Online ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় ঘরে বসে

Online ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় ঘরে বসে ই-কমার্স ব্যবসা করে অনলাইন আয় : আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানাবো ই-কমার্স ব্যবসা কি? এবং কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসার অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসা করে অনেক লোক নিজের ঘরে বসে অনলাইনে ইকমার্স ব্যবসা করে আয় করছে।

আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় করতে চান তবে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আপনি কি জানেন ই-কমার্স ব্যবসা কি? এবং কাকে বলে? আপনাকে একটু ধারণা দেওয়ার জন্য বলছি মনে করুন আমরা যখন অনলাইনে কোন প্রডাক্ট বা পণ্য ক্রয় বিক্রয় করি তখন আমরা সেই সকল জিনিস ই-কমার্স এর মাধ্যমে কিনে থাকি।

বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার জন্য অনেক ধরণের মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সেগুলো হলো আমাজন, আলিবাবা ইত্যাদি। এই ধরণের অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট গুলোকে বলা হয় ই-কমার্স ওয়েবসাইট।

বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। কারণ ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলো থেকে মানুষের অতন্ত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে পারে।

Online ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় ঘরে বসে
Online ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় ঘরে বসে

ই-কমার্স ব্যবসা কি ?

ই-কমার্স ব্যবসা কি? উক্ত আলোচনায় আপনাকে কিছু হলেও ধারণা দেওয়ার চেষ্ট করেছি। এখন আমরা আপনাকে জানাবো ই-কমার্স ব্যবসা আসলে কি?

ই-কমার্স শব্দের অর্থ হচেছ- Electronic Commerce & Internet Commerce. যার মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য ক্রয় বিক্রয় করার মাধ্যম বলা হয় ই-কমার্স।

অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের পণ্য ক্রয় বিক্রয় করার ক্ষেত্রে সেলার এর মাধ্যমে ডাটা এবং অনলাইন পেমেন্ট আদান প্রদান করা হয়।

বর্তমান সময়ে অনেক ই-কমার্স ব্যবসার প্রোডাক্ট বা পণ্য গুলো বিক্রি করার বিপরীতে কাস্টমারদের অফলাইনে টাকা পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারি এর সুবিধা গুলো প্রদান করে যাচ্ছে।

ই-কমার্স ব্যবসা কে সহজ করে বলতে গেলে বলা যায় এটি একটি বাণিজ্যিক লেনদেন এর মাধ্যমেকেই ই-কমার্স ব্যবসা বলা হয়।

ই-কমার্স ব্যবসার ইতিহাস

বর্তমান যোগে যদি কম্পিউটার না থাকতো তাহলে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হতো না। এছাড়া আগের সময়ে মানুষ ঘরে বসে কম্পিউটার থাকা সম্ভাবনা অনেক কম ছিল। তাই ই-কমার্স ব্যবসার সম্ভাবনা ও পরিকল্পনা কারার কথা মাথায়ও আসেনি।

আমরা জানি ই-কমার্স ব্যবসা 1994 সালে বিশ্বে প্রথম সেল করা হয়। এক লোক তার ওয়েবসাইটে নেটমার্কেট এর মাধ্যেমে একটি সিডি ক্রিয় কনেন। জানা যায় সেই সময় নেটমার্কেট ছিল একটি অনলাইন মিউজিক স্টোর।

তার কিছু দিন পর Jeff Bezos 1994 সালের 5 জুলাই জনপ্রিয় ই-কমার্স প্লাটফর্ম শুরু করেন যা আমাদের সকলের পরিচিত ওয়েবসাইট আমাজন।

আমাজন তাদের ব্যবসার কাজ ‍শুরু করেছিল বই বিক্রি থেকে। সেই সময় কাস্টমার অনলাইনের মাধ্যমে প্রোডাক্ট এর থেকে বই কিনতে আগ্রহী ছিল। তবে ধিরে ধিরে আমাজ তাদের ওয়েবসাইটে পণ্য বিক্রি করার জন্য কাস্টমারদের আগ্রহ করে তোলে।

ই-কমার্স ব্যবসার আরো অনেক ইতিহাস রয়েছে সেগুলো আপনি অনলাইনে সার্চ করলে জানতে পারবেন।

আজ আমরা আপনাকে জানাব কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে আপনিও দ্রুত লাভজনক হতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন।

কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন ?
যারা বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আমাদের দেওয়া আর্টিকেল আরো মনযোগ দিয়ে পড়ুন। আমরা আপনাকে এখানে দেখাবো কিভাবে ই-কমার্স ব্যবসা সহজেই শুরু করবেন।

ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে নিয়ে দেওয়া ধাপটি অনুসরণ করতে হবে।

আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনাকে এ বিষয়ে অনেক ভাবতে হবে যে, কোন ধরণের প্রোডাক্ট বা পণ্য নিয়ে কাজ শুরু করবেন, আপনাকে জেনে নিতে হবে অনলাইনে রিসার্স করে মানুষের নিত্য প্রযোজনীয় কিধরণের প্রডাক্ট বা পণ্য গুলো ক্রয় করে থাকে যে পণ্য গুলো চাহিদা বেশি সেই সকল প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে।

এবং লোকেরা যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে এ বিষয়টি আগে বিবেচনা করে থাকে যে, কোন বিষয় নিয়ে কাজ করলে বেশি লাভজন হওয়া যায়। তাই আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করেন তবে আপনাকে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য গুলো নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে।

আপনি ই-কমার্স ব্যবসার প্রোডাক্ট বা পণ্য সিলেক্ট করার পরে আপনাকে আরো জানতে হবে যে, আপনি যে প্রডাক্ট গুলো সিলেক্ট করেছেন সেই গুলো ডেলিভারি কোথায় কোথায় করা যাবে। এবং ডেলিভারি কি শুধুমাত্র নিজের এলাকায় নাকি সাড়া দেশের ভিতরে বিক্রি করবেন সেই বিষয়ে বেশি নজর দিতে হবে।

আপনি যদি সারা দেশে আপনার ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা দিতে পারেন তবে আপনি বেশি লাভজনক হতে পারবেন দ্রুত। আপনি যদি নিজের এলাকায় ই-কমার্স পন্যের সুবিধা দিতে চান তবে এটিও করে আপনি অনেক লাভজন হতে পারবেন।

আপনি যে সকল প্রোডাক্ট বা পণ্য গুলো নিয়ে ই-কমার্স করার চিন্তা করছেন সেই প্রডাক্ট গুলো আপনি বিক্রি করার কথা ভাবছেন সেগুলো কম দামে কোন মার্কেটপ্লেস থেকে কিনবেন সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা থাকতে হবে।

কারণ আপনি ই-কমার্স ব্যবসার জন্য যত কম দামে প্রডাক্ট কিনবেন তত বেশি লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে পাইকারি প্রডাক্ট বিক্রি করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস আছে সেগুলোর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। কারণ ব্যবসা করতে হলে আপনাকে কম দামে মালকিনে বেশি দামে কিনতে হবে।

আপনি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনার ব্যবসাটি রেজেস্ট্রেশন করতে হবে তার জন্য আপনাকে একটি লাইসেন্স সার্টিফিকেট করে নিতে হবে। তারপরে আপনার পছন্দ মতো একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আপনি যদি ই-কমার্স ব্যবসা করতে চান তবে যে কোন প্লাটফর্মে যেমন- ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন খুব সহজেই।

আপনি যখন উক্ত বিষয় গুলো সঠিক ভাবে পালন করতে পারবেন তখন আপনি ই-কমার্স ব্যবসা স্থাপন করে টাকা আয় করতে পারবেন।

ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও লাভ
আপনি যদি নিজের এলাকায় বা আপনার সারা দেশে বা বিশ্বজুড়ে প্রডাক্ট বা পণ্য সার্ভিস দিতে পারেন সেগুলো বিক্রি করতে পারেন তবে আপনি এই ব্যবসাটি নিজের ঘরে বসেই পরিচালনা করতে পারবেন।

আপনি যে প্রডাক্ট গুলো নিয়ে কাজ করবেন সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটে ছবি সহ দাম উল্লেখ্য করেদিবেন সেগুলো কাস্টমার দেখবে আর আপনার দেওয়া পণ্য গুলো কিনবে।

আপনি অল্প দামে ই-কমার্স ব্যবসার জন্য পণ্য ক্রয় করে ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। তার পাশাপাশি যখন আপনি কাস্টমারের কাছে পণ্য বা প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন তখন অবশ্যই ডেলিভারি করতে হবে সেই ডেলিভারি হিসেবে চার্জ পেয়ে যাবেন। সেই চার্জের টাকা দিয়ে আপনার কর্মচারির বেতন দিতে পারবেন।

শেষ কথাঃ

তো বন্ধুর আজ আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানতে পারলেন ঘরে বসে অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় করার সহজ উপায়। আপনি যদি আমাদের লেখা গুলো অনুসরণ করেন তবে আপনিও এ ব্যবসা করার জন্য পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

আমাদের ওয়েবসাইটের আর্টিকেল আপনার ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Comments (No)

Leave a Reply

এই সাইটের কোন লেখা কপি করা সম্পুর্ন নিষেধ