর্কে স্বচ্ছ জ্ঞান থাকতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনি এমন একটি পেইজ ফেসবুকে তৈরী করছেন যেখানে আপনি আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের সকল পণ্যগুলো ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত রাখবেন।
ক্রেতা বা ভোক্তারা আপনার পন্যগুলো ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে তাদের নিউজ ফিডে দেখতে পারবে এবং সেখান থেকে সরাসরি কেনাকাটা করতে পারবেন।
অনলাইন ব্যবসা বলতে আপনার ব্যবসায়ের সকল কার্যাবলী অনলাইনেই হবে। শুধু আপনি আপনার পণ্যগুলো অনলাইনে তুলে ধরবেন, ক্রেতা দেখবে, অনলাইনে অর্ডার করবে এবং আপনিও অনলাইনেই অর্ডার গ্রহন করবেন। এতে অফলাইনে শুধু দুটি কাজ হবে।
(১) আপনার পণ্যটি অনলাইনে অর্ডার হলেও ক্রেতার নিকট পণ্যটি কেউ একজন (ডেলিভারি ম্যান) পৌছে দিবেন।
(২) চাইলেই কেউ আপনার নিজ ঠিকানায় এসেও পণ্য নিতে পারেন।
কিভাবে ফেসবুক বিজনেস পেইজ খুলবো
ফেসবুক বিজনেস পেইজ খোলা হয় মূলত অনলাইন ফেসবুক ব্যবসা করার জন্য, অথবা আপনার অফলাইন ব্যবসায়ের সাথে যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য।
মূলত ফেসবুক বিজনেস পেইজ বলতে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসায়কেই বুঝায়। আপনাকে এখন একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলতে হবে। ফেসবুক একাউন্টটি আপনি আপনার নিজের নামেই খুলতে পারেন।
ফেসবুকে প্রোফাইলে নিজের নাম ব্যবহার করতে হবে, নিজের ব্যবসায়ের নাম দেওয়া যাবে না। অতঃপর আপনার প্রোফাইল থেকে আপনি আপনার ব্যবসায়ের জন্য বিজনেস পেইজ খুলবেন। বিজনেস পেইজটির নাম আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের নামে হবে।
আপনার এই বিজনেস পেইজে প্রোফাইল ও কভার পিকচার পরিবর্তন করতে পারবেন। এই জায়গাতে আপনি লোগো ব্যবহার করলে বেশি প্রফেশনাল মনে হবে।
Description নামক একটি ফিচার অপশন পাবেন যেখানে আপনাকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার সুযোগ দেওয়া হবে। আপনি আপনার পণ্যের ছবি বা ভিডিও আপলোড করতে পারবেন পেইজ থেকে।
আপনার যেসকল বন্ধুরা ফেসবুক ব্যবহার করে তাদেরকে আপনার পেইজে যুক্ত হওয়ার জন্য ইনভাইট করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার নতুন প্রোডাক্ট গুলো নিয়ে পেইজ থেকে লাইভেও আসতে পারেন। এতে আপনি আরো মানুষের নিকট আপনার পণ্য পৌছাতে পারবেন।
আপনার পেইজে যতবেশী লাইক এবং রিভিউ থাকবে, ক্রেতা আপনাকে তত বেশী বিশ্বস্ত মনে করবেন। প্রতিটি অর্ডার কমপ্লিট করার পর আপনি ক্রেতাদের থেকে একটি পজিটিভ রিভিউ চেয়ে নিবেন।
ফেসবুক বিজনেস পেইজ বুস্ট করার উপায়
ব্যবসায়ের সাথে যেহেতু প্রচার ও বিজ্ঞাপনের একটি সম্পর্ক রয়েছে, তাই অবশ্যই ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রেও বিজ্ঞাপন ও প্রচারের ব্যবস্থা থাকবে।
ফেসবুক বিজনেস পেইজগুলো বিজ্ঞাপনের সুযোগ তৈরী করে দেয় পেইজ বা পোস্ট বুস্ট। আপনার ব্যবসায়িক পোস্টগুলো আরো বেশী Audience বা ক্রেতাদের নিকট পৌছে দেওয়ার জন্য আপনি ফেসবুক পেইজ বুস্ট অথবা পোস্ট বুস্টের অপশনটি ব্যবহার করতে পারেন।
ফেসবুকে পেইজের সবখানেই পেইজ বা পোস্ট বুস্টের অপশনটি দেখতে পারবেন। পোস্ট বুস্ট করলে আপনার পোস্টটি তারাও দেখতে পারবে যারা আপনার পেইজে সাথে আগে যুক্ত ছিলেন না।
তবে এখানে বিজ্ঞাপন তথা পোস্ট বুস্টের জন্য ফেসবুককে কিছু ডলার দিতে হবে। আপনি যদি চান শুধু আপনার এলাকার মানুষ আপনার এড টি দেখবে তবে লোকেশনে আপনার এলাকা দিতে পারেন।
যদি আরো চান যে ২/৩ দিন আপনার এড টি ফেসবুকে থাকুক তাও কাস্টমাইজড করা যাবে। এমনকি আপনি ছেলে-মেয়ে বা কত বছর বয়সীদের নিকট এডটি দেখাতে চান তাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ফেসবুক ব্যবসায় গ্রাহক বৃদ্ধির উপায়
প্রোডাক্ট রিসার্চ: ফেসবুকে অনলাইন বিজনেস করবেন আর প্রোডাক্ট রিসার্চ করবেন না, তা কি হয়? অবশ্যই না। আপনাকে যথাসম্ভব প্রোডাক্ট রিসার্চ করতে হবে।
অবশ্যই সেসব পণ্য নির্ধারণ করতে হবে যেগুলোর পাবলিক ডিমান্ড বেশি। কারণ যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি সেগুলো নিয়ে কাজ করলে দ্রুত লাভবান হওয়ার আশা রাখতে পারেন। তবে অবশ্যই সেই প্রোডাক্টটি সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার।
মৌসুমী চাহিদাসম্পন্ন পণ্য নিয়েও কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ একটি পণ্য নিয়ে সারামাস না বসে থেকে বছরের যে সময়ে যে পণ্যের চাহিদা বেশি থাকবে ঐ সময়ে ঐ পণ্যটি নিয়ে কাজ করতে পারেন।
কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট: ফেসবুক মার্কেটিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে কনটেন্ট ডেভেলপমেন্ট । এ বিষয়ে যার যত জ্ঞান থাকবে সে তত বেশি এগিয়ে যাবে।
লিড নার্সিং: সেই সাথে পেইজের লিড নার্সিং করতে হবে। অর্থাৎ তাদের এংগেজমেন্ট যেন ঠিক থাকে সে ব্যাপারে লক্ষ্য রাখুন।
রিচ বৃদ্ধি করা: পোস্টের রিচ কেমন হচ্ছে সেটা লক্ষ রাখতে হবে। ফেসবুকে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের মাঝে টিকে থাকতে হলে আপনার পোস্ট রিচ হওয়া খুবই জরুরি।
অ্যানালাইসিস: নিজের প্রতিদ্বন্দী ফেসবুক ব্যবসায়ীদের অ্যানালাইস করার মাধ্যমেও মিলতে পারে অনেক ধরণের আইডিয়া। একই সাথে নিজের সমস্যা, নেগেটিভ দিক গুলোও খুঁজে বের করা সহজ হয়ে ওঠে।
প্রোডাক্ট সোর্স: আপনি যে পণ্য নিয়ে কাজ করবেন তার যথাযথ সোর্স খুঁজে বের করা এবং সে বিষয়ে স্বচ্ছতা অবলম্বন করাও একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। এটা অবশ্যই খেয়াল রাখবেন।
ডেলিভারি সার্ভিস: চার্জ সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে। ফেসবুকে ব্যবসার প্রচারের স্বার্থে শুরুতে কিছুদিন ফ্রী ডেলিভারি দিতে পারেন।
রিভিউ: আপনার ক্রেতাদের প্রতিবার পণ্য দেওয়ার পর তাদের থেকে একটি পজিটিভ রিভিউয়ের রিকুয়েস্ট করুন। এতে নতুন ক্রেতারা বেশী আগ্রহ পাবে।
ফেসবুক ব্যবসায় গ্রাহক ধরে রাখার টিপস
আপনাকে অভিনন্দন আপনি ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা করার ক্ষেত্রে আগ্রহী। আমরা প্রার্থনা করি আপনি সফল হন। তবে আপনাকে আপনার ফেসবুক ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কিছু টিপস দিয়ে রাখি যা আপনার অনেক কাজে লাগবে।
১. নিজের পণ্যের ছবিগুলোতে লোগো ব্যবহার করুন
আপনি যখন আপনার পণ্যগুলোর ছবি আপলোড করবেন, তখন যেকেউ আপনার পেইজ থেকে ছবিগুলো ডাউনলোড করতেই পারে এতে আপনার ব্যবসায়ে ক্ষতি হতে পারে। তাই নিজের ছবিতে লোগো ব্যবহার করুন।
এতে প্যাসিভ এডভারটাইজমেন্টও হয়ে যায়। কেউ যদি ছবিগুলো পছন্দ করে কোথাও শেয়ার করে, তবে লোগো থাকার কারণে সোর্স সম্পর্কে জানতে পারবে এবং আপনার পেজ খুজে বের করতে পারবে।
২. কাস্টমারদের দ্রুত রিপ্লাই করুন
আপনি যত দ্রুত আপনার কাস্টমারদের রিপ্লাই করবেন তত বেশী আপনার কাস্টমাররা আপনার প্রোডাক্ট ক্রয় করতে আস্থা পাবেন।
৩. সবসময় সহজ লেখা ব্যবহার করুন
আপনার পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত যা তথ্য দিবেন তা যেন খুব সহজ ভাষায় দেওয়া থাকে সেদিকে সচেতন থাকুন।
৪. দ্রুত ডেলিভারি
আপনি যদি আপনার পণ্য ডেলিভারির ক্ষেত্রে কোনে পার্সেল কোম্পানির সাহায্য নিয়ে থাকেন তবে দ্রুত ডেলিভারি করা নিশ্চিত করুন। এতে ক্রেতারা বেশী আগ্রহ পাবেন।
Comments (No)