প্রফেশনাল লাইফে কীভাবে সফলতা পাবেন? জেনে নিন সফলতার 3 মূলমন্ত্র প্রফেশনাল সফলতার মুল মন্ত্র হচ্ছে ভ্যালু এড করা। কাস্টমারের লাইফে ভ্যালু এড করা।
প্রফেশনাল লাইফে কীভাবে সফলতা পাবেন? জেনে নিন সফলতার ৩ টি মূলমন্ত্র সময়ের পালাবদলের সঙ্গে সঙ্গে মানুষ সফলতা লাভ করে, কেউ সম্পদের সমৃদ্ধি দিয়ে আবার কেউ সালাত তথা নামাজ এবং আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি দিয়ে। সফলতা বলতে আমরা বুঝি—গরিব থেকে ধনী হওয়া, কুঁড়েঘর থেকে বহুতল বড় বিল্ডিং, রিকশাওয়ালার ছেলে হয়েও বড় ব্যবসায়ী হওয়া, বাপহীন সন্তান হয়েও কষ্ট করে পড়াশোনা করার পাশাপাশি চাকরি করা ইত্যাদি…।
দুনিয়ায় প্রচলিত যতরকম কাজকর্ম আছে, এসব কাজকর্মে টিকে থাকার নামই হচ্ছে বর্তমান সময়ের সফলতা। এবং আমরা এটাকেই মেনে নিচ্ছি।
একজন বিজনেস প্রফেশনাল পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করে কাস্টমাদের লাইফে ভ্যালু এড করে থাকে।
আবার এই পণ্য এবং সেবা বিক্রি করার পুরো প্রসেসের জন্য তার বিভিন্ন স্কীলের প্রফেশনাল দরকার হয়।
এ প্রফেশনালদের কেউ হয়ত প্রোডাকশন এ কাজ করছেন, কেউ হয়ত মার্কেটিং, কেউ হয়ত সেলস আবার কেউ হয়ত কাস্টমার সাপোর্ট।
আবার এদের মধ্যে অনেকেই আছেন চুক্তি ভিত্তিক, আবার অনেকেই আছেন বেতন ভিত্তিক।
এবং এরা সবাই সেই বিজনেস/ব্র্যান্ড কে সার্ভ করছেন।
এখন এখানে যে প্রফেশনাল রয়েছেন তাদের যদি গ্রো করতে হয় তাহলে অবশ্যই তাদের ব্র্যান্ড এর ওভারঅল গোল এচিভ করতে হেল্প করতে হবে। ভ্যালু এড করতে হবে।
আবার সেই ব্র্যান্ড যদি গ্রো করতে চায় তাহলে তার সব প্রফেশনালদের স্কীল কে কানেক্ট করে কাস্টমারের লাইফে ভ্যালু এড করতে হবে।
তারমানে দিন শেষে ব্র্যান্ড কাস্টমারের লাইফে ভ্যালু এড করার চেষ্টা করছে।
সেই ব্র্যান্ড এর প্রফেশনালরা ব্র্যান্ড এর লাইফে ভ্যালু এড করার চেষ্টা করছে।
এখন ভ্যালু এড করতে চাইলেই যে অনেক সহজেই এড করা যাবে তা কিন্তু না।
এর জন্য দরকার হবে সঠিক স্ট্র্যাটেজি, সঠিক প্রফেশনাল এবং আরো অনেক কিছুর সমন্বয়।
নিচে আমি কিছু ধারনা দেয়ার চেষ্টা করছি।
১) কাস্টমার সম্পর্কে পরিপুর্ন ধারনা থাকতে হবেঃ
কাস্টমাদের সম্পর্কে পরিপুর্ন ধারনা না থাকলে তাদের লাইফে ভ্যালু এড করা যাবে না।
আর কাস্টমার সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারনা রাখতে হলে তাদের সাথে মিশতে হবে।
সার্ভে করতে হবে।
অবসার্ভ করতে হবে।
ভিন্ন ভিন্ন ভাবে এ/বি টেস্টিং করে দেখতে হবে কোনটা ভাল কাজ করছে।
এবং উইনিং অপশনটা পেয়ে গেলে সেটি নিয়ে স্ট্রাটেজি ডেভেলপ করে, একশন প্ল্যান রেডি করে ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।
একটি উদাহরণ দেয়া যায়।
বাংলাদেশে আমরা সবাই কাচ্চি অথবা তেহারি খেতে পছন্দ করি।
এখন ধরেন, প্রচণ্ড গরম চলছে।
আপনার একজন কাস্টমার তৃষ্ণার্ত।
আপনি চিন্তা করলেন কাচ্চি তো সবারই পছন্দ।
তাহলে উনাকে অনেক গুলা কাচ্চি দেই। উনার লাইফে ভ্যালু এড হবে।
আসলে কিন্তু কাজ করবে না, কারণ উনি খুজতেসেন ঠাণ্ডা পানি/সফট ড্রিঙ্কস।
তারমানে কাস্টমার কি চাচ্ছে, তা না বুঝলে কখনই ভ্যালু এড করা সম্ভব হবে না।
২) সঠিক মানুষ – সঠিক সিট এনশিউর করতে হবেঃ
সঠিক মানুষকে সঠিক জায়গাতে কাজে লাগাতে হবে। আমরা প্রতিটা মানুষ কিন্তু আলাদা। সবার কিছু ভিন্ন ধরনের স্কীল আছে আবার কিছু দুর্বলতা আছে।
এই ডাটা গুলার উপর বেসড করে, একজন লিডারকে জানতে হয় কার এবিলিটি কোথায়। কার ভাল লাগা অথবা প্যাশন কোথায়।
তার উপর বেসড করে টিম তৈরি করতে হবে।
আবার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তো একটি গাড়ির মত।
এখানে অনেক কিছুর সমন্বয় লাগবে।
অন্যথায় এটি আগে বাড়বে না।
তাই একজন লিডারকে এটা এনশিউর করতে হবে যেখানে রিসোর্স লাগছে সেখানে আপনি রিসোর্স এলোকেট করছেন এবং একই সময় রাইট রিসোর্স এলোকেট করছেন।
৩) সঠিক এসওপি এবং মনিটরিং বাধ্যতামুলকঃ
সঠিক এসওপি থাকতে হবে এবং টাইমলি মনিটর করতে হবে। শুধু মাত্র স্কীল্ড প্রফেশনাল থাকলেই যে ভ্যালু এড হবে তা কিন্তু না।
আপনি ক্রিকেট অথবা ফুটবল ক্লাব গুলোকে দেখলে অনেক সময় খেয়াল করবেন কিছু দল থাকে, যেখানে সব ভালো ভালো প্লেয়ার থাকে। কিন্তু তারা প্রথম রাউন্ড এই বাদ পরে যায়।
এর কারণ হচ্ছে সঠিক প্লান, এসওপি, অথবা ফলোআপ এর অভাব।
প্রফেশনাল ভাবে স্ট্র্যাটেজি ডেভেলপ করার পর আপনাকে মেকশিউর করতে হবে যে সবাই যার যার কাজ ঠিক ভাবে করছে।সঠিক ভাবে সব কিছুতে সমন্বয় আছে।
ক্লারিটি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এরকম আরো অনেক ছোট ছোট যায়গাতে ভুল করার কারনে আমাদের প্রফেশনাল গ্রোথ আটকে যায়।
প্রফেশনাল লাইফ আসলে অনেক মজার।
আপনার শুধু সেই ফীল টা থাকতে হবে।
জার্নিটাকে উপভোগ করতে হবে।
মেইন থিমটা বুঝতে হবে।
সফলতার গোপন রহস্য
লক্ষ্যে স্থির থাকা
সফল ব্যক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা তাঁদের লক্ষ্যের প্রতি অনুরাগী থাকেন। স্থির সেই লক্ষ্য প্রতিটি মুহূর্তে তাঁদের হৃদয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে। তাঁরা লক্ষ্যকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেন। আর সিঁড়ি বেয়ে ওঠার মতো একটু একটু করে সেগুলো অর্জন করেন। একসময় তাঁরা সফলতার সর্বোচ্চ চূড়া স্পর্শ করেন। নিজেকে প্রতিদিন বলুন, বেঁচে থাকার জন্য যেমন অক্সিজেন প্রয়োজন, তেমনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন অন্তত একটি করে লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়া প্রয়োজন। সহজ কথায়, আপনার প্রতিটি কাজ হোক জীবনের লক্ষ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে।
নিজের মন ইতিবাচক রাখুন
সফল ব্যক্তিদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা পরিণতি বা ব্যর্থতার কথা ভাবেন না। যদি আপনি নিজের সফলতা বিশ্বাস করতে না পারেন, তবে সফলতা কীভাবে আপনার কাছে আসবে? দুর্ঘটনা বা ভুল থেকে শিক্ষা নিন। ভালো মুহূর্তকে স্মৃতি হিসেবে তুলে রাখুন। নেতিবাচক কোনো কিছু থেকে ইতিবাচকতাটুকু গ্রহণ করুন। মন ফুরফুরে রাখুন। নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রাখুন। ভাবুন, কী পরিকল্পনা করেছেন, আর সে অনুযায়ী কী করছেন। কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। কিছুটা ছেড়ে দিন সময়ের হাতে।
নিজের কৌশল নিজে তৈরি করুন
সফল ব্যক্তিদের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা অন্যের বানানো কৌশল অনুসরণ করেন না। তাঁরা নিজেদের কৌশল নিজেরা তৈরি করেন। সব সময় মনে রাখবেন, অন্যরা সফলতার যে ছক বানিয়েছেন, সেটি কেবল তাঁদের নিজেদের জন্য, আপনার জন্য নয়। আপনি সেখানে ‘ফিট’ না–ও হতে পারেন। এ জন্য প্রথমত, আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে ব্যাপকভাবে জানতে হবে। সব সম্ভাবনা যাচাই করে নিতে হবে। আর ঝুঁকি নিতে হবে, তবে বুঝেশুনে।
সময়ের মূল্য দিন
নিরর্থক কাজে সময় অপচয় করবেন না। আমরা সবাই কমবেশি খুব সাধারণ একটা ভুল করি, সময় বিনিয়োগ করার আগে সেখান থেকে কী ‘রিটার্ন’ পাচ্ছি, সেটা ভাবি না। যেকোনো নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আপনাকে মাথায় রাখতে হবে, দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে সেটাকে লাভজনক অবস্থায় নিতে হবে।
নিজের যাত্রা উপভোগ করুন
সফলতার সবচেয়ে বড় সূত্র এটাই। আপনি যা করছেন, সে কাজটি ভালোবেসে করা। খুব আগ্রহ নিয়ে, প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করে করা। ব্যর্থতায় ভেঙে না পড়ে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া।