ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) হচ্ছে কমপিউটারের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা একটি স্থান/প্রোগ্রাম থেকে অন্য আরেকটি স্থানে/প্রোগ্রামে প্রতিলিপি তৈরি করা। ডাটাগুলো হতে পারে হাতে লেখা কোনো তথ্যকে কমপিউটারে টাইপ করা অথবা কমপিউটারের কোনো একটি প্রোগ্রামের ডাটা একটি স্প্রেডশিট ফাইলে সংরক্ষণ করা। কমপিউটার ব্যবহারের শুরু থেকেই ডাটা এন্ট্রির ধারণা চলে এসেছে।
বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে তথ্যের আদানপ্রদান বিস্তৃত হয়েছে, সেই সাথে বেড়েছে বিভিন্ন ধরনের ডাটাকে সুবিন্যস্ত করে এর বহুবিধ ব্যবহার। তাই দক্ষ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এধরনের কাজগুলো একা বা দলগতভাবে সম্পন্ন করা যায় এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কমপিউটার এবং ইন্টারনেটের সাধারণ ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ফলে যেকেউ এই ধরনের কাজ করে ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারে।
ডাটা এন্ট্রি করতে কী কী লাগবে?
ডাটা এন্ট্রি করতে কিন্তু আপনাকে বিশেযজ্ঞ হওয়া লাগবেন। আপনাকে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ইন্টারনেট কানেকশন সহ থাকতে হবে। ইন্টারনেট কানেকশনটি যেন মোটামুটি ভালোমানের স্পীড বা গতি থাকে। আপনি এনড্রয়েন মোবাইল বা কোন প্যাডেও টাইপ করতে পারবেন। আর আপনার টাইপ স্পীড যতই দ্রুত হবে ততই টাইপ করতে পারবেন। ততই অন্যদের চেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন। টাইপ করার সময় চেষ্টা করতে হবে যাতে নির্ভূল হয়।
কারণ নিভূল হলে আপনার কোন টাকা কাটা যাবেনা। ভূল হলে ভূল টাইপের জন্য কোন টাকা দেওয়া হয়না। অর্থাৎ যেকয়টি ভূল করবেন সে কয়টির জন্য কোন টাকা পাবেন না। মনে করুণ আপনি ১০০ টি ক্যাপচা টাইপ করেছেন এর মধ্যে ৫ টি ভূল করেছেন বাকী ৯৫ টি সঠিক টাইপ করেছেন। তাহলে ৯৫ টির জন্য টাকা পাবেন বাকী ৫ টির জন্য কোন টাকা পাবেন। বিষয়টি একদম সাধারণ।
কোথায় পাওয়া যাবে?
ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো সাধারণ ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস সাইটেই পাওয়া যায়। অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যাতে বলা হয় বিপুল পরিমাণে ডাটা এন্ট্রির কাজ পাওয়া যাবে। কিন্তু ওই সাইটে রেজিস্ট্রশন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়। যেহেতু রেজিস্ট্রেশন করার পূর্বে আপনি জানতে পারছেন না সত্যিই ওই সাইটে কাজ পাওয়া যায় কি না, তাই এ ধরনের সাইটে রেজিস্ট্রেশন করা থেকে বিরত থাকাই ভাল।
বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করে ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় এরকম সাইট হচ্ছে : www.GetAFreelancer.com www.oDesk. com www.GetACoder.com www.Script Lance.com ইত্যাদি। এই সাইটগুলোতে ডাটা এন্ট্রি কাজের আলাদা বিভাগ রয়েছে। সাইটগুলোতে কয়েকশত ডলার থেকে কয়েক হাজার ডলারের প্রজেক্ট রয়েছে। সাধারণত প্রতি এক হাজার ডাটা এন্ট্রির জন্য একটি নির্দিষ্ট ডলারের ভিত্তিতে কাজ পাওয়া যায়। অনেকক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়।
প্রয়োজনীয় দক্ষতা
ডাটা এন্ট্রি প্রজেক্টে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতার প্রয়োজন হয়, যা একটি প্রজেক্টের ওপর নির্ভর করে। অনেক ধরনের প্রজেক্ট পাওয়া যায় যাতে শুধু কপি-পেস্ট ছাড়া আর কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে সাধারণভাবে যে দক্ষতাগুলো সবসময় প্রয়োজন পড়বে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতা, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও বিশেষ করে মাইক্রোসফট এক্সেলে পরিপূর্ণ দখল এবং সর্বোচ্চ ইংরেজিতে ভালো জ্ঞান। তার সাথে রয়েছে ইন্টারনেটে সার্চ করে কোনো একটি তথ্য খুঁজে পাবার দক্ষতা এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট, ফোরাম, ওয়েব ডিরেক্টরি সম্পর্কে ভালো ধারণা।
ডাটা এন্ট্রি কাজের প্রকারভেদ
ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে যেসব ডাটা এন্ট্রি কাজ পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফাইল, ছবি ইত্যাদি আপলোড করা, বিভিন্ন সাইট থেকে নির্দিষ্ট কিছু তথ্য এক্সেলের একটি ফাইলে সংরক্ষণ করা, ওয়েবসাইটের জন্য একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লেখা, একটি ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফোরাম, গ্রুপ গিয়ে পরিচয় (Promote) করিয়ে দেয়া, দুটি ওয়েবসাইটের মধ্যে লিঙ্ক আদানপ্রদান করা (Link Exchange), অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করা, OCR (অপটিক্যাল কারেক্টার রিকগনিশন) থেকে পাওয়া লেখার ভুল সংশোধন করা ইত্যাদি।
নিচে ওডেস্ক এবং গেট-এ-ফ্রিল্যান্সার সাইটে গত নভেম্বর সংখ্যায় পাওয়া কয়েকটি প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো :
০১. লোকাল বিজনেসের তথ্য প্রদান :
এই প্রজেক্টে বায়ারের চাহিদা হচ্ছে ইন্টারনেটে সার্চ করে যুক্তরাজ্যের একটি নির্দিষ্ট শহরের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বার ইত্যাদি তথ্য প্রদান করা। বায়ার এই তথ্যগুলো পরে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং কাজে ব্যবহার করবে। এই প্রজেক্টটি সম্পন্ন করতে প্রকৃতপক্ষে ইন্টারনেটে ওই শহরের নাম দিয়ে সার্চ করতে হবে এবং প্রাপ্ত তথ্য একটি এক্সেল ফাইলে সেভ করে বায়ারকে প্রদান করতে হবে। প্রজেক্টে বায়ারের বাজেট হচ্ছে ৫০ ডলার। তবে ঠিক কতটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রদান করতে হবে এবং কতদিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে সে বিষয়ে কোন ব্যাখ্যা দেয়া নেই।
০২. ওয়েবসাইট থেকে ডাটা সংগ্রহ করা :
এই প্রজেক্টে বায়ার কয়েকটি ওয়েবসাইটের তথ্য দিয়ে দিবে। প্রোভাইডার হিসেবে আপনার কাজ হবে ওই সাইটগুলো থেকে নির্দিষ্ট কিছু ডাটা আরেকটি ওয়েবসাইটের ফরমের মধ্য সেভ করা। প্রতি ঘন্টায় এরকম ২০০টি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে, অর্থাৎ প্রতি ১৮ সেকেন্ডে একটি ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। এই কাজটি করার জন্য কোনো বিশেষ অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই, শুধু কপি এবং পেস্ট করা জানলেই হবে। সম্পূর্ণ কাজের জন্য বায়ারের বাজেট হচ্ছে ১২০ ডলার।
০৩. অডিও ট্রান্সক্রিপশন :
এই প্রজেক্টে বায়ার পূর্বে রেকর্ড করা কয়েকটি অডিও ফাইল দেবে। আপনার কাজ হবে অডিও শুনে ইংরেজিতে একটি ফাইলে লেখা বা প্রতিলিপি তৈরি করা। প্রতি ঘণ্টার অডিও ফাইল প্রতিলিপির জন্য ২০ ডলার দেয়া হবে। এই কাজের জন্য ইংরেজিতে অবশ্যই পারদর্শী হতে হবে।
০৪. ডকুমেন্ট কনভারশন :
এই প্রজেক্টে আপনাকে PDF ফরমেটের একটি ডকুমেন্ট ফাইল দেয়া হবে। আপনার কাজ হবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ওই লেখাগুলো হুবহু প্রতিলিপি করা। অর্থাৎ পিডিএফ-এর লেখাটির ফরমেট, ছবি, ফুটনোট ইত্যাদি অপরিবর্তিতভাবে ওয়ার্ডে ফাইলে প্রতিস্থাপন করা। এই কাজের জন্য গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে ২৭টি বিড পড়েছে এবং গড় মূল্য হচ্ছে ৬৫ ডলার।
০৫. ক্ল্যাসিফাইড অ্যাড লিস্টিং :
এই প্রজেক্টটি হচ্ছে একটি ক্ল্যাসিফাইড বা শ্রেণীবদ্ধ বিজ্ঞাপনের ওয়েবসাইটে নতুন নতুন বিজ্ঞাপন যোগ করা। এজন্য Craigslist, Amazon, Ebay ইত্যাদি সাইট থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্যের তথ্য ওই ওয়েবসাইটটিতে যোগ করতে হবে এবং একটি এক্সেল স্প্রেডশিট ফাইলে এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করতে হবে। তারপর পণ্যটির বিক্রেতার কাছে ই-মেইল করে তাকে ওয়েবসাইটি সম্পর্কে জানাতে হবে। এরকম ৫০০ পণ্যের ডাটা এন্ট্রি করতে হবে। এই কাজের জন্য বায়ারের সর্বোচ্চ বাজেট হচ্ছে ২৫০ ডলার।
০৬. ক্যাপচা (Captcha) এন্ট্রি :
ক্যাপচা হচ্ছে কয়েকটি অক্ষর ও সংখ্যার সমন্বয়ে একধরনের সিকিউরিটি কোড বা ছবি যা বিভিন্ন সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় প্রদান করতে হয়। কোনো প্রোগ্রামের মাধ্যমে কেউ যাতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সাইটে রেজিস্ট্রেশন বা ফরম পূরণ করতে না পারে, এজন্য এটি ব্যবহার করা হয়। গেট-এ-ফ্রিল্যান্সারে পাওয়া এই কাজে দুইদিনের মধ্যে 36K বা ৩৬ হাজার ক্যাপচা এন্ট্রি করতে হবে।
প্রতি এক বা এক হাজারটি এন্ট্রি করার জন্য ৫ ডলার দেয়া হবে অর্থাৎ মোট প্রজেক্টের মূল্য হচ্ছে ৩৬ ডলার। যেহেতু একার পক্ষে কম সময়ে এত ডাটা এন্ট্রি করা সম্ভব নয় তাই সম্পূর্ণ কাজটি করার জন্য ৫ থেকে ১০ জনের একটি টিম থাকতে হবে। দুই দিনের মধ্যে সফলভাবে কাজটি করতে পারলে বায়ার পরবর্তীতে 1200K অর্থাৎ ১২,০০,০০০ ক্যাপচা এন্ট্রি করার কাজ দেবে, যা দুই সপ্তাহের মধ্যে করতে হবে। ক্যাপচাটি http://url.az.pl সাইটে গিয়ে পাওয়া যাবে। অসুবিধাসমূহ যদিও ডাটা এন্ট্রির কাজ তুলনামূলকভাবে সহজ কিন্তু এ ধরনের কাজে অনেক অসুবিধা রয়েছে, যা পূর্বে বিবেচনা করেই কাজে নামা উচিত।
প্রথমত, এ ধরনের কাজে অনেক বেশি বিড পড়ে, তাই প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়া খুব কঠিন। এ ধরনের কাজে আপনার মেধা বা দক্ষতা প্রমাণের প্রাথমিকভাবে কোনো সুযোগ নেই। তবে ছোটখাটো কয়েকটা কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে ফেলতে পারলে একই বায়ারের কাছ থেকে আরো অনেক কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো সময়সাপেক্ষ, একঘেয়ে এবং প্রায় ক্ষেত্রে বিরক্তিকর।
অনেক কাজের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের স্পিড খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যেসব কাজে ফাইল আপলোড করতে হয় অথবা যে কাজগুলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে, সেক্ষেত্রে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে।
অনেক ডাটা এন্ট্রির কাজ রয়েছে, যা একার পক্ষে একটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব নয়। এজন্য ৫ থেকে ১০ জনের একটা টিম গঠন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।
ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো খুবই সতর্কতার সাথে এবং নির্ভুলভাবে করতে হয়। তাই শতভাগ নির্ভুল টাইপিং এবং কাজের সময় পূর্ণ মনোযোগ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোগ্রামিং করে ডাটা এন্ট্রিঅনেক ডাটা এন্ট্রি কাজ রয়েছে, যা প্রোগ্রামিং করে করা সম্ভব। প্রোগ্রামিংয়ে যারা দক্ষ তারাও ইচ্ছে করলে ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো সহজেই করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা বলতে পারি। গ্রাহকের চাহিদা ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের ২,৫০০ ই-কর্মাস ওয়েবসাইটের লিঙ্ক এনে দেয়া যাদের ওয়েবসাইটে কোনো সিকিউরিটি সিল (এক ধরনের ছবি) নেই। ক্লায়েন্টের উদ্দেশ্য ছিল তাদের কাছে তার নিজের কোম্পানির সিকিউরিটি সিল বিক্রির জন্য ই-মেইল দেয়া। প্রজেক্টের মোট মূল্য ছিল ৩০০ ডলার এবং ডেডলাইন ছিল মাত্র ৭ দিন। এই প্রজেক্টটি খুবই সময় সাপেক্ষ ছিল। কারণ সার্চ করে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার সাইটে যেতে হবে এবং সেই সাইটগুলোতে গিয়ে দেখতে হবে তাদের সাইটে কোনো সিকিউরিটি সিল আছে কিনা।
ধরা যাক সব কাজ করতে প্রতি সাইটের পেছনে যদি ১ মিনিট করে সময় ব্যয় হয়, তাহলে ৫ হাজার সাইটের ক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করে একজন অপারেটরের মোট সময় লাগবে ১০ দিন। কাজটি আমি ম্যানুয়ালি না করে প্রোগ্রামিং করে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পিএইচপি দিয়ে দুটি প্রোগ্রাম তৈরি করলাম- একটি প্রোগ্রাম গুগল এবং ইয়াহু ডিরেক্টরি থেকে সার্চ করে ওই দুই দেশের ই-কমার্সের সাইটের তথ্য একটি ডাটাবেজে সংরক্ষণ করবে।
আরেকটি প্রোগ্রাম ডাটাবেজ থেকে তথ্যগুলো নিয়ে একটি একটি করে সাইটে স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাবে এবং ওই সাইটে কোনো সিকিউরিটি সিল আছে কিনা যাচাই করে দেখবে। প্রোগ্রামটি তৈরি করার পর আমি আমার সার্ভারে Cron Job-এর মাধ্যমে দুটি প্রোগ্রামকে চালাই। এই পদ্ধতিতে প্রোগ্রামিং করা থেকে সার্চ করা পর্যন্ত মোট সময় লেগেছিল মাত্র দুই দিন এবং প্রোগ্রামটির মাধ্যমে এই সময়ের মধ্যে ৮ হাজার সাইটে সার্চ করে ৪ হাজার সিলবিহীন সাইট পেয়েছিলাম।
বাস্তবিক পক্ষে ডাটা এন্ট্রি কাজের রয়েছে বিশাল চাহিদা এবং কাজের পরিধিটাও অনেক বিস্তৃত। প্রথমদিকে একটু ধৈর্য্য সহকারে বিড করা এবং কাজ বাছাই করার ক্ষেত্রে একটু বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব গ্রাহকের কাছ থেকে ভবিষ্যতে আরো বড় প্রজেক্ট পাবার সম্ভাবনা রয়েছে সেই প্রজেক্ট পাবার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। শুরুতে একাই কাজ করুন। ভবিষ্যতে বড় কাজ পেলে কয়েকজন কমপিউটার অপারেটরকে নিয়ে একটি টিম গঠন করাতে পারেন। তখন ডাটা এন্ট্রির কাজগুলোর মাধ্যমে বেকার জনগণকে জনশক্তিতে পরিণত করতে আপনিও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।
Comments (No)