গ্রাহকদের ভিডিও আপলোডে আরো উৎসাহিত করতে এবার ইউটিউবের পথেই হাঁটতে যাচ্ছে ফেসবুক। এখন থেকে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করলে সেখান থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে যে অর্থ আয় হবে তার কিছু অংশ দেওয়া হবে ভিডিও আপলোডকারীকে। এতোদিন এ ধরনের সুযোগ শুধু ইউটিউবেই চালু ছিল। ফেসবুকের ক্ষেত্রে একেবারে এই প্রথম চালু করা হলো ভিডিও আপলোড করে অর্থ আয় করার সুযোগ। ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে সম্প্রতি এক ব্লগপোস্টের মাধ্যমে ফেসবুক জানায়, ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের মাধ্যমে দৈনিক ৪০০ কোটিরও বেশি ভিডিও দেখে থাকে। যা ইউটিউবের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। ভিডিও আপলোড বিষয়ে ফেসবুক আরো জানায়, ফেসবুকের ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে আয়ের অর্থ অনেক সহজভাবেই পরিশোধ করা হবে। বিজ্ঞাপন থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৫৫ শতাংশই ভিডিও নির্মাতা পেয়ে যাবেন। আর ফেসবুক রেখে দিবে মাত্র ৪৫ শতাংশ। নতুন এই সুযোগ আপাতত শুধু আইফোন অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে । ‘সাজেস্টেড ভিডিও’ নামের এই ফিচারটি আইফোন ছাড়াও অন্যান্য প্লাটফর্মে খুব শিগগিরই চালু করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। তবে আপাতত এ সুযোগটি সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হচ্ছে না। প্রাথমিকভাবে মাত্র কিছু গ্রাহকরা পাবেন এ সুযোগ। পর্যায়ক্রমে সবার জন্যই এটিকে উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে অনলাইনে ভিডিও দেখার মাধ্যম হিসেবে ইউটিউব সর্বাধিক জনপ্রিয়তার আসন দখলে রেখেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে ফেসবুকের এ সুবিধা সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে গেলে ইউটিউব বেশ প্রতিযোগিতার মুখেই পড়বে। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম অর্থাৎ ফেসবুক থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে একটা বাস্তব উদাহরণ, একটু ভাল করে পড়ার জন্য অনুরোধ করলাম :- তিন বছর আগেও যিনি ছিলেন দেউলিয়া, পথের ফকির, জেল ফেরত আসামি আর আজ তাঁর মাসে আয় দুই লাখ ৭৫ হাজার ডলারেরও বেশি! বাংলাদেশি অর্থ যার পরিমাণ দুই কোটি সাড়ে নয় লাখ। ফেসবুকের যথাযথ ব্যবহারই তাঁকে দেউলিয়া থেকে কোটিপতি বানিয়েছে। বলা হচ্ছে, ডব্লিউটিএফ ম্যাগাজিন ও ফানিয়ারপিকস ডটনেটের প্রতিষ্ঠাতা জেসন ফিকের কথা। ফেসবুকের কল্যাণে নিজের ভাগ্যকে পরিবর্তন করা জেসন ফিককে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিজনেস ইনসাইডার। ২০০৫ সাল থেকেই অর্থকষ্টে ছিলেন জেসন। রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে কাজ করতেন তিনি। কিন্তু এক্ষেত্রে বাজারে মন্দা চলতে থাকায় তাঁর দুরাবস্থা সীমাহীন পর্যায়ে পৌঁছায়। স্ত্রী-পুত্র নিয়ে পড়েন মহাবিপদেই। টিকে থাকার জন্য আয়ের পথ খুঁজতে থাকেন তিনি। এ সময়ই তাঁর বন্ধুরা একটি ওয়েবসাইট খোলার পরামর্শ দেন জেসনকে। বন্ধুদের কথা শুনে ডব্লিউটিএফ ম্যাগাজিন ডটকম ডোমেইনটি কিনে ফেলেন তিনি। চিন্তা করেন এই সাইটটিতে বিনোদনমূলক বিভিন্ন কনটেন্ট রাখবেন তিনি। তাঁর এই ডিজিটাল উদ্যোগের সঙ্গে হাত মেলান কয়েকজন বন্ধু। কিন্তু এ সময় কোনো অর্থকড়ি ছাড়াই শুরু করতে হয় এই উদ্যোগটি। জেসনের ভাষ্য, ‘আমার দলটি কোনো রকম আর্থিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়া কাজ করে যাচ্ছিল। আমরা মজার মজার কনটেন্ট তৈরি করে যাচ্ছিলাম। আমরা আসলে কী করছিলাম সে সম্পর্কে ধারণা ছিল না।’ ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইট চালু করেন তিনি। এতে মজার মজার সব কনটেন্ট আপলোড করেন। তৈরি করেন ফেসবুক পেজ এবং তাঁর ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে একই রকম কনটেন্ট শেয়ার করতে শুরু করেন। এ সময় ম্যাগাজিনের জন্য একটি গল্প সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁকে জেলে যেতে হয়। তাঁর বিরুদ্ধে মারামারিতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। কোনো চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাও ছিল না। পরিবারকে সাহায্য করার মতো অর্থও ছিল না। তিনি আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁর কারাভোগের অভিজ্ঞতার ঘটনা প্রকাশের জন্য একটি মাধ্যম খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় তিনি বেছে নেন ফেসবুককে। ইন্টারনেেটর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন জেসন ফিক পরিকল্পনা করেন তাঁর ম্যাগাজিনসহ বেশ কিছু ফেসবুক পেজ খুলবেন এবং সেগুলোতে লাইক বাড়ানোর মাধ্যমে তাঁর তৈরি ওয়েবপেজগুলোতে ভিজিটর আনবেন। এরপরই জেসন শুরু করেন তাঁর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ। Free Online Earning from Home বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ফ্যান পেজ খুলে লাইক বাড়ানোর কাজ শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রচেষ্টা বিফলে যায়নি। ওয়েবসাইটে ভালো কনটেন্ট এবং ফেসবুকে লাইকের কারণে ওয়েবসাইটে ভালো পাঠক পেতে শুরু করেন এবং বিজ্ঞাপন থেকে দ্রুত তাঁর আয় বাড়তে থাকে। শুরুতে অনেকগুলো ফেসবুক পেজ তৈরি করে তা চালাতে শুরু করেন জেসন। জেসন বলেন, ‘ফেসবুকে অনর্থক সময় দেওয়ার জন্য আমার স্ত্রী রাগ করতে শুরু করলেও আমি না খেয়ে বসে ফেসবুক পেজগুলো চালাতাম। আমি আমার স্ত্রীকে বলতাম ফেসবুকে আমি যে ডিস্ট্রিবিউশনের কাজ করছি এর মূল্য একদিন পাব।’ বর্তমানে জেসন ৪০টি ফেসবুক পেজ চালাচ্ছেন এবং এসব পেজগুলোতে সব মিলিয়ে দুই কোটি ৮০ লাখ লাইক রয়েছে। এই ফেসবুক পেজগুলো থেকে তাঁর ওয়েবসাইটে অসংখ্য পেজভিউ হয়। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন থেকে তাঁর আয়ও আসে প্রচুর। এ ছাড়াও জেসন সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক পরামর্শক হিসেবেও ব্যবসা শুরু করেছেন। বর্তমানে ১৬ জনের কর্মসংস্থানও করেছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সী জেসন ফিক দাবি করেন, শুধু ফেসবুকের কার্যকর ব্যবহারের কল্যাণেই তাঁর ভাগ্য বদলাতে পেরেছেন এবং নিজেকে একজন কোটিপতি হিসেবে দেখতে পারছেন। এই ব্যবসায় লাভ যেমন তেমনি চ্যালেঞ্জও রয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জেসন মনে করেন, সামাজিক যোগাযোগের এই ‘যুদ্ধক্ষেত্রে’ পরিকল্পনা পাল্টে তিনি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। একে যুদ্ধক্ষেত্র মনে করার কারণ হচ্ছে, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝেই তাদের এলগরিদম পরিবর্তন করে এ ধরনের উদ্যোগকে ঠেকানোর চেষ্টাও করে থাকে।
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ুয়া তরুণ ………..মাসিক আয় এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা…..
sumonDecember 27, 2015
Related Articles
facebook twitter pinterest linkedin বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা ফোন হিসেবে স্থান …
বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা মোবাইল ফুজিৎসু’র ‘অ্যারোজ The world’s thinnest Best 4 mobile Fujitsu’s Arrows
facebook twitter pinterest linkedin SEO হচ্ছে এমন একটি টেকনোলজি, যা …
SEO দ্বারা অনলাইনে আয় করার বহুমুখী উপায় সমূহ
facebook twitter pinterest linkedin CPA Marketing কী? সিপিএ মার্কেটিং কিভাবে …
CPA Marketing কী? CPA Marketing কিভাবে করবো
facebook twitter pinterest linkedin https://www.neobux.com/?r=khan0055 registration karun facebook twitter pinterest …
ঘরে বসে অনলাইনে আয় করুন পেমেন্ট না পেলে আমি আপনাকে…
facebook twitter pinterest linkedin বিষয়টা একদম সহজ। মাত্র দুই মিনিট …
জীবনপাতা থেকে আয় করুন আনলিমিটেড
facebook twitter pinterest linkedin সম্মানিত ভিসিটর আমি তারেক মাহমুদ আজকে …
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এসইও এর প্রকারভেদ [পর্ব ৬]
About The Author
sumon
One Response
Leave a Reply Cancel Reply
You must be logged in to post a comment.
Zillur Rahman
thanks