বাজারে Laptop অভাব নেই। কিন্তু ভালো মানের একটি Laptop কেনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হয়। কারণ, কেনার সময় এসব বিষয় মাথায় না থাকলে পরে বিড়ম্বনায় পড়তে পারেন। গচ্চা যেতে পারে মোটা অঙ্কের টাকাও। ★ তাই নতুন Laptop কেনার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা আজ তুলে ধরাহলো…..
আগে জানুন কী চান কেনার সময় সবার আগে জানতে হবে, আপনার কেমন Laptop দরকার। যদিও মনের মতো Laptop জন্য বাজেটের চেয়ে বেশি অর্থ লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে সাধ ও আর সাধ্যের সমন্বয় ঘটানো সবচেয়ে জরুরি। আকার বহনযোগ্য যন্ত্রের আকার কিংবা ওজন একটা বড় বিষয়। যদি ল্যাপটপ নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করতে হয়, তবে বড় আকারের ল্যাপটপ না কেনাই ভালো। ১১ থেকে ১৩ ইঞ্চি পর্দার নোটবুক বা ল্যাপটপ
দিয়েই দিব্যি কাজ চালানো যায়। বাজেট যখন কম কম বাজেটেও কাজ চালানোর মতো Laptop বাজারে অনেক আছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ক্রোমবুক কেনার পরামর্শ দেন। Online Income Site
এতে সবই আছে। শুধু উচ্চমানের ল্যাপটপের মতো ভারী কাজগুলো করা যাবে না। তবে ১০৮০ পি. রেজুলেশনের পর্দা এবং অন্যান্য স্পেসিফিকেশন যা পাবেন, তা দিয়ে মোটামুটি কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। উইন্ডোজ বা ম্যাক ওএস দুটিই দারুণ জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম। যদি কাউকে প্রশ্ন করেন, কোনটি ভালো? তাহলে তিনি
দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়বেন। এ প্রশ্ন না করে নিজের পছন্দেরটা কিনে ফেলুন।
স্পেসিফিকেশন এটা নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকি আমরা। অবশ্য এর দ্বারাই ল্যাপটপের গতি ও পারফরম্যান্স নির্ধারিত হয়। তাই এ ক্ষেত্রে বেশ সাবধান থাকাটা জরুরি।
→ এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে…
১. ডিসপ্লে রেজুলেশন পর্দা ভালো মানের না হলে বিপদ। একে এড়িয়ে যেতে পারবেন না। যদি ১০৮০ পিক্সেল কিংবা ফুল এইচডি বেছে নিতে পারেন, তবে তো কথাই নেই। কম বাজেটের মধ্যে অন্যান্য রেজুলেশনের পর্দাও নিতে পারেন।
২. ডিসপ্লে প্যানেল আইপিএস বা টিএন প্যানেল বেছে নিতে পারেন। কম বাজেটের মধ্যে টিএন প্যানেল পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া আইপিএস প্যানেল বেশ জনপ্রিয়। আবার যদি টাচ ডিসপ্লে নিতে পারেন তবে বেশ উপভোগ করতে পারবেন। ৩. সিপিইউ
সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট ল্যাপটপের মূল মস্তিষ্ক। এটা ভালো হলেই সব ভালো। সবচেয়ে ভালো পছন্দ হবে ইন্টেল কোর আই-৫ নিতে পারলে। তবে কোর আই-৩ দিয়েও দিব্যি কাজ চলবে। আর সেরাটা চাইলে কোর আই-৭ নিতে পারেন।
৪. র্যাম সবচেয়ে কমের মধ্যে পাবেন ২ জিবি র্যাম। ৪ জিবি নিতে পারলে ভালো।
যদি ৮ জিবি র্যামের ল্যাপটপ নিতে পারেন, তবে আপনি কাজ করে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন। যদি ভারী গেম খেলতে চান, তাহলে ১৬ জিবি নেওয়া ভালো।
৫. স্টোরেজ এটা নির্ভর করে আপনি ল্যাপটপে কী রাখবেন এর ওপর। যদি এসএসডি বিল্ট ডিভাইস নিতে পারেন, তবে গতি ভালো পাবেন। কমপক্ষে ২৫৬ জিবির স্টোরেজ পাবেন। এটাই অনেক ক্ষেত্রে যথেষ্ট। চাইলে ১ টেরাবাইটও নিতে পারেন।
৬. পোর্ট ল্যাপটপ ক্রমে পাতলা হচ্ছে মানেই যে পোর্ট কম হবে, তা নয়। আবার অনেক
ল্যাপটপেই চাহিদা অনুযায়ী পোর্টের ঘাটতি থাকতে পারে। অন্তত ইউএসবি ‘৩.০’ এবং
ইএচডিএমআই থাকাটা প্রয়োজন।
Comments (No)