Freelancing এ নতুন কাজ পাচ্ছেন না? মার্কেট প্লেস যেটাই হোক নাকেন , কাজপাওয়ার মূলমন্ত্রসব জায়গায় এক ই দক্ষতা, ধৈর্য এবং কিছুট্রিক্স ।আসুন দেখেনেই কি সেই ট্রিক্স গুলো যা আপনাকে খুব সহজেই কাজ পেতে সাহায্য করবে । *প্রথম এই নিজের প্রফাইল সাজান , আপনি যে কাজ করতে চান তার উপর ভিত্তি করে আপনার প্রফাইল সাজান । যদি ওয়েব ডিজাইন এর কাজ করতে চান , তাহলে আপনার প্রফাইল ওয়েব ডিজাইনএর উপর ভিত্তি করে সাজান ।
যদি ডাটা এন্ট্রি এর কাজ করতে চান , তাহলে ডাটা এন্ট্রি এর কাজের উপর ভিত্তি করে প্রফাইল সাজান ।কখন প্রফাইল এ কয়েক ক্যাটাগরির কাজ দিয়ে প্রোফাইল সাজাবেন না ।তাতে আম ও যাবে ছালা ও যাবে । * ওভারভিঊঃ ওভারভিঊ হল আপনার সম্পর্কে তথ্য, আপনি কি কি পারেন, কোন কাজ করতে কত দিন সময় লাগে আপনার, কত বছরের অভিজ্ঞতা আপনার ইত্যাদি। অপ্রাসাঙ্গিক কথা বার্তা দিয়ে ওভারভিঊ পূর্ণ করবেন না ।আপনার সম্পর্কে একজন ক্লায়েন্ট যাতে স্বচ্ছ ধারনা পায়, এমন ভাবে ওভারভিঊ লিখুন । ওভারভিঊ লেখার সময়, কয়েকজনের ওভারভিঊ দেখে ধারনা নিতে পারেন। তবে কারো ওভারভিঊ কপি করবেন না । * প্রোফাইল রেটঃ নতুন হিসেবে প্রোফাইল রেট সবসময় কম রাখায় শ্রেয় , ৩-৫$ এর মধ্য রাখতে পারেন ।
* পোর্টফলিওঃ পোর্টফলিও হল কাজের স্যাম্পল । আপনি এর আগে কি কি কাজ করেছেন তার এটাচমেন্ট । নতুনদের কাজের স্যাম্পল নাও থাকতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনি আপনার পিসি তেই কয়েকটি কাজের নমুনা তৈরি করে এটাচমেন্ট হিসেবে দিতে পারেন , তবে খেয়াল রাখবেন তা যেন আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় । স্কিল টেস্টঃ নতুন দের জন্য সবচেয় প্রয়োজনীয় জিনিস এটি , আপনার স্কিল টেস্টের রেসাল্ট দেখেই, আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে অবগত হন ক্লায়েন্ট, আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন স্কিল টেস্ট গুলো দিন, যতোটা সম্ভব ভাল ফলাফল এর চেষ্টা করুন, অনলাইনের হেল্প ও নিতে পারেন * কভার লেটারঃকভার লেটার হল কাজ পাওয়ার জন্য সবচেয় গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।
কভার লেটার এর মাধ্যমেই ক্লায়েন্ট আপনি কাজটি করতে পারবেন কিনা, তার প্রাথমিক ধারনা পায়, আমার মতে কভার লেটার ই একটি কাজ পাওয়ার পিছনে ৮০% ভূমিকা রাখে , আর ২০% অন্য ফ্যাক্ট । কভার লেটার এ যে সবচেয়ে বেশি দক্ষতার প্রয়োগ দিতে পারবে, তার কাজ পাওয়ার চাঞ্ছ ও তত বাড়বে । কভার লেটার কে কখন ও বড় করবেন না, ছোট কিন্তু তথ্যপূর্ণ করার চেষ্টা ক্রুন, আপনার কাজের দক্ষতা গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন ।কয়েকটি কাজের স্যাম্পল বা লিঙ্ক ও দিতে পারেন ।আসল কথা হল কভার লেটার এর মাধ্যমে ক্লায়েন্ট কে বুঝিয়ে দিতে হবে যে আপনি পারফেক্ট এই কাজের জন্য ।
*২+৩=৫ঃ কি ভাবতেছেন টিপস দেয়া বাদ দিয়ে যোগ বিয়োগ শিখাব ? হ্যা , ঠিক ধরেছেন যোগ বিয়োগই শিখাব , তবে কে কাজ পাওয়ার বেলায় প্লাস হবে আর কে মাইনাস হবে তা শিখাব। কাজ এ এপ্লায় করার আগে অবশ্যই, পূরো কাজের বর্ণনা পড়ে নিবেন,মনে রাখবেন আপনার চেয়ে আরো ওনেক বেশি দক্ষতা সম্পন্ন ফ্রীল্যাঞ্চার ও অই কাজে এপ্লায় করবে, তাদের টেক্কা দিয়ে আপনাকে কাজ টা পেতে হবে, লক্ষ্য করে দেখবেন অনেক ক্লায়েন্ট ই তার কাজের জন্য যোগ্য লোকটিকে বাছাই করার জন্য কিছু ট্রিক্স এপ্লায় করে যাতে সে বুজতে পারে
কে কে তার কাজের বর্ণনা টা ঠিক ভাবে পড়েছে, ২+৩=৫ হল সেই ফ্যাক্ট। ক্লায়েন্ট তার কাজের বর্ণনায় এইরকম কিছু টিক্স এপ্লায় করে যেমন , “To confirm that your had read my full job description please put what will be “2+3” on the top of your application”. এর মানে হল আপনি যে ক্লায়েন্ট এর কাজের বর্ণনা টা সঠিক ভাবে পড়েছেন কিনা তা জানার জন্য ক্লায়েন্ট আপনাকে আপনার এপ্লিকেশন এর শুরুতে ২+৩= কত হয় তা ঊল্লেখ করতে বলছে, যারা যারা এই শর্ত পুরন না করে এপ্লিকেশন সাবমিট করবে ক্লায়েন্ট তাদের এপ্লিকেশন ডেকলাইন করে দিবে ।
তাই নতুনরা এই পয়েন্ট টা সবসময় খেয়াল রাখবেন, কারন ১০০ টা এপ্লিকেশন এর মধ্যে ৬০ টাই এই শর্ত পুরন করবে না,জাস্ট কপি পেস্ট কভার লেটার সাবমিট করবে, সেক্ষেত্রে , আপনি জদি এই শর্ত টা পূরন করে এপ্লিকেশন করেন , আপনার কাজ পাওয়ার চাঞ্ছ কত পারছেন্ট এ দাঁড়াবে তা আপনি ই হিসাব করুন ।
Comments (No)