ধরে নিলাম, আপনি বর্তমানে বাংলালিংক বা রবি সিম ব্যবহার করছেন। এখন আপনি আপনার সিম নাম্বার ঠিক রেখে অন্য অপারেটরে পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। যেমন- আপনি বাংলালিংক অপারেটরে আছেন, বাংলালিংক নাম্বার যা আছে তাই থাকবে শুধুমাত্র অপারেটর বদল করবেন। হতে পারে রবি, এয়ারটেল, টেলিটক কিংবা গ্রামীণফোন। এর ফলে আপনি ঐ অপারেটরের সব ধরনের সার্ভিস উপভোগ করতে পারবেন। এবার চলুন আজকের আলোচনায় জেনে নিই, সিম নাম্বার ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম সম্পর্কে। তবে তার আগে অবশ্যই আমাদের জেনে নেওয়া উচিত এমএনবি কি?
এমএনবি (MNP) কি?
এমএনপি (MNP) এর পূর্ণরূপ হচ্ছে মোবাইল নাম্বার পোর্টবিলিটি (Mobile Number Portability). অর্থাৎ নিজের মোবাইলের সিম নাম্বার ঠিক রেখে অন্য অপারেটরে যাওয়াকে এমএনবি পদ্ধতি বলে। এমএনপি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার মোবাইলের সিম নাম্বার ঠিক রেখে বাংলাদেশের যেকোন সিম অপারেটরে যেতে পারবেন।
নোট : সিম নাম্বার এমএনপি (MNP) বা অপারেটর পরিবর্তন করতে আপনার খরচ হবে ১৫৮ টাকা এবং পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এটি চালু হবে। আর আপনি যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপারেটর পরিবর্তন চান তাহলে আপনার খরচ হবে ২৫৮ টাকা। এছাড়া সিম নাম্বার এমএনপি (MNP) করার ৯০ দিনের পূর্বে আপনি অন্য অপারেটর কিংবা আগের অপারেটরে ফিরে আসতে পারবেন না। অর্থাৎ পুনরায় এমএনপি (MNP) করার জন্য আপনাকে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এমএনপি (MNP) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে নির্দিষ্ট অপারেটর সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করুন।
রবি অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম :
রবি অপারেটরে আসার জন্য আপনি আপনার এলাকার নিকটবর্তী রবি কাস্টমার কেয়ারে যান। রবি কাস্টমার কেয়ারে আপনার করণীয়। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং যে অপারেটরের নাম্বার পরিবর্তন করবেন সেই অপারেটরের সিমটি সাথে নিন। অপারেটর পরিবর্তনের জন্য বায়োমেট্রিক রেজিষ্টেশন করুন। এবার নিয়ে নিন রবির নতুন একটি সিম। কনফার্মেশন এসএমএস পাওয়ার পর রবির এই নতুন সিমটি ব্যবহার করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম :
গ্রামীণফোন অপারেটরে আসার জন্য আপনার আশ পাশের গ্রামীণফোনের যেকোনো কাস্টমার কেয়ারে যান। গ্রামীণফোন কাস্টমার কেয়ারে যাবার পর আপনার এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য তাদের সামনে উপস্থাপন করুন। এরপর ফিঙ্গার প্রিন্টের কাজ সম্পূর্ণ করে নিন। বর্তমান অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে যাওয়ার পর এমএনপি অনুমোদনের এসএমএস পাবেন। এসএমএস পাওয়ার পর আপনার সিমের অপারেটর বদল হবে এবং আপনার পূর্বের অপারেটরের সিম বন্ধ হয়ে যাবে। এবার আপনি গ্রামীণফোন অপারেটের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
বাংলালিংক অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম :
আপনার বর্তমান ব্যবহৃত সিম নম্বর ঠিক রেখেই আপনি অন্য যেকোন অপারেটরে যেতে পারবেন। সেটি করার জন্য আপনার বর্তমান ব্যবহৃত সিম নম্বর ও ভোটার আইডি কার্ডের কপি নিয়ে আপনার এলাকার বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ারে চলে আসুন। এবার ভেরিফিকেশন করার জন্য আপনার ফিঙ্গার প্রিন্ট প্রদান করুন। এরপর বাংলালিংক রেজিষ্ট্রেশন ফরম পুরন করে নিন। সবকিছু সঠিক ভাবে করার পর বাংলালিংক সিম সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকে নতুন বাংলালিংক সিমটি সংগ্রহ করুন। আর উপোভগ করতে থাকুন বাংলালিংক অপারেটরের সকল প্রকার সার্ভিস।
এয়ারটেল অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম :
এমএনপি (MNP) মোবাইল নাম্বার পোর্টাবিলিটির মাধ্যেমে এখন আপনার সিম নাম্বার ঠিক রেখেই এয়ারটেল কিংবা অন্য যেকোন অপারেটরে আসতে পারবেন নাম্বার পরিবর্তন না করে। কিভাবে সেটা করবেন দেখে নিই। আপনার নিকটস্থ এয়ারটেল কাস্টমার কেয়ারে যান। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও যে অপারেটর পরিবর্তন করবেন, সেই নাম্বারটি সাথে নিন। এবার আপনার আঙ্গুলের ছাপ দ্বারা সিমটি বায়োমেট্রিক করুন। আপনার এয়ারটেলের নতুন সিমটি সার্ভিস প্রোভাইটার এর নিকট থেকে সংগ্রহ করুন।
টেলিটক অপারেটর পরিবর্তন করার নিয়ম :
মোবাইলের সিম নম্বর পরিবর্তন না করেই অপারেটর পরিবর্তন করুন। অপারেটর পরিবর্তন করতে আপনি আপনার নিকটস্থ টেলিটক কাস্টমার কেয়ারে যান। কাস্টমার কেয়ারে যাওয়ার সময় আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সাথে নিন। এরপর টেলিটক সার্ভিস প্রোভাইটারের মাধ্যমে আপনার ভেরিভেকেশনের কাজ সম্পূর্ণ করুন। অর্থাৎ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিন। এরপর আপনার নতুন টেলিটক সিমটি সংগ্রহ করুন।
উপরক্ত নিয়ম অনুসারে আপনি আপনার মোবাইলের সিম নাম্বার ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া অপারেটর পরিবর্তন সম্পর্কে আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানান। আমরা যত দ্রুত সম্ভব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। সবাইকে ধন্যবাদ
রিলেটেড আর্টিকেল……
অন পেইজ এসইও।অন পেইজ এসইও করে সার্চ রিজাল্ট এ প্রথম পেইজে নিইয়ে আসুন
গুগল অ্যাডসেন্স এর সেরা ৫ টি বিকল্প – ব্লগসাইট মনিটাইজ করার জন্য