গুগল এডসেন্স সম্পর্কে আমাদের সকলেরই কম বেশি ধারনা আছে! এটা হলো অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে ভালো পন্থা!
সকলেই চায় অনলাইনে আয় করতে এবং যারা অনলাইনে আয় করার চিন্তা ধারা করছে তারা সবাই নিশ্চয়ই এডসেন্স এপরোভাল নিতে চাইবেন!
আর অনেকেই হয়তো জানেন নাহ যে গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরী করার পরে এর থেকে এপরোভাল নিতে হলে সবচেয়ে ভালো এবং সিক্রেট পন্থা গুলো কি কি?
তোহ আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো এডসেন্স এপরোভাল নেওয়ার কয়েকটি সিক্রেট এবং সর্বোত্তম পন্থা! যেগুলো অনুসরন করলে আপনিও এডসেন্স এর এপরোভাল পাবেন মাত্র কয়েক ঘন্টার ভিতরে!
আশা করি পোষ্টটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত পড়বেন!
১. ডোমেইন
এডসেন্স এপরোভাল নিতে গেলে সবচেয়ে বড় ভুমিকা যেটা রাখে তা হলো একটি ভালো ডোমেইন! এই ধরেন (.com,. Org, in,. Info etc)। এগুলাকে মাস্টার ডোমেইনও বলা হয়!
আপনি হয়তো যেকোন ডোমেইন যদি ব্লগ ইউজ করেন তাহলে (.blogspot.com/in) ইত্যাদিতে এডসেন্স এপরোভাল নিতে পারবেন তবে এগুলাতে নিতে হলে তুলনামূলক অনেক কষ্ট করতে হয়!
তাই আপনি চেষ্টা করবেন এই টপ লেভেল ডোমেইন গুলার মধ্যে থেকে যেকোন একটা ক্রয় করার! তাহলে এডসেন্স আরো সহজেই এপরোভাল নিতে পারবেন!
- website Design.
এডসেন্স এপরোভালে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে আপনার ওয়েবসাইটের একটি ভালো ডিজাইন! যা অত্যন্ত মন মুগ্ধকর হতে হবে! এবং এতে সকল পেজই কাজ করতে হবে!
অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলায় অনেক লিঙ্কই কাজ করে অর্থাৎ Error সো করে যেগুলা এডসেন্সের উপরে বিরুপ প্রভাব ফেলে! এবং এডসেন্স এপরোভালেও অনেক কষ্টসাধ্য করে তুলে!
তাই আপনার উচিত হবে আপনার ওয়েবসাইটের একটি ভালো এবং মন মুগ্ধকর ডিজাইন করা!
৩.Post
এডসেন্স এপরোভালে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে আপনার ইউনিক কনটেন্ট! অর্থাৎ আপনার আর্টিকল!
এবং এই পোষ্টগুলা করতে হলে যে বিষয়গুলা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয় তার মধ্যে একটি হলো আপনার পোষ্টের ওয়ার্ড! অর্থাৎ আপনার উচিত হবে প্রতিটা পোষ্টে কমপক্ষে ৩০০-৪০০ শব্দ হতে হবে!
এবং এভাবে করলে আপনি মাত্র ১০-১২ পোষ্ট করেই এডসেন্স এপরোভাল পাবেন! অন্যথায় আপনার ওয়েবসাইটটি এডসেন্সে এপ্লাইয়ের পর ডিসএলাও করবে এবং বলবে Insufficient Contact!
- User Friendly Article
আরেকটি বিষয় খেলায় রাখতে হবে আপনার পোষ্টগুলি অবশ্যই User Friendly হতে হবে! এর মানে হলো যে কেউ আপনার পোষ্টটি পড়ে যাতে বুঝতে পারে!
- Pages
আপনার ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটে কমপক্ষে ৩ টি পেজ তৈরী করতে হবে! পেইজগুলো হলো! About, Contact And Disclaimer এই পেইজগুলা এডসেন্স এপরোভাল নিতে অনেক সাহায্য করবে!
আর আপনি যদি পারেন তাহলে আরো এক্সট্রা ২ টি পেইজ তৈরী করতে পারেন! Privacy And policy এবং Copyright Issues এই পেজ গুলা এডসেন্স এপরোভালে অনেক ভুমিকা রাখবে!
কারন আপনি যখন এডসেন্স এ রিকুয়েষ্ট দিবেন তারপর তারা যখন আপনার ওয়েবসাইটটি ভ্রমন করবে তখন তারা এই জিনিসগুলা দেখতে চাইবে!
যে আপনার ওয়েবসাইটটি কি সম্পর্কে! এবং আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটররা কি আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে! তোহ আপনার উচিত হবে এই পেইজগুলো গুরুত্বের সাথে তৈরী করা!
- Theme And Customizetion.
তারপর একটা জিনিস আপনার মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো আপনার ওয়েবসাইটের একটি ভালো মানের থিমস! আপনাকে অবশ্যই এটাকে খুবই ভালোভাবে কাস্টমাইজ করতে হবে!
চেষ্টা করবেন অযথা কোন widgets ব্যবহার না করা! শুধুমাত্র গুরুত্বপুর্ন কয়েকটি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন! এইগুলা আপনার এডসেন্স এপরোভালে অনেক সাহায্য করবে!
৭. Submit site on Google.
এডসেন্স এপরোভাল নিতে হলে আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই গুগলে সাবমিট করাতে হবে! এর জন্য আপনি Google search Console ব্যবহার করতে পারেন!
৮.Copyright.
আপনি যদি অন্য কোন ওয়েবসাইট থেকে পোষ্ট কপি করে নিজের সাইটে পোষ্ট করেন তাহলে এটা হলো কপিরাইট! আর আপনি যদি এরকম করেন তাহলে কখনও এডসেন্সের এপরোভাল পাবেন নাহ!
তবে কপিরাইটের অনেকগুলা নিয়ম আছে! আপনি যদি অন্য কোন পোষ্ট কপি করে এই পোষ্টগুলো ভালেভাবে সাজিয়ে অর্থাৎ কথাগুলোর মধ্যে আপনার নিজের অনেক কথা সাজিয়ে দেন তাহলে এটা এফেক্ট করবে নাহ!
তবে চেষ্টা করবেন সম্পুর্ণ কপিরাইট পরিহার করার!
এখন জেনে নিন এডসেন্স নিয়ে কিছু কমন প্রশ্নের উত্তরঃ-
প্রশ্ন-১..আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স এপরোভাল নিতে হলে কতটি পোষ্ট করতে হবে?
- এটা নিয়ে এডসেন্সের পলিসিতে কোন উল্লেখ নেই! তবে চেষ্টা করবেন অন্তত ৪০-৫০ টা পোষ্ট করার! তবে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনার আর্টিকলের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দিতে হবে কোয়ালিটির উপর!
প্রশ্ন-২.. সাইটের বয়স কত হতে হবে?
- এটা নিয়ে গুগলের পলিসিতে আসে যে সাইটের বয়স অন্তত ৬ মাস হতে হবে! তবে দেখা যায় অনেকেই এর আগেও এপরোভাল নিতে সক্ষম হয়েছে!
কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে এডসেন্স এপরোভাল পাওয়ার মুল বিষয় হলো আয় করা! কিন্তু আপনি যদি তাড়াহুড়ো করে এপরোভাল নিয়েও নেন তাহলে ভিসিটর না থাকলে এটা দিয়ে কি করবেন!
তাই আপনাকে অবশ্যই সময় নিতে হবে কারন আপনি যত বেশি সময় নিবেন তত বেশি সাইটটি পুরনো হবে এবং সাইটটি সম্পর্কে সবাই জানবে এতে করে ভিসিটর আসবে এবং আপনি ভালো আয় করতে পারবেন!
প্রশ্ন-৩.. প্রতিটি পোষ্টের ওয়ার্ড সংখ্যা কত হতে হবে?
- আপনাকে মিনিমাম ৩০০-৩৫০ ওয়ার্ডের পোষ্ট লিখতে হবে! না হলে এডসেন্স এপরোভাল নিতে পারবেন নাহ কারন এতে করে এটা আপনার সাইট রিভিও করে বলবে Insufficient Content.
প্রশ্ন-৪.. এডসেন্সে সাবমিট করার পর কত দিনে রিভিও করবে?
- আসলে এর জন্য নির্দিষ্ট কোন সময় নেই! আপনার ওয়েবসাইটের যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে ১ দিনের ভিতরে আপনি এপরোভাল পেতে পারেন!
এবং অনেক সময় দেখা যায় এটা ৭-১৫ দিনও সময় নিতে পারে! এ নিয়ে ঘাবড়ানোর কোন দরকার নেই!
প্রশ্ন-৫..আমার ইউটিউব এডসেন্স আছে, আমি কিভাবে আমার ব্লগে এটা ব্যবহার করব?
- এর সঠিক উত্তর হলো আপনি আপনার ইউটিউবের এডসেন্স কখনও ব্লগারে ব্যবহার করতে পারবেন নাহ! কারন এটা এডসেন্স পলিসির বাইরে!
অবশ্য আপনি এর জন্য আবারও আপনার ইউটিউবের এডসেন্সে আপনার সাইটের লিঙ্কটি দিয়ে তারপর এপরোভাল আসলে এড আপনার ব্লগারে এড করতে পারেন! অন্যথায় আপনার এডসেন্স ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি!
প্রশ্ন-৭.. ব্লগ/ ওয়েবসাইটে কতজন ভিসিটর লাগবে?
- ভিসিটর ছাড়া যেকোন ওয়েবসাইটই একেবারে অচল! তবে এডসেন্সে এ নিয়ে কোন পলিসি নেই যে কতজন ভিসিটর লাগবে!
আপনি শুধু আপনার ওয়েবসাইট এবং কনটেন্টের উপর নজর দিন! অবশ্যই এতে ভিসিটরের ও দরকার আছে! কারন কেউ যদি আপনার এডে ক্লিক না করে তাহলে আয় করবেন কোথা থেকে!
তবে ভিসিটর নিয়ে এডসেন্স এপরোভালে কোন প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় নাহ!
শেষকথাঃ- আপনি যদি এডসেন্স এপরোভাল নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে! অন্যথায় আপনি এপরোভাল পাবেন নাহ!
কারন সবকিছুরই একটা নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন আছে! আর এডসেন্স হলো বিশ্বের সবচেয়ে ভালো এডস নেটওয়ার্ক! যা দ্বারা সবাই নিজের ওয়েবসাইটকে মনিটাইজ করতে চায়!
আপনিও যদি তাদের একজন হন তাহলে আপনাকে অবশ্যই উপরে বর্নিত নিয়মগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে তাহলে আপনিও এডসেন্স এপরোভাল পাবেন!
Comments (No)