কিভাবে অন পেজ এসইও অপটিমাইজেশন করবেন আপনি নিজের কোন ওয়েবসাইট অথবা কোন বায়ারের ওয়েবসাইটে অন পেজ অপটিমাইজেশন এর কাজ পেলে কিভাবে করবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ একটি গাইডলাইন আজকেরে আর্টিকেলে দেওয়া হবে । সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিং বিভিন্ন ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে অনপেজ এসইও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
অনপেজ এসইও এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক রয়েছে আমি চেষ্টা করব গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য । অনপেজ এসইও চেকলিস্ট এর মধ্যে টেকনিক্যাল Seo কিছু বিষয় রয়েছে সেগুলো আমি আজকে পর্বে আলোচনা করব | আপনি যদি আমাদের এসইওর সম্পূর্ণ কোর্সটি করতে চান তাহলে অবশ্যই এই প্লেলিস্ট থেকে ভিডিওগুলো ধারাবাহিকভাবে দেখা শুরু করুন ।
Table of Contents
- ON-Page SEO Checklist
- 01: টাইটেল এবং URL কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন
- 02: পোস্ট URL সংক্ষিপ্ত রাখুন
- 03: SEO ফ্রেন্ডলি মেটা ড্রেস্ক্রিপশন
- 04: আর্টিকেল প্রথম কীওয়ার্ড ব্যবহার
- 05: হেডিং ট্যাগ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
- 06: ইমেজ পরিপূর্ণভাবে অপ্টিমাইজ করুন
- 07: LSI কিওয়ার্ডের ব্যবহার করুন
- 08: এক্সটার্নাল link প্রদান করুন
- 09: অভ্যন্তরীণ পেইজে ইন্টার্নাল লিকিং
- 10: Robot.txt ফাইল
- 11: ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি
- 12: লোডিং স্পিড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
- 13: সিলো স্ট্রাকচার (Silo Structure SEO)
- 14: ওয়েবসাইট ভেরিফাই করুন এবং সাইটম্যাপ তৈরী করুন
- একনজরে সমস্ত বিষয় গুলো দেখে নিন :
অন-পেজ অপটিমাইজেশনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জড়িত রয়েছে তবে আমি সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো তুলে ধরছি । অন পেজ অপটিমাইজেশন এর সম্পূর্ণ ব্যাপারটি অন পেজ এসইও চেকলিস্ট এর মাধ্যমে আমি তুলে ধরছি | অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে আমি প্রতিটি পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করবো আর আপনি আপনার পেইজের সাথে মিলিয়ে দেখবেন আপনার ওয়েবসাইট সেই অনুযায়ী রয়েছে কিনা ।
01: টাইটেল এবং URL কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন
আপনার ওয়েবসাইটের যতগুলো পোস্ট বা আর্টিকেল রয়েছে প্রত্যেকটা পোস্ট এবং আর্টিকেল এর টাইটেল এবং URL আপনি আপনার নির্দিষ্ট ফোকাস কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করুন । এটি অন পেজ এসইও জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রাঙ্কিং ফ্যাক্টর । যদি আপনি নিজের জন্য বা অন্য কারো ওয়েবসাইটের জন্য কাজ করে থাকেন তাহলে সে ক্ষেত্রে লক্ষ্য করুন আপনার ক্লায়েন্টের ওয়েব সাইটের টাইটেল এবং ইউআরএল তার ফোকাস কীওয়ার্ড টি রয়েছে কিনা । যেকোনো কনটেন্ট বা আর্টিকেলে টাইটেলে শুরুতে কীওয়ার্ড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । গুগল রেংকিং এর জন্য এটা মারাত্মক ভূমিকা পালন করে ।এক্ষেত্রে গুগোল সহজেই বুঝতে পারেন আপনার আর্টিকেলটি কোন বিষয়ের উপর লিখিত হয়েছে ।
02: পোস্ট URL সংক্ষিপ্ত রাখুন
প্রত্যেকটা আর্টিকেল বা পেইজের একটা নতুন পার্মালিনক তৈরি হয় যেটাকে আমরা Post URL বলে থাকি । চেষ্টা করবেন সবসময় এই পারলে ইউআরএল সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য । URL সংক্ষিপ্ত রাখলে অনেক ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে সংক্ষিপ্ত URL যুক্ত ওয়েবসাইট Long URL Website থেকে অতি তাড়াতাড়ি এবং খুব বেশি সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ে প্রাধান্য পায় |
03: SEO ফ্রেন্ডলি মেটা ড্রেস্ক্রিপশন
এসইও ফ্রেন্ডলি মেটা ড্রেস্ক্রিপশন আপনার ব্লগ পোস্টে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনার মেটা ডেসক্রিপশন যেন 155 থেকে 160 ওয়ার্ডের মধ্যে হয় । এতে করে সার্চ ইঞ্জিন আপনার মেটা ড্রেস্ক্রিপশন সম্পুর্নও প্রদর্শন করতে সক্ষম হবে । এক্ষেত্রে আপনার কীওয়ার্ড ন্যাচারাল প্লেসমেন্ট করুন ।
04: আর্টিকেল প্রথম কীওয়ার্ড ব্যবহার
সার্চ ইঞ্জিন এর এক্সপার্টরা মনে করেন আর্টিকেল এর প্রথম 150 ওয়ার্ড এর মধ্যে আপনার ফোকাস কীওয়ার্ড প্লেসমেন্ট করা খুবই জরুরী । তাই সম্ভব হলে চেষ্টা করুন আর্টিকেলের শুরুতে এবং প্রথম 150 ওয়ার্ডে বা প্রথম প্যারাগ্রাফ আপনার ফোকাস্কি প্লেসমেন্ট করার ।
05: হেডিং ট্যাগ কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন
হেডিং ট্যাগ বলতে সাধারণত আমরা H1 থেকে H6 পর্যন্ত Tag গুলোকে বুঝে থাকি | সাধারণত H1 থেকে H3 পর্যন্ত এই Tag গুলোর ব্যবহারই আর্টিকেল এর মধ্যে সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে | সুতরাং চেষ্টা করুন হেডিং ট্যাগ গুলোর মধ্যে আপনার কাঙ্খিত ফোকাস কীওয়ার্ড যেন থাকে এবং ন্যাচারালি এটা প্লেসমেন্ট করার চেষ্টা করুন ।
06: ইমেজ পরিপূর্ণভাবে অপ্টিমাইজ করুন
ব্লগে অথবা নিশ সাইট কোন ইমেজ ব্যবহার করার পূর্বে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে । শুধুমাত্র ইমেজ দিয়ে অনেক অর্গানিক ট্রাফিক পেতে পারেন ইমেজ এর মাধ্যমে । তাই পরিপূর্ণভাবে ইমেজের নাম, ইমেজের মেটাডাটা ,ইমেজের অল্টার ট্যাগ ,ইত্যাদি Image অপটিমাইজেশন করা জরুরি । তাই পরিপূর্ণভাবে ইমেজের নাম, ইমেজের মেটাডাটা ,ইমেজের অল্টার ট্যাগ ,ইত্যাদি অপটিমাইজেশন করা জরুরি ।
07: LSI কিওয়ার্ডের ব্যবহার করুন
কোন আর্টিকেল এ ফোকাস কীওয়ার্ড এর পাশাপাশি LSI কিওয়ার্ড ব্যবহার করা খুবই জরুরী | আপনার কিওয়ার্ডের ভেরিয়েন্ট ঠিক রাখার জন্য LSI কী ওয়ার্ড ব্যবহার করুন | পাশাপাশি কিওয়ার্ডের সিনোনিমস ব্যবহার করতে পারেন | এক্ষেত্রে কীওয়ার্ড স্টাফিং থেকে আপনার ওয়েবসাইট রক্ষা পাবেন ।
08: এক্সটার্নাল link প্রদান করুন
যে কোন আর্টিকেল লেখার সময় রিলেভেন্ট বা সমজাতীয় কিছু অথরিটি ওয়েবসাইটে এক্সটার্নাল লিংক দেওয়া খুবই ভালো কাজে দেয় । অথরিটি সম্পূর্ণ সাইটে লিংক দেওয়ার ফলে গুগোল সহজেই বুঝতে পারে আপনার ওয়েবসাইটটা কোন নিশের । এতে করে গুগলবট সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে রিকগনাইজ করতে পারে । একটি আর্টিকেলে 5 থেকে 8 টি এক্সটার্নাল লিংক প্রদান করা যেতে পারে । আবার এমন যেন না হয় খুব বেশি এক্সটারনাল লিংকিং করেছেন এতে করে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নষ্ট হয় ।
09: অভ্যন্তরীণ পেইজে ইন্টার্নাল লিকিং
আপনি যে টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন এই টপিকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রিলেভেন্ট কোন পেজ যদি থাকে তাহলে সেই পেজের সাথে আপনার বর্তমান আর্টিকেলে ইন্টার্নাল লিনকিং করুন । ইন্টারনাল লিংকিং এর ক্ষেত্রে কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই তবে যেকোনো আর্টিকেলে 2 থেকে 5 টি ইন্টার্নাল লিনকিং করতে পারেন ।
10: Robot.txt ফাইল
robot.txt ফাইল এর মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করি গুগল আমাদের ওয়েবসাইট কল করবে কিনা । আপনি চাইলে গুগোল ক্রললার বা গুগোল বোট robot.txt ফাইল এর মাধ্যমে আপনার সাইটের ক্রলিং নিষিদ্ধ করতে পারেন । ক্রলিং বন্ধ হলে কোন সাইট সম্পর্কে ভূগোল ক্রলার কোন ধারণা পায় না এবং সার্চ ইঞ্জিন এ SERP পেজেও নিয়ে আসতে পারে না । robots.txt ফাইল তৈরী করার নিয়ম দেখে নিন ।
11: ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি
বর্তমানে মোবাইল ইউজার এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে । মানুষ কম্পিউটার ল্যাপটপ এর পাশাপাশি মোবাইল ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সার্চ করছে । তাই কোন ওয়েবসাইট বানানোর ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা জরুরী । মোবাইল ইউজাররা যাতে করে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন তথ্য নির্বিঘ্নে পড়তে পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা উচিত । আপনার ওয়েবসাইটটি মোবাইল রেস্পন্সিভ আছে কিনা এই লিঙ্কে চেক করুন ।
12: লোডিং স্পিড এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
কোন সাইট যত দ্রুত লোডিং হবে ততো ইউজাররা সেই সাইটে করবে এবং সাইটের তথ্য সম্পর্কে জেনে ইউজাররা আনন্দিত হবে । একটি ভালো মানের হোস্টিং কোম্পানি থেকে হোস্টিং ব্যবহার করলে যেকোনো ওয়েবসাইটের সার্ভার এবং ওয়েবসাইট সব সময় ভালভাবে কানেক্ট থাকে এবং ভালো মানের স্পিড পাওয়া যায় । আপনি চাইলে এখান থেকে ভাল মানের হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন ।
13: সিলো স্ট্রাকচার (Silo Structure SEO)
প্রতিটা ওয়েবসাইটের একটি নির্দিষ্ট ডিজাইন বা আউটলুক রয়েছে । আপনার ওয়েব সাইটটি কি ধরনের হবে কতগুলো পোস্ট থাকবে । কতগুলো পেইজ থাকবে কোন পেজ এর আন্ডারে কতগুলো ক্যাটাগরি থাকবে । প্রত্যেকটা ক্যাটাগরিতে কতগুলো পোস্ট থাকবে ইন্টারনাল লিংকিং কেমন হবে এই সমস্ত বিষয় গুলো সিলো স্ট্রাকচারে ফলো করে করতে হয় । তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটা গুগোল বোট সহজেই এসে ক্রলিং করতে পারবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত রাঙ্কিং আসবে ।
14: ওয়েবসাইট ভেরিফাই করুন এবং সাইটম্যাপ তৈরী করুন
সমস্ত কিছু শেষ করার পর আপনার ওয়েবসাইটে গুগল ওয়েবমাস্টারে ভেরিফাই করতে হবে এবং সাইটম্যাপ তৈরি করতে হবে ।
একনজরে সমস্ত বিষয় গুলো দেখে নিন :
আপনি নিজের কোন ওয়েবসাইট অথবা কোন বায়ারের ওয়েবসাইটে অন পেজ অপটিমাইজেশন এর কাজ পেলে কিভাবে করবেন সে বিষয়ে সম্পূর্ণ একটি গাইডলাইন আজকেরে আর্টিকেলে দেওয়া হবে । সার্চ ইঞ্জিন রাঙ্কিং বিভিন্ন ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে অনপেজ এসইও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । অনপেজ এসইও এর মধ্যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ টপিক রয়েছে আমি চেষ্টা করব গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো আপনাদের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য । অনপেজ এসইও চেকলিস্ট এর মধ্যে টেকনিক্যাল Seo কিছু বিষয় রয়েছে সেগুলো আমি আজকে পর্বে আলোচনা করব |
আপনি নিজের জন্য অথবা ক্লায়েন্টের জন্য যার জন্যই অন পেজ এসইও এর কাজ করুন না কেন উপযুক্ত যে চেকলিস্ট এর যে বিষয়গুলো রয়েছে এগুলো ঠিক আছে কিনা একটু চেক করে দেখুন আশা করছি আপনার ক্লায়েন্ট আপনার কাজে শতভাগ সন্তুষ্ট হবে ধন্যবাদ সবাইকে ।
Comments (No)